বর্ষায় কী হবে? by আব্দুল আলীম
মিরপুর
থেকে মতিঝিল। চলছে মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ। দিনরাত খোঁড়াখুঁড়ি আর নির্মাণ
কাজে অনেক স্থানে বন্ধ হয়ে গেছে ওয়াসার ড্রেন। এমন অবস্থায় দরজায় কড়া
নাড়ছে বর্ষাকাল। একটু বৃষ্টিতেই যে শহরে নেমে আসে জলাবদ্ধতা সেখানে
নির্মাণের কারণে এমন লেজেগোবরে রাস্তায় জলাবদ্ধতার কি দশা হবে তা নিয়ে
ভাবনায় নগরের বাসিন্দারা। বিশেষ করে প্রকল্প এলাকার সড়কে নিয়মিত যাতায়াত
করা যাত্রীদের ভাবনায় ফেলেছে বেশি। তবে ঢাকা ওয়াসা বলছে এবার জলাবদ্ধতা
মোকাবিলায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে তাদের। শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন করে
বিস্তারিত জানানো হবে। যদিও মেট্রোরেল প্রকল্প এলাকার ড্রেনের দায়িত্ব
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দেয়া হয়েছে বলে ওয়াসা সূত্র জানিয়েছে।
সরজমিন দেখা যায়, উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে শাহবাগ পর্যন্ত রাস্তার মাঝ খান দিয়ে মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ চলছে। কোথাও রাস্তার দুইপাশেও পিলার নির্মাণের কাজ চলছে। ফলে রাস্তার পাশের ওয়াসার ড্রেন প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। রাস্তার কোথাও কোথাও বড় ধরনের গর্ত তৈরি হয়েছে। ফলে যানজট সব সময় লেগেই থাকছে। নতুন করে ফার্মগেট থেকে মতিঝিল অংশের কাজ শুরু হওয়ায় এই সড়কেরও প্রায় একই অবস্থা। রাজধানীর সবচেয়ে ব্যস্ততম রাস্তার এই বেহাল অবস্থার মধ্যে এবার বর্ষা মৌসুমের ভোগান্তি নিয়ে চিন্তিত নগরবাসী। ফার্মগেট মণিপুরি পাড়ার বাসিন্দা আজমল হোসেন বলেন, আমাদের এলাকায় জলাবদ্ধতা খুব একটা দেখা যেতো না। কিন্তু এবার ফার্মগেটে মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ চলছে। এই রাস্তার দুই পাশে সীমিত আকারে গাড়ি চলাচল করছে।
নির্মাণ কাজের কারণে রাস্তার পাশের ড্রেনগুলো বন্ধ হয়ে গেছে প্রায়। এবার বর্ষা মারাত্মক ভোগান্তিতে ফেলবে আমাদের। আগারগাঁও তালতলার বাসিন্দা জাহেদা বেগম মানবজমিনকে বলেন, মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যায় না। সারাদিন ধুলো উড়ে। রাস্তায় যানজট লেগে থাকে। একটু বৃষ্টি হলে কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায়। এখন রাস্তার যে অবস্থা তাতে একটু বেশি বৃষ্টি হলে এক সপ্তাহেও মনে হয় পানি সরবে না। কাজীপাড়া এলাকার দোকানদার সেকেন্দার আলী বলেন, মেট্রোরেলের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে একটু বৃষ্টিতেই রাস্তা তলিয়ে যায়। এবার তো রাস্তার পাশের সব ড্রেন ভরে গেছে। বর্ষার মৌসুমে খুব খারাপ অবস্থা হবে। এই এলাকার বাসিন্দা সাইফুল আলম বলেন, গত দুই বর্ষায় কাজীপাড়া সড়ক একটি দুর্ভোগের নাম ছিল। দিনের কোনো সময় বেশি বৃষ্টি হলে এখানে সারাদিন এমনকি রাত পর্যন্ত পানি জমে থাকতো। হাঁটু পানি ডিঙিয়ে যান চলাচল করতো। পানির কারণে যান চলাচল বন্ধও থেকেছে। এবার সড়কের পাশে ফুটপাথ ঘেঁষে কাজ হচ্ছে। দ্রুত পানি সরানোর ব্যবস্থা না হলে এবার দুর্ভোগ আরো বেশি হবে।
ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট (ডিএমআরটিডি) বা মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ করার সময় সড়কের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে সব ধরনের কাজ করার কথা নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের। রাস্তার কোথাও কাটতে হলে কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তা আবার আগের মতো মেরামত করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু এসব কাজ ঠিক মতো করছে না সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ফলে নির্মাণের সময় বিভিন্ন ধরনের ময়লায় রাস্তার দুই পাশের ওয়াসার ড্রেন বন্ধ হয়ে গেছে প্রায়। রাস্তার যে অংশ দিয়ে গাড়ি চলাচল করে সেখানেও বড় বড় খানাখন্দে ভরপুর। দুইটি গাড়ি চলাচলের মতো জায়গা থাকলেও বেহাল সড়কের কারণে একটি লাইনে চলতে পারে গাড়িগুলো।
মিরপুর শেওড়াপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মূল সড়কের মাঝখানে ডিভাইডার দিয়ে মেট্রোরেলের কাজ চলছে। দুই পাশ দিয়ে গাড়ি চলাচল করার জন্য রাস্তা রাখা হয়েছে। কিন্তু সড়কটির কোথাও গর্ত, কোথাও এবড়োথেবড়ো কোথাও আবার মাটির স্তূপ জমে আছে। কাটা-ছেঁড়া, এবড়োথেবড়ো এসব সড়ক দিয়েই প্রতিদিন ভোগান্তি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে যাত্রীদের। যানবাহন চলাচলের ফলে বাতাসে সব সময়ই ধুলাবালু লেগেই আছে। পল্লবী এলাকাতেও সড়কের বেহাল দশা। একটি বাসই চলাচল করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। খোঁড়াখুঁড়ির ফলে সড়কের মাত্র ৫০ শতাংশ যানচলাচলে ব্যবহার হচ্ছে। এ কারণে তালতলা থেকে মিরপুর ১২ নম্বর পর্যন্ত সড়কে জনগণের ভোগান্তির শেষ নেই। মিরপুর ১০ নম্বর এলাকার বাসিন্দা আমিনুল হোসেন বলেন, প্রায় তিন বছর ধরে মেট্রোরেলের কাজ চলছে এই এলাকায়। কবে কাজ শেষ হবে জানি না। আমার অফিস মতিঝিল। এইটুকু যেতে সময় লেগে যায় আড়াই ঘণ্টার বেশি। অথচ ৩০ থেকে ৩৫ মিনিটের রাস্তা।
উল্লেখ্য, প্রাথমিকভাবে উত্তরা, পল্লবী, রোকেয়া সরণির পশ্চিম পাশ দিয়ে খামারবাড়ি হয়ে হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও, শাহবাগ-টিএসসি, দোয়েল চত্বর, তোপখানা রোড হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার মেট্রোরেল রুট নির্ধারণ করা হয়েছে। মেট্রোরেলের কাজ করার জন্য ৪০ ফুট জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এতে তুলনামূলকভাবে রাস্তা ছোট হয়ে গেছে। দুই লেন দিয়ে যানবাহন চলাচল করলেও সড়কের কোথাও কোথাও দেবে গিয়ে গর্ত হয়ে গেছে। এর ফলে লেগে থাকছে দীর্ঘ যানজট।
বর্ষার আগে ড্রেনেজ ব্যবস্থার রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খান মানবজমিনকে বলেন, মেট্রোরেল নির্মাণের কারণে ড্রেনের কোনো ক্ষতি হলে সেটা তাদেরই মেরামত করার কথা। তারা সব সময় আমাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে না। সেখানে কতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা না দেখে কিছু বলা যাবে না। তবে বর্ষার সময় জলাবদ্ধতা নিরসনে আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে। খুব শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন করে এগুলোর বিস্তারিত জানানো হবে।
সরজমিন দেখা যায়, উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে শাহবাগ পর্যন্ত রাস্তার মাঝ খান দিয়ে মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ চলছে। কোথাও রাস্তার দুইপাশেও পিলার নির্মাণের কাজ চলছে। ফলে রাস্তার পাশের ওয়াসার ড্রেন প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। রাস্তার কোথাও কোথাও বড় ধরনের গর্ত তৈরি হয়েছে। ফলে যানজট সব সময় লেগেই থাকছে। নতুন করে ফার্মগেট থেকে মতিঝিল অংশের কাজ শুরু হওয়ায় এই সড়কেরও প্রায় একই অবস্থা। রাজধানীর সবচেয়ে ব্যস্ততম রাস্তার এই বেহাল অবস্থার মধ্যে এবার বর্ষা মৌসুমের ভোগান্তি নিয়ে চিন্তিত নগরবাসী। ফার্মগেট মণিপুরি পাড়ার বাসিন্দা আজমল হোসেন বলেন, আমাদের এলাকায় জলাবদ্ধতা খুব একটা দেখা যেতো না। কিন্তু এবার ফার্মগেটে মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ চলছে। এই রাস্তার দুই পাশে সীমিত আকারে গাড়ি চলাচল করছে।
নির্মাণ কাজের কারণে রাস্তার পাশের ড্রেনগুলো বন্ধ হয়ে গেছে প্রায়। এবার বর্ষা মারাত্মক ভোগান্তিতে ফেলবে আমাদের। আগারগাঁও তালতলার বাসিন্দা জাহেদা বেগম মানবজমিনকে বলেন, মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যায় না। সারাদিন ধুলো উড়ে। রাস্তায় যানজট লেগে থাকে। একটু বৃষ্টি হলে কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায়। এখন রাস্তার যে অবস্থা তাতে একটু বেশি বৃষ্টি হলে এক সপ্তাহেও মনে হয় পানি সরবে না। কাজীপাড়া এলাকার দোকানদার সেকেন্দার আলী বলেন, মেট্রোরেলের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে একটু বৃষ্টিতেই রাস্তা তলিয়ে যায়। এবার তো রাস্তার পাশের সব ড্রেন ভরে গেছে। বর্ষার মৌসুমে খুব খারাপ অবস্থা হবে। এই এলাকার বাসিন্দা সাইফুল আলম বলেন, গত দুই বর্ষায় কাজীপাড়া সড়ক একটি দুর্ভোগের নাম ছিল। দিনের কোনো সময় বেশি বৃষ্টি হলে এখানে সারাদিন এমনকি রাত পর্যন্ত পানি জমে থাকতো। হাঁটু পানি ডিঙিয়ে যান চলাচল করতো। পানির কারণে যান চলাচল বন্ধও থেকেছে। এবার সড়কের পাশে ফুটপাথ ঘেঁষে কাজ হচ্ছে। দ্রুত পানি সরানোর ব্যবস্থা না হলে এবার দুর্ভোগ আরো বেশি হবে।
ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট (ডিএমআরটিডি) বা মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ করার সময় সড়কের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে সব ধরনের কাজ করার কথা নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের। রাস্তার কোথাও কাটতে হলে কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তা আবার আগের মতো মেরামত করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু এসব কাজ ঠিক মতো করছে না সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ফলে নির্মাণের সময় বিভিন্ন ধরনের ময়লায় রাস্তার দুই পাশের ওয়াসার ড্রেন বন্ধ হয়ে গেছে প্রায়। রাস্তার যে অংশ দিয়ে গাড়ি চলাচল করে সেখানেও বড় বড় খানাখন্দে ভরপুর। দুইটি গাড়ি চলাচলের মতো জায়গা থাকলেও বেহাল সড়কের কারণে একটি লাইনে চলতে পারে গাড়িগুলো।
মিরপুর শেওড়াপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মূল সড়কের মাঝখানে ডিভাইডার দিয়ে মেট্রোরেলের কাজ চলছে। দুই পাশ দিয়ে গাড়ি চলাচল করার জন্য রাস্তা রাখা হয়েছে। কিন্তু সড়কটির কোথাও গর্ত, কোথাও এবড়োথেবড়ো কোথাও আবার মাটির স্তূপ জমে আছে। কাটা-ছেঁড়া, এবড়োথেবড়ো এসব সড়ক দিয়েই প্রতিদিন ভোগান্তি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে যাত্রীদের। যানবাহন চলাচলের ফলে বাতাসে সব সময়ই ধুলাবালু লেগেই আছে। পল্লবী এলাকাতেও সড়কের বেহাল দশা। একটি বাসই চলাচল করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। খোঁড়াখুঁড়ির ফলে সড়কের মাত্র ৫০ শতাংশ যানচলাচলে ব্যবহার হচ্ছে। এ কারণে তালতলা থেকে মিরপুর ১২ নম্বর পর্যন্ত সড়কে জনগণের ভোগান্তির শেষ নেই। মিরপুর ১০ নম্বর এলাকার বাসিন্দা আমিনুল হোসেন বলেন, প্রায় তিন বছর ধরে মেট্রোরেলের কাজ চলছে এই এলাকায়। কবে কাজ শেষ হবে জানি না। আমার অফিস মতিঝিল। এইটুকু যেতে সময় লেগে যায় আড়াই ঘণ্টার বেশি। অথচ ৩০ থেকে ৩৫ মিনিটের রাস্তা।
উল্লেখ্য, প্রাথমিকভাবে উত্তরা, পল্লবী, রোকেয়া সরণির পশ্চিম পাশ দিয়ে খামারবাড়ি হয়ে হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও, শাহবাগ-টিএসসি, দোয়েল চত্বর, তোপখানা রোড হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার মেট্রোরেল রুট নির্ধারণ করা হয়েছে। মেট্রোরেলের কাজ করার জন্য ৪০ ফুট জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এতে তুলনামূলকভাবে রাস্তা ছোট হয়ে গেছে। দুই লেন দিয়ে যানবাহন চলাচল করলেও সড়কের কোথাও কোথাও দেবে গিয়ে গর্ত হয়ে গেছে। এর ফলে লেগে থাকছে দীর্ঘ যানজট।
বর্ষার আগে ড্রেনেজ ব্যবস্থার রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খান মানবজমিনকে বলেন, মেট্রোরেল নির্মাণের কারণে ড্রেনের কোনো ক্ষতি হলে সেটা তাদেরই মেরামত করার কথা। তারা সব সময় আমাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে না। সেখানে কতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা না দেখে কিছু বলা যাবে না। তবে বর্ষার সময় জলাবদ্ধতা নিরসনে আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে। খুব শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন করে এগুলোর বিস্তারিত জানানো হবে।
No comments