টাইগারদের জার্সি বিক্রিতে সিন্ডিকেট by দীন ইসলাম
সিন্ডিকেটের কব্জায় এখন বাংলাদেশ জাতীয়
ক্রিকেট দলের জার্সি। সিন্ডিকেটের নির্ধারিত দাম ১১৫০ টাকা। যদিও জার্সির
মান অনুযায়ী মূল্য ৩০০ টাকার বেশি নয়। রয়্যালটি আদায়ের নামে বাংলাদেশ
ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের এমন হঠকারি সিদ্ধান্তের কারণে সাধারণ মানুষের
পকেট কাটছে সিন্ডিকেটটি। হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। উচ্চমূল্যে এসব
জার্সি অঞ্জনস, জেন্টল পার্ক, স্পোর্টস এন্ড স্পোর্টস ও রবিন স্পোর্টস ছাড়া
কেউ তৈরি বা বিক্রি করতে পারছেন না। করতে গেলেই নানা হয়রানির মুখে পড়ছেন।
এরই মধ্যে গুলিস্তানে ক্রীড়া সামগ্রী বিক্রির সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের
দোকানে দোকানে অভিযান চালানো হচ্ছে। ফলে ক্রীড়া সামগ্রী বিক্রির সঙ্গে জড়িত
কয়েক হাজার ব্যবসায়ী সঙ্কটের মুখে পড়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশ স্পোর্টস গুডস মার্চেন্টস, ম্যানুফেকচারার্স এন্ড ইম্পোটার্স এসোসিয়েশন। সিন্ডিকেটের জন্য তারা দুষছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের অসাধু কর্মকর্তাদের। তারা বলছেন, অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসজাশে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জার্সি চলে গেছে একটি সিন্ডিকেটের কব্জায়। যার কারণে দেশের সাধারণ মানুষকে এখন ৩০০ টাকার তৈরি করা জার্সি কিনতে হবে সিন্ডিকেটের নির্ধারিত ১১৫০ টাকায়। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলকে বিষয়টি সর্ম্পকে জানিয়েছেন তারা। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ স্পোর্টস গুডস মার্চেন্টস, ম্যানুফেকচারার্স এন্ড ইম্পোটার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান মানবজমিনকে বলেন, বিশ্বকাপ এলে আমরা কিছুটা ব্যবসা করতে পারি। এজন্য আমরা মুখিয়ে থাকি। এবারই প্রথম সিন্ডিকেট করে জার্সি তৈরি ও বিক্রির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
আমাদের দোকানে দোকানে অভিযান চালিয়ে হেনস্তা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সাধারণ ব্যবসায়ীদের স্বার্থে সিন্ডিকেটমুক্ত বাংলাদেশের জার্সি চাই। আশা করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল আমাদের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নেবেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২১শে মে বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯ এর বাংলাদেশের গৌরবান্বিত জার্সি চার সিন্ডিকেটের দখল থেকে মুক্ত করার আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ স্পোর্টস গুডস মার্চেন্টস, ম্যানুফেকচারার্স এন্ড ইম্পোটার্স এসোসিয়েশন। চিঠিতে বলা হয়, আপনার অকৃত্রিম ভালোবাসা, অনুপ্রেরণা এবং সহযোগিতার হাত ধরে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন অনেক দূর এগিয়েছে। অভাবনীয় সাফল্য এসেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটে। বাংলাদেশের ক্রিকেট দল এখন বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯ এর আসরে অংশ নিতে প্রস্তুত। দেশের মানুষ সব সময় প্রস্তুত লাল সবুজের পতাকা গায়ে জড়িয়ে গৌরব ভাগিদার হয়ে খেলা দেখার। কিন্তু সিন্ডিকেটের চার প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য কোন প্রতিষ্ঠান এই জার্সি তৈরি বা বিক্রি করতে পারবে না। এরই মধ্যে বিষয়টি সর্ম্পকে সাধারণ ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে দেয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, এবার সাধারণ ক্রীড়ানুরাগীদের পক্ষে এত উচ্চ মূল্যে বিশ্বকাপে লাল সবুজের জার্সি জড়ানো সম্ভব হবে না। এজন্য বিষয়টি তদন্তপূর্বক বিসিবি’র অসাধু কর্মকর্তার হঠকারি সিদ্ধান্ত বাতিল এবং জার্সি তৈরি ও বিক্রয়ের সিন্ডিকেট চক্র ভেঙ্গে দেয়ার নির্দেশ দিতে অনুরোধ করা হল।
এদিকে পোশাক প্রস্তুত ও বিক্রির প্রতিষ্ঠান অঞ্জনসে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন সাইজের বাংলাদেশি জার্সি তারা ১১৫০ টাকার বিক্রি করছে। বিকাশ অ্যাপস দিয়ে অঞ্জনসে শপিং করলে ২০% ক্যাশব্যাকের অফার থাকলেও জার্সি বিক্রির ক্ষেত্রে তা মানা হচ্ছে না। বিকাশ অ্যাপস দিয়ে জার্সির পেমেন্ট দিতে গেলে অঞ্জনস-এর বিক্রয় কর্মীরা বলছেন, জার্সি বিক্রির টাকা ক্যাশ বা কার্ড দিয়ে দিতে পারবেন। বিকাশ অ্যাপ দিয়ে দেয়া যাবে না। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ স্পোর্টস গুডস মার্চেন্টস, ম্যানুফেকচারার্স এন্ড ইম্পোটার্স এসোসিয়েশনের আবেদনটি তারা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন। এটি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয়তার নিরিখে ব্যবস্থা নেবেন তারা। বাংলাদেশ দলের জার্সি বিক্রিতে সিন্ডিকেটের বিষয়ে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল মুঠোফোনে মানবজমিনকে বলেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জার্সি মনোপলি না করে তা যেন সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে তা নিশ্চিত করা উচিত। মনে রাখতে হবে সাধারণ মানুষ যত বেশি জার্সি কিনে খেলা দেখবেন তত বেশি ক্রিকেট উম্মাদনা তৈরি হবে।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশ স্পোর্টস গুডস মার্চেন্টস, ম্যানুফেকচারার্স এন্ড ইম্পোটার্স এসোসিয়েশন। সিন্ডিকেটের জন্য তারা দুষছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের অসাধু কর্মকর্তাদের। তারা বলছেন, অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসজাশে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জার্সি চলে গেছে একটি সিন্ডিকেটের কব্জায়। যার কারণে দেশের সাধারণ মানুষকে এখন ৩০০ টাকার তৈরি করা জার্সি কিনতে হবে সিন্ডিকেটের নির্ধারিত ১১৫০ টাকায়। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলকে বিষয়টি সর্ম্পকে জানিয়েছেন তারা। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ স্পোর্টস গুডস মার্চেন্টস, ম্যানুফেকচারার্স এন্ড ইম্পোটার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান মানবজমিনকে বলেন, বিশ্বকাপ এলে আমরা কিছুটা ব্যবসা করতে পারি। এজন্য আমরা মুখিয়ে থাকি। এবারই প্রথম সিন্ডিকেট করে জার্সি তৈরি ও বিক্রির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
আমাদের দোকানে দোকানে অভিযান চালিয়ে হেনস্তা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সাধারণ ব্যবসায়ীদের স্বার্থে সিন্ডিকেটমুক্ত বাংলাদেশের জার্সি চাই। আশা করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল আমাদের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নেবেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২১শে মে বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯ এর বাংলাদেশের গৌরবান্বিত জার্সি চার সিন্ডিকেটের দখল থেকে মুক্ত করার আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ স্পোর্টস গুডস মার্চেন্টস, ম্যানুফেকচারার্স এন্ড ইম্পোটার্স এসোসিয়েশন। চিঠিতে বলা হয়, আপনার অকৃত্রিম ভালোবাসা, অনুপ্রেরণা এবং সহযোগিতার হাত ধরে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন অনেক দূর এগিয়েছে। অভাবনীয় সাফল্য এসেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটে। বাংলাদেশের ক্রিকেট দল এখন বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯ এর আসরে অংশ নিতে প্রস্তুত। দেশের মানুষ সব সময় প্রস্তুত লাল সবুজের পতাকা গায়ে জড়িয়ে গৌরব ভাগিদার হয়ে খেলা দেখার। কিন্তু সিন্ডিকেটের চার প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য কোন প্রতিষ্ঠান এই জার্সি তৈরি বা বিক্রি করতে পারবে না। এরই মধ্যে বিষয়টি সর্ম্পকে সাধারণ ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে দেয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, এবার সাধারণ ক্রীড়ানুরাগীদের পক্ষে এত উচ্চ মূল্যে বিশ্বকাপে লাল সবুজের জার্সি জড়ানো সম্ভব হবে না। এজন্য বিষয়টি তদন্তপূর্বক বিসিবি’র অসাধু কর্মকর্তার হঠকারি সিদ্ধান্ত বাতিল এবং জার্সি তৈরি ও বিক্রয়ের সিন্ডিকেট চক্র ভেঙ্গে দেয়ার নির্দেশ দিতে অনুরোধ করা হল।
এদিকে পোশাক প্রস্তুত ও বিক্রির প্রতিষ্ঠান অঞ্জনসে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন সাইজের বাংলাদেশি জার্সি তারা ১১৫০ টাকার বিক্রি করছে। বিকাশ অ্যাপস দিয়ে অঞ্জনসে শপিং করলে ২০% ক্যাশব্যাকের অফার থাকলেও জার্সি বিক্রির ক্ষেত্রে তা মানা হচ্ছে না। বিকাশ অ্যাপস দিয়ে জার্সির পেমেন্ট দিতে গেলে অঞ্জনস-এর বিক্রয় কর্মীরা বলছেন, জার্সি বিক্রির টাকা ক্যাশ বা কার্ড দিয়ে দিতে পারবেন। বিকাশ অ্যাপ দিয়ে দেয়া যাবে না। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ স্পোর্টস গুডস মার্চেন্টস, ম্যানুফেকচারার্স এন্ড ইম্পোটার্স এসোসিয়েশনের আবেদনটি তারা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন। এটি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয়তার নিরিখে ব্যবস্থা নেবেন তারা। বাংলাদেশ দলের জার্সি বিক্রিতে সিন্ডিকেটের বিষয়ে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল মুঠোফোনে মানবজমিনকে বলেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জার্সি মনোপলি না করে তা যেন সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে তা নিশ্চিত করা উচিত। মনে রাখতে হবে সাধারণ মানুষ যত বেশি জার্সি কিনে খেলা দেখবেন তত বেশি ক্রিকেট উম্মাদনা তৈরি হবে।
No comments