সুন্দরবন দস্যুমুক্ত ঘোষণা ছিল আলোচিত
গেল
২০১৮ সাল নানা কারণেই ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। বিশেষ করে সুন্দরবনকে
দস্যুমুক্ত ঘোষণা করা ছিল একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ। ২০১৬ সাল থেকে শুরু হওয়া
প্রক্রিয়া ২০১৮ সালের ১লা নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে সফলতার মুখ দেখে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেদিন আনুষ্ঠানিকভাবে সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত
ঘোষণা করে দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় অঞ্চলের বনজীবী লাখ লাখ মানুষকে নিরাপদ
সুন্দরবন উপহার দিয়েছেন। তাছাড়া মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স
নীতি ঘোষণাও ছিল গেল বছরের একটি আলোচিত বিষয়। গত সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার ও মাদক
ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার ছিল চোখে পড়ার মতো। তাছাড়া সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা
রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে প্রায় আড়াইশ’ মাদক কারবারি নিহতের পর
থেকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে মাদকের ব্যবহার। এ ছাড়া মাদকের ১৯৯০ সালের
আইন সংশোধন করে গেল বছরই অনুমোদন হয়েছে নতুন আইন ‘মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ
আইন ২০১৮’।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে- মাদক দ্রব্য ইয়াবা, কোকেন, হেরোইন ও প্যাথেড্রিন জাতীয় মাদকের ব্যবহার, পরিবহন, চাষাবাদ, উৎপাদন, আমদানি-রপ্তানি বা বাজারজাত করার সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন অথবা মৃত্যুদণ্ড বিধান রেখে বিদায়ী বছর ২০১৮তে আইন পাস করা হয়। ক্ষেত্র বিশেষে মাদকের পরিমাণ ২৫ গ্রাম বা তার বেশি হলেই একই সাজার আওতায় পড়বে। গত ২৭শে ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ সঠিকভাবে কার্যকর করতে পারলে সমাজ থেকে মাদক নির্মূল করা সহজ হবে।
এদিকে, সুন্দরবনের ভারসাম্য রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ২০১২ সালে উপকূলীয় এলাকায় বনদস্যু, জলদস্যুদের দমনের জন্য র্যাব, পুলিশ, কোস্টগার্ড, বিজিবি ও বন বিভাগের সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। তারপর থেকে বেগবান হয় সুন্দরবনে র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে র্যাব এ পর্যন্ত ২২৩টি সফল অভিযানে ৫০৭ জলদস্যু ও বনদস্যু গ্রেপ্তার, ১ হাজার ৫৫৬টি অস্ত্র এবং ৩৩ হাজার ৩২৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে। ১৩৫ জন জলদস্যু ও বনদস্যু র্যাবের সঙ্গে গুলি বিনিময়ে নিহত হয়েছে। পরে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিতে ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় র্যাবের পক্ষ থেকে সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলের জলদস্যুদের বিনাশর্তে আত্মসমর্পণের বিষয়ে ২০১৬ সাল থেকে সরকার বিশেষ দৃষ্টি দেয়। যার ফলশ্রুতিতে গেল ২০১৮ সালের ১লা নভেম্বর সর্বশেষ ৬টি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
র্যাবের তথ্য অনুযায়ী, সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলে ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সালের ১লা নভেম্বর পর্যন্ত ৩২টি বাহিনীর ৩২৮ জন জলদস্যু ও বনদস্যু আত্মসমর্পণ করেছে। এরা সরকারের কাছে ৪৬২টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২২ হাজার ৫০৪ রাউন্ড গুলি জমা দিয়েছে। তাছাড়া আবার যেন জলদস্যু ও বনদস্যুর অধ্যায় ফিরে না আসে সে জন্য সুন্দরবন ও উপকূলীয় অঞ্চলে র্যাব ফোর্সেস টহল নজরদারি ও অভিযান অব্যাহত রাখাসহ সুন্দরবন অভ্যন্তরে ৪টি র্যাব ক্যাম্প স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে- মাদক দ্রব্য ইয়াবা, কোকেন, হেরোইন ও প্যাথেড্রিন জাতীয় মাদকের ব্যবহার, পরিবহন, চাষাবাদ, উৎপাদন, আমদানি-রপ্তানি বা বাজারজাত করার সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন অথবা মৃত্যুদণ্ড বিধান রেখে বিদায়ী বছর ২০১৮তে আইন পাস করা হয়। ক্ষেত্র বিশেষে মাদকের পরিমাণ ২৫ গ্রাম বা তার বেশি হলেই একই সাজার আওতায় পড়বে। গত ২৭শে ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ সঠিকভাবে কার্যকর করতে পারলে সমাজ থেকে মাদক নির্মূল করা সহজ হবে।
এদিকে, সুন্দরবনের ভারসাম্য রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ২০১২ সালে উপকূলীয় এলাকায় বনদস্যু, জলদস্যুদের দমনের জন্য র্যাব, পুলিশ, কোস্টগার্ড, বিজিবি ও বন বিভাগের সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। তারপর থেকে বেগবান হয় সুন্দরবনে র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে র্যাব এ পর্যন্ত ২২৩টি সফল অভিযানে ৫০৭ জলদস্যু ও বনদস্যু গ্রেপ্তার, ১ হাজার ৫৫৬টি অস্ত্র এবং ৩৩ হাজার ৩২৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে। ১৩৫ জন জলদস্যু ও বনদস্যু র্যাবের সঙ্গে গুলি বিনিময়ে নিহত হয়েছে। পরে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিতে ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় র্যাবের পক্ষ থেকে সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলের জলদস্যুদের বিনাশর্তে আত্মসমর্পণের বিষয়ে ২০১৬ সাল থেকে সরকার বিশেষ দৃষ্টি দেয়। যার ফলশ্রুতিতে গেল ২০১৮ সালের ১লা নভেম্বর সর্বশেষ ৬টি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
র্যাবের তথ্য অনুযায়ী, সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলে ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সালের ১লা নভেম্বর পর্যন্ত ৩২টি বাহিনীর ৩২৮ জন জলদস্যু ও বনদস্যু আত্মসমর্পণ করেছে। এরা সরকারের কাছে ৪৬২টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২২ হাজার ৫০৪ রাউন্ড গুলি জমা দিয়েছে। তাছাড়া আবার যেন জলদস্যু ও বনদস্যুর অধ্যায় ফিরে না আসে সে জন্য সুন্দরবন ও উপকূলীয় অঞ্চলে র্যাব ফোর্সেস টহল নজরদারি ও অভিযান অব্যাহত রাখাসহ সুন্দরবন অভ্যন্তরে ৪টি র্যাব ক্যাম্প স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
No comments