ইসরাইলি কারাগারের দুঃসহ স্মৃতি তুলে ধরলেন অহেদ তামিমি
ফিলিস্তিনের
সংগ্রামী তরুণী অহেদ তামিমি ইহুদিবাদী ইসরাইলের কারাগারের দুঃসহ দিনগুলোর
কথা প্রকাশ করেছেন। ইরানের প্রেস টিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকার তিনি জানিয়েছেন,
ইসরাইলের কারাকর্তৃপক্ষ তার হাতে হ্যান্ডকাফ ও পায়ে ডানণ্ডাবেড়ি পরিয়ে
রেখেছিল। একই অবস্থা করেছিল তার মাকেও।
১৭ বছর বয়সী অহেদ তামিমি বলেন, “জিজ্ঞাসাবাদের প্রথম থেকেই আমি নানা কষ্টকর পরিস্থিতির মুখে পড়ি। জিজ্ঞাসাবাদকারীরা আমাকে হুমকি দেয় এবং বলে যে, তারা আমার পরিবারের ক্ষতি করবে।”
তামিমি বলেন, “এমনকি একজন জিজ্ঞাসাবাদকারী আমাকে অপদস্ত করে। সে বলেছিল যে, আমার চুল সুন্দর এবং এ ধরনের আরো মন্তব্য করেছে। আমি বয়সে ছোট হলেও জিজ্ঞাসাবাদের সময় আমার কাছে আমার পরিবারের কাউকে থাকতে দেয়া হয় নি।”
এ তরুণী জানান, ১০ জনের সঙ্গে তাকে ছোট্ট একটি সেলে রাখা হয় এবং সেই সেলে মাত্র ছয়টি বিছানা ছিল।
তিনি আরো বলেন, “বেশি লোকজন থাকার কারণে আমি বাথরুম ব্যবহার করতে পারছিলাম না এবং মেয়েরা কারাকক্ষের মেঝেতে ঘুমাতো। সেলের ভেতরে আমরা নড়াচড়া করতে পারতাম না। আমরা হাঁটতে পারতাম না। সেলে বেশি জানালা ছিল না। যখন আমি জেগে উঠতাম তখন মনে হতো আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না।”
গত ডিসেম্বর মাসে অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে অভিযান চালিয়ে ইসরাইলের বর্বর সেনারা আটক করেছিল ফিলিস্তিনের এ তরুণীকে। সে সময় তামিমি ইসরাইলের দুই সেনার মুখে থাপ্পড় মারেন এবং সেই ভিডিও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভাইরাল হয়ে পড়ে। ফিলিস্তিনিদের অনেকের কাছেই তিনি এখন মুক্তি সংগ্রামের প্রতীক।
তামিমির বিরুদ্ধে সেনাদের ওপর হামলা, উসকানি দেয়া এবং ইসরাইলি সেনাদের কাজে বাধা দেয়াসহ ১২টি অভিযোগ আনা হয়। ২৯ জুলাই তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। মুক্তির পর তিনি অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের দখলদারিত্ব অবসানের লক্ষ্যে তিনি সংগ্রাম অব্যাহত রাখবেন।
১৭ বছর বয়সী অহেদ তামিমি বলেন, “জিজ্ঞাসাবাদের প্রথম থেকেই আমি নানা কষ্টকর পরিস্থিতির মুখে পড়ি। জিজ্ঞাসাবাদকারীরা আমাকে হুমকি দেয় এবং বলে যে, তারা আমার পরিবারের ক্ষতি করবে।”
তামিমি বলেন, “এমনকি একজন জিজ্ঞাসাবাদকারী আমাকে অপদস্ত করে। সে বলেছিল যে, আমার চুল সুন্দর এবং এ ধরনের আরো মন্তব্য করেছে। আমি বয়সে ছোট হলেও জিজ্ঞাসাবাদের সময় আমার কাছে আমার পরিবারের কাউকে থাকতে দেয়া হয় নি।”
এ তরুণী জানান, ১০ জনের সঙ্গে তাকে ছোট্ট একটি সেলে রাখা হয় এবং সেই সেলে মাত্র ছয়টি বিছানা ছিল।
তিনি আরো বলেন, “বেশি লোকজন থাকার কারণে আমি বাথরুম ব্যবহার করতে পারছিলাম না এবং মেয়েরা কারাকক্ষের মেঝেতে ঘুমাতো। সেলের ভেতরে আমরা নড়াচড়া করতে পারতাম না। আমরা হাঁটতে পারতাম না। সেলে বেশি জানালা ছিল না। যখন আমি জেগে উঠতাম তখন মনে হতো আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না।”
গত ডিসেম্বর মাসে অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে অভিযান চালিয়ে ইসরাইলের বর্বর সেনারা আটক করেছিল ফিলিস্তিনের এ তরুণীকে। সে সময় তামিমি ইসরাইলের দুই সেনার মুখে থাপ্পড় মারেন এবং সেই ভিডিও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভাইরাল হয়ে পড়ে। ফিলিস্তিনিদের অনেকের কাছেই তিনি এখন মুক্তি সংগ্রামের প্রতীক।
তামিমির বিরুদ্ধে সেনাদের ওপর হামলা, উসকানি দেয়া এবং ইসরাইলি সেনাদের কাজে বাধা দেয়াসহ ১২টি অভিযোগ আনা হয়। ২৯ জুলাই তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। মুক্তির পর তিনি অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের দখলদারিত্ব অবসানের লক্ষ্যে তিনি সংগ্রাম অব্যাহত রাখবেন।
No comments