চার দিনের ম্যাচ কমবে কেন?
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশ খারাপ করলেই ঘরোয়া ক্রিকেট ঢেলে সাজানোর কথা ওঠে। তবে সেই ঢেলে সাজানোর নমুনা যদি হয় প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ম্যাচ কমিয়ে দেওয়া আর দেশের ক্রিকেটকে টি-টোয়েন্টির জোয়ারে ভাসানো, সেটা কতটা গঠনমূলক? বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) এমনই এক উদ্ভট সদ্ধিানে্তর প্রবল বিরোধিতা করে সাবেক ক্রিকেটাররা বলেছেন, কাঠমো পরিবর্তনের নামে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটের ম্যাচ কমিয়ে দেওয়া কোনোভাবেই মঙ্গল আনবে না দেশের ক্রিকেটে।
টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধান গাজী আশরাফ হোসেন বলেছেন, জাতীয় লিগের কাঠামো পরিবর্তনের একটা কারণ আর্থিক সাশ্রয়। জিম্বাবুয়ে সফরে থাকায় বোর্ডের সর্বশেষ সভায় উপস্থিত ছিলেন না বলে কাল আর এর বেশি কিছু বলতে চাইলেন না তিনি। তবে টুর্নামেন্ট কমিটির সদস্য সচিব হাফিজুর রহমান জোয়ার্দার জানিয়েছেন, লিগের প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়াতেই কাঠামোতে এই পরিবর্তন। তঁাদের মনে হয়েছে আগের হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতি শেষ পর্যন্ত সব দলকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাখত না। খারাপ পারফরম্যান্স করা দলগুলো মাঝপথেই সব উত্সাহ হারিয়ে ফেলত।
প্রতিদ্বন্দ্বিতা ধরে রাখার নতুন ফর্মুলায় ছয়টি দল প্রথমে লিগ পদ্ধতিতে সবার সঙ্গে খেলবে। এরপর শীর্ষ চারের মধ্যে আবার লিগ এবং সেই লিগের শীর্ষ দুই দলের মধ্যে হবে পঁাচ দিনের ফাইনাল। ওয়ানডেতেও একই পদ্ধতি। আসন্ন জাতীয় লিগের আরেকটি বিশেষত্ব∏এবার হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে খেলা হবে না। টুর্নামেন্ট কমিটির সদস্য সচিবের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দুটি ও ফতুল্লা স্টেডিয়ামে একটি ম্যাচ হবে। বাকি ম্যাচগুলো খুলনা, রাজশাহী, বগুড়া ও চট্টগ্রামে। চার দিন আর এক দিনের ম্যাচের সঙ্গে Èযুগের দাবি' মেটাতে জাতীয় লিগের এবারের সংস্করণে একটা টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টও যোগ করা হয়েছে।
চার দিনের ম্যাচের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদ এসেছিল ক্রিকেটার কল্যাণ সমিতি (কোয়াব) থেকে। কিন্তু কোয়াব সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পালের দাবি, তঁাদের কথাকে আমল দেয়নি বোর্ড, Èআমরা বোর্ডকে বলেছি যদি তঁারা ঘরোয়া পর্যায়ে আরেকটি দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেট লিগ আয়োজন করতে পারেন, তাহলে জাতীয় লিগে ম্যাচ কমানোর সদ্ধিান্ত মানা যায়। কিন্তু সেটা না করেই প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটের খেলা কমিয়ে দেওয়া কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। জবাবে বোর্ড থেকে আমাদের তঁাদের কিছু সীমাবদ্ধতার কথা বলা হয়েছে।'
আগের পদ্ধতিতে পুরো লিগে মোট ৩০টি চার দিনের ম্যাচ হলেও এবার সেটা কমে ২২টিতে দঁাড়াচ্ছে। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান ম্যাচ কমানোর এ সদ্ধিান্ত মানতে পারছেন না, Èঘরোয়া ক্রিকেটে ম্যাচ কমানোর কী উদ্দেশ্য সেটা বুঝতে পারলাম না। এটা কি স্থায়ীভাবে হলো, না শুধু এবারের জন্য? আমি মনে করি বেশি ম্যাচ খেলার কোনো বিকল্প নেই।' আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা এবার এমনিতেও অনেক ম্যাচ মিস করবেন। এর সঙ্গে চার দিনের ম্যাচের সংখ্যায় কাটছঁাট হলে তাতে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হবে বলে মনে করেন রকিবুল। তঁার বিকল্প পরামর্শ, Èদেশের সেরা খেলোয়াড়দের যত বেশি সম্ভব ম্যাচ খেলতে দিতে হবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ততা থাকলে প্রয়োজনে তিন মাস ধরে খেলা হবে, তবু ম্যাচ কমানো যাবে না।'
জাতীয় দলের আরেক সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ আশাবাদী, জাতীয় লিগের নতুন ফরম্যাট থেকে হয়তো ভালো কিছু বেরিয়ে আসবে। কিন্তু ম্যাচ কমানোর সদ্ধিান্ত মানতে পারছেন না তিনিও, Èযেকোনো ফরম্যাটেরই ভালো-খারাপ দিক থাকতে পারে। নতুন ফরম্যাটটাও নিশ্চয়ই ভালো কিছু ভেবেই করা হয়েছে। কিন্তু এর সবচেয়ে খারাপ দিক হলো এতে ম্যাচ কমে যাচ্ছে। ফরম্যাট যাই হোক, ম্যাচ কমিয়ে দেওয়াটা কোনোভাবেই মানা যায় না। নতুন ফরম্যাট আসতে পারে। কিন্তু তাতে হয় ম্যাচ বাড়বে, নয়তো আগেরটাই ঠিক থাকবে। কমার তো প্রশ্নই ওঠে না।'
আইসিএল থেকে ফিরে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার অপেক্ষায় থাকা হাবিবুল বাশারের কাছেও মনে হচ্ছে জাতীয় লিগে চার দিনের ম্যাচ কমানোর সদ্ধিান্তটা ভুল, Èদীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটেই আমাদের বেশি সমস্যা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিনোদনের ক্রিকেট হতে পারে, কিন্তু সেটা খেলে খেলার মান বাড়বে না। টেস্ট মেৌলিক ক্রিকেট। টেস্ট বা দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে আপনি যদি ভালো খেলতে পারেন, স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টিতেও ভালো করবেন।'
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগ আর চট্টগ্রামের পোর্ট সিটি লিগ মিলিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে এখন টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আছে দুটি। এর সঙ্গে আরও একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলানোর কী কারণ, রকিবুল-ফারুকরা বুঝতে পারছেন না সেটাও। Èটি-টোয়েন্টি ক্রিকেট সময়ের দাবি হতে পারে। কিন্তু আমার মনে হয় ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনটা ২০ ওভারের টুর্নামেন্ট বেশি হয়ে যাচ্ছে। এর চেয়ে দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটেই আমাদের বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত'∏বলেছেন ফারুক। আর রকিবুল হাসানের মত, Èটি-টোয়েন্টি টেকনিক্যালি গ্রহণযোগ্য নয়। এটা বেশি খেললে ক্ষতি। বলতে পারেন টি-টোয়েন্টির তো বিশ্বকাপও হয়। হঁ্যা, তা হয়, তবে সেটা আমাদের আলাদাভাবেই খেলতে হবে।'
টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধান গাজী আশরাফ হোসেন বলেছেন, জাতীয় লিগের কাঠামো পরিবর্তনের একটা কারণ আর্থিক সাশ্রয়। জিম্বাবুয়ে সফরে থাকায় বোর্ডের সর্বশেষ সভায় উপস্থিত ছিলেন না বলে কাল আর এর বেশি কিছু বলতে চাইলেন না তিনি। তবে টুর্নামেন্ট কমিটির সদস্য সচিব হাফিজুর রহমান জোয়ার্দার জানিয়েছেন, লিগের প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়াতেই কাঠামোতে এই পরিবর্তন। তঁাদের মনে হয়েছে আগের হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতি শেষ পর্যন্ত সব দলকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাখত না। খারাপ পারফরম্যান্স করা দলগুলো মাঝপথেই সব উত্সাহ হারিয়ে ফেলত।
প্রতিদ্বন্দ্বিতা ধরে রাখার নতুন ফর্মুলায় ছয়টি দল প্রথমে লিগ পদ্ধতিতে সবার সঙ্গে খেলবে। এরপর শীর্ষ চারের মধ্যে আবার লিগ এবং সেই লিগের শীর্ষ দুই দলের মধ্যে হবে পঁাচ দিনের ফাইনাল। ওয়ানডেতেও একই পদ্ধতি। আসন্ন জাতীয় লিগের আরেকটি বিশেষত্ব∏এবার হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে খেলা হবে না। টুর্নামেন্ট কমিটির সদস্য সচিবের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দুটি ও ফতুল্লা স্টেডিয়ামে একটি ম্যাচ হবে। বাকি ম্যাচগুলো খুলনা, রাজশাহী, বগুড়া ও চট্টগ্রামে। চার দিন আর এক দিনের ম্যাচের সঙ্গে Èযুগের দাবি' মেটাতে জাতীয় লিগের এবারের সংস্করণে একটা টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টও যোগ করা হয়েছে।
চার দিনের ম্যাচের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদ এসেছিল ক্রিকেটার কল্যাণ সমিতি (কোয়াব) থেকে। কিন্তু কোয়াব সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পালের দাবি, তঁাদের কথাকে আমল দেয়নি বোর্ড, Èআমরা বোর্ডকে বলেছি যদি তঁারা ঘরোয়া পর্যায়ে আরেকটি দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেট লিগ আয়োজন করতে পারেন, তাহলে জাতীয় লিগে ম্যাচ কমানোর সদ্ধিান্ত মানা যায়। কিন্তু সেটা না করেই প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটের খেলা কমিয়ে দেওয়া কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। জবাবে বোর্ড থেকে আমাদের তঁাদের কিছু সীমাবদ্ধতার কথা বলা হয়েছে।'
আগের পদ্ধতিতে পুরো লিগে মোট ৩০টি চার দিনের ম্যাচ হলেও এবার সেটা কমে ২২টিতে দঁাড়াচ্ছে। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান ম্যাচ কমানোর এ সদ্ধিান্ত মানতে পারছেন না, Èঘরোয়া ক্রিকেটে ম্যাচ কমানোর কী উদ্দেশ্য সেটা বুঝতে পারলাম না। এটা কি স্থায়ীভাবে হলো, না শুধু এবারের জন্য? আমি মনে করি বেশি ম্যাচ খেলার কোনো বিকল্প নেই।' আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা এবার এমনিতেও অনেক ম্যাচ মিস করবেন। এর সঙ্গে চার দিনের ম্যাচের সংখ্যায় কাটছঁাট হলে তাতে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হবে বলে মনে করেন রকিবুল। তঁার বিকল্প পরামর্শ, Èদেশের সেরা খেলোয়াড়দের যত বেশি সম্ভব ম্যাচ খেলতে দিতে হবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ততা থাকলে প্রয়োজনে তিন মাস ধরে খেলা হবে, তবু ম্যাচ কমানো যাবে না।'
জাতীয় দলের আরেক সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ আশাবাদী, জাতীয় লিগের নতুন ফরম্যাট থেকে হয়তো ভালো কিছু বেরিয়ে আসবে। কিন্তু ম্যাচ কমানোর সদ্ধিান্ত মানতে পারছেন না তিনিও, Èযেকোনো ফরম্যাটেরই ভালো-খারাপ দিক থাকতে পারে। নতুন ফরম্যাটটাও নিশ্চয়ই ভালো কিছু ভেবেই করা হয়েছে। কিন্তু এর সবচেয়ে খারাপ দিক হলো এতে ম্যাচ কমে যাচ্ছে। ফরম্যাট যাই হোক, ম্যাচ কমিয়ে দেওয়াটা কোনোভাবেই মানা যায় না। নতুন ফরম্যাট আসতে পারে। কিন্তু তাতে হয় ম্যাচ বাড়বে, নয়তো আগেরটাই ঠিক থাকবে। কমার তো প্রশ্নই ওঠে না।'
আইসিএল থেকে ফিরে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার অপেক্ষায় থাকা হাবিবুল বাশারের কাছেও মনে হচ্ছে জাতীয় লিগে চার দিনের ম্যাচ কমানোর সদ্ধিান্তটা ভুল, Èদীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটেই আমাদের বেশি সমস্যা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিনোদনের ক্রিকেট হতে পারে, কিন্তু সেটা খেলে খেলার মান বাড়বে না। টেস্ট মেৌলিক ক্রিকেট। টেস্ট বা দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে আপনি যদি ভালো খেলতে পারেন, স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টিতেও ভালো করবেন।'
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগ আর চট্টগ্রামের পোর্ট সিটি লিগ মিলিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে এখন টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আছে দুটি। এর সঙ্গে আরও একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলানোর কী কারণ, রকিবুল-ফারুকরা বুঝতে পারছেন না সেটাও। Èটি-টোয়েন্টি ক্রিকেট সময়ের দাবি হতে পারে। কিন্তু আমার মনে হয় ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনটা ২০ ওভারের টুর্নামেন্ট বেশি হয়ে যাচ্ছে। এর চেয়ে দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটেই আমাদের বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত'∏বলেছেন ফারুক। আর রকিবুল হাসানের মত, Èটি-টোয়েন্টি টেকনিক্যালি গ্রহণযোগ্য নয়। এটা বেশি খেললে ক্ষতি। বলতে পারেন টি-টোয়েন্টির তো বিশ্বকাপও হয়। হঁ্যা, তা হয়, তবে সেটা আমাদের আলাদাভাবেই খেলতে হবে।'
No comments