তিয়ানআনমেন স্কয়ারে অভিযান নিয়ে মুখ খুললো চীন
১৯৮৯
সালে বেইজিংয়ের তিয়ানআনমেন স্কয়ারে বিক্ষোভকারীদের ওপর চালানো অভিযানকে
সঠিক নীতির প্রতিফলন বলে দাবি করেছে চীন। রবিবার এক আঞ্চলিক ফোরামে দেশটির
প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফেঙ্গে বলেছেন, ওই ‘অবাধ্যতা’ থামাতে ‘সঠিক নীতি’
নিয়েছিল বেইজিং সরকার। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, এর মাধ্যমে
গণতন্ত্রপন্থী ওই বিক্ষোভে কমিউনিস্ট সরকারি কর্তৃপক্ষের অভিযান নিয়ে বিরল
মন্তব্য করলো চীন।
আরও বেশি স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের দাবিতে ১৯৮৯ সালের এপ্রিলে বেইজিংয়ের তিয়ানআনমেন স্কয়ারের দখল নেয় দশ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী ও শ্রমিক। ছয় সপ্তাহ ধরে তাদের এই অবস্থানকে দেশটির কমিউনিস্ট শাসনের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক বিক্ষোভ বলে মনে করা হয়। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শহরে। তিয়ানআনমেনের বিক্ষোভ থামাতে ওই বছরের ৩ জুন রাতের বেলা ট্যাংক নিয়ে নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হয় কমিউনিস্ট সরকারের সেনা সদস্যরা। অভিযানের পর ওই অভিযানে নিহতদের তথ্য কখনোই প্রকাশ করেনি চীন। তবে ধারণা করা হয়ে থাকে, ওই অভিযানে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল।
তিয়ানআনমেন স্কয়ারে অভিযান নিয়ে সংবাদ প্রকাশ কঠোরভাবে সেন্সর করে চীন। আগামী মঙ্গলবার তিয়ানআনমেন স্কয়ারে অভিযানের ৩০তম বর্ষপূর্তি হবে। তার আগে রবিবার সিঙ্গাপুরে এক আঞ্চলিক ফোরামে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা নিয়ে বিস্তারিত বক্তব্য রাখেন চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল ওয়েই ফেঙ্গে। ওই ফোরামের এক দর্শক চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কাছে তিয়ানআনমেন স্কয়ারের ঘটনা সম্পর্কে জানতে চান।
ওয়েই ফেঙ্গের কাছে জানতে চাওয়া হয়, এখনও মানুষ কেন বলে ওই ঘটনা চীন ভালোভাবে সামলাতে পারেনি। জবাবে ফেঙ্গে বলেন, ‘ওই ঘটনা ছিল একটি রাজনৈতিক অবাধ্যতা আর কেন্দ্রীয় সরকার এই অবাধ্যতা থামানোর পদক্ষেপ নিয়েছিল, আর সেটা ছিল সঠিক নীতি’। গত ৩০ বছরে প্রমাণিত হয়েছে তার দেশ বড় পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে দাবি করে তিনি বলেন, ওই সময়ে সরকারের সঠিক ব্যবস্থা নেওয়ার কারণে ‘চীন স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন লাভ করেছে’।
আরও বেশি স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের দাবিতে ১৯৮৯ সালের এপ্রিলে বেইজিংয়ের তিয়ানআনমেন স্কয়ারের দখল নেয় দশ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী ও শ্রমিক। ছয় সপ্তাহ ধরে তাদের এই অবস্থানকে দেশটির কমিউনিস্ট শাসনের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক বিক্ষোভ বলে মনে করা হয়। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শহরে। তিয়ানআনমেনের বিক্ষোভ থামাতে ওই বছরের ৩ জুন রাতের বেলা ট্যাংক নিয়ে নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হয় কমিউনিস্ট সরকারের সেনা সদস্যরা। অভিযানের পর ওই অভিযানে নিহতদের তথ্য কখনোই প্রকাশ করেনি চীন। তবে ধারণা করা হয়ে থাকে, ওই অভিযানে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল।
তিয়ানআনমেন স্কয়ারে অভিযান নিয়ে সংবাদ প্রকাশ কঠোরভাবে সেন্সর করে চীন। আগামী মঙ্গলবার তিয়ানআনমেন স্কয়ারে অভিযানের ৩০তম বর্ষপূর্তি হবে। তার আগে রবিবার সিঙ্গাপুরে এক আঞ্চলিক ফোরামে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা নিয়ে বিস্তারিত বক্তব্য রাখেন চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল ওয়েই ফেঙ্গে। ওই ফোরামের এক দর্শক চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কাছে তিয়ানআনমেন স্কয়ারের ঘটনা সম্পর্কে জানতে চান।
ওয়েই ফেঙ্গের কাছে জানতে চাওয়া হয়, এখনও মানুষ কেন বলে ওই ঘটনা চীন ভালোভাবে সামলাতে পারেনি। জবাবে ফেঙ্গে বলেন, ‘ওই ঘটনা ছিল একটি রাজনৈতিক অবাধ্যতা আর কেন্দ্রীয় সরকার এই অবাধ্যতা থামানোর পদক্ষেপ নিয়েছিল, আর সেটা ছিল সঠিক নীতি’। গত ৩০ বছরে প্রমাণিত হয়েছে তার দেশ বড় পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে দাবি করে তিনি বলেন, ওই সময়ে সরকারের সঠিক ব্যবস্থা নেওয়ার কারণে ‘চীন স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন লাভ করেছে’।
১৯৮৯ সালের তিয়েনমেন স্কয়ারের বিক্ষোভকেই চীনের কমিউনিস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক বিক্ষোভ বিবেচনা করা হয় |
No comments