শত শত লোকের সামনে তিনি ডুবে গেলেন
শত
শত লোকের সামনে মো. হানিফ নামের এক ব্যক্তি লঞ্চ থেকে মেঘনা নদীর অথই
পানিতে পড়ে গেলেন। অনেকে মোবাইল ফোনে সেই ছবি তুলেছেন, ভিডিও করেছেন। কেউবা
আবার ছবি কিংবা ভিডিও পোস্ট করেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে।
হানিফের পানিতে তলিয়ে যাওয়ার করুণ দৃশ্য দেখে অনেকে হাহুতাশ করেছেন। কিন্তু
তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে কেউ বাঁচাতে আসেননি। বৃহস্পতিবার ভোলা জেলার চরফ্যাশন
উপজেলার বেতুয়া লঞ্চঘাটে এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁর কোনো
খোঁজ মেলেনি।
নিখোঁজ হানিফের (৬৮) বাড়ি চরফ্যাশন উপজেলার জিন্নাগড় ইউনিয়নের পশ্চিম জিন্নাগড় গ্রামে। হানিফ তাঁর ছেলের ঘরের নাতি মো. রাকিবকে (৬) নিয়ে লঞ্চে উঠে ঢাকার কেরানীগঞ্জে মেয়ের বাসায় যাচ্ছিলেন। তাঁর মেয়ে সালেকা বেগম সদরঘাটে পানি বিক্রি করেন। প্রায় দেড় মাস ধরে মেয়ের কাছে আছেন হানিফের স্ত্রী নূর ভানু।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার দিকে চরফ্যাশনে বেতুয়া লঞ্চঘাট (মেঘনা নদীর তীরে) থেকে এমভি ফারহান-৫ নামে লঞ্চটি ছেড়ে দেয়। ঘাটে তখনো কর্ণফুলী-১২ লঞ্চটি ছিল। যাত্রী হানিফ অনেক আগেই ফারহান লঞ্চের ডেকে নাতিকে নিয়ে বিছানা পেতে বসে ছিলেন। এরই মধ্যে নাতিকে বসিয়ে আসরের নামাজ আদায় করতে যান তিনি। নামাজ শেষ করে ফিরে এসে দেখেন, লঞ্চ ছেড়ে দিয়েছে। লঞ্চে ওঠার জন্য দৌড়ে কর্ণফুলী লঞ্চে ওঠেন তিনি। পরে লাফ দিয়ে ওই লঞ্চে উঠতে যান হানিফ, কিন্তু তাল সামলাতে পারেননি। হাত ফসকে পানিতে পড়ে যান তিনি। পরে জোয়ারের স্রোতে কিছুক্ষণ সাঁতরে ভেসে থাকার পর তলিয়ে যান তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শত শত মানুষ তাকিয়ে তাকিয়ে যাত্রী হানিফের ডুবে যাওয়া দেখলেও কেউ বাঁচাতে আসেননি। সবাই যেন কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন। ভেসে যাওয়ার সময় লোকটি হাত উঠিয়ে বাঁচার আকুতি জানান। কেউ তাঁর আকুতিতে সাড়া দেননি। ঘাটে অবস্থানরত কর্ণফুলী-১২ এবং ছেড়ে যাওয়া ফারহান-৫ লঞ্চে দক্ষ ডুবুরি ছিলেন, বয়া ছিল, দড়ি ছিল। কিন্তু কোনো সাড়া মেলেনি। কোনো ডুবুরি এগিয়ে এলে হয়তো তাঁকে উদ্ধার করা সম্ভব হতো। সেখানকার লোকজন হানিফের ডুবে যাওয়া মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষক আবু সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, সঠিক সময়ে লঞ্চের কেউ বয়া ফেলেননি। প্রায় ১০ মিনিট ধরে হানিফ সাঁতরে ভেসে থাকার চেষ্টা করেছেন। ভেসে যাওয়ার পরে যাত্রীদের তোপের মুখে ফারহান লঞ্চের কর্মচারী একটি রশির মাথায় বয়া বেঁধে পানিতে ফেলেছিলেন। কিন্তু ততক্ষণে আর হানিফকে পাওয়া যায়নি। তবে হানিফের নাতি রাকিবকে তাঁর পরিবারের কাছে পৌঁছে দিয়েছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।
চরফ্যাশন উপজেলা দমকল বাহিনীর (ফায়ার সার্ভিস) স্টেশন অফিসার মো. ইমরান হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে ফেসবুকের তথ্যের ভিত্তিতে আমরা বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যাই। তারপর থেকেই উদ্ধারের চেষ্টা করছি। সঠিক সময়ে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি জানালে হয়তো উদ্ধার করা যেত। তারপরও চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক বলেন, দুই দিনে হানিফের কোনো হদিস মেলেনি। সবাই মিলে তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধানে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নদীতে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন বলেও জানান চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন।
নিখোঁজ হানিফের (৬৮) বাড়ি চরফ্যাশন উপজেলার জিন্নাগড় ইউনিয়নের পশ্চিম জিন্নাগড় গ্রামে। হানিফ তাঁর ছেলের ঘরের নাতি মো. রাকিবকে (৬) নিয়ে লঞ্চে উঠে ঢাকার কেরানীগঞ্জে মেয়ের বাসায় যাচ্ছিলেন। তাঁর মেয়ে সালেকা বেগম সদরঘাটে পানি বিক্রি করেন। প্রায় দেড় মাস ধরে মেয়ের কাছে আছেন হানিফের স্ত্রী নূর ভানু।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার দিকে চরফ্যাশনে বেতুয়া লঞ্চঘাট (মেঘনা নদীর তীরে) থেকে এমভি ফারহান-৫ নামে লঞ্চটি ছেড়ে দেয়। ঘাটে তখনো কর্ণফুলী-১২ লঞ্চটি ছিল। যাত্রী হানিফ অনেক আগেই ফারহান লঞ্চের ডেকে নাতিকে নিয়ে বিছানা পেতে বসে ছিলেন। এরই মধ্যে নাতিকে বসিয়ে আসরের নামাজ আদায় করতে যান তিনি। নামাজ শেষ করে ফিরে এসে দেখেন, লঞ্চ ছেড়ে দিয়েছে। লঞ্চে ওঠার জন্য দৌড়ে কর্ণফুলী লঞ্চে ওঠেন তিনি। পরে লাফ দিয়ে ওই লঞ্চে উঠতে যান হানিফ, কিন্তু তাল সামলাতে পারেননি। হাত ফসকে পানিতে পড়ে যান তিনি। পরে জোয়ারের স্রোতে কিছুক্ষণ সাঁতরে ভেসে থাকার পর তলিয়ে যান তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শত শত মানুষ তাকিয়ে তাকিয়ে যাত্রী হানিফের ডুবে যাওয়া দেখলেও কেউ বাঁচাতে আসেননি। সবাই যেন কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন। ভেসে যাওয়ার সময় লোকটি হাত উঠিয়ে বাঁচার আকুতি জানান। কেউ তাঁর আকুতিতে সাড়া দেননি। ঘাটে অবস্থানরত কর্ণফুলী-১২ এবং ছেড়ে যাওয়া ফারহান-৫ লঞ্চে দক্ষ ডুবুরি ছিলেন, বয়া ছিল, দড়ি ছিল। কিন্তু কোনো সাড়া মেলেনি। কোনো ডুবুরি এগিয়ে এলে হয়তো তাঁকে উদ্ধার করা সম্ভব হতো। সেখানকার লোকজন হানিফের ডুবে যাওয়া মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষক আবু সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, সঠিক সময়ে লঞ্চের কেউ বয়া ফেলেননি। প্রায় ১০ মিনিট ধরে হানিফ সাঁতরে ভেসে থাকার চেষ্টা করেছেন। ভেসে যাওয়ার পরে যাত্রীদের তোপের মুখে ফারহান লঞ্চের কর্মচারী একটি রশির মাথায় বয়া বেঁধে পানিতে ফেলেছিলেন। কিন্তু ততক্ষণে আর হানিফকে পাওয়া যায়নি। তবে হানিফের নাতি রাকিবকে তাঁর পরিবারের কাছে পৌঁছে দিয়েছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।
চরফ্যাশন উপজেলা দমকল বাহিনীর (ফায়ার সার্ভিস) স্টেশন অফিসার মো. ইমরান হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে ফেসবুকের তথ্যের ভিত্তিতে আমরা বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যাই। তারপর থেকেই উদ্ধারের চেষ্টা করছি। সঠিক সময়ে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি জানালে হয়তো উদ্ধার করা যেত। তারপরও চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক বলেন, দুই দিনে হানিফের কোনো হদিস মেলেনি। সবাই মিলে তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধানে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নদীতে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন বলেও জানান চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন।
No comments