ঘাটাইলে ‘শিক’ মেরে পাকানো হচ্ছে কাঁঠাল by আতিকুর রহমান
টাঙ্গাইলের
ঘাটাইল উপজেলা মূলত কাঁঠালসমৃদ্ধ এলাকা। ঘাটাইলের দুই-তৃতীয়াংশ পাহাড়ি
এলাকা থাকায় মৌসুমি ফল আনারস, আম, কলা সহ ব্যাপক পরিমাণে কাঁঠাল আবাদ হয়।
উপজেলার প্রায় ১৯/২০টি বাজারে প্রতিদিন সকালে কাঁঠালের হাট বসে। গারোবাজার,
সাগরদিঘী, জোড়দিঘী, আষাঢ়িয়াচালা, রামদেবপুর, শহরগোপিনপুর, ধলাপাড়া,
দেওপাড়া, দেলুটিয়া, ছনখোলা, চাপড়ী বাজার, পেচারআটা, মাকড়াই, কুশারিয়া,
পাকুটিয়া বাজার সহ বেশ কিছু হাটে ব্যাপক পরিমাণের কাঁঠাল আমদানি হয়। এসব
কাঁঠাল স্থানীয় চাহিদার পাশাপাশি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে
প্রতিদিন দেড় শতাধিক ট্রাক কাঁঠাল ভর্তি করে বিভিন্ন স্থানে চলে যায়। এ
ছাড়াও ঘাটাইলের পার্শ্ববর্তী উপজেলা মধুপুর ও সখিপুরেও ব্যাপক পরিমাণে
কাঁঠাল উৎপাদিত হয়। এসব উৎপাদিত জাতীয় ফল কাঁঠাল পাকাতে এখন আর প্রকৃতির
ওপর নির্ভর করছে না কেউ। মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই অধিক মুনাফা লাভের আশায়
কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ প্রয়োগ করে কচি কাঁঠাল
পাকাচ্ছে।
এসব কচি কাঁঠাল পাকাতে তারা নির্বিচারে বিষাক্ত ক্যালসিয়াম-কার্বাইড, ইথাইড, কপার সালফেট, পটাশের তরল দ্রবণ, কার্বনের ধোঁয়া, রাইপেন জাতীয় বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ সরাসরি লোহার শিক দিয়ে কাঁঠালে প্রবেশ করাচ্ছেন। এক কথায় বলতে গেলে সরসরি বিষ প্রয়োগ করা হচ্ছে। স্থানীয় ভাষায় রাসায়নিক প্রয়োগের এ পদ্ধতিকে ‘শিক’ মারা বলে। প্রায় দেড় ফুট লম্বা লোহার শিক কাঁঠালের বোটা বরাবর ঢুকিয়ে দিয়ে ছিদ্র পথে ইনজেকশনের বড় শিরিঞ্জ এর মাধ্যমে কার্বাইড, ইথ্রায়েল, ইথিকন ও রাইপেন জাতীয় বিষাক্ত পদার্থ প্রয়োগ করা হচ্ছে। পরে এক জায়গায় কাঁঠাল স্তূপ আকারে সাজিয়ে পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে চাপা দিয়ে রাখলেই ১৮-২৪ ঘণ্টার মধ্যেই একটি কচি কাঁঠাল পেকে মিষ্টি পাকা কাঁঠালের মতো গন্ধ ছড়ায় দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই এটি একটি অপরিপক্ব বিষাক্ত কাঁঠাল। এসব বিষাক্ত রাসায়নিক স্থানীয় কিটনাশকের দোকানেই পাওয়া যায়। স্থানীয় ভাবে এসব অঞ্চলে গড়ে উঠেছে অসংখ্য দোকান। কিটনাশন ব্যবসায়ী মো. হায়দার আলী জানান আমরা অনুমোদিত বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে এসব ঔষধ ক্রয় করে থাকি। কোম্পানিগুলো বাহারি রঙ্গের বোতলে আমাদের কাছে এগুলো পৌঁছে দেয়। কাঁঠাল ও আনারসের মৌসুমে প্রতিদিন গড়ে ২৫-৩০ বোতল মেডিসিন বিক্রি হয়। অন্য আরেক ব্যবসায়ী মো. সালামত খান প্রায় একই কথা বলেন। এদিনে ধলাপাড়া বাজারের ঔষধ ব্যবসায়ী মো. আ. হান্নান বলেন রাসায়নিক পদার্থ প্রয়োগ করে কাঁঠাল পাকালে আমরা যেমন একদিকে সরাসরি বিষ খাচ্ছি অপরদিকে এই সাধুপন্থা গ্রহণ করার কারণে ঘাটাইলে কাঁঠালের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। যার ফলে কাঁঠালের বাজারে মন্দা ভাব বিরাজ করছে। কৃষক তার ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এ ব্যাপারের ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সাইফুর রহমান খান বলেন এসব রাসায়নিক মিশ্রিত কাঁঠাল খেলে আমাশয়, লিভারডিজিস, রাতকানা, শ্বাসকষ্ট ও অ্যাজমা সহ ক্যানসারের মতো জটিল ও কঠিন রোগ হতে পারে। বিশেষ করে শিশুদের জন্য এটা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। এসব খাদ্য গ্রহণ না করাই ভালো।
এসব কচি কাঁঠাল পাকাতে তারা নির্বিচারে বিষাক্ত ক্যালসিয়াম-কার্বাইড, ইথাইড, কপার সালফেট, পটাশের তরল দ্রবণ, কার্বনের ধোঁয়া, রাইপেন জাতীয় বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ সরাসরি লোহার শিক দিয়ে কাঁঠালে প্রবেশ করাচ্ছেন। এক কথায় বলতে গেলে সরসরি বিষ প্রয়োগ করা হচ্ছে। স্থানীয় ভাষায় রাসায়নিক প্রয়োগের এ পদ্ধতিকে ‘শিক’ মারা বলে। প্রায় দেড় ফুট লম্বা লোহার শিক কাঁঠালের বোটা বরাবর ঢুকিয়ে দিয়ে ছিদ্র পথে ইনজেকশনের বড় শিরিঞ্জ এর মাধ্যমে কার্বাইড, ইথ্রায়েল, ইথিকন ও রাইপেন জাতীয় বিষাক্ত পদার্থ প্রয়োগ করা হচ্ছে। পরে এক জায়গায় কাঁঠাল স্তূপ আকারে সাজিয়ে পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে চাপা দিয়ে রাখলেই ১৮-২৪ ঘণ্টার মধ্যেই একটি কচি কাঁঠাল পেকে মিষ্টি পাকা কাঁঠালের মতো গন্ধ ছড়ায় দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই এটি একটি অপরিপক্ব বিষাক্ত কাঁঠাল। এসব বিষাক্ত রাসায়নিক স্থানীয় কিটনাশকের দোকানেই পাওয়া যায়। স্থানীয় ভাবে এসব অঞ্চলে গড়ে উঠেছে অসংখ্য দোকান। কিটনাশন ব্যবসায়ী মো. হায়দার আলী জানান আমরা অনুমোদিত বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে এসব ঔষধ ক্রয় করে থাকি। কোম্পানিগুলো বাহারি রঙ্গের বোতলে আমাদের কাছে এগুলো পৌঁছে দেয়। কাঁঠাল ও আনারসের মৌসুমে প্রতিদিন গড়ে ২৫-৩০ বোতল মেডিসিন বিক্রি হয়। অন্য আরেক ব্যবসায়ী মো. সালামত খান প্রায় একই কথা বলেন। এদিনে ধলাপাড়া বাজারের ঔষধ ব্যবসায়ী মো. আ. হান্নান বলেন রাসায়নিক পদার্থ প্রয়োগ করে কাঁঠাল পাকালে আমরা যেমন একদিকে সরাসরি বিষ খাচ্ছি অপরদিকে এই সাধুপন্থা গ্রহণ করার কারণে ঘাটাইলে কাঁঠালের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। যার ফলে কাঁঠালের বাজারে মন্দা ভাব বিরাজ করছে। কৃষক তার ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এ ব্যাপারের ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সাইফুর রহমান খান বলেন এসব রাসায়নিক মিশ্রিত কাঁঠাল খেলে আমাশয়, লিভারডিজিস, রাতকানা, শ্বাসকষ্ট ও অ্যাজমা সহ ক্যানসারের মতো জটিল ও কঠিন রোগ হতে পারে। বিশেষ করে শিশুদের জন্য এটা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। এসব খাদ্য গ্রহণ না করাই ভালো।
No comments