মুনমুন সেন আশাবাদী by পরিতোষ পাল
মহানায়িকা
সুচিত্রা সেনের কন্যা তিনি। মায়ের নামকে সম্বল করেই মুনমুন সেন ওরফে
শ্রীমতী দেববর্মা নতুন কেন্দ্র আসানসোলে ভোটের প্রচার শুরু করেছেন। গতবার
বাঁকুড়া কেন্দ্রে প্রার্থী হিসেবে প্রচারেও সুচিত্রা সেনের কন্যা হিসেবেই
নিজেকে তুলে ধরেছিলেন। এবার আসানসোলে পা দিয়ে মুনমুন প্রথমেই স্বীকার করে
নিয়েছেন, আসানসোল সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানেন না। ফলে তার ভরসা দলের জেলা
নেতৃত্ব। সেই সঙ্গে দলের কর্মিসভায় মুনমুন একটিই আবেদন রেখেছেন, সব
দ্বন্দ্ব দূরে সরিয়ে আসুন আমরা একসঙ্গে কাজ করি। আসলে গতবার আসানসোল
কেন্দ্রে পরাজয়ের প্রধান কারণ ছিল দলীয় গোষ্ঠী কোন্দল। সেটা মুনমুন জানেন
বলেই সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বার্তা দিয়েছেন প্রথমেই।
সেই সঙ্গে জানিয়েছেন, তৃণমূল কংগ্রেস খুবই সংগঠিত দল। ফলে দলীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবেন সহজেই। বলেছেন, বাঁকুড়ার মানুষ জানে, আমি তাদের জন্য কী করেছি। তবে আসানসোলে আমাকে আরো পরিশ্রম করতে হবে। এই কেন্দ্রের উন্নয়নের গতিকে ত্বরান্বিত করার সুযোগও রয়েছে। আমি জিতে সেই কাজটিই করতে চাই।
গতবার বাঁকুড়া কেন্দ্র থেকে সিপিআইএমের জাঁদরেল প্রার্থী বাসুদেব আচারিয়াকে পরাজিত করেছিলেন রাজনীতিতে নবাগতা অভিনেত্রী মুনমুন সেন। কিন্তু এবার তাকে প্রার্থী করা হবে কিনা তা নিয়ে বিস্তর গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল। দলের মধ্যেও মুনমুন সেনকে নিয়ে ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হয়েছিল। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, সেলিব্রিটি হওয়ায় তাকে বিপদে আপদে খুব একটা পান নি। তাকে নিয়ে যে দলের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে সেটা মুনমুনের কানেও গিয়েছিল। সংসদে এলাকার বিভিন্ন দাবির কথা যেমন তোলেন নি, তেমনি বিতর্ক ও প্রশ্ন পর্বেও মুনমুন গত ৫ বছরে অংশ নেননি। অবশ্য সাংসদ তহবিলের প্রায় সবটা অর্থই খরচ করে উন্নয়নের কাজ করেছেন। কিছুদিন ধরেই মিডিয়াতে যেভাবে বলা হচ্ছিল যে, দেব বাদে সব সেলিব্রিটি প্রার্থীদেরই বাদ দেয়া হবে- তা শুনে মুনমুন ব্যথিতই হয়েছিলেন। তবে মুম্বই থাকাকালীনই স্বামী ভরত দেববর্মণ ফোনে তাকে জানান যে, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাকে ফের প্রার্থী করেছেন। অবশ্য কেন্দ্র বদল করে তাকে নিয়ে আসা হয়েছে আসানসোলে। খবরটা জানার পর মুনমুন কি করে উঠবেন তা ভেবে পাননি। পরে ঠিক করেছেন, দিদি যখন আস্থা রেখেছেন তখন তিনি আসানসোল থেকেই লড়াই করবেন। আসানসোল অবশ্য বিজেপির জয়ী আসন। এই কেন্দ্র থেকে গতবার জয়ী হয়েছেন বিজেপির সেলিব্রিটি প্রার্থী গায়ক বাবুল সুপ্রিয়। এবারও তিনিই এই কেন্দ্রে প্রার্থী হবেন বলে ঠিক রয়েছে। তাই বাবুলের বিরুদ্ধে তার লড়াইটা যে চ্যালেঞ্জ সেটা মুনমুন জানেন। তবে আত্মপ্রত্যয় রেখেই বলেছেন, আমি এই কেন্দ্র থেকে জিতবোই। রোববার মুম্বই থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে পা দিয়ে সোজা চলে যান আসানসোলে। সেখানে কল্যাণেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিয়ে শুরু করেছেন প্রচার। সেলিব্রিটি বলেই তাকে ঘিরে সহজেই মানুষের ভিড় তৈরি হচ্ছে। কেন্দ্র পরিবর্তন নিয়ে মুনমুনের সাফ জবাব, দিদি চান, তাই আসানসোলে এসেছি। আসানসোলের বিশেষ কিছু জানি না। কিছু কয়লাখনি আছে বলে জানি। এক সময় এখানে অনেক অনুষ্ঠান করেছি। কাজ করতে এসেছি। তবে আমি জিতবোই।
বাংলা চলচ্চিত্রে মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের কন্যা হয়েও অভিনয়ে তার পদার্পণ ঘটেছিল বিয়ের পর। বাংলা, হিন্দি সহ অনেক দক্ষিণী চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। টিভি ধারাবাহিকেও অভিনয় করেছেন। তবে অন্য অভিনেত্রীদের মতো গ্ল্যামার কুইন না হয়ে উঠলেও সুচিত্রার কন্যা হিসেবে আলাদা আভিজাত্য ছিল মুনমুনের। সুচিত্রার মৃত্যুর আগে হাসপাতালে থাকাকালীন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। সুচিত্রার চিকিৎসার জন্য মমতা যেভাবে হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তাতে মুনমুন কৃতজ্ঞ। এই কৃতজ্ঞতার জন্যই ২০১৪ সালে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাবে মুনমুন না বলতে পারেন নি। প্রথম নির্বাচনেই সিপিআইএমের ৯ বারের সাংসদকে পরাজিত করে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলেন। অন্যদের মতো মুনমুন ভোকাল নন। কথা বলেন বিনীতভাবে। নেপথ্যে থাকতেই বেশি পছন্দ করেন। রাজনীতির ক্ষেত্রে যা অনেকটাই বেমানান। আসানসোল কেন্দ্রে প্রচার শুরু করে গতবারের বিজয়ী প্রার্থী বিজেপির বাবুল সুপ্র্রিয়কে নিয়ে কোনো কথাই বলেন নি। সাংবাদিকদের পীড়াপীড়িতেও বাবুল সম্পর্কে কোনো রাঁ করেন নি। অথচ মুনমুন সেনকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণার পরেই বাবুল টুইট করে লিখেছিলেন, নির্বাচনে মমতাদি সবসময়ই আমাকে সেনসন্যাল প্রার্থী উপহার দেন। আগের বার দিয়েছিলেন দোলা সেন, এবার মুনমুন সেন। বাবুলের এই কটাক্ষ শুনে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী বাবুলকে আনকালচারড বললেও মুনমুন কোনো মন্তব্য করেন নি। বরং বিনয়ীই থেকেছেন। দলীয় সহ প্রার্থী শতাব্দী রায়ের মত প্রচারে ঝড় তোলার চেয়ে মুনমুন ধীর লয়েই চলতে আগ্রহী। বিতর্ক এড়িয়ে চলতেও আগ্রহী। কেন্দ্র চেনার দিকেই প্রথমে তিনি জোর দিয়েছেন। ভোটারদের কাছে তার একটিই আবেদন, আমাকে ভালোবেসে ভোট দিন। মহানায়িকার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন ভোটারদের। সুচিত্রার দুই নাতিও যে এই কেন্দ্রে প্রচারে থাকবেন সেটাও প্রকাশ্যে জানিয়ে দিয়েছেন। মমতাদির ক্যারিশমার পাশাপাশি মা ও মেয়েদের ক্যারিশমাকেও মুনমুন কাজে লাগানোর জন্য তৈরি। তিনি বলেছেন, কোনো দিন তার অভিনেত্রী দুই মেয়ে রিয়া ও রাইমাও রাজনীতিতে আসবে। তার আগে গতবারের মতো এবারও মায়ের নতুন কেন্দ্রে ঝড় তুলবেন দুই কন্যা।
সেই সঙ্গে জানিয়েছেন, তৃণমূল কংগ্রেস খুবই সংগঠিত দল। ফলে দলীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবেন সহজেই। বলেছেন, বাঁকুড়ার মানুষ জানে, আমি তাদের জন্য কী করেছি। তবে আসানসোলে আমাকে আরো পরিশ্রম করতে হবে। এই কেন্দ্রের উন্নয়নের গতিকে ত্বরান্বিত করার সুযোগও রয়েছে। আমি জিতে সেই কাজটিই করতে চাই।
গতবার বাঁকুড়া কেন্দ্র থেকে সিপিআইএমের জাঁদরেল প্রার্থী বাসুদেব আচারিয়াকে পরাজিত করেছিলেন রাজনীতিতে নবাগতা অভিনেত্রী মুনমুন সেন। কিন্তু এবার তাকে প্রার্থী করা হবে কিনা তা নিয়ে বিস্তর গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল। দলের মধ্যেও মুনমুন সেনকে নিয়ে ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হয়েছিল। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, সেলিব্রিটি হওয়ায় তাকে বিপদে আপদে খুব একটা পান নি। তাকে নিয়ে যে দলের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে সেটা মুনমুনের কানেও গিয়েছিল। সংসদে এলাকার বিভিন্ন দাবির কথা যেমন তোলেন নি, তেমনি বিতর্ক ও প্রশ্ন পর্বেও মুনমুন গত ৫ বছরে অংশ নেননি। অবশ্য সাংসদ তহবিলের প্রায় সবটা অর্থই খরচ করে উন্নয়নের কাজ করেছেন। কিছুদিন ধরেই মিডিয়াতে যেভাবে বলা হচ্ছিল যে, দেব বাদে সব সেলিব্রিটি প্রার্থীদেরই বাদ দেয়া হবে- তা শুনে মুনমুন ব্যথিতই হয়েছিলেন। তবে মুম্বই থাকাকালীনই স্বামী ভরত দেববর্মণ ফোনে তাকে জানান যে, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাকে ফের প্রার্থী করেছেন। অবশ্য কেন্দ্র বদল করে তাকে নিয়ে আসা হয়েছে আসানসোলে। খবরটা জানার পর মুনমুন কি করে উঠবেন তা ভেবে পাননি। পরে ঠিক করেছেন, দিদি যখন আস্থা রেখেছেন তখন তিনি আসানসোল থেকেই লড়াই করবেন। আসানসোল অবশ্য বিজেপির জয়ী আসন। এই কেন্দ্র থেকে গতবার জয়ী হয়েছেন বিজেপির সেলিব্রিটি প্রার্থী গায়ক বাবুল সুপ্রিয়। এবারও তিনিই এই কেন্দ্রে প্রার্থী হবেন বলে ঠিক রয়েছে। তাই বাবুলের বিরুদ্ধে তার লড়াইটা যে চ্যালেঞ্জ সেটা মুনমুন জানেন। তবে আত্মপ্রত্যয় রেখেই বলেছেন, আমি এই কেন্দ্র থেকে জিতবোই। রোববার মুম্বই থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে পা দিয়ে সোজা চলে যান আসানসোলে। সেখানে কল্যাণেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিয়ে শুরু করেছেন প্রচার। সেলিব্রিটি বলেই তাকে ঘিরে সহজেই মানুষের ভিড় তৈরি হচ্ছে। কেন্দ্র পরিবর্তন নিয়ে মুনমুনের সাফ জবাব, দিদি চান, তাই আসানসোলে এসেছি। আসানসোলের বিশেষ কিছু জানি না। কিছু কয়লাখনি আছে বলে জানি। এক সময় এখানে অনেক অনুষ্ঠান করেছি। কাজ করতে এসেছি। তবে আমি জিতবোই।
বাংলা চলচ্চিত্রে মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের কন্যা হয়েও অভিনয়ে তার পদার্পণ ঘটেছিল বিয়ের পর। বাংলা, হিন্দি সহ অনেক দক্ষিণী চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। টিভি ধারাবাহিকেও অভিনয় করেছেন। তবে অন্য অভিনেত্রীদের মতো গ্ল্যামার কুইন না হয়ে উঠলেও সুচিত্রার কন্যা হিসেবে আলাদা আভিজাত্য ছিল মুনমুনের। সুচিত্রার মৃত্যুর আগে হাসপাতালে থাকাকালীন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। সুচিত্রার চিকিৎসার জন্য মমতা যেভাবে হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তাতে মুনমুন কৃতজ্ঞ। এই কৃতজ্ঞতার জন্যই ২০১৪ সালে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাবে মুনমুন না বলতে পারেন নি। প্রথম নির্বাচনেই সিপিআইএমের ৯ বারের সাংসদকে পরাজিত করে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলেন। অন্যদের মতো মুনমুন ভোকাল নন। কথা বলেন বিনীতভাবে। নেপথ্যে থাকতেই বেশি পছন্দ করেন। রাজনীতির ক্ষেত্রে যা অনেকটাই বেমানান। আসানসোল কেন্দ্রে প্রচার শুরু করে গতবারের বিজয়ী প্রার্থী বিজেপির বাবুল সুপ্র্রিয়কে নিয়ে কোনো কথাই বলেন নি। সাংবাদিকদের পীড়াপীড়িতেও বাবুল সম্পর্কে কোনো রাঁ করেন নি। অথচ মুনমুন সেনকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণার পরেই বাবুল টুইট করে লিখেছিলেন, নির্বাচনে মমতাদি সবসময়ই আমাকে সেনসন্যাল প্রার্থী উপহার দেন। আগের বার দিয়েছিলেন দোলা সেন, এবার মুনমুন সেন। বাবুলের এই কটাক্ষ শুনে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী বাবুলকে আনকালচারড বললেও মুনমুন কোনো মন্তব্য করেন নি। বরং বিনয়ীই থেকেছেন। দলীয় সহ প্রার্থী শতাব্দী রায়ের মত প্রচারে ঝড় তোলার চেয়ে মুনমুন ধীর লয়েই চলতে আগ্রহী। বিতর্ক এড়িয়ে চলতেও আগ্রহী। কেন্দ্র চেনার দিকেই প্রথমে তিনি জোর দিয়েছেন। ভোটারদের কাছে তার একটিই আবেদন, আমাকে ভালোবেসে ভোট দিন। মহানায়িকার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন ভোটারদের। সুচিত্রার দুই নাতিও যে এই কেন্দ্রে প্রচারে থাকবেন সেটাও প্রকাশ্যে জানিয়ে দিয়েছেন। মমতাদির ক্যারিশমার পাশাপাশি মা ও মেয়েদের ক্যারিশমাকেও মুনমুন কাজে লাগানোর জন্য তৈরি। তিনি বলেছেন, কোনো দিন তার অভিনেত্রী দুই মেয়ে রিয়া ও রাইমাও রাজনীতিতে আসবে। তার আগে গতবারের মতো এবারও মায়ের নতুন কেন্দ্রে ঝড় তুলবেন দুই কন্যা।
No comments