ফিরলেন সেই ইসিনবায়েভা
দুঃসময়কে পাল্টা জবাব দিলেন ইয়েলেনা ইসিনবায়েভা। মধ্য আগস্টে বার্লিন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ব্যর্থতা মুছে দিলেন আগস্টের শেষভাগে। পরশু জুরিখের গোল্ডেন লিগ মিটে ভেঙে দিলেন নিজের বিশ্ব রেকর্ড। পেরিয়ে গেলেন ৫.০৬ মিটার উচ্চতা। এই রুশ পোল ভল্টারের রেকর্ড গড়ার দিনে ১০০ মিটারে জিতেছেন উসাইন বোল্টও। ক্লান্ত বোল্ট এবার কোনো বিশ্ব রেকর্ড গড়েননি, কিন্তু টাইমিং খারাপ নয়; ৯.৮১ সেকেন্ড।
আগের বিশ্ব রেকর্ডটিও ইসিনবায়েভারই ছিল। জুরিখেরটিসহ ইনডোর-আউটডোর মিলে ২৭টি বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন এই ২৭ বছর বয়সী। বার্লিনে তিনবারের চেষ্টায় ‘বার’ পেরোতে না পারার পর বলেছিলেন, ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না। আর পরশু রেকর্ড গড়ে জেতার পর বললেন, ‘এখন এই বিস্ময়কর ফলাফলের পর আমি বুঝতে পারছি বার্লিনে আমার পরাজয়ের কারণ কী ছিল।’ বলেছেন, ‘এটা ঠিক যেন একটা স্বপ্ন। আমার বিশ্বাসই হচ্ছে না।’
ওদিকে ১০০ মিটারে বোল্টের শুরুটা দেখে মনে হয়েছিল, বার্লিনের ক্লান্তি এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি। আর সাবেক বিশ্ব রেকর্ডধারী, তাঁরই সতীর্থ আসাফা পাওয়েলকে মনে হচ্ছিল, বোল্টের ছায়া থেকে বেরিয়ে আসবেন। কিন্তু ৭৫ মিটার পর্যন্ত এগিয়ে থেকেও পাওয়েল পারেননি। শেষ দিকে ঝোড়ো দৌড় বোল্টের জয় নিশ্চিত করেছে। বোল্টের চেয়ে দশমিক ০৭ সেকেন্ড সময় বেশি নিয়েছেন পাওয়েল।
বছরের ছয়টি গোল্ডেন লিগ মিটের পঞ্চম আসরটি বসেছিল জুরিখে। পাঁচ মিটের প্রতিটিতেই নিজ নিজ ইভেন্টে জিতে ইসিনবায়েভার সঙ্গে জ্যাকপটের দৌড়ে টিকে রইলেন সানিয়া রিচার্ডস আর কেনেনিসা বেকেলে। ছয় মিটের প্রতিটিতেই জেতা অ্যাথলেট পান ১০ লাখ ডলারের জ্যাকপট।
তবে বাকি সবাইকে ছাপিয়ে মঞ্চের আলোটুকু কেড়ে নিয়েছেন ইসিনবায়েভাই। বার্লিনে তাঁর পরাজয় শুধু নয়, বিস্মিত করেছিল হেরে যাওয়ার ধরনটাও। তিনবারই বারে গিয়ে হোঁচট খেয়েছিলেন। রুশ নন্দিনীর কাছে যে অভিজ্ঞতাটা প্রায় অচেনা। সর্বশেষ এমন অভিজ্ঞতা তাঁর হয়েছিল নয় বছর আগে। ছয় বছর ধরে অপরাজিত ইসিনবায়েভা জুলাইয়ে লন্ডন গ্রাঁ প্রিঁর পর আগস্টে বার্লিনে আনা রোগোস্কার কাছে হেরে যাওয়ার পর অনেকেরই ভ্রূ কুঁচকে গিয়েছিল। তবে কি ইসিনবায়েভা রাজত্বের শেষ?
সেই সংশয় পরশু তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিলেন প্রথম নারী হিসেবে ৫ মিটারের বাধা টপকে যাওয়া ইসিনবায়েভা। ক্যারিয়ারের সংক্ষিপ্ত কালো মেঘ কেটে যাওয়ার পর দুঃসময়ে পাশে ছিলেন যাঁরা তাঁদের ধন্যবাদ দিলেন, ‘আমি সবচেয়ে বড় ধন্যবাদ জানাতে চাই আমার কোচ ভিতালি পেত্রোভকে। বার্লিনের পর তিনি আমাকে সবচেয়ে সেরা পরামর্শটি দিয়েছিলেন। আরও অনেকে ছিলেন, যাঁরা আমাকে দুশ্চিন্তা করতে নিষেধ করে বলেছিলেন, যে কেউ একটা প্রতিযোগিতায় হারতেই পারে। আমি জানতাম, শারীরিকভাবেও আমি প্রস্তুত আছি। আর এই বিশ্ব রেকর্ড নিশ্চিত করল, আমি আরও ওপরে উড়তে চাই।’
আগের বিশ্ব রেকর্ডটিও ইসিনবায়েভারই ছিল। জুরিখেরটিসহ ইনডোর-আউটডোর মিলে ২৭টি বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন এই ২৭ বছর বয়সী। বার্লিনে তিনবারের চেষ্টায় ‘বার’ পেরোতে না পারার পর বলেছিলেন, ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না। আর পরশু রেকর্ড গড়ে জেতার পর বললেন, ‘এখন এই বিস্ময়কর ফলাফলের পর আমি বুঝতে পারছি বার্লিনে আমার পরাজয়ের কারণ কী ছিল।’ বলেছেন, ‘এটা ঠিক যেন একটা স্বপ্ন। আমার বিশ্বাসই হচ্ছে না।’
ওদিকে ১০০ মিটারে বোল্টের শুরুটা দেখে মনে হয়েছিল, বার্লিনের ক্লান্তি এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি। আর সাবেক বিশ্ব রেকর্ডধারী, তাঁরই সতীর্থ আসাফা পাওয়েলকে মনে হচ্ছিল, বোল্টের ছায়া থেকে বেরিয়ে আসবেন। কিন্তু ৭৫ মিটার পর্যন্ত এগিয়ে থেকেও পাওয়েল পারেননি। শেষ দিকে ঝোড়ো দৌড় বোল্টের জয় নিশ্চিত করেছে। বোল্টের চেয়ে দশমিক ০৭ সেকেন্ড সময় বেশি নিয়েছেন পাওয়েল।
বছরের ছয়টি গোল্ডেন লিগ মিটের পঞ্চম আসরটি বসেছিল জুরিখে। পাঁচ মিটের প্রতিটিতেই নিজ নিজ ইভেন্টে জিতে ইসিনবায়েভার সঙ্গে জ্যাকপটের দৌড়ে টিকে রইলেন সানিয়া রিচার্ডস আর কেনেনিসা বেকেলে। ছয় মিটের প্রতিটিতেই জেতা অ্যাথলেট পান ১০ লাখ ডলারের জ্যাকপট।
তবে বাকি সবাইকে ছাপিয়ে মঞ্চের আলোটুকু কেড়ে নিয়েছেন ইসিনবায়েভাই। বার্লিনে তাঁর পরাজয় শুধু নয়, বিস্মিত করেছিল হেরে যাওয়ার ধরনটাও। তিনবারই বারে গিয়ে হোঁচট খেয়েছিলেন। রুশ নন্দিনীর কাছে যে অভিজ্ঞতাটা প্রায় অচেনা। সর্বশেষ এমন অভিজ্ঞতা তাঁর হয়েছিল নয় বছর আগে। ছয় বছর ধরে অপরাজিত ইসিনবায়েভা জুলাইয়ে লন্ডন গ্রাঁ প্রিঁর পর আগস্টে বার্লিনে আনা রোগোস্কার কাছে হেরে যাওয়ার পর অনেকেরই ভ্রূ কুঁচকে গিয়েছিল। তবে কি ইসিনবায়েভা রাজত্বের শেষ?
সেই সংশয় পরশু তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিলেন প্রথম নারী হিসেবে ৫ মিটারের বাধা টপকে যাওয়া ইসিনবায়েভা। ক্যারিয়ারের সংক্ষিপ্ত কালো মেঘ কেটে যাওয়ার পর দুঃসময়ে পাশে ছিলেন যাঁরা তাঁদের ধন্যবাদ দিলেন, ‘আমি সবচেয়ে বড় ধন্যবাদ জানাতে চাই আমার কোচ ভিতালি পেত্রোভকে। বার্লিনের পর তিনি আমাকে সবচেয়ে সেরা পরামর্শটি দিয়েছিলেন। আরও অনেকে ছিলেন, যাঁরা আমাকে দুশ্চিন্তা করতে নিষেধ করে বলেছিলেন, যে কেউ একটা প্রতিযোগিতায় হারতেই পারে। আমি জানতাম, শারীরিকভাবেও আমি প্রস্তুত আছি। আর এই বিশ্ব রেকর্ড নিশ্চিত করল, আমি আরও ওপরে উড়তে চাই।’
No comments