যৌন জীবনে ক্রমশ অনাগ্রহী বৃটিশ নারীরা
যৌন
জীবনে ক্রমশ অনাগ্রহী হয়ে পড়ছেন বৃটিশ নারীরা। তাদের অর্ধেকের বেশি বলেছেন
পার্টনার তাকে খুশি করতে পারেন না। অসন্তোষ নিয়েই ফিরতে হয় বেশির ভাগ সময়।
এমনও অনেক যুগলকে পাওয়া গেছে যাদের মধ্যে এক বছরে দু’বারেরও কম সময়
শারীরিক সম্পর্ক হয়। এর প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্লান্তি বা অবসাদ,
সময়ের অভাব, হতাশা, পার্টনারের প্রতি আকর্ষণের ঘাটতি। লন্ডনের প্রভাবশালী
ট্যাবলয়েড পত্রিকা দ্য সানের পক্ষে জরিপ চালিয়েছে ফ্যাবুলাস। তাতে উঠে
এসেছে এসব চিত্র। এতে ধরা পড়েছে বৃটিশরা যৌন জীবনে কতটা অসন্তুষ্ট।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের প্রতি ৫ জনের মধ্যে একজন বলেছেন বছরে তাদের শারীরিক সম্পর্ক হয় দু’বারেরও কম।
আবার যাদের মধ্যে এ সম্পর্ক হয় তার মধ্যে শতকরা ৫২ জন বলেছেন তারা এমন সম্পর্কে সন্তুষ্ট হতে পারেন না। শতকরা ১৭ ভাগ মানুষ বলেছেন তারা এ সম্পর্কের সময় অধিক এডভেঞ্চারপ্রিয় হয়ে ওঠেন। পার্টনারের সঙ্গে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক এড়াতে মিথ্যা বলেন শতকরা ৩২ ভাগ মানুষ। প্রতি ৫ জন নারীর একজন বলেছেন তারা এমন সম্পর্কের সময় পুরোপুরি সুখী হতে পারেন না।
জরিপে দেখা গেছে তরুণ বা যুব প্রজন্মের বেশির ভাগই অসন্তুষ্ট এ সম্পর্ক নিয়ে। তাদের বেশির ভাগকেই এমন অখুশি হয়ে ফিরতে হয়। এতে দেখা গেছে ২৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সীরা বেশি পরিমাণে শারীরক সম্পর্ক দাবি করেন এবং তাদের শতকরা হার হলো ৪৭ ভাগ।
এ বিষয়ে নারীপুরুষের সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ও কোচ কেট ম্যান্সফিল্ড বলেন, যৌন জীবনের গুণগত দিক ও সংখ্যার দ্রুত পতন ঘটেছে। এর কারণ হলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সহজেই হাতের কাছে পাওয়া যায় পর্নোগ্রাফি। এতে নারীদের ওপর একটি চাপ সৃষ্টি করে। তারা একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি হয়তো পছন্দ করেন এবং নিজেদের শরীর নিয়ে অনিরাপদ বোধ করেন। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে যাপিত জীবনের খরচ। সঙ্গে যোগ হয়েছে দীর্ঘ কর্মঘন্টা। এতে একজন মানুষ মানসিক দিক থেকে নিশ্বেষ হয়ে যায়। তবে নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন হলে তাতে হতাশা কমে। অসুস্থতা কমে। হার্টকে সুস্থ রাখে। অব্যাহতভাবে কাজ করা হলো একটি সুস্থ যৌন জীবনের অনুষঙ্গ। কিন্তু আমাদের অনেকেরই সময়ের বড় অভাব। অথবা পার্টনারকে তার জীবনের সব কথা বলতে নার্ভাস বোধ করেন। এসব বিষয়ে খোলামেলা আলোচনাকে এড়িয়ে যাওয়ার অর্থ হলো সমস্যাকে আরো বাড়িয়ে দেয়া। আমরা সিঙ্গেল থাকি অথবা একটি সম্পর্কের মধ্যে থাকি উভয় অবস্থায়ই আমাদের শরীরকে আরো বেশি ভালবাসতে হবে। আমাদের যে শারীরিক যৌন চাহিদা সে বিষয়ে প্রকাশ করতে হবে। কথা বলতে হবে। এ সম্পর্কটা কোনো বড় দায়িত্ব পালন নয়, একে দেখতে হবে ফান হিসেবে।
লন্ডনের সরকারি কর্মচারী ২৮ বছর বয়সী মনিকা বারডিগা। চার বছরের বেশি তিনি সিঙ্গেল। তিনি খুব কমই যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন। কারণ নিজের ওপর আস্থা কম। তিনি বলেন, আমি সব সময়ই একজন মোটা মেয়ে। স্কুলে আমার এমন সাইজের কারণে নানা রকম বাঁকা কথা শুনতে হতো। ছেলেরা আমার প্রতি কখনোই আগ্রহ দেখাতো না। তাই ২০-এর কোটায় যখন আমার বয়স তখন আমার তখনকার বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে আমার ভিতর আস্থা আসতে দীর্ঘ সময় লেগেছে। তার সঙ্গে আমি তিন বছর ছিলাম। সব সময়ই আমরা লাইট অফ করে দিয়ে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতাম। গত বছর মনে হলো আমাকে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে বাঁচতে হবে। তাই ২১ স্টোন থেকে ওজন কমিয়ে ১৫ স্টোনে নিয়ে এলাম। এখন আমি ১৮ সাইজের যুবতী। তবু আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের শরীরটাকে যখন দেখি নিজেকে ঘৃণা লাগে। তবুও আমি নিজেকে ইতিবাচক রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। সমুদ্র সৈকতে আমি সাঁতারের পোশাক খুব উপভোগ করি। কিন্তু একজন পুরুষের সামনে বিবস্ত্র হওয়া এটা আমার নার্ভের ওপর খুব চাপ সৃষ্টি করে। একবার একজন যুবক তো আমাকে বলেই বসলো যদি ওজন কমাই তাহলে ছেলেরা আমার দিকে বেশি আকৃষ্ট হবে।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের প্রতি ৫ জনের মধ্যে একজন বলেছেন বছরে তাদের শারীরিক সম্পর্ক হয় দু’বারেরও কম।
আবার যাদের মধ্যে এ সম্পর্ক হয় তার মধ্যে শতকরা ৫২ জন বলেছেন তারা এমন সম্পর্কে সন্তুষ্ট হতে পারেন না। শতকরা ১৭ ভাগ মানুষ বলেছেন তারা এ সম্পর্কের সময় অধিক এডভেঞ্চারপ্রিয় হয়ে ওঠেন। পার্টনারের সঙ্গে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক এড়াতে মিথ্যা বলেন শতকরা ৩২ ভাগ মানুষ। প্রতি ৫ জন নারীর একজন বলেছেন তারা এমন সম্পর্কের সময় পুরোপুরি সুখী হতে পারেন না।
জরিপে দেখা গেছে তরুণ বা যুব প্রজন্মের বেশির ভাগই অসন্তুষ্ট এ সম্পর্ক নিয়ে। তাদের বেশির ভাগকেই এমন অখুশি হয়ে ফিরতে হয়। এতে দেখা গেছে ২৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সীরা বেশি পরিমাণে শারীরক সম্পর্ক দাবি করেন এবং তাদের শতকরা হার হলো ৪৭ ভাগ।
এ বিষয়ে নারীপুরুষের সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ও কোচ কেট ম্যান্সফিল্ড বলেন, যৌন জীবনের গুণগত দিক ও সংখ্যার দ্রুত পতন ঘটেছে। এর কারণ হলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সহজেই হাতের কাছে পাওয়া যায় পর্নোগ্রাফি। এতে নারীদের ওপর একটি চাপ সৃষ্টি করে। তারা একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি হয়তো পছন্দ করেন এবং নিজেদের শরীর নিয়ে অনিরাপদ বোধ করেন। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে যাপিত জীবনের খরচ। সঙ্গে যোগ হয়েছে দীর্ঘ কর্মঘন্টা। এতে একজন মানুষ মানসিক দিক থেকে নিশ্বেষ হয়ে যায়। তবে নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন হলে তাতে হতাশা কমে। অসুস্থতা কমে। হার্টকে সুস্থ রাখে। অব্যাহতভাবে কাজ করা হলো একটি সুস্থ যৌন জীবনের অনুষঙ্গ। কিন্তু আমাদের অনেকেরই সময়ের বড় অভাব। অথবা পার্টনারকে তার জীবনের সব কথা বলতে নার্ভাস বোধ করেন। এসব বিষয়ে খোলামেলা আলোচনাকে এড়িয়ে যাওয়ার অর্থ হলো সমস্যাকে আরো বাড়িয়ে দেয়া। আমরা সিঙ্গেল থাকি অথবা একটি সম্পর্কের মধ্যে থাকি উভয় অবস্থায়ই আমাদের শরীরকে আরো বেশি ভালবাসতে হবে। আমাদের যে শারীরিক যৌন চাহিদা সে বিষয়ে প্রকাশ করতে হবে। কথা বলতে হবে। এ সম্পর্কটা কোনো বড় দায়িত্ব পালন নয়, একে দেখতে হবে ফান হিসেবে।
লন্ডনের সরকারি কর্মচারী ২৮ বছর বয়সী মনিকা বারডিগা। চার বছরের বেশি তিনি সিঙ্গেল। তিনি খুব কমই যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন। কারণ নিজের ওপর আস্থা কম। তিনি বলেন, আমি সব সময়ই একজন মোটা মেয়ে। স্কুলে আমার এমন সাইজের কারণে নানা রকম বাঁকা কথা শুনতে হতো। ছেলেরা আমার প্রতি কখনোই আগ্রহ দেখাতো না। তাই ২০-এর কোটায় যখন আমার বয়স তখন আমার তখনকার বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে আমার ভিতর আস্থা আসতে দীর্ঘ সময় লেগেছে। তার সঙ্গে আমি তিন বছর ছিলাম। সব সময়ই আমরা লাইট অফ করে দিয়ে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতাম। গত বছর মনে হলো আমাকে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে বাঁচতে হবে। তাই ২১ স্টোন থেকে ওজন কমিয়ে ১৫ স্টোনে নিয়ে এলাম। এখন আমি ১৮ সাইজের যুবতী। তবু আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের শরীরটাকে যখন দেখি নিজেকে ঘৃণা লাগে। তবুও আমি নিজেকে ইতিবাচক রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। সমুদ্র সৈকতে আমি সাঁতারের পোশাক খুব উপভোগ করি। কিন্তু একজন পুরুষের সামনে বিবস্ত্র হওয়া এটা আমার নার্ভের ওপর খুব চাপ সৃষ্টি করে। একবার একজন যুবক তো আমাকে বলেই বসলো যদি ওজন কমাই তাহলে ছেলেরা আমার দিকে বেশি আকৃষ্ট হবে।
No comments