‘অতি ধনী’ বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশে
আড়াইশ’
কোটি টাকা বা সমমূল্যের সম্পদের মালিক, এমন ‘অতি ধনী’ মানুষের সংখ্যা
অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে সর্বোচ্চ গতিতে বাড়ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে
‘অতি ধনী’ বৃদ্ধির হার ১৭.৩ শতাংশ, যা ভারত ও চীনের চেয়েও বেশি। লন্ডন ও
নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক সংস্থা ওয়েলথ-এক্সের রিপোর্টে এ তথ্য উঠে এসেছে। ‘ওয়েলথ
অ্যান্ড ইনভেস্টেবল অ্যাসেটস মডেল’ ব্যবহার করে রিপোর্টটি তৈরি করেছে
ওয়েলথ-এক্স। পূর্ববর্তী রিপোর্টে এই তালিকার শীর্ষস্থান চীনের দখলে ছিল।
কিন্তু এবার বাংলাদেশ চীনকে টপকে শীর্ষস্থান দখল করেছে। গত ৫ই সেপ্টেম্বর
প্রকাশিত ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।
সেখানে নগরায়ন, অবকাঠামোগত বিনিয়োগ বেড়েছে। ফলে দেশটি উন্নতি করছে।
ভিয়েতনাম ও ভারতেও এমনটি ঘটছে বলে উল্লেখ করেছে ওয়েলথ-এক্স। ‘অতি ধনী’
বৃদ্ধির হার বিবেচনায় বাংলাদেশ বিশ্বে সবার চেয়ে এগিয়ে থাকায় বিস্ময় প্রকাশ
করে সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ‘অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে, নতুন ধনী
তৈরির ক্ষেত্রে বৈশ্বিক পরিসরে চীন এখন আর শীর্ষে নয়। সেখানে বাংলাদেশ সবার
চেয়ে এগিয়ে। ২০১২ সাল হতে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৭ শতাংশ হারে
অতি ধনীর সংখ্যা বেড়েছে। ভিয়েতনাম, কেনিয়া এবং ভারতও খুব বেশি পিছিয়ে নেই।’
সংস্থাটি তাদের গবেষণা প্রতিবেদনে বলেছে, অতি ধনী মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির হারে বাংলাদেশের পরেই রয়েছে চীন। দেশটিতে ১৩.৭ শতাংশ হারে ‘অতি ধনী’ মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। বৃদ্ধির হারে তালিকার প্রথম দিকে থাকা অন্য দেশগুলো হলো- ভিয়েতনাম, কেনিয়া, ভারত, হংকং ও আয়ারল্যান্ড। তবে গত ৫ বছরে বিশ্বে অতি ধনীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে চীন ও হংকংয়ে। বিপরীতে জাপান, কানাডা, ইতালি ও যুক্তরাষ্ট্রে ‘অতি ধনী’ মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির গতি মন্থর হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বে অতি ধনী মানুষের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি। দেশটির প্রায় ৮০ হাজার মানুষ ‘অতি ধনী’। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জাপান। সেখানে অতি ধনী মানুষের সংখ্যা ১৮ হাজার। অল্প ব্যবধানে তৃতীয় স্থানে রয়েছে চীন। দেশটিতে অতি ধনী মানুষের সংখ্যা ১৭ হাজার। তালিকায় শীর্ষ দশে থাকা অন্য দেশগুলো হলো, জার্মানি, কানাডা, ফ্রান্ড, হংকং, যুক্তরাজ্য, সুইজারল্যান্ড ও ইতালি।
বাংলাদেশে ‘অতি ধনী’ বৃদ্ধির হার বৃদ্ধি নিয়ে ওয়েলথ-এক্স দেয়া রিপোর্টের বিষয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘এই তথ্যে আমি মোটেও অবাক হইনি। কারণ গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে যে একটা গোষ্ঠীর হাতে এ ধরনের সম্পদ সৃষ্টি হচ্ছে সেটা আসলে দেখাই যাচ্ছে। এই সমপদ সৃষ্টির প্রক্রিয়া তো একদিনে তৈরি হয়নি। এটা কয়েক দশক ধরেই হয়েছে। এখন এটি আরো দ্রুততর হচ্ছে।’
‘অতি ধনী’ বৃদ্ধির দৌড়ে চীন ও ভারতকে পেছনে ফেলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘চীন এবং ভারতে এক সময় যে রকম দ্রুত অর্থনৈতিক অগ্রগতি হয়েছে, সেখান থেকে অবস্থা একটু স্তিমিত হয়ে এসেছে। সেটা একটা কারণ। আরেকটা কারণ হচ্ছে বাংলাদেশে ধনী এবং গরিবের মধ্যে যে তফাৎ, এই তফাৎ অনেক বাড়ছে। বাংলাদেশে সম্পদের একটা কেন্দ্রীভবন হচ্ছে। অর্থাৎ উপরের দিকে যারা আছে তারা সম্পদশালী হচ্ছে ক্রমান্বয়ে। নিচের দিকে যারা আছে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি যতটা না হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি উন্নতি হচ্ছে উপরের দিকে যারা তাদের। উপরের পাঁচ শতাংশের হাতে আরো বেশি করে সমপদ পুঞ্জীভূত হচ্ছে। বাংলাদেশের ‘অতি ধনীরা’ কীভাবে সম্পদ অর্জন করছেন, এ প্রশ্নের উত্তরে ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, মূলত শিল্প খাত এবং সেবা খাত, এই দুটি খাতেই তারা বিনিয়োগ করছে। শিল্প খাতে তৈরি পোশাক শিল্প, ওষুধ শিল্প, জাহাজ ভাঙা শিল্প, চামড়া শিল্পে অনেকে বিনিয়োগ করেছেন। এর পাশাপাশি বাংলাদেশে এখন ভৌত অবকাঠামো সৃষ্টির একটি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এখানে অনেক বড় বড় প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। এসব প্রকল্পের সঙ্গে যারা জড়িত আছে, তাদের সবারই কিন্তু এখানে একটা সম্পদ তৈরির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আর তার পাশাপাশি সেবা খাতেও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক-বীমা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তথ্য-প্রযুক্তিও একটি বিকাশমান খাত হিসেবে এসেছে। অতি ধনী বৃদ্ধির পেছনে দুর্নীতির কোনো ভূমিকা আছে কিনা এ বিষয়ে ড. ফাহমিদা বলেন, ‘এ সম্পর্কে তো কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। তবে এশিয়া বা আফ্রিকার উন্নয়নশীল দেশগুলোতে যেটা হয়, যাদের হাতে সম্পদ আসে, সেটার পেছনে রাষ্ট্রীয় আনুকূল্যের একটা বড় ভূমিকা থাকে। রাষ্ট্রীয় আনুকূল্য যারা পায়, বা যাদের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার যোগাযোগ থাকে, প্রাথমিকভাবে তারাই সমপদের মালিক হয়। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে যেহেতু সুশাসনের অভাব থাকে বা প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা থাকে, তখন এই সুযোগটা একটা বিশেষ গোষ্ঠীর হাতে রয়ে যায়। খুব ক্ষুদ্র একটা গোষ্ঠী সম্পদের মালিক হয়, যাদের সঙ্গে প্রভাবশালীদের যোগাযোগ থাকে।
প্রতিষ্ঠানটির ‘ওয়েলথ অ্যান্ড ইনভেস্টেবল অ্যাসেটস মডেলের’ মাধ্যমে ব্যক্তিগত মোট সম্পদের আনুমানিক তথ্য পাওয়া যায়। পাশাপাশি সম্পদের মালিকানা ও বিনিয়োগযোগ্য সম্পদের বিবেচনায় জনসংখ্যার তুলনামূলক একটি চিত্রও এতে উঠে আসে। বৈশ্বিকভাবে সম্পদের এ ধরনের বিশ্লেষণ ছাড়াও শীর্ষ ৭৫টি অর্থনীতির দেশে সম্পদের ব্যাপ্তি ও প্রবৃদ্ধি ওয়েলথ-এক্সের গবেষণার বিষয়বস্তু। প্রতিবেদন তৈরিতে দুটি ধাপে তথ্য বিশ্লেষণ করে ওয়েলথ-এক্স ইনস্টিটিউট। প্রথম ধাপে ইকোনমেট্রিক কৌশল ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে পুুঁজিবাজারের আকার, জিডিপি, করহার, আয় ও সঞ্চয়ের তথ্য সংগ্রহ করে তারা। তথ্যের উৎস হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) ও সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর পরিসংখ্যান সরবরাহকারী কর্তৃপক্ষকে। দ্বিতীয় ধাপে জনপ্রতি সম্পদের পরিমাণ হিসাব করা হয়। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সম্পদের বণ্টন সংক্রান্ত তথ্যের ঘাটতি থাকায় সংশ্লিষ্ট দেশে মানুষের আয় বণ্টনের হিসাব বিবেচনায় নেয়া হয়। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির কাছে থাকা বিশ্বব্যাপী অত্যধিক সম্পদশালী ১ লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষের তথ্যভাণ্ডার ব্যবহার করা হয়। এতে আর্থিক স্থিতি, কর্মজীবন, ঘনিষ্ঠ সহযোগী, পারিবারিক তথ্য, শিক্ষাজীবন, আগ্রহ, শখসহ সম্পদশালীদের ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য রয়েছে। পাশাপাশি অর্জিত সম্পদের বিনিয়োগ ও ব্যয়প্রবণতার তথ্যও বিবেচনায় নেয়া হয়। এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে সম্পদের প্রকৃত ও গ্রহণযোগ্য চিত্র তুলে ধরে ওয়েলথ-এক্স।
সংস্থাটি তাদের গবেষণা প্রতিবেদনে বলেছে, অতি ধনী মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির হারে বাংলাদেশের পরেই রয়েছে চীন। দেশটিতে ১৩.৭ শতাংশ হারে ‘অতি ধনী’ মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। বৃদ্ধির হারে তালিকার প্রথম দিকে থাকা অন্য দেশগুলো হলো- ভিয়েতনাম, কেনিয়া, ভারত, হংকং ও আয়ারল্যান্ড। তবে গত ৫ বছরে বিশ্বে অতি ধনীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে চীন ও হংকংয়ে। বিপরীতে জাপান, কানাডা, ইতালি ও যুক্তরাষ্ট্রে ‘অতি ধনী’ মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির গতি মন্থর হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বে অতি ধনী মানুষের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি। দেশটির প্রায় ৮০ হাজার মানুষ ‘অতি ধনী’। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জাপান। সেখানে অতি ধনী মানুষের সংখ্যা ১৮ হাজার। অল্প ব্যবধানে তৃতীয় স্থানে রয়েছে চীন। দেশটিতে অতি ধনী মানুষের সংখ্যা ১৭ হাজার। তালিকায় শীর্ষ দশে থাকা অন্য দেশগুলো হলো, জার্মানি, কানাডা, ফ্রান্ড, হংকং, যুক্তরাজ্য, সুইজারল্যান্ড ও ইতালি।
বাংলাদেশে ‘অতি ধনী’ বৃদ্ধির হার বৃদ্ধি নিয়ে ওয়েলথ-এক্স দেয়া রিপোর্টের বিষয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘এই তথ্যে আমি মোটেও অবাক হইনি। কারণ গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে যে একটা গোষ্ঠীর হাতে এ ধরনের সম্পদ সৃষ্টি হচ্ছে সেটা আসলে দেখাই যাচ্ছে। এই সমপদ সৃষ্টির প্রক্রিয়া তো একদিনে তৈরি হয়নি। এটা কয়েক দশক ধরেই হয়েছে। এখন এটি আরো দ্রুততর হচ্ছে।’
‘অতি ধনী’ বৃদ্ধির দৌড়ে চীন ও ভারতকে পেছনে ফেলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘চীন এবং ভারতে এক সময় যে রকম দ্রুত অর্থনৈতিক অগ্রগতি হয়েছে, সেখান থেকে অবস্থা একটু স্তিমিত হয়ে এসেছে। সেটা একটা কারণ। আরেকটা কারণ হচ্ছে বাংলাদেশে ধনী এবং গরিবের মধ্যে যে তফাৎ, এই তফাৎ অনেক বাড়ছে। বাংলাদেশে সম্পদের একটা কেন্দ্রীভবন হচ্ছে। অর্থাৎ উপরের দিকে যারা আছে তারা সম্পদশালী হচ্ছে ক্রমান্বয়ে। নিচের দিকে যারা আছে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি যতটা না হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি উন্নতি হচ্ছে উপরের দিকে যারা তাদের। উপরের পাঁচ শতাংশের হাতে আরো বেশি করে সমপদ পুঞ্জীভূত হচ্ছে। বাংলাদেশের ‘অতি ধনীরা’ কীভাবে সম্পদ অর্জন করছেন, এ প্রশ্নের উত্তরে ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, মূলত শিল্প খাত এবং সেবা খাত, এই দুটি খাতেই তারা বিনিয়োগ করছে। শিল্প খাতে তৈরি পোশাক শিল্প, ওষুধ শিল্প, জাহাজ ভাঙা শিল্প, চামড়া শিল্পে অনেকে বিনিয়োগ করেছেন। এর পাশাপাশি বাংলাদেশে এখন ভৌত অবকাঠামো সৃষ্টির একটি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এখানে অনেক বড় বড় প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। এসব প্রকল্পের সঙ্গে যারা জড়িত আছে, তাদের সবারই কিন্তু এখানে একটা সম্পদ তৈরির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আর তার পাশাপাশি সেবা খাতেও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক-বীমা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তথ্য-প্রযুক্তিও একটি বিকাশমান খাত হিসেবে এসেছে। অতি ধনী বৃদ্ধির পেছনে দুর্নীতির কোনো ভূমিকা আছে কিনা এ বিষয়ে ড. ফাহমিদা বলেন, ‘এ সম্পর্কে তো কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। তবে এশিয়া বা আফ্রিকার উন্নয়নশীল দেশগুলোতে যেটা হয়, যাদের হাতে সম্পদ আসে, সেটার পেছনে রাষ্ট্রীয় আনুকূল্যের একটা বড় ভূমিকা থাকে। রাষ্ট্রীয় আনুকূল্য যারা পায়, বা যাদের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার যোগাযোগ থাকে, প্রাথমিকভাবে তারাই সমপদের মালিক হয়। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে যেহেতু সুশাসনের অভাব থাকে বা প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা থাকে, তখন এই সুযোগটা একটা বিশেষ গোষ্ঠীর হাতে রয়ে যায়। খুব ক্ষুদ্র একটা গোষ্ঠী সম্পদের মালিক হয়, যাদের সঙ্গে প্রভাবশালীদের যোগাযোগ থাকে।
প্রতিষ্ঠানটির ‘ওয়েলথ অ্যান্ড ইনভেস্টেবল অ্যাসেটস মডেলের’ মাধ্যমে ব্যক্তিগত মোট সম্পদের আনুমানিক তথ্য পাওয়া যায়। পাশাপাশি সম্পদের মালিকানা ও বিনিয়োগযোগ্য সম্পদের বিবেচনায় জনসংখ্যার তুলনামূলক একটি চিত্রও এতে উঠে আসে। বৈশ্বিকভাবে সম্পদের এ ধরনের বিশ্লেষণ ছাড়াও শীর্ষ ৭৫টি অর্থনীতির দেশে সম্পদের ব্যাপ্তি ও প্রবৃদ্ধি ওয়েলথ-এক্সের গবেষণার বিষয়বস্তু। প্রতিবেদন তৈরিতে দুটি ধাপে তথ্য বিশ্লেষণ করে ওয়েলথ-এক্স ইনস্টিটিউট। প্রথম ধাপে ইকোনমেট্রিক কৌশল ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে পুুঁজিবাজারের আকার, জিডিপি, করহার, আয় ও সঞ্চয়ের তথ্য সংগ্রহ করে তারা। তথ্যের উৎস হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) ও সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর পরিসংখ্যান সরবরাহকারী কর্তৃপক্ষকে। দ্বিতীয় ধাপে জনপ্রতি সম্পদের পরিমাণ হিসাব করা হয়। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সম্পদের বণ্টন সংক্রান্ত তথ্যের ঘাটতি থাকায় সংশ্লিষ্ট দেশে মানুষের আয় বণ্টনের হিসাব বিবেচনায় নেয়া হয়। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির কাছে থাকা বিশ্বব্যাপী অত্যধিক সম্পদশালী ১ লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষের তথ্যভাণ্ডার ব্যবহার করা হয়। এতে আর্থিক স্থিতি, কর্মজীবন, ঘনিষ্ঠ সহযোগী, পারিবারিক তথ্য, শিক্ষাজীবন, আগ্রহ, শখসহ সম্পদশালীদের ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য রয়েছে। পাশাপাশি অর্জিত সম্পদের বিনিয়োগ ও ব্যয়প্রবণতার তথ্যও বিবেচনায় নেয়া হয়। এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে সম্পদের প্রকৃত ও গ্রহণযোগ্য চিত্র তুলে ধরে ওয়েলথ-এক্স।
No comments