জাতিসংঘ-বিএনপি বৈঠক নির্বাচন নিয়ে আলোচনা
জাতিসংঘের
রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল রোজমেরি এ. ডিকার্লোসহ
সংস্থাটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা
ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধি দল। বৈঠকে বাংলাদেশের
আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই নির্বাচন জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে
অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। স্থানীয় সময় বুধবার সকালে নিউ ইয়র্কের
ম্যানহাটনে জাতিসংঘের সদর দফতরে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে জাতিসংঘের সহকারী
সেক্রেটারি জেনারেল মিরোসøাভ জেনকাসহ সংস্থাটির পাঁচজন উর্দ্ধতন কর্মকর্তা
অংশ নেন। অন্যদিকে মির্জা আলমগীরের সঙ্গে ছিলেন তাঁর দলের অপর দুই নেতা
হুমায়ন কবীর ও তাবিথ আউয়াল।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এক ঘন্টা স্থায়ী এ বৈঠকে বাংলাদেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরে বিএনপি’র প্রতিনিধি দলটি। বৈঠকের উদ্দেশে তাঁরা জাতিসংঘ ভবনে প্রবেশ করেন সকাল ১০টার কিছু আগে। আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরুর আগে তারা সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মিরোসøাভের দফতরে অপেক্ষা করেন। ওই দফতরেই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে মির্জা ফখরুল ও বিএনপি’র অপর দুই নেতা বৈঠকের উদ্দেশে মঙ্গলবার বিকেলে নিউ ইয়র্কে এসে পৌঁছান। বুধবার জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তাঁরা ওয়াশিংটনের উদ্দেশে রওয়ানা দেন। সেখানে মার্কিন প্রশাসনের একাধিক উর্দ্ধতন কর্মকর্তার সঙ্গে তাদের বৈঠকের কথা রয়েছে।
জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও তাঁর সহকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় অপেক্ষমান কয়েকজন বাংলাদেশি সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংক্ষেপে বলেন, আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছি। মানবাধিবার পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছি।
সেক্রেটারি জেনারেলের পক্ষে তার রাজনৈতিক বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও অন্যরা আমাদের বক্তব্য শুনেছেন।
তবে ওয়াকিবহাল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে যে, বিএনপি নেতৃবৃন্দ জাতিসংঘের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন যে, বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন পুরোপুরি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে সম্পন্ন করে বর্তমান ক্ষমতাসীনরা আবারও রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে রাখতে চায়। এ লক্ষে তারা বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর বহু নেতা-কর্মীকে জেলে আটকে রেখেছে। তাদের বিরদ্ধে লাখ লাখ মিথ্যা মামলা দিয়ে রেখেছে। স্বয়ং বিএনপি চেয়ারপারসনকে মিথ্যা মামলায় জেলে আটকে রেখেছে। কোনো গ্রহণযোগ্য কারণ ছাড়াই তার জামিন পাবার অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। এ অবস্থায় বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন সামান্যতমও অবাধ ও নিরপেক্ষ হওয়ার সুযোগ নেই। এ পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানান তারা। এ ব্যাপারে জাতিসংঘ কর্মকর্তারা বিষয়টি সেক্রেটারি জেনারেলের নজরে নেয়ার আশ্বাস দেন।
জানা যায়, কিছুকাল আগে জাতিসংঘের মহাসচিব এন্টোনিও গুতেরেস যখন ঢাকায় গিয়েছিলেন তখন তার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য এপয়েন্টমেন্ট চেয়েছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কিন্তু সে সময় তাকে সাক্ষাত দিতে পারেননি। সে কারণেই এ পর্যায়ে বিএনপি মহাসচিবকে এখন বৈঠকের জন্য নিউ ইয়র্কে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু জাতিসংঘ মহাসচিব তাঁর পূর্ব নির্ধারিত সফরে আফ্রিকা ও ইউরোপ সফরে চলে যাওয়ায় তাঁর পক্ষে অন্য কর্মকর্তারা বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এক ঘন্টা স্থায়ী এ বৈঠকে বাংলাদেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরে বিএনপি’র প্রতিনিধি দলটি। বৈঠকের উদ্দেশে তাঁরা জাতিসংঘ ভবনে প্রবেশ করেন সকাল ১০টার কিছু আগে। আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরুর আগে তারা সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মিরোসøাভের দফতরে অপেক্ষা করেন। ওই দফতরেই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে মির্জা ফখরুল ও বিএনপি’র অপর দুই নেতা বৈঠকের উদ্দেশে মঙ্গলবার বিকেলে নিউ ইয়র্কে এসে পৌঁছান। বুধবার জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তাঁরা ওয়াশিংটনের উদ্দেশে রওয়ানা দেন। সেখানে মার্কিন প্রশাসনের একাধিক উর্দ্ধতন কর্মকর্তার সঙ্গে তাদের বৈঠকের কথা রয়েছে।
জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও তাঁর সহকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় অপেক্ষমান কয়েকজন বাংলাদেশি সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংক্ষেপে বলেন, আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছি। মানবাধিবার পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছি।
সেক্রেটারি জেনারেলের পক্ষে তার রাজনৈতিক বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও অন্যরা আমাদের বক্তব্য শুনেছেন।
তবে ওয়াকিবহাল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে যে, বিএনপি নেতৃবৃন্দ জাতিসংঘের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন যে, বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন পুরোপুরি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে সম্পন্ন করে বর্তমান ক্ষমতাসীনরা আবারও রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে রাখতে চায়। এ লক্ষে তারা বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর বহু নেতা-কর্মীকে জেলে আটকে রেখেছে। তাদের বিরদ্ধে লাখ লাখ মিথ্যা মামলা দিয়ে রেখেছে। স্বয়ং বিএনপি চেয়ারপারসনকে মিথ্যা মামলায় জেলে আটকে রেখেছে। কোনো গ্রহণযোগ্য কারণ ছাড়াই তার জামিন পাবার অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। এ অবস্থায় বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন সামান্যতমও অবাধ ও নিরপেক্ষ হওয়ার সুযোগ নেই। এ পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানান তারা। এ ব্যাপারে জাতিসংঘ কর্মকর্তারা বিষয়টি সেক্রেটারি জেনারেলের নজরে নেয়ার আশ্বাস দেন।
জানা যায়, কিছুকাল আগে জাতিসংঘের মহাসচিব এন্টোনিও গুতেরেস যখন ঢাকায় গিয়েছিলেন তখন তার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য এপয়েন্টমেন্ট চেয়েছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কিন্তু সে সময় তাকে সাক্ষাত দিতে পারেননি। সে কারণেই এ পর্যায়ে বিএনপি মহাসচিবকে এখন বৈঠকের জন্য নিউ ইয়র্কে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু জাতিসংঘ মহাসচিব তাঁর পূর্ব নির্ধারিত সফরে আফ্রিকা ও ইউরোপ সফরে চলে যাওয়ায় তাঁর পক্ষে অন্য কর্মকর্তারা বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
No comments