রুমিন ফারহানাও মাঠে থাকবেন

দলের মনোনয়ন বিমুখ হলেও নির্বাচনে লড়বেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল, আশুগঞ্জ ও বিজয়নগর উপজেলার আংশিক) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে আজ বা কাল মনোনয়ন ফরম নেবেন। গতকাল দুপুরে বিএনপি ওই আসনে জোটের প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনিও নির্বাচনে থাকছেন বলে নিশ্চিত করেন। বিএনপি জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহ-সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীবকে আসনটি ছেড়ে দিয়েছে। ঢাকার গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জোটের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে বলেন, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যারা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করবেন, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রার্থীরা যেসব আসনে নির্বাচন করবেন, বিএনপি সেসব আসনে কোনো প্রার্থী দেবে না। এ সময় তিনি জনগণকে খেজুর গাছ প্রতীকে ভোট দিয়ে ধানের শীষকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান। এরপরই দলের মনোনয়ন না পেলেও নির্বাচন করার কথা বলেন রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে আমি নির্বাচন করবো। আগামীকাল (আজ) অথবা পরশু (কাল) আমার পক্ষে মনোনয়ন ফরম নেয়া হবে। তিনি বলেন, এত বড় দল (বিএনপি) তাদের ভালো-মন্দ দেখতে হয়। যেহেতু জমিয়তে উলামায়ের সঙ্গে তারা জোট করেছে আসন না দিলে কেমন করে জোট হবে! দল বাধ্য হয়ে তাদের আসন দিয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে বহিষ্কার, বিএনপি’র এমন বার্তা সম্পর্কে রুমিন ফারহানা বলেন, যদি ব্যবস্থা নেয়ার হয় দল অবশ্যই ব্যবস্থা নিবে। আমি তো আসলে বাধা দিতে পারবো না।  ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রার্থীদের মধ্যে আলোচনায় ছিলেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। দলের মনোনয়ন তিনিই পাবেন, এটাও তার সমর্থকরা নিশ্চিত ধরে নেন। বিএনপি গত ৩রা নভেম্বর ২৩৭ আসনে তাদের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে। ওই তালিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে কারও নাম ঘোষণা করা হয়নি। অবশ্য আগে থেকেই আলোচনা ছিল আসনটি জোটের জুনায়েদ আল হাবীবকে ছেড়ে দেবে বিএনপি। তারপরও ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা নির্বাচনী এলাকায় তার গণসংযোগ অব্যাহত রাখেন। বিভিন্ন সভা সমাবেশে দলের মনোনয়ন না পেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার আভাস-ইঙ্গিত দেন। গত ২০শে ডিসেম্বর সন্ধ্যায় নির্বাচনী এলাকা সরাইলে দলীয় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, তার বাবা ১৯৭৩ সালে জনগণের ভোটে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। স্বতন্ত্র হলেও তখন জনগণ ভুল করেনি। কিন্তু আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনার পিতা শেখ মুজিবুর রহমান তার বাবাকে জিততে দেননি। ‘আমি জানি না বাপের মতো বেটিরও কপাল আছে কিনা। বাপ স্বতন্ত্র, বেটিও স্বতন্ত্র।’
mzamin

No comments

Powered by Blogger.