সিরাজগঞ্জে পুলিশের শটগান কেড়ে নিয়ে গুলি, স্কুলছাত্র নিহত- সেনাসদস্যসহ গ্রেপ্তার ১০
সিরাজগঞ্জের
শাহজাদপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে ছুটিতে বাড়ি আসা এক সেনাসদস্য
ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত পুলিশের কাছ থেকে শটগান কেড়ে নিয়ে গুলি করায় এক
স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। এ ঘটনার পর পুলিশ অভিযুক্ত সেনাসদস্যসহ ১০ জনকে
গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রের বাবা ও পুলিশ বাদী হয়ে পৃথক ২টি
মামলা করেছেন। ঈদের আগের দিন মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল গালা
ইউনিয়নের চর বর্ণিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়
জড়িতদের শাস্তি ও পলাতকদের গ্রেপ্তারে শুক্রবার সকালে বিক্ষোভ করেছে
গ্রামবাসী।
নিহত ইউনুস আলী (১৪) ওই গ্রামের জয়নাল আবেদিনের ছেলে ও স্থানীয় চরবুর্ণিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। অভিযুক্ত সেনা সদস্য পলাশ উদ্দিন মোল্লা একই গ্রামের হেলাল উদ্দিন মোল্লার ছেলে। তিনি বঙ্গভবনে গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর) সদস্য হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
তার ব্যাচ নং-৪৫০৭৭২৪। ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসে তিনি হামলা ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শাহজাদপুর থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত কেএম রাকিবুল হুদা জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চরবর্ণিয়া গ্রামে মঙ্গলবার দুপুর থেকে আখের আলী ও সেনাসদস্য পলাশ মোল্লার সমর্থিত দু’গ্রুপের লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছিল। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এ সময় সেনা সদস্য পলাশ মোল্লার নেতৃত্বে বেশ কিছু লোক ব্যারিকেড সৃষ্টি করে পুলিশের ওপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে তারা ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত এসআই আফজাল হোসেন ও কনস্টেবল মিঠুনকে মারপিট করে। এ সময় কনস্টেবল মিঠুনের হাতে থাকা শটগানটি মাটিতে পড়ে গেলে সেনা সদস্য পলাশ মোল্লা ওই শটগান তুলে নিয়ে গুলি করলে স্কুলছাত্র ইউনুস বুকের ডান পাশে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ ঘটনার পর অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই এলাকায় তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে সেনা সদস্য পলাশসহ তার ১০ সহযোগীকে আটক এবং ওই শটগানটি উদ্ধার করা হয়।
তদন্ত কর্মকর্তা আরো বলেন, এ ঘটনার পর ওই দিন রাতেই নিহত স্কুলছাত্রের বাবা জয়নাল আবেদিন বাদী হয়ে ৫৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১৫/২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ ছাড়াও পুলিশকে মারপিট ও অস্ত্র কেড়ে নিয়ে গুলি করার অভিযোগে থানার এসআই শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেছেন। মামলায় সেনাসদস্য পলাশ মোল্লাসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৩০/৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আটকের পর প্রত্যেকেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাদের ২টি মামলাতেই গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বর্তমানে গ্রেপ্তারকৃতরা জেলহাজতে রয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, স্কুলছাত্র ইউনুস আলীকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদ ও হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে চরবর্ণিয়া এলাকায় নির্মাণাধীন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপর গ্রামবাসী বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। কর্মসূচি চলাকালে নিহতের বাবা জয়নাল আবেদিন, মা রওশনারা খাতুন, বোন তানিয়া খাতুন ও সনিয়া খাতুন, গ্রামবাসীর পক্ষে শাহানুর ইসলাম, সাদ্দাম হোসেন, শরিফুল ইসলাম, আকমল হোসেন, আনু খাতুন, বুলবুলি খাতুন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা অবিলম্বে সকল আসামিক গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচার দাবি করেন।
নিহত ইউনুস আলী (১৪) ওই গ্রামের জয়নাল আবেদিনের ছেলে ও স্থানীয় চরবুর্ণিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। অভিযুক্ত সেনা সদস্য পলাশ উদ্দিন মোল্লা একই গ্রামের হেলাল উদ্দিন মোল্লার ছেলে। তিনি বঙ্গভবনে গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর) সদস্য হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
তার ব্যাচ নং-৪৫০৭৭২৪। ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসে তিনি হামলা ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শাহজাদপুর থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত কেএম রাকিবুল হুদা জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চরবর্ণিয়া গ্রামে মঙ্গলবার দুপুর থেকে আখের আলী ও সেনাসদস্য পলাশ মোল্লার সমর্থিত দু’গ্রুপের লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছিল। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এ সময় সেনা সদস্য পলাশ মোল্লার নেতৃত্বে বেশ কিছু লোক ব্যারিকেড সৃষ্টি করে পুলিশের ওপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে তারা ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত এসআই আফজাল হোসেন ও কনস্টেবল মিঠুনকে মারপিট করে। এ সময় কনস্টেবল মিঠুনের হাতে থাকা শটগানটি মাটিতে পড়ে গেলে সেনা সদস্য পলাশ মোল্লা ওই শটগান তুলে নিয়ে গুলি করলে স্কুলছাত্র ইউনুস বুকের ডান পাশে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ ঘটনার পর অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই এলাকায় তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে সেনা সদস্য পলাশসহ তার ১০ সহযোগীকে আটক এবং ওই শটগানটি উদ্ধার করা হয়।
তদন্ত কর্মকর্তা আরো বলেন, এ ঘটনার পর ওই দিন রাতেই নিহত স্কুলছাত্রের বাবা জয়নাল আবেদিন বাদী হয়ে ৫৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১৫/২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ ছাড়াও পুলিশকে মারপিট ও অস্ত্র কেড়ে নিয়ে গুলি করার অভিযোগে থানার এসআই শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেছেন। মামলায় সেনাসদস্য পলাশ মোল্লাসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৩০/৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আটকের পর প্রত্যেকেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাদের ২টি মামলাতেই গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বর্তমানে গ্রেপ্তারকৃতরা জেলহাজতে রয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, স্কুলছাত্র ইউনুস আলীকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদ ও হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে চরবর্ণিয়া এলাকায় নির্মাণাধীন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপর গ্রামবাসী বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। কর্মসূচি চলাকালে নিহতের বাবা জয়নাল আবেদিন, মা রওশনারা খাতুন, বোন তানিয়া খাতুন ও সনিয়া খাতুন, গ্রামবাসীর পক্ষে শাহানুর ইসলাম, সাদ্দাম হোসেন, শরিফুল ইসলাম, আকমল হোসেন, আনু খাতুন, বুলবুলি খাতুন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা অবিলম্বে সকল আসামিক গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচার দাবি করেন।
No comments