২০১৪ সালের পুনরাবৃত্তি হলে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হবে -সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম
২০১৪
সালের নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি হলে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হবে।
সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন না হলে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতার প্রশ্নটা থেকে যাবে
বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক,
কথাসাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।
এবার ভোট কারচুপি করা অতোটা সহজ হবে না উল্লেখ করে প্রখ্যাত এই ছোটগল্পকার বলেন, ৯০ শতাংশ সুষ্ঠু হলে সেটাকে আমি সুষ্ঠু নির্বাচন বলে ধরে নিবো। ড. কামাল হোসেন ইতোমধ্যে বলেছেন, ভোটকেন্দ্রে আপনারা (জনগণ) সতর্ক থাকবেন। আমি মনে করি এবার ভোট কেন্দ্রের আশপাশে অনেক বেশি সমর্থকরা থাকবেন। পরবর্তীতে নির্বাচনে যদি আওয়ামী লীগ হেরে যায় তাহলে তাদের পক্ষে জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচিতে যাওয়া সম্ভব হবে না। তারা তো অনেক আগেই বলে দিয়েছে এসব কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে না।
তিনি বলেন, এখন মানুষ অস্থিতিশীল পরিস্থিতি চায় না। এখন সরকারি দল হরতাল ডাকলেও হরতাল হবে না।
এরকম একটি পরিস্থিতিতে মানুষ চলে এসেছে। এখন মানুষ অর্থনীতির মানুষ হয়ে গেছে। রাজনীতির মানুষ নেই। রাজনীতিবিদরা রাজনীতি করলেও মাঠে কর্মী-সমর্থকদের সংখ্যা খুব কম। তারা আয়-উপার্জন ও সংসার ধর্ম পালনে ব্যস্ত। ফলে আমার মনে হয় না নির্বাচনের পরে পরিস্থিতির কোন নাটকীয় পরিবর্তন হবে।
নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা কেমন দেখছেন? এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনকে আরো শক্তিশালী অবস্থানে আসতে হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশন বলছেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে। আরেকজন কমিশন বলছে নেই। কাজেই আমার মনে হয় নির্বাচনী মাঠ মোটেই সমান নয়। সিইসির উচিত ছিল বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে দেখা। তাহলেই বুঝতে পারতেন যে আওয়ামী লীগ সবখানে যে সুযোগ পাচ্ছে বিএনপি তা পাচ্ছে না। এটা যদি হয় তাহলে নির্বাচনী প্রচারণা সুষ্ঠুভাবে হবে না। এবং প্রার্থীরা তাদের প্রার্থীতা সফল করতে পারবে না। এটা একটি প্রশ্ন থেকে যায়।
সেনাবাহিনী মাঠে নামলে অবস্থার কোন পরিবর্তন হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি মনে করি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ২৪ তারিখের পর ভালো থাকবে। কারণ সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে এবং যারা নির্বাচনে তষ্করবৃত্তি (ভোটচুরি) ও সংঘর্ষ করবে তাদের প্রতিহত করা হবে। এর আগে কম বেশি সংঘর্ষ হচ্ছে। সে সংঘর্ষে বিএনপি ঠিকভাবে প্রচারণা করতে পারছে না। তাদের বাধা দেয়া হচ্ছে। বিরোধীদলের কারো পান থেকে চুন খসলে সেখানে সমস্যা সৃষ্টি হয়। অথচ আমরা দেখেছি আওয়ামী লীগের এক মন্ত্রী প্রচারণার কাজে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে আচরণবিধী লঙ্ঘন করেছেন।
এবার ভোট কারচুপি করা অতোটা সহজ হবে না উল্লেখ করে প্রখ্যাত এই ছোটগল্পকার বলেন, ৯০ শতাংশ সুষ্ঠু হলে সেটাকে আমি সুষ্ঠু নির্বাচন বলে ধরে নিবো। ড. কামাল হোসেন ইতোমধ্যে বলেছেন, ভোটকেন্দ্রে আপনারা (জনগণ) সতর্ক থাকবেন। আমি মনে করি এবার ভোট কেন্দ্রের আশপাশে অনেক বেশি সমর্থকরা থাকবেন। পরবর্তীতে নির্বাচনে যদি আওয়ামী লীগ হেরে যায় তাহলে তাদের পক্ষে জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচিতে যাওয়া সম্ভব হবে না। তারা তো অনেক আগেই বলে দিয়েছে এসব কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে না।
তিনি বলেন, এখন মানুষ অস্থিতিশীল পরিস্থিতি চায় না। এখন সরকারি দল হরতাল ডাকলেও হরতাল হবে না।
এরকম একটি পরিস্থিতিতে মানুষ চলে এসেছে। এখন মানুষ অর্থনীতির মানুষ হয়ে গেছে। রাজনীতির মানুষ নেই। রাজনীতিবিদরা রাজনীতি করলেও মাঠে কর্মী-সমর্থকদের সংখ্যা খুব কম। তারা আয়-উপার্জন ও সংসার ধর্ম পালনে ব্যস্ত। ফলে আমার মনে হয় না নির্বাচনের পরে পরিস্থিতির কোন নাটকীয় পরিবর্তন হবে।
নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা কেমন দেখছেন? এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনকে আরো শক্তিশালী অবস্থানে আসতে হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশন বলছেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে। আরেকজন কমিশন বলছে নেই। কাজেই আমার মনে হয় নির্বাচনী মাঠ মোটেই সমান নয়। সিইসির উচিত ছিল বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে দেখা। তাহলেই বুঝতে পারতেন যে আওয়ামী লীগ সবখানে যে সুযোগ পাচ্ছে বিএনপি তা পাচ্ছে না। এটা যদি হয় তাহলে নির্বাচনী প্রচারণা সুষ্ঠুভাবে হবে না। এবং প্রার্থীরা তাদের প্রার্থীতা সফল করতে পারবে না। এটা একটি প্রশ্ন থেকে যায়।
সেনাবাহিনী মাঠে নামলে অবস্থার কোন পরিবর্তন হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি মনে করি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ২৪ তারিখের পর ভালো থাকবে। কারণ সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে এবং যারা নির্বাচনে তষ্করবৃত্তি (ভোটচুরি) ও সংঘর্ষ করবে তাদের প্রতিহত করা হবে। এর আগে কম বেশি সংঘর্ষ হচ্ছে। সে সংঘর্ষে বিএনপি ঠিকভাবে প্রচারণা করতে পারছে না। তাদের বাধা দেয়া হচ্ছে। বিরোধীদলের কারো পান থেকে চুন খসলে সেখানে সমস্যা সৃষ্টি হয়। অথচ আমরা দেখেছি আওয়ামী লীগের এক মন্ত্রী প্রচারণার কাজে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে আচরণবিধী লঙ্ঘন করেছেন।
No comments