ভৌতিক মামলা নতুন ভয়
ঘটনা
ঘটেনি, কিন্তু মামলা করেছে পুলিশ। কোথায়, কার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বাদী
নিজেই জানেন না। আবার দুই বছর আগে মারা যাওয়া ব্যক্তিকে আসামি করেও মামলা
হয়েছে থানায়। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন থানায় এমন গায়েবি মামলা দায়েরের
অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। বিতর্কিত এসব মামলা নিয়ে আলোচনা রাজনৈতিক
অঙ্গনসহ সর্বমহলে। বেশির ভাগ মামলার আসামি বিএনপি’র নেতাকর্মীরা। বিরোধী
রাজনৈতিক শিবিরের অভিযোগ, নির্বাচন সামনে রেখে ভীতির পরিবেশ তৈরির জন্য এসব
গায়েবি মামলা দায়ের হচ্ছে। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, বিরোধী মতকে দমন ও
সরকারকে ক্ষমতায় রাখতে পুলিশ উৎসাহিত হয়ে এসব কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। পুলিশের
ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য এসব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকা উচিত বলে মনে করছেন
তারা।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার শাহদীন মালিক বলেন, এটা তো এখন স্পষ্ট যে পুলিশের একটা বড় অংশ সরকারি দলের বাহিনী হয়ে গেছে। এই অংশ অপরাধ দমন থেকে সরকারি দল নির্বাচনে যেন জিততে পারে সেটাই তাদের মুখ্য কার্যক্রম বলে মনে হচ্ছে। এটা পুলিশের আইনগত দায়িত্বের সম্পূর্ণ বরখেলাপ। জেনেশুনে এভাবে মিথ্যা মামলা এটা ফৌজদারি আইনে অপরাধও। ভিকটিমরা আইনি পদক্ষেপ নিতে পারে কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিতে পারে। তবে এখন আদালতের কাছ থেকে খুব বেশি প্রতিকার পাবে বলে এই মুহূর্তে প্রত্যাশা করি না। গত মঙ্গলবার যাত্রী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়। সেখানে বাদী হিসেবে যে ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়েছে তিনি নিজেই মামলা সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে গণমাধ্যমের কাছে স্বীকার করেছেন।
বুধবার পুরান ঢাকায় কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে দায়ের করা অপর এক মামলার আসামি দুই বছর আগেই মৃত্যুবরণ করেছেন। মামলার আরেক আসামি হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে যান কথিত ঘটনার আগেই। গণমাধ্যমের কাছে স্থানীয়রা দাবি করেছেন, মামলায় উল্লেখিত সময়ে কারাগার এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাই ঘটেনি। নিরাপদ সড়কের দাবিতে হবিগঞ্জে কেউ মাঠে না নামলেও সেখানে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। গত ৩০শে জুলাই হবিগঞ্জ শহরের জে কে অ্যান্ড হাইস্কুলের সামনে আসামিরা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, যানবাহন ও সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিসাধন এবং সরকারকে উৎখাত করার চেষ্টা করেছে-এমন অভিযোগে পুলিশ মোট দশটি মামলা করেছে। বিশেষ আইনে দায়ের করা এসব মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। এসব মামলার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ থাকতে পারে বলে মনে করছেন মানবাধিকার কর্মী নূর খান লিটন। তিনি বলেন, প্রথমত, এই ধরনের মামলায় ধারণা করা যায়, বিরোধী শক্তিকে ঘায়েল করার হাতিয়ার হিসেবে ভবিষ্যতে যাতে ব্যবহার করা যায় সেজন্য হতে পারে। দ্বিতীয়ত, এসব মামলার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা এবং অর্থ উপার্জনের একটা পথও খুলতে পারে। তৃতীয়ত, সমাজে এক ধরনের ভয়, ভয়ার্ত পরিবেশ তৈরি করে রাখা। যেহেতু আগামী কয়েক মাসের মধ্যে নির্বাচন। সেই কারণে এই মামলাগুলো হয়তো জনগণের বাক-স্বাধীনতা রহিত করার জন্য ব্যবহৃত হওয়ার একটা সম্ভাবনা আছে।
এই মানবাধিকার কর্মী আরো বলেন, যে ঘটনা ঘটেনি বা একটা ছোট্ট ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটা বড় ধরনের অজ্ঞাতনামা মামলার উদ্দেশ্য কখনো ভালো হতে পারে না। সরকারের বা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি নজরে আসা উচিত। এই ধরনের মামলা যদি হয়ে থাকে, যারা এইসব মামলা তৈরি করে রেখেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া উচিত। এটা জনগণকে হয়রানি বা অর্থ উপার্জন যে কারণেই হোক না কেন এসব থেকে পুলিশ বাহিনীকে রক্ষা করা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব। বিরোধী দলমতকে কোণঠাসা করার জন্য করে থাকলেও সেটা খারাপ। গত শনিবার রাজধানীতে এক মতবিনিময় সভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যে মামলা হচ্ছে সেগুলোর কথা একই রকমের। মনে হয় যেন ফরমেট তৈরি করে দিয়েছে, সেই ফরমেটে এজাহার তৈরি করা হয়েছে। তারা নিজেরাই কিছু ককটেল-টকটেল ফুটাচ্ছেন, ফুটিয়ে সবকিছুর অবশিষ্টাংশ নিচ্ছেন, রাস্তা থেকে কয়েকটা পাথর কুড়িয়ে নিচ্ছেন, কয়েকটা লাঠি আনছেন, বলছেন আলামত পাওয়া গেছে। আসলে সেখানে কোনো ঘটনাই ঘটেনি।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার শাহদীন মালিক বলেন, এটা তো এখন স্পষ্ট যে পুলিশের একটা বড় অংশ সরকারি দলের বাহিনী হয়ে গেছে। এই অংশ অপরাধ দমন থেকে সরকারি দল নির্বাচনে যেন জিততে পারে সেটাই তাদের মুখ্য কার্যক্রম বলে মনে হচ্ছে। এটা পুলিশের আইনগত দায়িত্বের সম্পূর্ণ বরখেলাপ। জেনেশুনে এভাবে মিথ্যা মামলা এটা ফৌজদারি আইনে অপরাধও। ভিকটিমরা আইনি পদক্ষেপ নিতে পারে কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিতে পারে। তবে এখন আদালতের কাছ থেকে খুব বেশি প্রতিকার পাবে বলে এই মুহূর্তে প্রত্যাশা করি না। গত মঙ্গলবার যাত্রী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়। সেখানে বাদী হিসেবে যে ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়েছে তিনি নিজেই মামলা সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে গণমাধ্যমের কাছে স্বীকার করেছেন।
বুধবার পুরান ঢাকায় কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে দায়ের করা অপর এক মামলার আসামি দুই বছর আগেই মৃত্যুবরণ করেছেন। মামলার আরেক আসামি হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে যান কথিত ঘটনার আগেই। গণমাধ্যমের কাছে স্থানীয়রা দাবি করেছেন, মামলায় উল্লেখিত সময়ে কারাগার এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাই ঘটেনি। নিরাপদ সড়কের দাবিতে হবিগঞ্জে কেউ মাঠে না নামলেও সেখানে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। গত ৩০শে জুলাই হবিগঞ্জ শহরের জে কে অ্যান্ড হাইস্কুলের সামনে আসামিরা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, যানবাহন ও সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিসাধন এবং সরকারকে উৎখাত করার চেষ্টা করেছে-এমন অভিযোগে পুলিশ মোট দশটি মামলা করেছে। বিশেষ আইনে দায়ের করা এসব মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। এসব মামলার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ থাকতে পারে বলে মনে করছেন মানবাধিকার কর্মী নূর খান লিটন। তিনি বলেন, প্রথমত, এই ধরনের মামলায় ধারণা করা যায়, বিরোধী শক্তিকে ঘায়েল করার হাতিয়ার হিসেবে ভবিষ্যতে যাতে ব্যবহার করা যায় সেজন্য হতে পারে। দ্বিতীয়ত, এসব মামলার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা এবং অর্থ উপার্জনের একটা পথও খুলতে পারে। তৃতীয়ত, সমাজে এক ধরনের ভয়, ভয়ার্ত পরিবেশ তৈরি করে রাখা। যেহেতু আগামী কয়েক মাসের মধ্যে নির্বাচন। সেই কারণে এই মামলাগুলো হয়তো জনগণের বাক-স্বাধীনতা রহিত করার জন্য ব্যবহৃত হওয়ার একটা সম্ভাবনা আছে।
এই মানবাধিকার কর্মী আরো বলেন, যে ঘটনা ঘটেনি বা একটা ছোট্ট ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটা বড় ধরনের অজ্ঞাতনামা মামলার উদ্দেশ্য কখনো ভালো হতে পারে না। সরকারের বা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি নজরে আসা উচিত। এই ধরনের মামলা যদি হয়ে থাকে, যারা এইসব মামলা তৈরি করে রেখেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া উচিত। এটা জনগণকে হয়রানি বা অর্থ উপার্জন যে কারণেই হোক না কেন এসব থেকে পুলিশ বাহিনীকে রক্ষা করা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব। বিরোধী দলমতকে কোণঠাসা করার জন্য করে থাকলেও সেটা খারাপ। গত শনিবার রাজধানীতে এক মতবিনিময় সভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যে মামলা হচ্ছে সেগুলোর কথা একই রকমের। মনে হয় যেন ফরমেট তৈরি করে দিয়েছে, সেই ফরমেটে এজাহার তৈরি করা হয়েছে। তারা নিজেরাই কিছু ককটেল-টকটেল ফুটাচ্ছেন, ফুটিয়ে সবকিছুর অবশিষ্টাংশ নিচ্ছেন, রাস্তা থেকে কয়েকটা পাথর কুড়িয়ে নিচ্ছেন, কয়েকটা লাঠি আনছেন, বলছেন আলামত পাওয়া গেছে। আসলে সেখানে কোনো ঘটনাই ঘটেনি।
No comments