ডাকে-কুরিয়ারে আসছে ভয়ঙ্কর মাদক by রুদ্র মিজান
দেখতে
গ্রিন টি বা সবুজ চায়ের পাতার মতোই। পান করা যায় সেভাবেই। কিন্তু তা চা
নয়। এ এক অন্যরকম নেশা। পান করে বুঁদ হয়ে যায় সেবনকারীরা। নেশা হয় ইয়াবার
মতোই। সম্প্রতি এই মাদকের কবলে পড়েছে দেশ। দেশের বাইরে থেকে মাদক আসছে
আকাশপথে। ব্যবহার করা হচ্ছে ডাক বিভাগকে। এছাড়া দেশের অভ্যন্তরে কুরিয়ার
সার্ভিসের মাধ্যমে ইয়াবা পাঠানো হচ্ছে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে।
দেশে আসা নতুন এই মাদক ঢাকায় পরিচিতি পেয়েছে খাত ও খাট নামে। বিশেষজ্ঞরা জানান, চায়ের পাতার মতো দেখতে ওই পাতার নাম ‘নিউ সাইকোট্রফিক সাবস্ট্যানসেস’। সংক্ষপে এনপিএস। এটি চিবিয়ে যেমন খাওয়া হয় তেমনি চায়ের মতো পান করা যায়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মনে করে, দেশের অভ্যন্তরে যেমন এই মাদক ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে একইভাবে দেশকে আন্তর্জাতিক মাদক কারবারিরা রুট হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। ইতিমধ্যে ভয়ঙ্কর এই মাদক প্রতিরোধে সক্রিয় হয়ে উঠেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গত এক সপ্তাহে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে খাতের তিনটি চালান জব্দ করেছেন গোয়েন্দারা। তবে বড় চালানটি জব্দ করেছে সিআইডি।
সিআইডি’র অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার রাজীব ফারহান মানবজমিনকে জানান, গত ৯ই সেপ্টেম্বর ২ কোটি ৩৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকা মূলের খাত জব্দ করা হয়েছে। প্রতিটি ১৬ কেজি ওজনের ৯৬টি কার্টনে করে ইথিওপিয়া থেকে ডাকযোগে ঢাকায় পাঠানো হয় এই মাদক। এতে তুরাগের এশা এন্টারপ্রাইজসহ ব্যবসায়ী আলমগীর, সাইফুল অনেকে জড়িত।
বিমানবন্দর দিয়ে সরাসরি মাদক আমদানি ঝুঁকি হওয়ায় ডাক বিভাগের মাধ্যমে মাদক আমদানি করছিল এই চক্র। গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে ডাক বিভাগের বৈদেশিক পার্সেল শাখা থেকে মাদক জব্দ করা হয়। এ বিষয়ে সোমবার পল্টন থানায় মামলা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত জব্দকৃত নতুন মাদকের মধ্যে এই চালানটি সবচেয়ে বড়।
সেপ্টেম্বরের শুরুতেই মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এক অভিযানে প্রথম জব্দ করা হয় খাত। এরপরই তোলপাড় শুরু হয় নতুন এই মাদক নিয়ে। গ্রিন-টির মোড়ক দিয়ে আবৃত করে ব্যাগে আনা হয় এই মাদক। নতুন মাদক খাতের ৪৬৭ কেজির একটি চালান শাহজালাল বিমানবন্দর ও ৩৯৪ কেজির আরেকটি চালান শান্তিনগর থেকে জব্দ করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
তারপরই সিআইডি’র অভিযানের দেড় টনেরও বেশি খাত জব্দ করা হয়। এর আগে বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবহার করে দেশের অভ্যন্তরে ইয়াবা পরিবহন করতো মাদক কারবারিরা। এবার ব্যবহার করা হয়েছে ডাক বিভাগকে। এ বিষয়ে সিআইডি’র ডিআইজি শাহ আলম বলেন, ডাক বিভাগকে ব্যবহার করে মাদক আমদানির বিষয়টা আমাদের কাছে নতুন।
গত ৩১শে আগস্ট প্রথম বার জব্দ করা হয় খাত। খাতের ওই চালানটি এসেছিল আদ্দিস আবাবা থেকে ঢাকার নওয়াহিন এন্টারপ্রাইজের জিয়াদ মহম্মদ ইউসুফ নামে এক ব্যক্তির কাছে। কার্টনগুলো খুলে সাধারণভাবে কোনো অবৈধ জিনিস বলে মনে হচ্ছিল না। যা গ্রিন-টি বলেই মনে করছিলেন অনেকে। পরে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানান, এটি চায়ের পাতার মতো দেখতে হলেও আসলে একটি মাদক। এরপরই অভিযান চালায় শুল্ক বিভাগ। অভিযান চালিয়ে ৮৬১ কেজি খাতসহ নাজিম নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।
তারপর ৬ই সেপ্টেম্বর ধরা পড়ে খাতের আরেকটি চালান। চালানটি এসেছিল ভারতের মুম্বই থেকে। ওইদিন নয়টি সন্দেহজনক কার্টন দেখে আটক করা হয়। এতেও পাওয়া যায় খাত। ৮ই সেপ্টেম্বর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ইউনিটের ভেতর থেকে ১৬০ কিলোগ্রাম এনপিএস আটক করে শুল্ক বিভাগ।
গত ২০শে আগস্ট মতিঝিলের দিলকুশা এলাকার সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ঢাকায় আসে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা। র্যাব জানায়, ৪০টি ক্রিমের কৌটায় বিশেষ কায়দায় লুকানো ছিল ইয়াবা। প্রতিটি কৌটায় ১০ হাজার পিস ইয়াবা ছিল। খবর পেয়ে কুরিয়ার সার্ভিসের আশেপাশে অবস্থান নেয় র্যাব। ইয়াবা নিতে এলে গ্রেপ্তার করা হয় চার মাদক ব্যবসায়ীকে।
কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে দীর্ঘদিন থেকেই মরণনেশা ইয়াবা নিরাপদে পরিবহন করা হচ্ছে। গত বছরের ৯ই জুলাই এলিফ্যান্ট রোডের শেল সিদ্দিক বহুতল ভবনে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় রবিউল ইসলাম ও ডালিয়াকে। তাদের তথ্যানুসারে গ্রেপ্তার করা হয় ডালিয়ার বোন স্বপ্না ও তার স্বামী শামীম আহমেদ, রানী ও মনোয়ারা বেগমকে। এই পুরো পরিবারটি মাদক ব্যবসায়ী পরিবার। এই চক্রের টাইলস ও ইলেকট্রিকের দোকানের আড়ালে মূল ব্যবসা ছিল মাদক। এই চক্রের হোতা হেলাল উদ্দিন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ইয়াবা পাঠাতো ঢাকায়। তারপরই কুরিয়ার সার্ভিসের ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক খুরশিদ আলম জানান, কুরিয়ার সার্ভিসগুলোর প্রতি আমাদের নজরদারি রয়েছে। মাদক প্রতিরোধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর তৎপর রয়েছে বলে জানান তিনি।
দেশে আসা নতুন এই মাদক ঢাকায় পরিচিতি পেয়েছে খাত ও খাট নামে। বিশেষজ্ঞরা জানান, চায়ের পাতার মতো দেখতে ওই পাতার নাম ‘নিউ সাইকোট্রফিক সাবস্ট্যানসেস’। সংক্ষপে এনপিএস। এটি চিবিয়ে যেমন খাওয়া হয় তেমনি চায়ের মতো পান করা যায়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মনে করে, দেশের অভ্যন্তরে যেমন এই মাদক ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে একইভাবে দেশকে আন্তর্জাতিক মাদক কারবারিরা রুট হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। ইতিমধ্যে ভয়ঙ্কর এই মাদক প্রতিরোধে সক্রিয় হয়ে উঠেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গত এক সপ্তাহে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে খাতের তিনটি চালান জব্দ করেছেন গোয়েন্দারা। তবে বড় চালানটি জব্দ করেছে সিআইডি।
সিআইডি’র অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার রাজীব ফারহান মানবজমিনকে জানান, গত ৯ই সেপ্টেম্বর ২ কোটি ৩৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকা মূলের খাত জব্দ করা হয়েছে। প্রতিটি ১৬ কেজি ওজনের ৯৬টি কার্টনে করে ইথিওপিয়া থেকে ডাকযোগে ঢাকায় পাঠানো হয় এই মাদক। এতে তুরাগের এশা এন্টারপ্রাইজসহ ব্যবসায়ী আলমগীর, সাইফুল অনেকে জড়িত।
বিমানবন্দর দিয়ে সরাসরি মাদক আমদানি ঝুঁকি হওয়ায় ডাক বিভাগের মাধ্যমে মাদক আমদানি করছিল এই চক্র। গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে ডাক বিভাগের বৈদেশিক পার্সেল শাখা থেকে মাদক জব্দ করা হয়। এ বিষয়ে সোমবার পল্টন থানায় মামলা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত জব্দকৃত নতুন মাদকের মধ্যে এই চালানটি সবচেয়ে বড়।
সেপ্টেম্বরের শুরুতেই মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এক অভিযানে প্রথম জব্দ করা হয় খাত। এরপরই তোলপাড় শুরু হয় নতুন এই মাদক নিয়ে। গ্রিন-টির মোড়ক দিয়ে আবৃত করে ব্যাগে আনা হয় এই মাদক। নতুন মাদক খাতের ৪৬৭ কেজির একটি চালান শাহজালাল বিমানবন্দর ও ৩৯৪ কেজির আরেকটি চালান শান্তিনগর থেকে জব্দ করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
তারপরই সিআইডি’র অভিযানের দেড় টনেরও বেশি খাত জব্দ করা হয়। এর আগে বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবহার করে দেশের অভ্যন্তরে ইয়াবা পরিবহন করতো মাদক কারবারিরা। এবার ব্যবহার করা হয়েছে ডাক বিভাগকে। এ বিষয়ে সিআইডি’র ডিআইজি শাহ আলম বলেন, ডাক বিভাগকে ব্যবহার করে মাদক আমদানির বিষয়টা আমাদের কাছে নতুন।
গত ৩১শে আগস্ট প্রথম বার জব্দ করা হয় খাত। খাতের ওই চালানটি এসেছিল আদ্দিস আবাবা থেকে ঢাকার নওয়াহিন এন্টারপ্রাইজের জিয়াদ মহম্মদ ইউসুফ নামে এক ব্যক্তির কাছে। কার্টনগুলো খুলে সাধারণভাবে কোনো অবৈধ জিনিস বলে মনে হচ্ছিল না। যা গ্রিন-টি বলেই মনে করছিলেন অনেকে। পরে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানান, এটি চায়ের পাতার মতো দেখতে হলেও আসলে একটি মাদক। এরপরই অভিযান চালায় শুল্ক বিভাগ। অভিযান চালিয়ে ৮৬১ কেজি খাতসহ নাজিম নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।
তারপর ৬ই সেপ্টেম্বর ধরা পড়ে খাতের আরেকটি চালান। চালানটি এসেছিল ভারতের মুম্বই থেকে। ওইদিন নয়টি সন্দেহজনক কার্টন দেখে আটক করা হয়। এতেও পাওয়া যায় খাত। ৮ই সেপ্টেম্বর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ইউনিটের ভেতর থেকে ১৬০ কিলোগ্রাম এনপিএস আটক করে শুল্ক বিভাগ।
গত ২০শে আগস্ট মতিঝিলের দিলকুশা এলাকার সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ঢাকায় আসে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা। র্যাব জানায়, ৪০টি ক্রিমের কৌটায় বিশেষ কায়দায় লুকানো ছিল ইয়াবা। প্রতিটি কৌটায় ১০ হাজার পিস ইয়াবা ছিল। খবর পেয়ে কুরিয়ার সার্ভিসের আশেপাশে অবস্থান নেয় র্যাব। ইয়াবা নিতে এলে গ্রেপ্তার করা হয় চার মাদক ব্যবসায়ীকে।
কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে দীর্ঘদিন থেকেই মরণনেশা ইয়াবা নিরাপদে পরিবহন করা হচ্ছে। গত বছরের ৯ই জুলাই এলিফ্যান্ট রোডের শেল সিদ্দিক বহুতল ভবনে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় রবিউল ইসলাম ও ডালিয়াকে। তাদের তথ্যানুসারে গ্রেপ্তার করা হয় ডালিয়ার বোন স্বপ্না ও তার স্বামী শামীম আহমেদ, রানী ও মনোয়ারা বেগমকে। এই পুরো পরিবারটি মাদক ব্যবসায়ী পরিবার। এই চক্রের টাইলস ও ইলেকট্রিকের দোকানের আড়ালে মূল ব্যবসা ছিল মাদক। এই চক্রের হোতা হেলাল উদ্দিন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ইয়াবা পাঠাতো ঢাকায়। তারপরই কুরিয়ার সার্ভিসের ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক খুরশিদ আলম জানান, কুরিয়ার সার্ভিসগুলোর প্রতি আমাদের নজরদারি রয়েছে। মাদক প্রতিরোধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর তৎপর রয়েছে বলে জানান তিনি।
No comments