অক্টোবরে দুই কোরিয়ার নাগরিকদের পুনর্মিলনী
অর্ধশতাব্দী ধরে বিচ্ছিন্ন থাকা পরিবারগুলোর সদস্যদের মধ্যে নিয়মিত পুনর্মিলনী আয়োজনের জন্য উত্তর কোরিয়াকে চাপ দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। গতকাল বৃহস্পতিবার এক বৈঠকে অক্টোবরে আসন্ন Èকোরিয়ান থ্যাংকসগিভিং ডে'তে আগামী পুনর্মিলনী আয়োজনের ব্যাপারে রাজি হয়েছে দুই পক্ষ। দুই কোরিয়ার মধ্যে এক বছরের বেশি শীতল সম্পর্ক বজায় থাকার পর সম্পর্কোন্নয়নের এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার উত্তর কোরিয়ার মাউন্ট কুমগাং অবকাশযাপন কেন্দ্রে তিন দিনের এক বৈঠক শুরু হয়।
উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে ১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত চলা যুদ্ধের কারণে কয়েক হাজার পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ২০০০ সালে ঐতিহাসিক আন্তকোরীয় সম্মেলনের মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া ওই সব পরিবারের মধ্যে পুনর্মিলনী শুরু হয়। এর পর থেকে এ পর্যন্ত ১৬ হাজার কোরীয় তাদের বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া স্বজনদের সঙ্গে সামনাসামনি দেখা করার সুযোগ পেয়েছে। এ ছাড়া কয়েক হাজার পরিবার ভিডিওর মাধ্যমে যোগাযোগের সুযোগ পায়। সর্বশেষ ২০০৭ সালের অক্টোবর মাসে দুই কোরিয়ার বিচ্ছিন্ন পরিবারগুলোর মধ্যে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। তবে লি মিউং-বাকের সরকার দক্ষিণ কোরিয়ায় ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে দুই পক্ষের মধ্যে সম্পর্ক শীতল হয়ে পড়ে। এএফপি।
জাপান থেকে প্রকাশিত পিয়ংইয়ংপন্থী পত্রিকা চোশোন সিনবো জানায়, উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং-ইল দুই দেশের সম্পর্কের অচলাবস্থা দূর করতে বদ্ধপরিকর। বৈঠক শুরুর দিন দুই কোরিয়ার রেডক্রস কর্মকর্তারা ৩ অক্টোবর পুনর্মিলনী আয়োজনের ব্যাপারে এক ধরনের মতৈক্যে পঁেৌছেছেন। এ ছাড়া দুই পক্ষ থেকে ১০০ জন করে নাগরিককে তাদের স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দেওয়ার ব্যাপারেও একমত হয়েছেন তঁারা।
দক্ষিণ কোরিয়ার একত্রীকরণ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র চুন হায়ে-সুং বলেন, Èবৃহস্পতিবারের বৈঠকে পুনর্মিলনীর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আমাদের অবস্থান হচ্ছে, একবার দেখা করার সুযোগ দিয়ে এই প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেওয়া ঠিক হবে না। বরং নিয়মিত পুনর্মিলনীর আয়োজন করা উচিত।' মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, কোরীয় যুদ্ধে বন্দী এবং স্নায়ুযুদ্ধ চলার সময় সম্ভাব্য আটক দক্ষিণ কোরীয় নাগরিকদের বিষয়ে আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে পিয়ংইয়ং।
উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে ১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত চলা যুদ্ধের কারণে কয়েক হাজার পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ২০০০ সালে ঐতিহাসিক আন্তকোরীয় সম্মেলনের মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া ওই সব পরিবারের মধ্যে পুনর্মিলনী শুরু হয়। এর পর থেকে এ পর্যন্ত ১৬ হাজার কোরীয় তাদের বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া স্বজনদের সঙ্গে সামনাসামনি দেখা করার সুযোগ পেয়েছে। এ ছাড়া কয়েক হাজার পরিবার ভিডিওর মাধ্যমে যোগাযোগের সুযোগ পায়। সর্বশেষ ২০০৭ সালের অক্টোবর মাসে দুই কোরিয়ার বিচ্ছিন্ন পরিবারগুলোর মধ্যে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। তবে লি মিউং-বাকের সরকার দক্ষিণ কোরিয়ায় ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে দুই পক্ষের মধ্যে সম্পর্ক শীতল হয়ে পড়ে। এএফপি।
জাপান থেকে প্রকাশিত পিয়ংইয়ংপন্থী পত্রিকা চোশোন সিনবো জানায়, উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং-ইল দুই দেশের সম্পর্কের অচলাবস্থা দূর করতে বদ্ধপরিকর। বৈঠক শুরুর দিন দুই কোরিয়ার রেডক্রস কর্মকর্তারা ৩ অক্টোবর পুনর্মিলনী আয়োজনের ব্যাপারে এক ধরনের মতৈক্যে পঁেৌছেছেন। এ ছাড়া দুই পক্ষ থেকে ১০০ জন করে নাগরিককে তাদের স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দেওয়ার ব্যাপারেও একমত হয়েছেন তঁারা।
দক্ষিণ কোরিয়ার একত্রীকরণ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র চুন হায়ে-সুং বলেন, Èবৃহস্পতিবারের বৈঠকে পুনর্মিলনীর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আমাদের অবস্থান হচ্ছে, একবার দেখা করার সুযোগ দিয়ে এই প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেওয়া ঠিক হবে না। বরং নিয়মিত পুনর্মিলনীর আয়োজন করা উচিত।' মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, কোরীয় যুদ্ধে বন্দী এবং স্নায়ুযুদ্ধ চলার সময় সম্ভাব্য আটক দক্ষিণ কোরীয় নাগরিকদের বিষয়ে আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে পিয়ংইয়ং।
No comments