গরু জব্দ করা নিয়ে সংঘর্ষ বিজিবির গুলিতে নিহত ৩
গরু
নিয়ে তর্কের জের ধরে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার বহরমপুর গ্রামে বিজিবির
(বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড) গুলিতে ছাত্রসহ ৩ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় নারীসহ
২০ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের প্রথমে হরিপুর হাসপাতাল ও
পরে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুরো
এলাকা জুড়ে কান্নার রোলপড়েছে। চলছে শোকের মাতম। নিহতদের মধ্যে উপজেলার
বকুয়া ইউনিয়নের রুহিয়া গ্রামের নজরুল ইসলাম ছেলে নবাব (৩০) (পথচারী), একই
গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে সাদেক (৪০) (পথচারী) ঘটনাস্থলে মারা যায়।
অপরদিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর যাওয়ার পথে বহরমপুর গ্রামের
নুরুল ইসলামের ছেলে জয়নুল (১২) মারা যায়। গুলিবিদ্ধরা হলো- বহরমপুর
গ্রামের বাবু (২৮), মিঠুন (১৮), ইসাহাক (৩৫), রাসেল (১৬), সাদেকুল,
মুনতারা (৪৫), নওসাদ (২৫), নওশাদ, আঃ হান্নান (৬০), জয়গুন (৩৫), নুর নেহার
(৬০), তৈমুর (২৫), সিংহাড়ী গ্রামের আফসারুল (২৮) ও সোহেলসহ প্রায় ২০ জন।
এদিকে গ্রামবাসীর হামলায় ৫ বিজিবি সদস্য আহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন ৫০
বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ।
ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের বরমপুর গ্রামে।
স্থানীয়রা জানায়, বহরমপুর গ্রামের হবিরর রহমান কয়েকদিন আগে রানীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ হাট থেকে দুটি গরু কিনে আনে। সেই গরু মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় যাদুরানী বাজারে বিক্রি করার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। যাদুরানী মহাবিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে বেতনা ক্যাম্পের বিজিবি’র সদস্যরা ভারতীয় গরু মনে করে রাস্তা থেকে ভটভটিসহ গরু দুটি আটক করে ক্যাম্পের উদ্যোশে রওনা হয়। গরু বহনকারী ভটভটিসহ গরু দুটি হবিরর রহমানের বাড়ির সামনে পৌঁছালে তার পরিবারের লোকজন গাড়িটি আটকিয়ে বিজিবি’র কাছে জানতে চায়- কি কারণে তাদের গরু আটক করা হলো। উত্তরে বিজিবি সদস্যরা বলেন- ভারতীয় গরু তাই আটক করা হয়েছে। এসময় গরুর মালিক গরু ক্রয়ের কাগজপত্র বিজিবিকে দেখায়। তবুও বিজিবি সদস্যরা গরু দিতে অস্বীকৃত জানালে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে পরিবারের লোকজন বিজিবি’র কাছ থেকে গরু ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এসময় উপস্থিত বিজিবি সদস্যরা এলোপাতাড়ি গুলি চালায়।
বকুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বর্ষা বলেন, এখন পর্যন্ত তিনজন মারা গেছে এটা নিশ্চিত। কি কারণে এ সংঘর্ষ এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, কৃষকের গরু ভারতীয় অভিযোগ তুলে টানাটানি করে। এসময় গ্রামবাসীসহ পথচারীরা ক্ষিপ্ত হয় এবং বাঁধা দেয়। এসময় বিজিবি নিরিহ মানুষের উপর গুলি করে।
হরিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আমিরুজ্জামান হতাহতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম ও হরিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমজে আরিফ বেগ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, বিজিবি তাদের জীবন রক্ষায় গুলি বর্ষণ করেছে। তবে এ ঘটনা তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আহবায়ক করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি এ ঘটনায় প্রকৃত দেষী ও ঘটনার কারণ উদঘাটন করবেন। এরপর দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক কামরুজ্জামান সেলিম।
ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল তুহিন মো. মাসুদ বলেন, বিজিবি’র একটি পেট্রোল টিম ৫টি গরু সিজ করে ক্যাম্পে ফেরার পথে চোরাকারবারিরা ও এলাকাবাসী বিভিন্ন দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে বিজিবি’র উপরে হামলা চালায়। তাদের অনুরোধ করেও তারা কোন কথা শুনেনি। বরং তারা উত্তেজিত হয়ে বিজিবি’র অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এবং ২টি গরু ছিনিয়ে নেয়। গ্রামবাসীর হামলায় ৫ জন বিজিবি সদস্য আহত হওয়ার পরে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করা হয়। ওই গরুগুলো ভারতীয় চোরাকারবারিদের এমন তথ্য বিজিবির কাছে আছে বলে জানান বিজিবির অধিনায়ক।
ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের বরমপুর গ্রামে।
স্থানীয়রা জানায়, বহরমপুর গ্রামের হবিরর রহমান কয়েকদিন আগে রানীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ হাট থেকে দুটি গরু কিনে আনে। সেই গরু মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় যাদুরানী বাজারে বিক্রি করার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। যাদুরানী মহাবিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে বেতনা ক্যাম্পের বিজিবি’র সদস্যরা ভারতীয় গরু মনে করে রাস্তা থেকে ভটভটিসহ গরু দুটি আটক করে ক্যাম্পের উদ্যোশে রওনা হয়। গরু বহনকারী ভটভটিসহ গরু দুটি হবিরর রহমানের বাড়ির সামনে পৌঁছালে তার পরিবারের লোকজন গাড়িটি আটকিয়ে বিজিবি’র কাছে জানতে চায়- কি কারণে তাদের গরু আটক করা হলো। উত্তরে বিজিবি সদস্যরা বলেন- ভারতীয় গরু তাই আটক করা হয়েছে। এসময় গরুর মালিক গরু ক্রয়ের কাগজপত্র বিজিবিকে দেখায়। তবুও বিজিবি সদস্যরা গরু দিতে অস্বীকৃত জানালে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে পরিবারের লোকজন বিজিবি’র কাছ থেকে গরু ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এসময় উপস্থিত বিজিবি সদস্যরা এলোপাতাড়ি গুলি চালায়।
বকুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বর্ষা বলেন, এখন পর্যন্ত তিনজন মারা গেছে এটা নিশ্চিত। কি কারণে এ সংঘর্ষ এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, কৃষকের গরু ভারতীয় অভিযোগ তুলে টানাটানি করে। এসময় গ্রামবাসীসহ পথচারীরা ক্ষিপ্ত হয় এবং বাঁধা দেয়। এসময় বিজিবি নিরিহ মানুষের উপর গুলি করে।
হরিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আমিরুজ্জামান হতাহতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম ও হরিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমজে আরিফ বেগ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, বিজিবি তাদের জীবন রক্ষায় গুলি বর্ষণ করেছে। তবে এ ঘটনা তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আহবায়ক করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি এ ঘটনায় প্রকৃত দেষী ও ঘটনার কারণ উদঘাটন করবেন। এরপর দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক কামরুজ্জামান সেলিম।
ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল তুহিন মো. মাসুদ বলেন, বিজিবি’র একটি পেট্রোল টিম ৫টি গরু সিজ করে ক্যাম্পে ফেরার পথে চোরাকারবারিরা ও এলাকাবাসী বিভিন্ন দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে বিজিবি’র উপরে হামলা চালায়। তাদের অনুরোধ করেও তারা কোন কথা শুনেনি। বরং তারা উত্তেজিত হয়ে বিজিবি’র অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এবং ২টি গরু ছিনিয়ে নেয়। গ্রামবাসীর হামলায় ৫ জন বিজিবি সদস্য আহত হওয়ার পরে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করা হয়। ওই গরুগুলো ভারতীয় চোরাকারবারিদের এমন তথ্য বিজিবির কাছে আছে বলে জানান বিজিবির অধিনায়ক।
No comments