দ্বিতীয় মেঘনা, গোমতী সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
দীর্ঘ
প্রতীক্ষিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্বিতীয় মেঘনা সেতু এবং দ্বিতীয় গোমতী
সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি
বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতু দু‘টি উদ্বোধন করেন। একই
সময় প্রধানমন্ত্রী কোনাবাড়ি ও চন্দ্রা ফ্লাইওভার, কালিয়াকৈর, দেওহাটা,
মির্জাপুর ও ঘারিন্দা আন্ডারপাস এবং কাড্ডা-১, সাসেক সংযোগ সড়ক প্রকল্পের
আওতায় জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়কে বিমাইল সেতুরও উদ্বোধন
করেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী একেএম মোজাম্মেল হক এবং কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোয়াসু ইজুমি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব প্রকল্পসমূহের ভিডিও উপস্থাপনার মাধ্যমে বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন। জাপানী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওবায়সি করপোরেশন, শিমঝু করপোরেশন, জেএফএফ করপোরেশন ও আইএইচআই ইনফ্রা সিস্টেম্স কোম্পানী লি. ২০১৬ সালের জানুয়ারীতে দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতীর সঙ্গে দ্বিতীয় কাঁচপুর ব্রিজের কাজ শুরু করে। এই তিনটি সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে, ৮ হাজার ৪শ’ ৮৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপানের জাইকা ৬ হাজার ৪শ’ ৩০ কোটি টাকা সহায়তা দিয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী জাপানের প্রতিষ্ঠানগুলো ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে কাজ শুরু করে এবং ২০১৯ সালের জুনে সম্পন্ন করার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়।
পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের উদ্বোধন: এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সরকার ঢাকা-কক্সবাজার রুটে দ্রুততগামী পর্যটন ট্রেন চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করবে। তিনি গতকাল ঢাকা-পঞ্চগড়-ঢাকা রুটে আন্তঃনগর ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’ ট্রেন এর উদ্বোধনকালে বলেন, আমরা মনে করি, যেহেতু চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে রেলপথ নির্মাণের কাজ চলছে কাজেই আমরা ঢাকা-কক্সবাজার রুটে একটি দ্রুতগামী ট্রেন চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করতে সক্ষম হব। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেমি ননস্টপ ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’ ট্রেনের উদ্বোধন করেন। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এসময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন পঞ্চগড় রেল স্টেশন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোফাজ্জেল হোসেন বাংলাদেশ রেলওয়ের সামগ্রিক উন্নয়ন কর্মকান্ডের ওপর অনুষ্ঠানে একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি উপস্থাপন করেন।
আগামী বাজেট হবে ৫ লাখ কোটি টাকার বেশি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী ১৩ জুন সরকার আগামী অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করবে, যার আকার হবে ৫ লাখ কোটি টাকার বেশি। তিনি গতকাল তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের জন্য দেয়া এক ইফতার মাহফিলে এ ঘোষণা দেন। শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন যে, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ যখন সরকার গঠন করেছিল তখন বাজেটের আকার ছিল ৬১ হাজার কোটি টাকা। তিনি বলেন, আমরা যখন প্রথম সরকার গঠন করি তখন উন্নয়ন বাজেটের আকার ছিল ১৮/১৯ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু বর্তমান অর্থবছরে আমরা ২ লাখ কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেট প্রণয়ন করেছি।
দেশের উন্নয়নে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে। তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি মানুষ যাতে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা নিয়ে একটি সুন্দর জীবন-যাপন করতে পারে আমরা তার জন্য সকল ব্যবস্থা করছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার চায় প্রতিটি মানুষ তার মৌলিক অধিকার নিয়ে বাঁচুক। একটি মানুষও গৃহহীন ও চিকিৎসাহীন না থাকুক এবং শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত না হোক। জাতিকে আবারও সেবা করার জন্য তাঁর সরকারকে পুননির্বাচিত করায় জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা আবারো বলেন, ক্ষমতা তাঁর কাছে উপভোগ করার বিষয় নয়, বরং জাতিকে সেবা করার একটি সুযোগ। তিনি বলেন, এই আদর্শ অনুসরণ করে আমি দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি এবং এর সুফল জনগণের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে স্বাধীনতার সুফল প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দেয়া এবং প্রতিটি মানুষকে একটি সুন্দর জীবন উপহার দেয়া। তিনি বলেন, আমরা দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ থেকে ২১ শতাংশে এবং চরম দারিদ্র্যের হার নামিয়ে এনেছি। চলতি অর্থবছরে আর কোন চরম দরিদ্র থাকবে না, ইনশাআল্লাহ। ইফতার মাহফিলে বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতারা অংশ নেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী একেএম মোজাম্মেল হক এবং কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোয়াসু ইজুমি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব প্রকল্পসমূহের ভিডিও উপস্থাপনার মাধ্যমে বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন। জাপানী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওবায়সি করপোরেশন, শিমঝু করপোরেশন, জেএফএফ করপোরেশন ও আইএইচআই ইনফ্রা সিস্টেম্স কোম্পানী লি. ২০১৬ সালের জানুয়ারীতে দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতীর সঙ্গে দ্বিতীয় কাঁচপুর ব্রিজের কাজ শুরু করে। এই তিনটি সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে, ৮ হাজার ৪শ’ ৮৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপানের জাইকা ৬ হাজার ৪শ’ ৩০ কোটি টাকা সহায়তা দিয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী জাপানের প্রতিষ্ঠানগুলো ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে কাজ শুরু করে এবং ২০১৯ সালের জুনে সম্পন্ন করার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়।
পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের উদ্বোধন: এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সরকার ঢাকা-কক্সবাজার রুটে দ্রুততগামী পর্যটন ট্রেন চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করবে। তিনি গতকাল ঢাকা-পঞ্চগড়-ঢাকা রুটে আন্তঃনগর ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’ ট্রেন এর উদ্বোধনকালে বলেন, আমরা মনে করি, যেহেতু চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে রেলপথ নির্মাণের কাজ চলছে কাজেই আমরা ঢাকা-কক্সবাজার রুটে একটি দ্রুতগামী ট্রেন চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করতে সক্ষম হব। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেমি ননস্টপ ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’ ট্রেনের উদ্বোধন করেন। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এসময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন পঞ্চগড় রেল স্টেশন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোফাজ্জেল হোসেন বাংলাদেশ রেলওয়ের সামগ্রিক উন্নয়ন কর্মকান্ডের ওপর অনুষ্ঠানে একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি উপস্থাপন করেন।
আগামী বাজেট হবে ৫ লাখ কোটি টাকার বেশি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী ১৩ জুন সরকার আগামী অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করবে, যার আকার হবে ৫ লাখ কোটি টাকার বেশি। তিনি গতকাল তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের জন্য দেয়া এক ইফতার মাহফিলে এ ঘোষণা দেন। শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন যে, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ যখন সরকার গঠন করেছিল তখন বাজেটের আকার ছিল ৬১ হাজার কোটি টাকা। তিনি বলেন, আমরা যখন প্রথম সরকার গঠন করি তখন উন্নয়ন বাজেটের আকার ছিল ১৮/১৯ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু বর্তমান অর্থবছরে আমরা ২ লাখ কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেট প্রণয়ন করেছি।
দেশের উন্নয়নে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে। তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি মানুষ যাতে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা নিয়ে একটি সুন্দর জীবন-যাপন করতে পারে আমরা তার জন্য সকল ব্যবস্থা করছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার চায় প্রতিটি মানুষ তার মৌলিক অধিকার নিয়ে বাঁচুক। একটি মানুষও গৃহহীন ও চিকিৎসাহীন না থাকুক এবং শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত না হোক। জাতিকে আবারও সেবা করার জন্য তাঁর সরকারকে পুননির্বাচিত করায় জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা আবারো বলেন, ক্ষমতা তাঁর কাছে উপভোগ করার বিষয় নয়, বরং জাতিকে সেবা করার একটি সুযোগ। তিনি বলেন, এই আদর্শ অনুসরণ করে আমি দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি এবং এর সুফল জনগণের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে স্বাধীনতার সুফল প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দেয়া এবং প্রতিটি মানুষকে একটি সুন্দর জীবন উপহার দেয়া। তিনি বলেন, আমরা দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ থেকে ২১ শতাংশে এবং চরম দারিদ্র্যের হার নামিয়ে এনেছি। চলতি অর্থবছরে আর কোন চরম দরিদ্র থাকবে না, ইনশাআল্লাহ। ইফতার মাহফিলে বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতারা অংশ নেন।
No comments