অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দৈনিকগুলোতেও
যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির প্রাচীনতম পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্ট-এর পাঠকসংখ্যা দিন দিন কমছে। অন্যদিকে ক্যালিফোর্নিয়ার জনপ্রিয় দৈনিক সানফ্রান্সিকো ক্রনিকাল-এর পাঠকপ্রিয়তাও আর আগের মতো নেই। যুক্তরাষ্ট্রের প্রাণকেন্দ্র ব্যস্ততম নিউইয়র্ক সিটি থেকে প্রকাশিত বিশ্বখ্যাত দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমস এবং অর্থনীতিবিষয়ক প্রভাবশালী দৈনিক ওয়ালস্ট্রিট জার্নালও তাদের পাঠক ধরে রাখতে পারছে না।
কিন্তু কেন? অর্থনৈতিক মন্দাই কি পেয়ে বসেছে এসব দৈনিককে, নাকি ইন্টারনেটের এই যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পাঠককে তুষ্ট রাখতে পারছে না তারা? প্রথম আলোর এই প্রশ্নের জবাবে ওয়াশিংটন পোস্ট-এর সিনিয়র সাংবাদিক তেরেসা স্কোর জানালেন, মানুষের তাত্ক্ষণিক খবর জানার আগ্রহ এবং অর্থনৈতিক মন্দা মূলত ছাপানো পত্রিকার প্রসারে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে মন্দা কেটে গেলে এ অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে—এমন আশা ব্যক্ত করে তেরেসা স্কোর বলেন, এর মধ্যে ভালো দৈনিকগুলো টিকে থাকবে। অপেক্ষাকৃত দুর্বলগুলো হয়তো ঝরে পড়বে। তবে ছাপানো খবরের গুরুত্ব কোনো দিনও ফুরিয়ে যাবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক নিখিল ডিউগান বলেন, সব পত্রিকার মতো তাঁর পত্রিকার প্রচারসংখ্যা কিছুটা কমেছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে তাদের ওয়েবসাইটের পাঠকসংখ্যা। ফলে আর্থিকভাবে ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল আরও শক্তিশালী হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। ইতিমধ্যে ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল-এর আধুনিকায়নও করা হয়েছে। তিনি জানালেন, বর্তমানে তাঁদের পত্রিকার কার্যালয় ওয়ালস্ট্রিট থেকে সরিয়ে রকেফেলার সেন্টার এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
নিউইয়র্ক এবিসি নিউজ-এর নির্বাহী পরিচালক পল আর ডোলন বলেন, বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং টেলিভিশনের খবর প্রচারের কারণে মানুষ পরদিন পাওয়া সংবাদপত্রের দিকে আগ্রহ হারাচ্ছে। কারণ মানুষ যেকোনো খবরই তাত্ক্ষণিকভাবে জানতে চায়।
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে এক হাজার ৪০০ দৈনিক পত্রিকা রয়েছে। টেলিভিশন চ্যানেলের সংখ্যা এর থেকে বেশি, এক হাজার ৬০০। এ ছাড়া রেডিও স্টেশন রয়েছে ১৩ হাজার। গত দুই বছরে বন্ধ হয়ে গেছে প্রায় অর্ধশত পত্রিকা। বেকার হয়ে পড়েছেন প্রায় পাঁচ হাজার সাংবাদিক। তবে টিকে থাকা সংবাদপত্রগুলো পাঠক ধরে রাখতে নতুন নতুন পরিকল্পনা নিচ্ছে। তারা জাতীয় খবরের পাশাপাশি স্থানীয় খবরকেও গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করছে। এ ছাড়া অনুসন্ধানীমূলক এবং এক্সক্লুসিভ খবর তো থাকছেই।
কিন্তু কেন? অর্থনৈতিক মন্দাই কি পেয়ে বসেছে এসব দৈনিককে, নাকি ইন্টারনেটের এই যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পাঠককে তুষ্ট রাখতে পারছে না তারা? প্রথম আলোর এই প্রশ্নের জবাবে ওয়াশিংটন পোস্ট-এর সিনিয়র সাংবাদিক তেরেসা স্কোর জানালেন, মানুষের তাত্ক্ষণিক খবর জানার আগ্রহ এবং অর্থনৈতিক মন্দা মূলত ছাপানো পত্রিকার প্রসারে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে মন্দা কেটে গেলে এ অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে—এমন আশা ব্যক্ত করে তেরেসা স্কোর বলেন, এর মধ্যে ভালো দৈনিকগুলো টিকে থাকবে। অপেক্ষাকৃত দুর্বলগুলো হয়তো ঝরে পড়বে। তবে ছাপানো খবরের গুরুত্ব কোনো দিনও ফুরিয়ে যাবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক নিখিল ডিউগান বলেন, সব পত্রিকার মতো তাঁর পত্রিকার প্রচারসংখ্যা কিছুটা কমেছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে তাদের ওয়েবসাইটের পাঠকসংখ্যা। ফলে আর্থিকভাবে ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল আরও শক্তিশালী হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। ইতিমধ্যে ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল-এর আধুনিকায়নও করা হয়েছে। তিনি জানালেন, বর্তমানে তাঁদের পত্রিকার কার্যালয় ওয়ালস্ট্রিট থেকে সরিয়ে রকেফেলার সেন্টার এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
নিউইয়র্ক এবিসি নিউজ-এর নির্বাহী পরিচালক পল আর ডোলন বলেন, বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং টেলিভিশনের খবর প্রচারের কারণে মানুষ পরদিন পাওয়া সংবাদপত্রের দিকে আগ্রহ হারাচ্ছে। কারণ মানুষ যেকোনো খবরই তাত্ক্ষণিকভাবে জানতে চায়।
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে এক হাজার ৪০০ দৈনিক পত্রিকা রয়েছে। টেলিভিশন চ্যানেলের সংখ্যা এর থেকে বেশি, এক হাজার ৬০০। এ ছাড়া রেডিও স্টেশন রয়েছে ১৩ হাজার। গত দুই বছরে বন্ধ হয়ে গেছে প্রায় অর্ধশত পত্রিকা। বেকার হয়ে পড়েছেন প্রায় পাঁচ হাজার সাংবাদিক। তবে টিকে থাকা সংবাদপত্রগুলো পাঠক ধরে রাখতে নতুন নতুন পরিকল্পনা নিচ্ছে। তারা জাতীয় খবরের পাশাপাশি স্থানীয় খবরকেও গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করছে। এ ছাড়া অনুসন্ধানীমূলক এবং এক্সক্লুসিভ খবর তো থাকছেই।
No comments