কারাগারে আদালত স্থাপন সংবিধান সম্মত নয় -সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল
গণফোরামের
সভাপতি ও সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, কারাগারে আদালত বসানো
সংবিধানসম্মত নয়। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা সুবিধা পাওয়া সংবিধানস্বীকৃত
অধিকার। দেশে বেআইনি ধরপাকড় চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার আইন না মেনেই
দেশ শাসন করছে। বেআইনি ধরপাকড় চলতে থাকলে এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আদালতে
যাওয়ারও কথা বলেন তিনি। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে
তিনি এসব কথা বলেন। চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য তুলে ধরতে গণফোরাম এ
সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
ড. কামাল হোসেন বলেন, সাদা পোশাকে ধরপাকড়ের ব্যাপারে কিছুটা তদন্তের দরকার আছে। এরা কারা? সাদা পোশাকে তো কাউকে ধরার ক্ষমতা আইনে দেয়া নেই। এখানে রিস্ক আছে! এখন মানুষ যদি সাদা পোশাকওয়ালাদের ধরে বলে তুমি কে? পোশাক এই কারণেই দেয়া হয় সাধারণ মানুষ যাতে বুঝতে পারেন তারা রাষ্ট্রপক্ষের দায়িত্ববান লোক। পোশাক না পরলে মানুষ ধরে নিতে পারে, এরা হলো ছিনতাইকারী। এরা মানুষকে অন্যায়ভাবে কিডন্যাপ করছে। এই কারণেও কিন্তু এই প্রক্রিয়া বন্ধ হওয়া উচিত। তিনি বলেন, আইনে এই বিধান নেই যে সাদা পোশাক পরে কেউ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারে। হয়তো বিশেষ ক্ষেত্রে পোশাক না পরা লোক এটা করতে পারে। যারা ইউনিফর্ম পরে তারা একটি ডিসিপ্লিনের মধ্যে থাকে, তাদের পরিচয় থাকে।
যাদের ধরার ক্ষমতা আছে, তাদের আইনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হতে হবে। আজকে আমাদের উদ্বেগ প্রকাশ করতে হচ্ছে হয়তো আমরা সাংবিধানিক শাসনের বাইরে চলে যাচ্ছি। সংবিধানের বাইরে গিয়ে করলে তা বেআইনি শাসন এবং সাধারণ মানুষকে হয়রানির পর্যায়ে পড়ে। এটা বেশি হলে আমরা গুরুতর সংকটের সম্মুখিন হবো। সরকারকে এই ব্যাপারে সজাগ হতে হবে, যাতে এই জিনিসগুলো দ্রুত বন্ধ করা যায়। হঠাৎ ধরপাকড় আতঙ্ক, পুরনো মামলা সচল, ঘটনা ঘটেনি অথচ মামলা করে রেখেছে পুলিশ, এমন দাবি করে কামাল হোসেন বলেন, ‘মৃত ব্যক্তিকে ককটেল ছুড়তে দেখেছে পুলিশ! এগুলো পুলিশ সম্পর্কে উদ্বেগের কারণ। এ রকম ঘটনা একটার পর একটা ঘটছে। এটা অবশ্যই উদ্বেগের কারণ।
তিনি বলেন, সাংবিধানিক শাসন যেখানে থাকে, সেখানে পুলিশের ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকে। যেখানে স্বৈরতন্ত্র থাকে, সেখানে ইচ্ছামতো লোকজন ধরা যায়, মানুষকে গুম করা যায়। সাংবিধানিক শাসন থাকলে কাউকে ধরলে বলতে হবে, কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তা জানাতে হবে।
কোর্টে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাজির করতে হবে, যাতে সে জামিন নিতে পারে। একবার-দুবার এরকম হলে আমরা বলতে পারি বিশেষ কারণে হয়তো এই আইন অমান্য করা হয়েছে। কিন্তু রীতিমতো যদি হতেই থাকে, তাহলে তো আর আমাদের সাংবিধানিক শাসন থাকে না। সবচেয়ে আপত্তিকর যেই জিনিসটার ব্যাপারে সরকারকে আমরা জানাবো যে এই আদেশ যদি পুলিশকে দিয়ে থাকেন, আপনারা এটা থেকে বিরত থাকুন। অন্যথায় আমরা কোর্টে যাবো। পুলিশ যদি আদেশ না পেয়ে এরকম করে থাকে, তাহলে সেটা আরো গুরুতর অপরাধ। আর যদি ওপর থেকে আদেশ দেয়া হয়, তাহলে এ ধরনের আদেশ বেআইনি। নির্বাচনকে সামনে রেখে যদি এগুলো করতে থাকে সরকার, তাহলে পরিবেশটা নষ্ট হচ্ছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে গণফোরাম সভাপতি বলেন, এখানে কোনো দল বা নেতানেত্রীর পক্ষে বলছি না। একটা অসুস্থ মানুষের কথা বলছি। আমি মনে করি আমাদের তো একটা ঐতিহ্য আছে পাকিস্তান আমল থেকেই, যে কেউ অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে নেয়া। যারা বিচারাধীন তাদের জন্য সব হাসপাতালেই ব্যবস্থা রয়েছে। আমি বলবো না নিজের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে সিদ্ধান্ত নিন। তবে, নীতির যে জায়গা আছে সেখান থেকে বিশেষ বিশেষভাবে হয়রানি, অসুস্থ মানুষকে কষ্ট দেয়া মোটেও উচিত না। এটা একটা খারাপ উদাহরণ হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, আজ না হয় এক দল বিরোধী অবস্থানে আছে, কাল তারা নাও থাকতে পারে। অসুস্থ মানুষকে কষ্ট দেয়া মোটেও উচিত না। আমাদের সংবিধানকে শ্রদ্ধা জানিয়ে এগুলো থেকে সরকারের বিরত থাকা উচিত।
তিনি বলেন, আমরা এটাও শুনছি যে, ওনার স্বাস্থ্যের কারণে বিএনপি চাচ্ছে হাসপাতালে নেয়া হোক। কিন্তু দরকার ছিল ওনাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। যারা বিচারাধীন তাদের জন্য সব হাসপাতালেই ব্যবস্থা রয়েছে। সরকারের ভুলে যাওয়া উচিত না যে আমরা একটা সভ্য সমাজে বসবাস করি। এদেশে আমরা সবাই সভ্য, আমরা সভ্য রাষ্ট্রকে যেন অসভ্য রাষ্ট্রে পরিণত না করি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আগামী ২২শে সেপ্টেম্বর ঐক্য প্রক্রিয়ার উদ্যোগে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছিল। আমাদের অনুমতি দেয়া হয়নি। কিন্তু সরকার পক্ষের হলে অনুমতি দেয়া হয়। এটা বৈষম্য। সংবিধানের ১৬ আনা পরিপন্থি।
তিনি বলেন, মহানগর নাট্যমঞ্চে সমাবেশের অনুমতি পাওয়া গেছে। ওই সমাবেশ থেকে জাতীয় ঐক্যের বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে। ঐক্যের কাজ এগুচ্ছে। জামায়াতকে জাতীয় ঐক্যে রাখলে গণফোরাম ওই ঐক্যে থাকবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, জামায়াত তো এখন দল হিসেবেও নেই। তাদের নিবন্ধন নেই। সংবাদ সম্মেলনে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্য সচিব আ ব ম মোস্তফা আমীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ড. কামাল হোসেন বলেন, সাদা পোশাকে ধরপাকড়ের ব্যাপারে কিছুটা তদন্তের দরকার আছে। এরা কারা? সাদা পোশাকে তো কাউকে ধরার ক্ষমতা আইনে দেয়া নেই। এখানে রিস্ক আছে! এখন মানুষ যদি সাদা পোশাকওয়ালাদের ধরে বলে তুমি কে? পোশাক এই কারণেই দেয়া হয় সাধারণ মানুষ যাতে বুঝতে পারেন তারা রাষ্ট্রপক্ষের দায়িত্ববান লোক। পোশাক না পরলে মানুষ ধরে নিতে পারে, এরা হলো ছিনতাইকারী। এরা মানুষকে অন্যায়ভাবে কিডন্যাপ করছে। এই কারণেও কিন্তু এই প্রক্রিয়া বন্ধ হওয়া উচিত। তিনি বলেন, আইনে এই বিধান নেই যে সাদা পোশাক পরে কেউ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারে। হয়তো বিশেষ ক্ষেত্রে পোশাক না পরা লোক এটা করতে পারে। যারা ইউনিফর্ম পরে তারা একটি ডিসিপ্লিনের মধ্যে থাকে, তাদের পরিচয় থাকে।
যাদের ধরার ক্ষমতা আছে, তাদের আইনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হতে হবে। আজকে আমাদের উদ্বেগ প্রকাশ করতে হচ্ছে হয়তো আমরা সাংবিধানিক শাসনের বাইরে চলে যাচ্ছি। সংবিধানের বাইরে গিয়ে করলে তা বেআইনি শাসন এবং সাধারণ মানুষকে হয়রানির পর্যায়ে পড়ে। এটা বেশি হলে আমরা গুরুতর সংকটের সম্মুখিন হবো। সরকারকে এই ব্যাপারে সজাগ হতে হবে, যাতে এই জিনিসগুলো দ্রুত বন্ধ করা যায়। হঠাৎ ধরপাকড় আতঙ্ক, পুরনো মামলা সচল, ঘটনা ঘটেনি অথচ মামলা করে রেখেছে পুলিশ, এমন দাবি করে কামাল হোসেন বলেন, ‘মৃত ব্যক্তিকে ককটেল ছুড়তে দেখেছে পুলিশ! এগুলো পুলিশ সম্পর্কে উদ্বেগের কারণ। এ রকম ঘটনা একটার পর একটা ঘটছে। এটা অবশ্যই উদ্বেগের কারণ।
তিনি বলেন, সাংবিধানিক শাসন যেখানে থাকে, সেখানে পুলিশের ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকে। যেখানে স্বৈরতন্ত্র থাকে, সেখানে ইচ্ছামতো লোকজন ধরা যায়, মানুষকে গুম করা যায়। সাংবিধানিক শাসন থাকলে কাউকে ধরলে বলতে হবে, কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তা জানাতে হবে।
কোর্টে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাজির করতে হবে, যাতে সে জামিন নিতে পারে। একবার-দুবার এরকম হলে আমরা বলতে পারি বিশেষ কারণে হয়তো এই আইন অমান্য করা হয়েছে। কিন্তু রীতিমতো যদি হতেই থাকে, তাহলে তো আর আমাদের সাংবিধানিক শাসন থাকে না। সবচেয়ে আপত্তিকর যেই জিনিসটার ব্যাপারে সরকারকে আমরা জানাবো যে এই আদেশ যদি পুলিশকে দিয়ে থাকেন, আপনারা এটা থেকে বিরত থাকুন। অন্যথায় আমরা কোর্টে যাবো। পুলিশ যদি আদেশ না পেয়ে এরকম করে থাকে, তাহলে সেটা আরো গুরুতর অপরাধ। আর যদি ওপর থেকে আদেশ দেয়া হয়, তাহলে এ ধরনের আদেশ বেআইনি। নির্বাচনকে সামনে রেখে যদি এগুলো করতে থাকে সরকার, তাহলে পরিবেশটা নষ্ট হচ্ছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে গণফোরাম সভাপতি বলেন, এখানে কোনো দল বা নেতানেত্রীর পক্ষে বলছি না। একটা অসুস্থ মানুষের কথা বলছি। আমি মনে করি আমাদের তো একটা ঐতিহ্য আছে পাকিস্তান আমল থেকেই, যে কেউ অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে নেয়া। যারা বিচারাধীন তাদের জন্য সব হাসপাতালেই ব্যবস্থা রয়েছে। আমি বলবো না নিজের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে সিদ্ধান্ত নিন। তবে, নীতির যে জায়গা আছে সেখান থেকে বিশেষ বিশেষভাবে হয়রানি, অসুস্থ মানুষকে কষ্ট দেয়া মোটেও উচিত না। এটা একটা খারাপ উদাহরণ হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, আজ না হয় এক দল বিরোধী অবস্থানে আছে, কাল তারা নাও থাকতে পারে। অসুস্থ মানুষকে কষ্ট দেয়া মোটেও উচিত না। আমাদের সংবিধানকে শ্রদ্ধা জানিয়ে এগুলো থেকে সরকারের বিরত থাকা উচিত।
তিনি বলেন, আমরা এটাও শুনছি যে, ওনার স্বাস্থ্যের কারণে বিএনপি চাচ্ছে হাসপাতালে নেয়া হোক। কিন্তু দরকার ছিল ওনাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। যারা বিচারাধীন তাদের জন্য সব হাসপাতালেই ব্যবস্থা রয়েছে। সরকারের ভুলে যাওয়া উচিত না যে আমরা একটা সভ্য সমাজে বসবাস করি। এদেশে আমরা সবাই সভ্য, আমরা সভ্য রাষ্ট্রকে যেন অসভ্য রাষ্ট্রে পরিণত না করি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আগামী ২২শে সেপ্টেম্বর ঐক্য প্রক্রিয়ার উদ্যোগে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছিল। আমাদের অনুমতি দেয়া হয়নি। কিন্তু সরকার পক্ষের হলে অনুমতি দেয়া হয়। এটা বৈষম্য। সংবিধানের ১৬ আনা পরিপন্থি।
তিনি বলেন, মহানগর নাট্যমঞ্চে সমাবেশের অনুমতি পাওয়া গেছে। ওই সমাবেশ থেকে জাতীয় ঐক্যের বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে। ঐক্যের কাজ এগুচ্ছে। জামায়াতকে জাতীয় ঐক্যে রাখলে গণফোরাম ওই ঐক্যে থাকবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, জামায়াত তো এখন দল হিসেবেও নেই। তাদের নিবন্ধন নেই। সংবাদ সম্মেলনে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্য সচিব আ ব ম মোস্তফা আমীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
No comments