সাধারণের ভোট ভাবনা by মরিয়ম চম্পা
সামনে
জাতীয় নির্বাচন। ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে নির্বাচনী আলোচনা ও
জল্পনা-কল্পনা। আগামী নির্বাচনে কোন দল ক্ষমতায় আসবে। কেমন নির্বাচন হবে।
আদৌ নির্বাচন হবে কি-না। এমন সব আলোচনা ঠাঁই পাচ্ছে ঢাকা শহরের বিভিন্ন
চায়ের টং দোকান থেকে শুরু করে পার্ক, রাস্তাঘাট, ফুচকার দোকান, স্কুল-কলেজ
এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও। এ প্রসঙ্গে প্রাইভেট গাড়িচালক রবিউল
ইসলাম বলেন, আগামী নির্বাচনে এমন সরকার চাই যে সরকার কিনা দেশ-দশ ও সবার
ভালো চায়।
একইসঙ্গে নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণ করাটা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে বিগত নির্বাচনগুলো ভালো হয়েছে। তাই আমি চাই, আগামী নির্বাচনও তত্ত্বাবধায়ক ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হোক। রাস্তার পাশে বসে জুতা সেলাই ও পালিশ করেন ফারুক। তিনি বলেন, ‘অতোকিছু বুঝি না। যে সরকার আমাগো পেট ভরে তিন বেলা থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করবে, জনসাধারণের ভালো চাইবে- এমন সরকার চাই। তাছাড়া আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে চাই। কারণ বিগত নির্বাচনগুলোতে আমরা ভোট দিতে পারি নি। ভোট ছাড়া নির্বাচন হয় কীভাবে?
পত্রিকার হকার মো. হারুন অর রশীদ বলেন, আমরা একটি সুষ্ঠু ও ভালো নির্বাচন দেখতে চাই। এক্ষেত্রে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো বিকল্প নাই। কারণ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাটা ভালো ও নিরাপদ। এতে নির্বাচনে পক্ষপাতিত্ব হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। একই সঙ্গে সকল দলের অংশগ্রহণে একটি সুন্দর নির্বাচন দেখতে চাই।
চা বিক্রেতা মো. আক্তার হোসেন বলেন, বিগত সব নির্বাচনে যেভাবে ভোট দিয়েছি এবারো একইভাবে ভোট দিতে চাই। একই সঙ্গে বলতে চাই- নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক দলগুলো যেন নিজেদের মধ্যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা না করে। মিলেমিশে একটি সুন্দর নির্বাচন সম্পন্ন করেন। ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী মো. কাওসার আহমেদ বলেন, অবশ্যই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া উচিত। নতুন ভোটার হিসেবে বলতে চাই, বর্তমান সরকারকে সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। একজন নতুন ভোটার হিসেবে চাইবো আমার ভোটটি যেন অন্য কেউ না দিতে পারে। আমার ভোট আমি দিবো, দেখে-শুনে বুঝে দিবো, যাকে খুশি তাকে দিবো।
হাসপাতালের স্টাফ মামুন অর রশীদ মামুন বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চাই।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেগম জিয়াকে কারাগারে রেখে নির্বাচনে যাওয়াটা যৌক্তিক হবে না। একইসঙ্গে সকল দলমতের প্রতি সরকারকে নমনীয় ও কোমল হতে হবে। তবেই সম্ভব একটি ভালো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া। মেডিকেল কর্মচারী ঈশা খান বলেন, ভোট আদৌ হবে কিনা সেটাও ভাবনার বিষয়। কষ্ট করে, রোদে পুড়ে, সময় নষ্ট করে ভোট দিতে গিয়ে যখন দেখি আমার ভোটটি অন্য কেউ দিয়ে ফেলেছে তার থেকে ভোটকেন্দ্রে না যাওয়াই তো ভালো। কারণ যে দেশে ভোটকেন্দ্রে না গিয়েও ভোট হয়ে যায়, সে দেশে কীভাবে একটি ভালো নির্বাচন আশা করতে পারি। আগামী নির্বাচনে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয় সেটাই চাইবো। উইমেন্স ফেডারেশনের অনার্সের শিক্ষার্থী সাদিয়া বলেন, আমি এ বছর নতুন ভোটার।
কিন্তু কাউকেই আমি ভোট দিবো না। আমি ভোটকেন্দ্রে যাবো ঠিকই তবে না ভোট দিবো। কারণ যাকেই ভোট দেই না কেন ভালো কিছু হবে না। ভালো কিছু হতে হলে নতুন একজনকে ক্ষমতায় আসতে হবে। যে সরকার ব্যবস্থা হবে দুর্নীতিমুক্ত সরকার ব্যবস্থা। অন্যথায় যেমন চলছে তেমনই চলবে। উইমেন্স ফেডারেশন কলেজের শিক্ষার্থী বুসরা বলেন, যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন দেশের কোনো সুব্যবস্থা হবে না। শুধু শুধু ভোট দিয়ে বা ভোট নষ্ট করে লাভ নেই। তাই মূল্যবান ভোটটি নষ্ট করতে চাই না। তার থেকে ভালো- ভোটই দিবো না। দেখা গেল যাকে ভরসা করে, বিশ্বাস করে ভোট দিলাম সেও দুর্নীতিগ্রস্ত। পুলিশ অফিসার কামাল বলেন, নির্বাচন একটা রাজনৈতিক বিষয়। এ বিষয়ে মন্তব্য না করাই ভালো।
তাছাড়া আমরা অন ডিউটি থাকা অবস্থায় ভোট দিতে পারি না। যদি ছুটিতে থাকি তাহলে যেখানে ভোটার হয়েছি উক্ত এলাকায় গিয়ে ভোট দিতে হয়। ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী সোনিয়া সরকার বলেন, বর্তমান সরকারকেই আমরা পুনরায় ক্ষমতায় দেখতে চাই। শেখ হাসিনার সরকারের সকল কর্মকাণ্ডই আমার ভালো লাগে। তার বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমূলক উদ্যোগ সবকিছুই প্রশংসনীয়। তাছাড়া একই ব্যক্তি ক্ষমতায় থাকলে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকে। ডেফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নোমান বলেন, নতুন ভোটার হিসেবে আমি খুবই এক্সাইটেড যে, প্রথমবারের মতো ভোট দিবো। যদি নির্বাচন হয়, যদি ভোট দেয়ার সুযোগ পাই তাহলে অবশ্যই যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিবো। কারণ বর্তমানে সবকিছুই হচ্ছে একতরফা।
সব কিছুই সরকার তার নিজের খেয়াল-খুশি মতো করে যাচ্ছে। এতে জনগণের ভালো হলো না মন্দ হলো সেটা তারা ভেবে দেখেন না। এ অবস্থায় নতুন ভোটার হিসেবে কিছুটা শঙ্কিত। কি হবে আগামী নির্বাচনে। একজন সরকারি চাকরিজীবী বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি এমন যে, নির্বাচনটা একতরফা নির্বাচনের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এরকম অবস্থা বিদ্যমান থাকলে দেশের পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাই। ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী বাপ্পি বলেন, সর্বদলীয় অংশগ্রহণে নির্বাচন হলে জনগণ তাদের মত প্রকাশের অধিকার পাবে।
আগামী নির্বাচনে একজন সৎ ও যোগ্য ব্যক্তি ক্ষমতায় আসলে দেশের উন্নয়ন হবে। আমরা চাই একজন সৎ ও যোগ্য সরকার নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসুক। বিসিএসআইআর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাহিম বলেন, আমরা চাই ভালো সরকার ক্ষমতায় আসুক। যে চুরি-চামারি করবে না। দেশের উন্নয়ন করবে। ভবিষ্যতে আমরা কোনো দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে ক্ষমতায় দেখতে চাই না। এমন সরকার চাই যে হবে দুর্নীতিমুক্ত। একজন গৃহিণী বলেন, আমি মনে করি বর্তমানে আমরা নিরাপদ না। ইচ্ছা করলেও মন খুলে অনেক কথাই বলতে পারি না। এখন আমি কিছু বলার পরে যদি আমাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। আমার নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হয় তাহলে আমাকে রক্ষা করবে কে।
কি যে হওয়া উচিত আর কি যে হচ্ছে কিছুই বুঝি না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের শিক্ষার্থী সুদীপ্ত মিত্র বলেন, আমরা চাই একটি ফেয়ার নির্বাচন হোক। যেটা আন্তর্জাতিক ও জাতীয় উভয় ক্ষেত্রে স্বীকৃতি পাবে। নির্বাচনে যেন কোনো ধরনের কারচুপি না হয়। সকল মানুষ বা ভোটার যেন ভোট দেয়ার মাধ্যমে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারে। ফুচকা বিক্রেতা মো. মন্টু বলেন, আমরা সাধারণ জনগণ কিছু বললেই কি আর না বললেই কি। তার পরেও বলতে চাই, যে যোগ্য সেই ক্ষমতায় আসুক- একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আমরা চাইবো নির্দলীয়-নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে একজন যোগ্য ব্যক্তি নির্বাচিত হোক। ব্যবসায়ী সালাহ উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনাই ঠিক আছে। তার সরকারের কোনো বিকল্প নেই। বেসরকারি চাকরিজীবী মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, আমরা ভোটের অধিকার ও ভাতের অধিকার ফিরে পেতে চাই। সবাই যেনো সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারে। তা না হলে গণতন্ত্র বলে কিছু থাকবে না।
ধানমন্ডি নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী মো. রাজিব হোসেন বলেন, আমরা নিরাপদ সড়ক, দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র ও নাগরিক অধিকার ফেরত চাই। ফেয়ার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থপেডিকস বিভাগের ডা. মো. সজল বলেন, সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচন ও নিরাপদ সমাজ ব্যবস্থা চাই। আগামী প্রজন্ম যেনো স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে। এই নিশ্চয়তা যে দিতে পারবে এমন সরকার চাই।
রিকশাচালক মো. বকুল মিয়া বলেন, ‘নির্বাচন নিয়া আমাগো ভাইবা লাভ কি? পাবলিকরা কয়জনে ভোট দিতে পারে। সব তো নিজেরা নিজেরাই দিয়া ফালায়।’
একইসঙ্গে নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণ করাটা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে বিগত নির্বাচনগুলো ভালো হয়েছে। তাই আমি চাই, আগামী নির্বাচনও তত্ত্বাবধায়ক ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হোক। রাস্তার পাশে বসে জুতা সেলাই ও পালিশ করেন ফারুক। তিনি বলেন, ‘অতোকিছু বুঝি না। যে সরকার আমাগো পেট ভরে তিন বেলা থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করবে, জনসাধারণের ভালো চাইবে- এমন সরকার চাই। তাছাড়া আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে চাই। কারণ বিগত নির্বাচনগুলোতে আমরা ভোট দিতে পারি নি। ভোট ছাড়া নির্বাচন হয় কীভাবে?
পত্রিকার হকার মো. হারুন অর রশীদ বলেন, আমরা একটি সুষ্ঠু ও ভালো নির্বাচন দেখতে চাই। এক্ষেত্রে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো বিকল্প নাই। কারণ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাটা ভালো ও নিরাপদ। এতে নির্বাচনে পক্ষপাতিত্ব হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। একই সঙ্গে সকল দলের অংশগ্রহণে একটি সুন্দর নির্বাচন দেখতে চাই।
চা বিক্রেতা মো. আক্তার হোসেন বলেন, বিগত সব নির্বাচনে যেভাবে ভোট দিয়েছি এবারো একইভাবে ভোট দিতে চাই। একই সঙ্গে বলতে চাই- নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক দলগুলো যেন নিজেদের মধ্যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা না করে। মিলেমিশে একটি সুন্দর নির্বাচন সম্পন্ন করেন। ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী মো. কাওসার আহমেদ বলেন, অবশ্যই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া উচিত। নতুন ভোটার হিসেবে বলতে চাই, বর্তমান সরকারকে সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। একজন নতুন ভোটার হিসেবে চাইবো আমার ভোটটি যেন অন্য কেউ না দিতে পারে। আমার ভোট আমি দিবো, দেখে-শুনে বুঝে দিবো, যাকে খুশি তাকে দিবো।
হাসপাতালের স্টাফ মামুন অর রশীদ মামুন বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চাই।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেগম জিয়াকে কারাগারে রেখে নির্বাচনে যাওয়াটা যৌক্তিক হবে না। একইসঙ্গে সকল দলমতের প্রতি সরকারকে নমনীয় ও কোমল হতে হবে। তবেই সম্ভব একটি ভালো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া। মেডিকেল কর্মচারী ঈশা খান বলেন, ভোট আদৌ হবে কিনা সেটাও ভাবনার বিষয়। কষ্ট করে, রোদে পুড়ে, সময় নষ্ট করে ভোট দিতে গিয়ে যখন দেখি আমার ভোটটি অন্য কেউ দিয়ে ফেলেছে তার থেকে ভোটকেন্দ্রে না যাওয়াই তো ভালো। কারণ যে দেশে ভোটকেন্দ্রে না গিয়েও ভোট হয়ে যায়, সে দেশে কীভাবে একটি ভালো নির্বাচন আশা করতে পারি। আগামী নির্বাচনে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয় সেটাই চাইবো। উইমেন্স ফেডারেশনের অনার্সের শিক্ষার্থী সাদিয়া বলেন, আমি এ বছর নতুন ভোটার।
কিন্তু কাউকেই আমি ভোট দিবো না। আমি ভোটকেন্দ্রে যাবো ঠিকই তবে না ভোট দিবো। কারণ যাকেই ভোট দেই না কেন ভালো কিছু হবে না। ভালো কিছু হতে হলে নতুন একজনকে ক্ষমতায় আসতে হবে। যে সরকার ব্যবস্থা হবে দুর্নীতিমুক্ত সরকার ব্যবস্থা। অন্যথায় যেমন চলছে তেমনই চলবে। উইমেন্স ফেডারেশন কলেজের শিক্ষার্থী বুসরা বলেন, যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন দেশের কোনো সুব্যবস্থা হবে না। শুধু শুধু ভোট দিয়ে বা ভোট নষ্ট করে লাভ নেই। তাই মূল্যবান ভোটটি নষ্ট করতে চাই না। তার থেকে ভালো- ভোটই দিবো না। দেখা গেল যাকে ভরসা করে, বিশ্বাস করে ভোট দিলাম সেও দুর্নীতিগ্রস্ত। পুলিশ অফিসার কামাল বলেন, নির্বাচন একটা রাজনৈতিক বিষয়। এ বিষয়ে মন্তব্য না করাই ভালো।
তাছাড়া আমরা অন ডিউটি থাকা অবস্থায় ভোট দিতে পারি না। যদি ছুটিতে থাকি তাহলে যেখানে ভোটার হয়েছি উক্ত এলাকায় গিয়ে ভোট দিতে হয়। ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী সোনিয়া সরকার বলেন, বর্তমান সরকারকেই আমরা পুনরায় ক্ষমতায় দেখতে চাই। শেখ হাসিনার সরকারের সকল কর্মকাণ্ডই আমার ভালো লাগে। তার বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমূলক উদ্যোগ সবকিছুই প্রশংসনীয়। তাছাড়া একই ব্যক্তি ক্ষমতায় থাকলে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকে। ডেফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নোমান বলেন, নতুন ভোটার হিসেবে আমি খুবই এক্সাইটেড যে, প্রথমবারের মতো ভোট দিবো। যদি নির্বাচন হয়, যদি ভোট দেয়ার সুযোগ পাই তাহলে অবশ্যই যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিবো। কারণ বর্তমানে সবকিছুই হচ্ছে একতরফা।
সব কিছুই সরকার তার নিজের খেয়াল-খুশি মতো করে যাচ্ছে। এতে জনগণের ভালো হলো না মন্দ হলো সেটা তারা ভেবে দেখেন না। এ অবস্থায় নতুন ভোটার হিসেবে কিছুটা শঙ্কিত। কি হবে আগামী নির্বাচনে। একজন সরকারি চাকরিজীবী বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি এমন যে, নির্বাচনটা একতরফা নির্বাচনের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এরকম অবস্থা বিদ্যমান থাকলে দেশের পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাই। ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী বাপ্পি বলেন, সর্বদলীয় অংশগ্রহণে নির্বাচন হলে জনগণ তাদের মত প্রকাশের অধিকার পাবে।
আগামী নির্বাচনে একজন সৎ ও যোগ্য ব্যক্তি ক্ষমতায় আসলে দেশের উন্নয়ন হবে। আমরা চাই একজন সৎ ও যোগ্য সরকার নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসুক। বিসিএসআইআর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাহিম বলেন, আমরা চাই ভালো সরকার ক্ষমতায় আসুক। যে চুরি-চামারি করবে না। দেশের উন্নয়ন করবে। ভবিষ্যতে আমরা কোনো দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে ক্ষমতায় দেখতে চাই না। এমন সরকার চাই যে হবে দুর্নীতিমুক্ত। একজন গৃহিণী বলেন, আমি মনে করি বর্তমানে আমরা নিরাপদ না। ইচ্ছা করলেও মন খুলে অনেক কথাই বলতে পারি না। এখন আমি কিছু বলার পরে যদি আমাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। আমার নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হয় তাহলে আমাকে রক্ষা করবে কে।
কি যে হওয়া উচিত আর কি যে হচ্ছে কিছুই বুঝি না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের শিক্ষার্থী সুদীপ্ত মিত্র বলেন, আমরা চাই একটি ফেয়ার নির্বাচন হোক। যেটা আন্তর্জাতিক ও জাতীয় উভয় ক্ষেত্রে স্বীকৃতি পাবে। নির্বাচনে যেন কোনো ধরনের কারচুপি না হয়। সকল মানুষ বা ভোটার যেন ভোট দেয়ার মাধ্যমে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারে। ফুচকা বিক্রেতা মো. মন্টু বলেন, আমরা সাধারণ জনগণ কিছু বললেই কি আর না বললেই কি। তার পরেও বলতে চাই, যে যোগ্য সেই ক্ষমতায় আসুক- একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আমরা চাইবো নির্দলীয়-নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে একজন যোগ্য ব্যক্তি নির্বাচিত হোক। ব্যবসায়ী সালাহ উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনাই ঠিক আছে। তার সরকারের কোনো বিকল্প নেই। বেসরকারি চাকরিজীবী মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, আমরা ভোটের অধিকার ও ভাতের অধিকার ফিরে পেতে চাই। সবাই যেনো সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারে। তা না হলে গণতন্ত্র বলে কিছু থাকবে না।
ধানমন্ডি নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী মো. রাজিব হোসেন বলেন, আমরা নিরাপদ সড়ক, দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র ও নাগরিক অধিকার ফেরত চাই। ফেয়ার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থপেডিকস বিভাগের ডা. মো. সজল বলেন, সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচন ও নিরাপদ সমাজ ব্যবস্থা চাই। আগামী প্রজন্ম যেনো স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে। এই নিশ্চয়তা যে দিতে পারবে এমন সরকার চাই।
রিকশাচালক মো. বকুল মিয়া বলেন, ‘নির্বাচন নিয়া আমাগো ভাইবা লাভ কি? পাবলিকরা কয়জনে ভোট দিতে পারে। সব তো নিজেরা নিজেরাই দিয়া ফালায়।’
No comments