ইমাম হুসাইনের (আ) কাফেলাকে ঘেরাও করতে আসে ৪০০০ সেনা
আজ
হতে ১৩৭৮ বছর আগে ৬১ হিজরির এই দিনে (৩ মহররম) ইমাম হুসাইনের (আ) কাফেলাকে
ঘেরাও করতে কারবালায় আসে উমাইয়া কমান্ডার ওমর সাদ। তার সঙ্গে আসে চার
হাজার সেনা। এর আগের দিন ইমাম হুসাইন (আ.) কারবালায় পৌঁছেন।
ইমাম হুসাইন (আ.) তেসরা মহররম কারাবালায় তাবু স্থাপন করেন। আর ইয়াজিদ বাহিনীর সেনাপতি ওমর ইবনে সাদ তার সেনাদের নিয়ে কারবালায় পৌঁছে। প্রথমে নানা জায়গায় ইমামের কাফেলার তাবুগুলো কিছুটা উঁচু বা টিলার মত স্থানে বসানো হয়েছিল। কিন্তু পরে ইমাম (আ.) সমতল বা কিছুটা গর্তময় স্থানে তাবু বসানোর নির্দেশ দেন। সম্ভবত এর কারণ ছিল শিশু ও নারীদেরকে যাতে যুদ্ধের দৃশ্য দেখতে না হয়।
হোর ইবনে ইয়াজিদ (রা.) নামের একজন সেনা কর্মকর্তা সর্ব প্রথম কারবালায় ইমাম শিবিরের বিপরীতে তাবু গাঁড়েন। তিনিই ওবায়দুল্লাহ ইবনে জিয়াদকে প্রথম খবর দেন যে ইমাম হুসাইন (আ.) কারবালায় এসেছেন। (হোর পরে ইয়াজিদের পক্ষ ত্যাগ করে ইমামের শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন এবং ইয়াজিদ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করে শহীদ হন।)
ইমাম জানতেন কারবালায় কি ঘটতে যাচ্ছে। তিনি তেসরা মহররমই কারবালার জমি স্থানীয় নেইনাভাবাসীদের কাছ থেকে কিনে নেন। তিনি তাদের এ শর্ত দেন যে ভবিষ্যতে যারা এখানে নবী (সা) পরিবারের সদস্যদের কবর জিয়ারত করতে আসবেন তাদের জন্য আপ্যায়ন করা হয় ও পথ দেখিয়ে দেয়া হয়।
কুফায় নিযুক্ত উমাইয়া গভর্নর ইবনে জিয়াদ দোসরা মহররম ইমামের কাছে একটি চিঠি পাঠান। ওই চিঠিতে সে জানায়, তাঁকে ও তাঁর সঙ্গীদেরকে ইয়াজিদের প্রতি বায়আত বা আনুগত্যের অঙ্গীকার করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে, এর অন্যথা হলে তাঁদেরকে হত্যা করতে বলেছেন ইয়াজিদ। ইমাম এ চিঠির জবাব না দিয়ে বললেন, ওবায়দুল্লাহ ইবনে জিয়াদের জন্য কঠিন শাস্তি অপেক্ষা করছে।
ইবনে জিয়াদ ইমামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে ওমর বিন সাদকে পাঠান। তাকে ইরানের রেই শহরের শাসনভার দেয়ার লোভ দেখানো হয়। (এই শহরটি ইরানের আধুনিক তেহরান শহরের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত)। সাদ ইমামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে ভয় পাচ্ছিল। কিন্তু একদল সঙ্গীর নিষেধ সত্ত্বেও সে শেষ পর্যন্ত ইমামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে অগ্রসর হয়। তেসরা মহররম কুফার চার হাজার সেনা নিয়ে ওমর বিন সাদ কারবালায় প্রবেশ করে। সে প্রথমে ইমামের উদ্দেশ্য সম্পর্কে একজন দূতের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে জানতে পারে যে, ইমাম বলেছেন, কুফার জনগণই তাঁকে দাওয়াত করেছে ও প্রতিনিধিও পাঠিয়েছিল তাঁর কাছে যাতে তিনি এই শহরে আসেন। তারা (কুফাবাসী) যদি তাঁর আগমনে অসন্তুষ্ট হয়ে থাকে তাহলে তিনি ফিরে যাবেন বলে জানান।
ওমর বিন সাদ এই তথ্য ইবনে জিয়াদের কাছে পাঠালে ইবনে জিয়াদ ধারণা করে যে ইমাম (আ.) যুদ্ধের ফাঁদে পড়েও মুক্তির আশা করছেন, কিন্তু সে সুযোগ আর নেই। তিনি সাদকে এক চিঠিতে জানান, তোমার চিঠি পেয়ে সব কিছু জেনেছি। হোসাইন (আ) ও তাঁর সঙ্গীদের বল ইয়াজিদের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করতে। যদি তারা তা করে তাহলে আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত জানাব। সাদ বুঝতে পারে যে জিয়াদের উদ্দেশ্য ভাল নয়। তাই সে জিয়াদের এই চিঠি ইমামের (আ.) কাছে পাঠায়নি। কারণ, সে জানত ইমাম হুসাইন (আ.) কখনও ইয়াজিদের প্রতি আনুগত্য করবেন না।
ইমাম হুসাইন (আ.) তেসরা মহররম কারাবালায় তাবু স্থাপন করেন। আর ইয়াজিদ বাহিনীর সেনাপতি ওমর ইবনে সাদ তার সেনাদের নিয়ে কারবালায় পৌঁছে। প্রথমে নানা জায়গায় ইমামের কাফেলার তাবুগুলো কিছুটা উঁচু বা টিলার মত স্থানে বসানো হয়েছিল। কিন্তু পরে ইমাম (আ.) সমতল বা কিছুটা গর্তময় স্থানে তাবু বসানোর নির্দেশ দেন। সম্ভবত এর কারণ ছিল শিশু ও নারীদেরকে যাতে যুদ্ধের দৃশ্য দেখতে না হয়।
হোর ইবনে ইয়াজিদ (রা.) নামের একজন সেনা কর্মকর্তা সর্ব প্রথম কারবালায় ইমাম শিবিরের বিপরীতে তাবু গাঁড়েন। তিনিই ওবায়দুল্লাহ ইবনে জিয়াদকে প্রথম খবর দেন যে ইমাম হুসাইন (আ.) কারবালায় এসেছেন। (হোর পরে ইয়াজিদের পক্ষ ত্যাগ করে ইমামের শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন এবং ইয়াজিদ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করে শহীদ হন।)
ইমাম জানতেন কারবালায় কি ঘটতে যাচ্ছে। তিনি তেসরা মহররমই কারবালার জমি স্থানীয় নেইনাভাবাসীদের কাছ থেকে কিনে নেন। তিনি তাদের এ শর্ত দেন যে ভবিষ্যতে যারা এখানে নবী (সা) পরিবারের সদস্যদের কবর জিয়ারত করতে আসবেন তাদের জন্য আপ্যায়ন করা হয় ও পথ দেখিয়ে দেয়া হয়।
কুফায় নিযুক্ত উমাইয়া গভর্নর ইবনে জিয়াদ দোসরা মহররম ইমামের কাছে একটি চিঠি পাঠান। ওই চিঠিতে সে জানায়, তাঁকে ও তাঁর সঙ্গীদেরকে ইয়াজিদের প্রতি বায়আত বা আনুগত্যের অঙ্গীকার করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে, এর অন্যথা হলে তাঁদেরকে হত্যা করতে বলেছেন ইয়াজিদ। ইমাম এ চিঠির জবাব না দিয়ে বললেন, ওবায়দুল্লাহ ইবনে জিয়াদের জন্য কঠিন শাস্তি অপেক্ষা করছে।
ইবনে জিয়াদ ইমামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে ওমর বিন সাদকে পাঠান। তাকে ইরানের রেই শহরের শাসনভার দেয়ার লোভ দেখানো হয়। (এই শহরটি ইরানের আধুনিক তেহরান শহরের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত)। সাদ ইমামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে ভয় পাচ্ছিল। কিন্তু একদল সঙ্গীর নিষেধ সত্ত্বেও সে শেষ পর্যন্ত ইমামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে অগ্রসর হয়। তেসরা মহররম কুফার চার হাজার সেনা নিয়ে ওমর বিন সাদ কারবালায় প্রবেশ করে। সে প্রথমে ইমামের উদ্দেশ্য সম্পর্কে একজন দূতের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে জানতে পারে যে, ইমাম বলেছেন, কুফার জনগণই তাঁকে দাওয়াত করেছে ও প্রতিনিধিও পাঠিয়েছিল তাঁর কাছে যাতে তিনি এই শহরে আসেন। তারা (কুফাবাসী) যদি তাঁর আগমনে অসন্তুষ্ট হয়ে থাকে তাহলে তিনি ফিরে যাবেন বলে জানান।
ওমর বিন সাদ এই তথ্য ইবনে জিয়াদের কাছে পাঠালে ইবনে জিয়াদ ধারণা করে যে ইমাম (আ.) যুদ্ধের ফাঁদে পড়েও মুক্তির আশা করছেন, কিন্তু সে সুযোগ আর নেই। তিনি সাদকে এক চিঠিতে জানান, তোমার চিঠি পেয়ে সব কিছু জেনেছি। হোসাইন (আ) ও তাঁর সঙ্গীদের বল ইয়াজিদের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করতে। যদি তারা তা করে তাহলে আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত জানাব। সাদ বুঝতে পারে যে জিয়াদের উদ্দেশ্য ভাল নয়। তাই সে জিয়াদের এই চিঠি ইমামের (আ.) কাছে পাঠায়নি। কারণ, সে জানত ইমাম হুসাইন (আ.) কখনও ইয়াজিদের প্রতি আনুগত্য করবেন না।
No comments