আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে আলোচিত ২০১৮ সাল, 'প্রভাব পড়বে নির্বাচনে'
বাংলাদেশের
নির্বাচনী বছর ২০১৮ সাল জুড়ে নানা ঘটনায় আলোচিত ছিল দেশের ব্যাংক খাত।
প্রায় তিন বছর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় এখনো কোন
তদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া, খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়া, স্বর্ণ কেলেঙ্কারি,
নিরাপত্তা সঞ্চিতি (প্রভিশন) সংরক্ষণ করতে ব্যর্থতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে
আলোচনায় ছিল ব্যাংক খাত।
নির্বাচনী ডামাডোলে বিরোধী পক্ষ থেকে অর্থিক খাতের ভগ্নদশা নিয়ে কিছু প্রচারণা চালানোর চেষ্টা হলেও সরকারি দলের পক্ষ থেকে এ বিষয়টিগুলো বেমালুম চেপে যাওয়া হচ্ছে বলে উদ্বিগ্ন অর্থনীতিবিদরা।
এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. আনু মুহাম্মদ রেডিও তেহরানকে বলেন, এটা বিশেষ করে উদ্বেগের বিষয় যে, লুটপাটের মাধ্যমে যারা ব্যাকিং খাতকে পঙ্গু করে দিচ্ছে, যারা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে, তারা রাজনৈতিক ক্ষমতাও নিয়ন্ত্রণ করছে এবং মিডিয়ার মালিক হয়ে বা সরকারে বসে আইন করে জনগণের সঠিক তথ্য পাবার অধিকারও নিয়ন্ত্রণ করছে।
ড. আনু মুহাম্মদ বলেন, নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও জনগণের কাছে খবর পৌঁছে গেছে যে, কারা কিভাবে দুর্নীতি করছে, কারা ঋণ খেলাপি, কারা ব্যাংক লুটপাটে যুক্ত বা কারা রাষ্ট্রীয় খাতের বড় বড় আর্থিক কেলেঙ্কারির জন্য দায়ী। জনগণ যদি ঠিক মতো ভোট দেবার সুযোগ পান তবে নিশ্চয়ই ব্যালটে তার প্রতিফলন ঘটবে।
রিজার্ভ চুরি
২০১৬ সালে ৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে গচ্ছিত বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার বা প্রায় ৮০৮ কোটি টাকা (আটশত আট কোটি টাকা) ডিজিটাল পদ্ধতিতে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে চুরি হয়ে যায়।
এ কেলেঙ্কারির দায় মাথায় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিয়ার পদত্যাগ করলেও এ চুরি যাওয়া অর্থ ফেরত পাওয়া তো দূরের কথা, চুরিটা কীভাবে হয়েছে, কারা এর সাথে যুক্ত তার কিছুই দেশবাসী জানতে পারেনি। এ মাসের গোড়ার দিকে এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দেবার কথা থাকলেও তদন্তকারী সংস্থা তা জমা দিতে ব্যর্থ হয়। এ ঘটনায় আদালত এ যাবৎ ৩০ বার তারিখ পরিবর্তন করে আগামী ৯ জানুয়ারী প্রতিবেদন জমা দেবার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছে।
খেলাপি ঋণ
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৫ হাজার ৩৭ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব মতে, দেশের ব্যাংকিং খাতের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৫১ কোটি টাকা। এর মধ্যে রয়েছে, আদায়-অযোগ্য হয়ে পড়ায় গত ডিসেম্বর পর্যন্ত মামলায় অন্তর্ভূক্ত ৫৫ হাজার ৩১১ কোটি টাকার অবলোপনকৃত খেলাপি ঋণ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নির্বাচনী বছরে এসে গত জুন পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ছ’টি ব্যাংকের বিতরণেকৃত ১ লাখ ৫১ হাজার ৭৫৯ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে খেলাপি হয়ে পড়েছে ৪২ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা, যা এসব ব্যাংকের মোট বিতরণ করা ঋণের ২৮ দশমিক ২৪ শতাংশ। তবে ঋণখেলাপীদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করা এবং ব্যাংক ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করতে তেমন কোনো কার্যকর উদ্যোগ না দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
স্বর্ণ কেলেঙ্কারি
এ বছর জুলাই মাসে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত কর্মকর্তারা অনুসন্ধান করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রাখা ৯৬৩ কেজি সোনার মান নিয়ে অনিয়ম খুঁজে পায়। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একটি প্রতিবেদন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়েছে।
তবে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হলে, বাংলাদেশ ব্যাংক সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, ভল্টে রক্ষিত সোনায় কোনো ধরনের হেরফের হয়নি। স্বর্ণকারের ভুলে ভাষার গণ্ডগোলে নথিভুক্ত করার সময় ইংরেজি-বাংলার অসামঞ্জস্যতা ঘটেছে।
ব্যাংক লোপাট
এর আগে চলতি ডিসেম্বর মাসের গোড়ার দিকে এক সংবাদ সম্মেলন করে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের দুই মেয়াদে গত দশ বছরে দেশের ব্যাংক খাত থেকে ২২ হাজার ৫০২ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন তার প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে বলেন, দেশের ব্যাংকিংখাত থেকে এ বিপুল পরিমান অর্থ লোপাট হবার ব্যাপারে সরকারি কোনো ব্যবস্থা সেভাবে দৃশ্যমান হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, বর্তমান সরকারের দুই মেয়াদে ব্যাংকিংখাতে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটেছে। সুশাসনের অভাবে বিভিন্নভাবে লুটপাট হওয়ায় পুরো আর্থিকখাতে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ড. খন্দকার ইব্রাহীম খালেদ বলেছেন, বর্তমানে ব্যাংকিংখাতের অবস্থা একেবারেই নাজুক। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামীতে মধ্যম আয়ের দেশের যে স্বপ্ন তা বাধাগ্রস্ত হবে। বিগত সরকার এ খাতের যে ক্ষতি করেছে তা পুষিয়ে নিতে আগামীতে কী করবে সেটি এখনই তাদের বলা উচিত।
অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদউদ্দীন মাহমুদ বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের মাঠে নেমেছে দলগুলো। অথচ ব্যাংকিংখাতের সুশাসন কিংবা স্থিতিশীলতা কীভাবে আসবে ইশতেহারে তার কোনো কিছু আমরা দেখছি না। তাদেরও প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে। তা না হলে আগামীতে অবস্থা হবে আরো ভয়াবহ।
এমন বিশৃঙ্খল অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক শক্তিশালীকরণ, নতুন ব্যাংক অনুমোদন না দেওয়া, দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্তিশালী বিচারিক ব্যবস্থাসহ কয়েকটি সুপারিশও তুলে ধরে সিপিডি। যা বাস্তবায়নে পরবর্তী সরকার কাজ করবে বলেও আশা প্রকাশ করে সিপিডি।
বেড়েছে রেমিট্যান্স
তবে আশার কথা হচ্ছে, বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ধারা কয়েক বছর ধরেই ইতিবাচক রয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে প্রবাসীরা ৫১০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ১২ শতাংশ বেশি।
নির্বাচনী ডামাডোলে বিরোধী পক্ষ থেকে অর্থিক খাতের ভগ্নদশা নিয়ে কিছু প্রচারণা চালানোর চেষ্টা হলেও সরকারি দলের পক্ষ থেকে এ বিষয়টিগুলো বেমালুম চেপে যাওয়া হচ্ছে বলে উদ্বিগ্ন অর্থনীতিবিদরা।
এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. আনু মুহাম্মদ রেডিও তেহরানকে বলেন, এটা বিশেষ করে উদ্বেগের বিষয় যে, লুটপাটের মাধ্যমে যারা ব্যাকিং খাতকে পঙ্গু করে দিচ্ছে, যারা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে, তারা রাজনৈতিক ক্ষমতাও নিয়ন্ত্রণ করছে এবং মিডিয়ার মালিক হয়ে বা সরকারে বসে আইন করে জনগণের সঠিক তথ্য পাবার অধিকারও নিয়ন্ত্রণ করছে।
ড. আনু মুহাম্মদ বলেন, নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও জনগণের কাছে খবর পৌঁছে গেছে যে, কারা কিভাবে দুর্নীতি করছে, কারা ঋণ খেলাপি, কারা ব্যাংক লুটপাটে যুক্ত বা কারা রাষ্ট্রীয় খাতের বড় বড় আর্থিক কেলেঙ্কারির জন্য দায়ী। জনগণ যদি ঠিক মতো ভোট দেবার সুযোগ পান তবে নিশ্চয়ই ব্যালটে তার প্রতিফলন ঘটবে।
রিজার্ভ চুরি
২০১৬ সালে ৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে গচ্ছিত বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার বা প্রায় ৮০৮ কোটি টাকা (আটশত আট কোটি টাকা) ডিজিটাল পদ্ধতিতে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে চুরি হয়ে যায়।
এ কেলেঙ্কারির দায় মাথায় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিয়ার পদত্যাগ করলেও এ চুরি যাওয়া অর্থ ফেরত পাওয়া তো দূরের কথা, চুরিটা কীভাবে হয়েছে, কারা এর সাথে যুক্ত তার কিছুই দেশবাসী জানতে পারেনি। এ মাসের গোড়ার দিকে এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দেবার কথা থাকলেও তদন্তকারী সংস্থা তা জমা দিতে ব্যর্থ হয়। এ ঘটনায় আদালত এ যাবৎ ৩০ বার তারিখ পরিবর্তন করে আগামী ৯ জানুয়ারী প্রতিবেদন জমা দেবার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছে।
খেলাপি ঋণ
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৫ হাজার ৩৭ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব মতে, দেশের ব্যাংকিং খাতের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৫১ কোটি টাকা। এর মধ্যে রয়েছে, আদায়-অযোগ্য হয়ে পড়ায় গত ডিসেম্বর পর্যন্ত মামলায় অন্তর্ভূক্ত ৫৫ হাজার ৩১১ কোটি টাকার অবলোপনকৃত খেলাপি ঋণ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নির্বাচনী বছরে এসে গত জুন পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ছ’টি ব্যাংকের বিতরণেকৃত ১ লাখ ৫১ হাজার ৭৫৯ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে খেলাপি হয়ে পড়েছে ৪২ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা, যা এসব ব্যাংকের মোট বিতরণ করা ঋণের ২৮ দশমিক ২৪ শতাংশ। তবে ঋণখেলাপীদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করা এবং ব্যাংক ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করতে তেমন কোনো কার্যকর উদ্যোগ না দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
স্বর্ণ কেলেঙ্কারি
এ বছর জুলাই মাসে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত কর্মকর্তারা অনুসন্ধান করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রাখা ৯৬৩ কেজি সোনার মান নিয়ে অনিয়ম খুঁজে পায়। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একটি প্রতিবেদন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়েছে।
তবে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হলে, বাংলাদেশ ব্যাংক সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, ভল্টে রক্ষিত সোনায় কোনো ধরনের হেরফের হয়নি। স্বর্ণকারের ভুলে ভাষার গণ্ডগোলে নথিভুক্ত করার সময় ইংরেজি-বাংলার অসামঞ্জস্যতা ঘটেছে।
ব্যাংক লোপাট
এর আগে চলতি ডিসেম্বর মাসের গোড়ার দিকে এক সংবাদ সম্মেলন করে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের দুই মেয়াদে গত দশ বছরে দেশের ব্যাংক খাত থেকে ২২ হাজার ৫০২ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন তার প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে বলেন, দেশের ব্যাংকিংখাত থেকে এ বিপুল পরিমান অর্থ লোপাট হবার ব্যাপারে সরকারি কোনো ব্যবস্থা সেভাবে দৃশ্যমান হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, বর্তমান সরকারের দুই মেয়াদে ব্যাংকিংখাতে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটেছে। সুশাসনের অভাবে বিভিন্নভাবে লুটপাট হওয়ায় পুরো আর্থিকখাতে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ড. খন্দকার ইব্রাহীম খালেদ বলেছেন, বর্তমানে ব্যাংকিংখাতের অবস্থা একেবারেই নাজুক। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামীতে মধ্যম আয়ের দেশের যে স্বপ্ন তা বাধাগ্রস্ত হবে। বিগত সরকার এ খাতের যে ক্ষতি করেছে তা পুষিয়ে নিতে আগামীতে কী করবে সেটি এখনই তাদের বলা উচিত।
অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদউদ্দীন মাহমুদ বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের মাঠে নেমেছে দলগুলো। অথচ ব্যাংকিংখাতের সুশাসন কিংবা স্থিতিশীলতা কীভাবে আসবে ইশতেহারে তার কোনো কিছু আমরা দেখছি না। তাদেরও প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে। তা না হলে আগামীতে অবস্থা হবে আরো ভয়াবহ।
এমন বিশৃঙ্খল অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক শক্তিশালীকরণ, নতুন ব্যাংক অনুমোদন না দেওয়া, দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্তিশালী বিচারিক ব্যবস্থাসহ কয়েকটি সুপারিশও তুলে ধরে সিপিডি। যা বাস্তবায়নে পরবর্তী সরকার কাজ করবে বলেও আশা প্রকাশ করে সিপিডি।
বেড়েছে রেমিট্যান্স
তবে আশার কথা হচ্ছে, বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ধারা কয়েক বছর ধরেই ইতিবাচক রয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে প্রবাসীরা ৫১০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ১২ শতাংশ বেশি।
No comments