পদ্মার ডান তীরে ভাঙন ফের আতঙ্ক
জেলার
নড়িয়া উপজেলার পদ্মার ভাঙনের তীব্রতা কমলেও আতঙ্ক কাটেনি ক্ষতিগ্রস্ত
মানুষের। পানি কমতে শুরু করলেও আবার ভাঙনের ভয়াবহ রূপ নিতে পারে- এমন
আশঙ্কা করছে নদী তীরের ক্ষতিগ্রস্ত বসবাসকারী মানুষ। আতঙ্কে পদ্মার পাড়ের
শত শত পরিবার অন্যত্র চলে যাচ্ছে। এদিকে নদীর গতিপথ পরিবর্তনের জন্য
ড্রেজিংয়ের জাহাজ নড়িয়া পদ্মার পাড়ে চলে এসেছে। আরো দুইটি ড্রেজিংয়ের জাহাজ
যথা সময়ের মধ্য চলে আসবে। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে বেড়িবাঁধের কাজ শুরু হবে।
পদ্মার ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
থেমে থেমে মানুষের ঘরবাড়ি পদ্মার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে। দ্রুত বাড়িঘর সরিয়ে নিয়েছে। নড়িয়ার তিনটি ইউনিয়ন মধ্য মোক্তাকারের চর, কেদারপুর, ঘড়িষার। এর মধ্যে বেশ ক্ষতি হয়েছে কেদারপুর, ও মোক্তাকারের চর এই ইউনিয়নের ১২টি গ্রাম ও একটি পৌরসভার ২নং ও ৪নং ওয়ার্ডেরসহ প্রায় ৭ হাজার মানুষের ঘরবাড়ি পদ্মার গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পদ্মার পাড়ের তারা মিয়া বেপারী, মোজাফর হাওলাদার, লক্ষ্মী দত্ত, আব্বাস খান, আবদুল কাদির শেখ ও শাজাহান সিকদারের স্ত্রী সকিনা বেগম বলেন, এ বছর বর্ষা মৌসুম থেকে শুরু করে নড়িয়া দুইটি ইউনিয়নের একটি পৌরসভার আংশিক ও নড়িয়া ৫০ শয্যা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স (নতুন) ভবনসহ অসংখ্য মানুষের ঘরবাড়ি, দালানকোঠা বিলীন হয়ে গেল। কেদারপুর ইউপি সদস্য রফিক উদ্দীন বলেন, মানুষের চোখের সামনে বাপ-দাদার ভিটাবাড়ি ও ২শ’ বছরের কবর ও মসজিদ এবং মন্দির ও শ্মশান পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে গেল। অনেকের বহুতল ভবন, লাইফ কেয়ার ক্লিনিক, দেওয়ান শপিংমল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সরকারি বেসরকারি স্থাপনা বিলীন গেছে। ক্ষতিগ্রস্তরা আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি, কেউ ভাড়া বাড়ি কেউ রাস্তার পাশে, স্কুল মাঠে, কেউ মানুষের জমি ভাড়া করে উঠাইছে, কেউ খোলা আকাশের নিচে ঝুপড়ি করে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী গত ২/৩ মাসে ৫ হাজার ৮১ ও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। পদ্মার এমন ভয়ঙ্কর রূপ ১ বছরে কেউ এই রকম দেখিনি। এ দিকে গত অর্থ বছরে প্রধানমন্ত্রীর একনেকের মিটিং এ ১ হাজার ৯৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। এ ছাড়া ভাঙন ঠেকানোর জন্য অতিরিক্ত ৮ কোটি, ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। শরীয়তপুর জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রকাশ কৃষ্ণ সরকার বলেন, আসা করি এখন পানি কমবে এবং নদীর স্রোতও অনুকূলে চলে আসবে। সরকারের নির্দেশে আমরা ড্রেজিং কাজ শুরু করতে পারবো। নড়িয়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার সানজিদা ইয়াসমিন বলেন, পদ্মার ভাঙনে বাপ-দাদার ভিটাবাড়ি ঘর ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত আছে। প্রতিদিন বিভিন্ন পয়েন্টে আমরা ত্রাণ দিচ্ছি যেমন গত রোববার মোক্তাকারের চর ২০০০ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার ও পৌরসভার ২নং ও ৪নং ওয়াডে ১৭০০ পরিবারকে ৩০ কেজি করে চাল দিয়েছি। গতকাল ন্যাশনাল ব্যাংক ত্রাণ দিবে। এই জন্য আমরা আগামীকাল ৩০ কেজি করে বাকিদের দিবো এমনি ভাবে সরকারের নির্দেশে চার মাস ক্ষতিগ্রস্তরা চাল পাবে।
শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের বলেন, নড়িয়া উপজেলায় পদ্মা নদীর ডান তীর ভাঙনে মানুষের ভিটেবাড়ি ঘর দরজা সব নিঃস্ব হয়ে গেছে। বিধায় সরকারে পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
থেমে থেমে মানুষের ঘরবাড়ি পদ্মার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে। দ্রুত বাড়িঘর সরিয়ে নিয়েছে। নড়িয়ার তিনটি ইউনিয়ন মধ্য মোক্তাকারের চর, কেদারপুর, ঘড়িষার। এর মধ্যে বেশ ক্ষতি হয়েছে কেদারপুর, ও মোক্তাকারের চর এই ইউনিয়নের ১২টি গ্রাম ও একটি পৌরসভার ২নং ও ৪নং ওয়ার্ডেরসহ প্রায় ৭ হাজার মানুষের ঘরবাড়ি পদ্মার গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পদ্মার পাড়ের তারা মিয়া বেপারী, মোজাফর হাওলাদার, লক্ষ্মী দত্ত, আব্বাস খান, আবদুল কাদির শেখ ও শাজাহান সিকদারের স্ত্রী সকিনা বেগম বলেন, এ বছর বর্ষা মৌসুম থেকে শুরু করে নড়িয়া দুইটি ইউনিয়নের একটি পৌরসভার আংশিক ও নড়িয়া ৫০ শয্যা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স (নতুন) ভবনসহ অসংখ্য মানুষের ঘরবাড়ি, দালানকোঠা বিলীন হয়ে গেল। কেদারপুর ইউপি সদস্য রফিক উদ্দীন বলেন, মানুষের চোখের সামনে বাপ-দাদার ভিটাবাড়ি ও ২শ’ বছরের কবর ও মসজিদ এবং মন্দির ও শ্মশান পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে গেল। অনেকের বহুতল ভবন, লাইফ কেয়ার ক্লিনিক, দেওয়ান শপিংমল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সরকারি বেসরকারি স্থাপনা বিলীন গেছে। ক্ষতিগ্রস্তরা আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি, কেউ ভাড়া বাড়ি কেউ রাস্তার পাশে, স্কুল মাঠে, কেউ মানুষের জমি ভাড়া করে উঠাইছে, কেউ খোলা আকাশের নিচে ঝুপড়ি করে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী গত ২/৩ মাসে ৫ হাজার ৮১ ও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। পদ্মার এমন ভয়ঙ্কর রূপ ১ বছরে কেউ এই রকম দেখিনি। এ দিকে গত অর্থ বছরে প্রধানমন্ত্রীর একনেকের মিটিং এ ১ হাজার ৯৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। এ ছাড়া ভাঙন ঠেকানোর জন্য অতিরিক্ত ৮ কোটি, ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। শরীয়তপুর জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রকাশ কৃষ্ণ সরকার বলেন, আসা করি এখন পানি কমবে এবং নদীর স্রোতও অনুকূলে চলে আসবে। সরকারের নির্দেশে আমরা ড্রেজিং কাজ শুরু করতে পারবো। নড়িয়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার সানজিদা ইয়াসমিন বলেন, পদ্মার ভাঙনে বাপ-দাদার ভিটাবাড়ি ঘর ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত আছে। প্রতিদিন বিভিন্ন পয়েন্টে আমরা ত্রাণ দিচ্ছি যেমন গত রোববার মোক্তাকারের চর ২০০০ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার ও পৌরসভার ২নং ও ৪নং ওয়াডে ১৭০০ পরিবারকে ৩০ কেজি করে চাল দিয়েছি। গতকাল ন্যাশনাল ব্যাংক ত্রাণ দিবে। এই জন্য আমরা আগামীকাল ৩০ কেজি করে বাকিদের দিবো এমনি ভাবে সরকারের নির্দেশে চার মাস ক্ষতিগ্রস্তরা চাল পাবে।
শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের বলেন, নড়িয়া উপজেলায় পদ্মা নদীর ডান তীর ভাঙনে মানুষের ভিটেবাড়ি ঘর দরজা সব নিঃস্ব হয়ে গেছে। বিধায় সরকারে পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
No comments