‘এখন ঈদের আয়োজন বেশি, আন্তরিকতা কম’ -অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক by মুনির হোসাইন
অধ্যাপক
আবুল কাশেম ফজলুল হক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করে কর্মজীবন শেষ
করেছেন। রাজনীতি, সমাজ সংস্কৃতির ওপর তীক্ষè রাখেন সব সময়। বাস্তবতার
নিখুঁত পর্যালোচনা করেন, ভবিষ্যৎ নিয়ে সব সময়ই অগ্রগন্য দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ
করেন খেলায় এবং কথায়। হাল সময়ের ঈদ এবং আগেকার সময়ের ঈদ নিয়ে কথা বলেছেন
মানবজমিন এর সঙ্গে। তিনি বলেন, ছোট বেলায় দু’টো বিষয় ছিল। নিজের বয়স কম
থাকার কারণে সব কিছুর প্রতি জানবার বুঝবার কৌতুহল ছিল। আরেকটি ব্যাপার ছিল
আমাদের সমাজের অবস্থা- মানুষের চিন্তা ভাবনা মন এগুলোর প্রতি জানার অনেক
আগ্রহ ছিল।
তখন যেভাবে দেখেছি যে ঈদ আসার অনেক আগ থেকেই আমরা ছোটরা বাবা মাকে বড়দেরকে ঈদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতাম। তাছাড়া ঈদের সময় একটু খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করা হয় সেগুলো সম্পর্কে আমরা জানতে চেয়েছি। আত্মীয় স্বজন আসছে কিনা তা নিয়ে জানতে চাইতাম। ছোটরা আসবে কিনা এবং আমরা নিজেদেরও ঈদ উপলক্ষে আত্মীয়দের বাড়িতে যাওয়ার সীমাহীন আগ্রহ ছিল।
তিনি বলেন, ঈদ উৎসবে আগে আন্তরিকতা ছিল কিন্তু আয়োজন কম ছিল। কিন্তু এখনতো অনেক বেশি আয়োজন হয়, আগে ধর্মীয় উৎসব হিসেবে ঈদটা উদযাপন করা হতো। কিন্তু এখন ঈদ মানে মুসলমান পরিবারের উৎসব। কিন্তু এখন ধর্মীয় দিক থেকে ঈদকে কম বিবেচনা করা হয়। গত কয়েক বছরের মধ্যে ধর্ম আবার পুনরুজ্জীবিত হচ্ছে। অনেক সাধারণ পরিবারে ঈদ সম্পর্কে পবিত্রতার বোধ জাগ্রত হয়েছে।
তিনি বলেন, ঈদ মানে আনন্দ এবং আনন্দের মধ্যে দিয়ে ঈদ উদযাপন করা এবং ঈদের দিন বিষণœতা না রাখা এটি হওয়া উচিত। সকলের সঙ্গে কোলাকুলি করা। ঈদ জামাতে নামাজ পড়া এগুলোতো একই রকমেই আছে। উৎসব এখন অনেক বেশি ব্যায় বহুল হয়েছে। আগে অতটা ব্যায় বহুল ছিল না।
নিজের ঈদ প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ঈদের দিন এখন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে যাই। এবং সকালে গোসল করে ঈদের জন্য নির্ধারিত পাঞ্জাবি পায়জামা পড়ে ঈদ জামাতে যাই। আমার সঙ্গে আমার নাতিদেরও নিয়ে যেতে চেষ্টা করি। এভাবে ঈদ উদযাপন করি। এবং ঈদের জামাত থেকে আসার পরে সকলে মিলে সেমাই খাই। খাওয়ার পরে আমি সাধারণত অন্যদের বাড়িতে যাই না। কিন্তু আত্মীয় স্বজন আসলে তাদের সময় দিয়ে থাকি। ছোটরা সালাম করে থাকে। তাদের ঈদ সালামি দেই।
তিনি বলেন, আমার উপলব্ধি অনুযায়ী রাজনীতির যদি উন্নত হয় তাহলে ঈদ সম্পর্কে যে আনন্দের কথা বলা হয় সম্প্রীতির কথা বলা হয় সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব এ বিষয়গুলো সাফল্যের দিকে যেতে পারে। আমরা চেষ্টা করি কিন্তু কার্যক্ষেত্রে খুনাখুনি মারামারি এবং আমরা চাই না এমন অনেক ঘটনা ঘটে। তো সমাজের ভেতর থেকে সমাজকে ভালো করা যায় কিন্তু বেশি ভালো করা যায় না। যদি দেশে সার্বজনীন কল্যাণে কাজ করার মতো সরকার থাকে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যদি পারস্পরিক সম্প্রীতির মনোভাব থাকে তাহলে দেখা যায় গোটা সমাজের মধ্যে এ ব্যাপারগুলো কার্যকর হয়। আমরা চাই আমাদের দেশের রাজনীতির উন্নতি ঘটুক। আমরা চাই আমাদের গণতন্ত্রকে জনগণের প্রকৃত গণতন্ত্র রূপে নতুন করে আমাদের জনগণ উপলব্ধি করতে শিখুক এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের চর্চা নতুন করে গড়ে উঠুক। এবং তার মধ্যে ঈদের সম্প্রীতি গড়ে উঠুক। এবং সারা বছরই এ সম্প্রীতির মনোভাব আমাদের মধ্যে থাকুক এটাই প্রত্যাশা করি।
তখন যেভাবে দেখেছি যে ঈদ আসার অনেক আগ থেকেই আমরা ছোটরা বাবা মাকে বড়দেরকে ঈদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতাম। তাছাড়া ঈদের সময় একটু খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করা হয় সেগুলো সম্পর্কে আমরা জানতে চেয়েছি। আত্মীয় স্বজন আসছে কিনা তা নিয়ে জানতে চাইতাম। ছোটরা আসবে কিনা এবং আমরা নিজেদেরও ঈদ উপলক্ষে আত্মীয়দের বাড়িতে যাওয়ার সীমাহীন আগ্রহ ছিল।
তিনি বলেন, ঈদ উৎসবে আগে আন্তরিকতা ছিল কিন্তু আয়োজন কম ছিল। কিন্তু এখনতো অনেক বেশি আয়োজন হয়, আগে ধর্মীয় উৎসব হিসেবে ঈদটা উদযাপন করা হতো। কিন্তু এখন ঈদ মানে মুসলমান পরিবারের উৎসব। কিন্তু এখন ধর্মীয় দিক থেকে ঈদকে কম বিবেচনা করা হয়। গত কয়েক বছরের মধ্যে ধর্ম আবার পুনরুজ্জীবিত হচ্ছে। অনেক সাধারণ পরিবারে ঈদ সম্পর্কে পবিত্রতার বোধ জাগ্রত হয়েছে।
তিনি বলেন, ঈদ মানে আনন্দ এবং আনন্দের মধ্যে দিয়ে ঈদ উদযাপন করা এবং ঈদের দিন বিষণœতা না রাখা এটি হওয়া উচিত। সকলের সঙ্গে কোলাকুলি করা। ঈদ জামাতে নামাজ পড়া এগুলোতো একই রকমেই আছে। উৎসব এখন অনেক বেশি ব্যায় বহুল হয়েছে। আগে অতটা ব্যায় বহুল ছিল না।
নিজের ঈদ প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ঈদের দিন এখন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে যাই। এবং সকালে গোসল করে ঈদের জন্য নির্ধারিত পাঞ্জাবি পায়জামা পড়ে ঈদ জামাতে যাই। আমার সঙ্গে আমার নাতিদেরও নিয়ে যেতে চেষ্টা করি। এভাবে ঈদ উদযাপন করি। এবং ঈদের জামাত থেকে আসার পরে সকলে মিলে সেমাই খাই। খাওয়ার পরে আমি সাধারণত অন্যদের বাড়িতে যাই না। কিন্তু আত্মীয় স্বজন আসলে তাদের সময় দিয়ে থাকি। ছোটরা সালাম করে থাকে। তাদের ঈদ সালামি দেই।
তিনি বলেন, আমার উপলব্ধি অনুযায়ী রাজনীতির যদি উন্নত হয় তাহলে ঈদ সম্পর্কে যে আনন্দের কথা বলা হয় সম্প্রীতির কথা বলা হয় সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব এ বিষয়গুলো সাফল্যের দিকে যেতে পারে। আমরা চেষ্টা করি কিন্তু কার্যক্ষেত্রে খুনাখুনি মারামারি এবং আমরা চাই না এমন অনেক ঘটনা ঘটে। তো সমাজের ভেতর থেকে সমাজকে ভালো করা যায় কিন্তু বেশি ভালো করা যায় না। যদি দেশে সার্বজনীন কল্যাণে কাজ করার মতো সরকার থাকে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যদি পারস্পরিক সম্প্রীতির মনোভাব থাকে তাহলে দেখা যায় গোটা সমাজের মধ্যে এ ব্যাপারগুলো কার্যকর হয়। আমরা চাই আমাদের দেশের রাজনীতির উন্নতি ঘটুক। আমরা চাই আমাদের গণতন্ত্রকে জনগণের প্রকৃত গণতন্ত্র রূপে নতুন করে আমাদের জনগণ উপলব্ধি করতে শিখুক এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের চর্চা নতুন করে গড়ে উঠুক। এবং তার মধ্যে ঈদের সম্প্রীতি গড়ে উঠুক। এবং সারা বছরই এ সম্প্রীতির মনোভাব আমাদের মধ্যে থাকুক এটাই প্রত্যাশা করি।
No comments