পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগ না করার হুমকি উত্তর কোরিয়ার
উত্তর
কোরিয়া পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র
যদি নিষেধাজ্ঞা দেয়া অব্যাহত রাখে, তাহলে পিয়ংইয়ং এই ইস্যুতে তাদের নীতি
পরিবর্তন করবে। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন এমন হুমকি দিয়েছেন। ইংরেজি
নববর্ষ উপলক্ষে দেয়া বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিবছরই উত্তর কোরিয়ার
নেতারা নববর্ষে বক্তৃতা দেন। কিম জং উনের পূর্বপুরুষরাও এ ঐতিহ্য পালন
করেছেন। নববর্ষের বক্তৃতায় সাধারণত নতুন বছরের সম্ভাব্য দেশীয় ও
আন্তর্জাতিক নীতির উল্লেখ করা হয়। গত বছরের বক্তৃতায় কিম জং উন
যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে পরিবর্তন আনার
ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
সে অনুসারে গত বছর দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে উত্তর কোরিয়া। দু’দেশের সঙ্গে পিয়ংইয়ংয়ের সম্পর্কে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। গতকাল রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলে প্রচারিত ৩০ মিনিটের বক্তৃতায় উত্তর কোরীয় নেতা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি গোটা বিশ্বের সামনে করা তাদের অঙ্গীকার রক্ষা না করে, আমাদের দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখে, তাহলে আমাদের স্বার্থ ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রাখার জন্য নতুন চিন্তা করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।’ আর ওয়াশিংটন ইতিবাচক পদক্ষেপ নিলে পিয়ংইয়ং তাদের নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়া আরো জোরদার করবে বলেও জানান কিম জং উন। বিশ্লেষকরা বলছেন, উত্তর কোরিয়া নতুন চিন্তা বলতে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি শুরু করার দিকেই ইঙ্গিত দিয়েছেন। পিয়ংইয়ং এখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। যদি এতে কাজ না হয়, তাহলে তারা আবারো পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা শুরু করতে পারে। বর্তমানে দেশটি পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে জাতিসংঘের বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার অধীনে রয়েছে। এ বিষয়ে কিম জং বলেন, উত্তর কোরিয়া ইতিমধ্যেই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি, ব্যবহার বা বিস্তার না করার অঙ্গীকার করেছে। এই অঙ্গীকার বাস্তবায়নে কঠোর পদক্ষেপও নেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে যেকোনো সময় আবারো প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে প্রস্তুত বলে জানান কিম জং উন। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে যেকোনো সময় আমি মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বসতে প্রস্তুত। এ ছাড়া, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সাধুবাদ জানায় এমন যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহণে উত্তর কোরিয়া তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
বক্তৃতার প্রায় ২০ মিনিট কিম জং উন দেশের অর্থনীতি ও মানুষের জীবনযাত্রার মান নিয়ে কথা বলেন। তিনি জানান, নতুন বছরে তার সরকার জনগণের জীবনের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেবে। একই সঙ্গে জ্বালানি স্বল্পতা কাটিয়ে উঠতেও ত্বরিত পদক্ষেপ নেয়া হবে। দক্ষিণ কোরিয়া ইস্যুতে তিনি বলেন, সিউলকে অবশ্যই বিদেশি বাহিনীর সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া বন্ধ করতে হবে। এসব মহড়াকে তিনি ‘উত্তেজনার উৎস’ আখ্যা দেন।
সে অনুসারে গত বছর দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে উত্তর কোরিয়া। দু’দেশের সঙ্গে পিয়ংইয়ংয়ের সম্পর্কে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। গতকাল রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলে প্রচারিত ৩০ মিনিটের বক্তৃতায় উত্তর কোরীয় নেতা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি গোটা বিশ্বের সামনে করা তাদের অঙ্গীকার রক্ষা না করে, আমাদের দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখে, তাহলে আমাদের স্বার্থ ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রাখার জন্য নতুন চিন্তা করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।’ আর ওয়াশিংটন ইতিবাচক পদক্ষেপ নিলে পিয়ংইয়ং তাদের নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়া আরো জোরদার করবে বলেও জানান কিম জং উন। বিশ্লেষকরা বলছেন, উত্তর কোরিয়া নতুন চিন্তা বলতে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি শুরু করার দিকেই ইঙ্গিত দিয়েছেন। পিয়ংইয়ং এখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। যদি এতে কাজ না হয়, তাহলে তারা আবারো পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা শুরু করতে পারে। বর্তমানে দেশটি পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে জাতিসংঘের বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার অধীনে রয়েছে। এ বিষয়ে কিম জং বলেন, উত্তর কোরিয়া ইতিমধ্যেই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি, ব্যবহার বা বিস্তার না করার অঙ্গীকার করেছে। এই অঙ্গীকার বাস্তবায়নে কঠোর পদক্ষেপও নেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে যেকোনো সময় আবারো প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে প্রস্তুত বলে জানান কিম জং উন। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে যেকোনো সময় আমি মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বসতে প্রস্তুত। এ ছাড়া, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সাধুবাদ জানায় এমন যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহণে উত্তর কোরিয়া তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
বক্তৃতার প্রায় ২০ মিনিট কিম জং উন দেশের অর্থনীতি ও মানুষের জীবনযাত্রার মান নিয়ে কথা বলেন। তিনি জানান, নতুন বছরে তার সরকার জনগণের জীবনের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেবে। একই সঙ্গে জ্বালানি স্বল্পতা কাটিয়ে উঠতেও ত্বরিত পদক্ষেপ নেয়া হবে। দক্ষিণ কোরিয়া ইস্যুতে তিনি বলেন, সিউলকে অবশ্যই বিদেশি বাহিনীর সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া বন্ধ করতে হবে। এসব মহড়াকে তিনি ‘উত্তেজনার উৎস’ আখ্যা দেন।
No comments