আশ্রিত রোহিঙ্গাদের চোখে মুখে অন্ধকার হতাশাই সঙ্গী by কায়সার হামিদ মানিক
যদি
অধিকার ফিরে পাই, নিজ দেশ মিয়ানমান ফিরে যাব কথাগুলো বলছিলেন সাবেক শিক্ষক
মোহাম্মদ রহিম (৫০)। কুতুপালং উদ্বাস্তু শিবিরের একটি ছোট্ট গলিতে তার
বসবাস। সেখানে তিনি পান-সুপারি বিক্রি করেন। বললেন, ‘তবে আমার প্রথম
প্রয়োজন ন্যায়বিচার।’
১৯৮০’র দশকে তৎকালীন মিয়ানমারের সেনাশাসিত জান্তা সরকার এক আইনের বলে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়। কয়েক প্রজন্ম ধরে রাখাইনে বসবাস করে এলেও তাদেরকে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অবৈধ অভিবাসী বলে চিহ্নিত করে চালানো হয় কাঠামোবদ্ধ সেনা প্রচারণা। ধাপে ধাপে সেখানকার মানুষদের মাঝে রোহিঙ্গাবিদ্বেষী মনোভাব গড়ে তোলা হয়।
সর্বশেষ গত বছর নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনে সহিংসতা জোরালো করলে বাংলাদেশ পালিয়ে আসে লাখ লাখ রোহিঙ্গা।
সহিংস দমন অভিযানের ১১ মাস পর বাংলাদেশের ক্যাম্পগুলোতে বসবাসরত উদ্বাস্তুরা এখন তাদের ভবিষ্যত নিয়ে ভাবছে। যদিও তারা মিয়ানমারের নৃশংসতা থেকে পালিয়ে এসে এখন বাংলাদেশে আশ্রয়, খাদ্য ও চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে, কিন্তু অনেকেই বাড়ি ফেরা নিয়ে কথা বলছে।
আন্তর্জাতিক চাপে এসব রোহিঙ্গাকে ফেরাতে গত বছরের নভেম্বরে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করলেও এখনও একজন রোহিঙ্গাকেও ফিরিয়ে নেয়নি। এমন বাস্তবতায়, আন্তর্জাতিক চাপের মুখে গত মে মাসের শেষ নাগাদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে মিয়ানমার ও জাতিসংঘের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
চুক্তিটি গত ২৯ জুন ফেসবুকে ফাঁস হয়ে যায়। এরপর থেকে রোহিঙ্গা নেতারা তা প্রত্যাখ্যান করে আসছেন। তারা বলছেন, এতে রোহিঙ্গাদের জন্য নাগরিকত্বের নিশ্চিয়তা দেয়া হয়নি। মিয়ানমারের ১৯৮২ সালের জাতীয় আইনের আওতায় তারা নাগরিক হিসেবে স্বীকৃত নয়।
আমি উখিয়ার ক্যাম্পগুলোর সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কিছু শুনতে চেয়েছিলাম। এ কারণে তারা ফিরে যেতে কেন আগ্রহী তা জানতে চেয়েছিলাম।
নূর (২২) নামের একজন থাকেন একটি ছোট্ট ঘরে। সাথে থাকেন তার ভগ্নিপতি। তিনি বলেন, ‘আমি আমার ভবিষ্যৎ জানি না। আমি শুনেছি, আমাদেরকে দেশে ছুড়ে ফেলার কথা হচ্ছে। কিন্তু আমার কাছে কোনো নথিপত্র নেই। তার স্বামীকে মিয়ানমারে হত্যা করা হয়েছে। তার নবজাতক সন্তানকেও তিনি বাঁচাতে পারেননি। নূর ৮ বছর বয়সে স্কুল ত্যাগ করেছিলেন। তার সামনে ভবিষ্যত বলে কিছু নেই। তবে তিনি আশা করছেন, তার ছেলে হয়তো পড়াশোনা করতে পারবে।
তিনি বলেন, তাকে স্কুলে পাঠানোর জন্যই আমি ফিরতে চাই। আশা করি, একদিন সে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারবে। সন্তানরা স্কুলে যেতে না পারার কারণে অনেকেই মিয়ানমারে ফিরে যেতে আগ্রহী।
নাসিম (৪৭) নামের এক নারী, তিনি ৫ সন্তানের মা, বলেন, আমরা এখনো কোনোমতে টিকে আছি। আমি চাই, আমার সন্তানেরা যেন পড়াশোনা করতে পারে।
উদ্বাস্তু শিবিরগুলোতে বসবাসকারী সাত লাখ লোকের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই শিশু। তাদেরকে বাংলাদেশের স্কুলে ভর্তি হতে দেয়া হয়নি। আবার মিয়ানমারও তাদের জাতীয় কারিকুলাম উদ্বাস্তু ক্যাম্পগুলোতে চালানো নিষিদ্ধ করেছে।
ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামে ফিল্ড মনিটরিং এ কর্মরত জয়নাল আবেদীন সুজন বলেন, প্রতি চারটি রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুর তিনজনই শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত। একটি প্রজন্ম হারিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এর মানে হলো, তিন লাখ ২৭ হাজার রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু শিশু শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিভিন্ন এনজিও ও জাতিসংঘ পরিচালিত অস্থায়ী স্কুলগুলোতে প্রায় ১,৩৭,০০০ রোহিঙ্গা শিশু ভর্তি হলেও তারা আশঙ্কা করছে, তাদের শিক্ষাকে স্বীকৃতি দেয়া হবে না।
বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জি ব্লকের নুরুল আমিন (৩৫) বলেন, এখানকার শিক্ষা কেন্দ্রগুলো সত্যিকারের স্কুল নয়। এগুলোতে দুই ঘণ্টার জন্য মাত্র পড়াশোনা করানো হয়।
তিনি বলেন, আমি চাই আমার সন্তানেরা স্কুলে গিয়ে যথাযথ শিক্ষা লাভ করুক। তারা যদি আমাদের স্বাভাবিক জীবনের প্রতিশ্রুতি দেয়, আমাদের হত্যা না করার প্রতিশ্রুতি দেয়, তবে আমি আমার পরিবারকে মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেব। তবে এখন আমি শঙ্কিত। তবে মিয়ানমারের রাখাইনের শিক্ষাব্যবস্থাও করুণ দশায় রয়েছে। রাখাইনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মুসলিম ছাত্রদের ভর্তি হওয়া অসম্ভব ব্যাপার। তাছাড়া তাদের চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ রয়েছে। আর কেউ যদি ভর্তি হতেও পারে, তবে তাকে অনেক অর্থ দিতে হয়।
৩২ বছর বয়স্কা হামিদা বলেন, আমরা সন্তানদের শিক্ষার ব্যয়ভার বহন করতে পারি না।তারপরও তিনি বলেন, আমি চাই না, আমার সন্তানদের জীবন ধ্বংস হয়ে যাক। তারা বড় হচ্ছে, তাদের শিক্ষার প্রয়োজন। তবে মিয়ানমারে তাদের কখনো স্কুলে ভর্তি নেয়া হবে না। তাহলে কি বাংলাদেশে আপনি ভালো আছেন, আমি জানতে চাইলাম।
হামিদা তার অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে তাকিলে বললেন, আপনার কী তাই মনে হয়?
তিনি বলেন, এখানে আমরা বিদেশী। মিয়ানমার আমাদের আবাসস্থল। তবে সামরিক বাহিনী আমাদের জীবন ধ্বংস করে দিয়েছে। আমার আর বাড়ি বলে কিছু নেই। তবে তারা যদি আমার জমি আর মূল্যবান সামগ্রী ফিরিয়ে দেয়, শান্তিতে বাস করার সুযোগ দেয়, তবে আমি অবশ্যই ফিরে যাব।
জাতিসংঘ প্রত্যাবর্তন চুক্তিতে সাবেক বাড়িঘর ফিরিয়ে দেয়ার নিশ্চয়তা দেয়া হয়নি। ফাঁস হওয়া নথিতে দেখা যায়, তাদেরকে তাদের বাড়িঘরে কিংবা নিকটতম নিরাপদ স্থানে ফিরিয়ে নেয়া হবে। অনেকে আশঙ্কা করছে, তাদেরকে হয়তো স্থায়ী কোনো ক্যাম্পে রাখা হবে।
শিক্ষার অনুপস্থিতি কেবল একটি বাধা। তারা চায় মর্যাদার সাথে মিয়ানমারে ফিরতে। তাদের বেশির ভাগই বাড়িঘর হারিয়েছে। ফলে তাদের বাড়িঘর ফিরিয়ে না দিলে তারাও ফিরতে পারবে না। এছাড়া রয়েছে ন্যায়বিচার ও ধর্ম পালনের অধিকার।
সাবেক শিক্ষক মোঃ ঈসমাইল বলেন, তারা আমাদের মা-বোনদের ধর্ষণ করেছে। আমাদেরকে ধর্ম পালন করতে দেয়নি। আমরা ধার্মিক মানুষ, আমরা আমাদের ধর্ম অনুসরণ করতে চাই। আমাদের প্রয়োজন জাতীয়তা। তারা যদি এ দুটি অধিকার দেয়, তবে আমি এখনই সোজা ফিরে যাব।ক্যাম্প গুলোতে আমি যত রোহিঙ্গার সাথে কথা বলেছি,তারা চায়,তাদের অধিকার ও সুরক্ষা প্রদান করা হলে,মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে স্কীকার করা হলে তারা ফিরে যেতে রাজি।
১৯৮০’র দশকে তৎকালীন মিয়ানমারের সেনাশাসিত জান্তা সরকার এক আইনের বলে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়। কয়েক প্রজন্ম ধরে রাখাইনে বসবাস করে এলেও তাদেরকে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অবৈধ অভিবাসী বলে চিহ্নিত করে চালানো হয় কাঠামোবদ্ধ সেনা প্রচারণা। ধাপে ধাপে সেখানকার মানুষদের মাঝে রোহিঙ্গাবিদ্বেষী মনোভাব গড়ে তোলা হয়।
সর্বশেষ গত বছর নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনে সহিংসতা জোরালো করলে বাংলাদেশ পালিয়ে আসে লাখ লাখ রোহিঙ্গা।
সহিংস দমন অভিযানের ১১ মাস পর বাংলাদেশের ক্যাম্পগুলোতে বসবাসরত উদ্বাস্তুরা এখন তাদের ভবিষ্যত নিয়ে ভাবছে। যদিও তারা মিয়ানমারের নৃশংসতা থেকে পালিয়ে এসে এখন বাংলাদেশে আশ্রয়, খাদ্য ও চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে, কিন্তু অনেকেই বাড়ি ফেরা নিয়ে কথা বলছে।
আন্তর্জাতিক চাপে এসব রোহিঙ্গাকে ফেরাতে গত বছরের নভেম্বরে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করলেও এখনও একজন রোহিঙ্গাকেও ফিরিয়ে নেয়নি। এমন বাস্তবতায়, আন্তর্জাতিক চাপের মুখে গত মে মাসের শেষ নাগাদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে মিয়ানমার ও জাতিসংঘের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
চুক্তিটি গত ২৯ জুন ফেসবুকে ফাঁস হয়ে যায়। এরপর থেকে রোহিঙ্গা নেতারা তা প্রত্যাখ্যান করে আসছেন। তারা বলছেন, এতে রোহিঙ্গাদের জন্য নাগরিকত্বের নিশ্চিয়তা দেয়া হয়নি। মিয়ানমারের ১৯৮২ সালের জাতীয় আইনের আওতায় তারা নাগরিক হিসেবে স্বীকৃত নয়।
আমি উখিয়ার ক্যাম্পগুলোর সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কিছু শুনতে চেয়েছিলাম। এ কারণে তারা ফিরে যেতে কেন আগ্রহী তা জানতে চেয়েছিলাম।
নূর (২২) নামের একজন থাকেন একটি ছোট্ট ঘরে। সাথে থাকেন তার ভগ্নিপতি। তিনি বলেন, ‘আমি আমার ভবিষ্যৎ জানি না। আমি শুনেছি, আমাদেরকে দেশে ছুড়ে ফেলার কথা হচ্ছে। কিন্তু আমার কাছে কোনো নথিপত্র নেই। তার স্বামীকে মিয়ানমারে হত্যা করা হয়েছে। তার নবজাতক সন্তানকেও তিনি বাঁচাতে পারেননি। নূর ৮ বছর বয়সে স্কুল ত্যাগ করেছিলেন। তার সামনে ভবিষ্যত বলে কিছু নেই। তবে তিনি আশা করছেন, তার ছেলে হয়তো পড়াশোনা করতে পারবে।
তিনি বলেন, তাকে স্কুলে পাঠানোর জন্যই আমি ফিরতে চাই। আশা করি, একদিন সে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারবে। সন্তানরা স্কুলে যেতে না পারার কারণে অনেকেই মিয়ানমারে ফিরে যেতে আগ্রহী।
নাসিম (৪৭) নামের এক নারী, তিনি ৫ সন্তানের মা, বলেন, আমরা এখনো কোনোমতে টিকে আছি। আমি চাই, আমার সন্তানেরা যেন পড়াশোনা করতে পারে।
উদ্বাস্তু শিবিরগুলোতে বসবাসকারী সাত লাখ লোকের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই শিশু। তাদেরকে বাংলাদেশের স্কুলে ভর্তি হতে দেয়া হয়নি। আবার মিয়ানমারও তাদের জাতীয় কারিকুলাম উদ্বাস্তু ক্যাম্পগুলোতে চালানো নিষিদ্ধ করেছে।
ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামে ফিল্ড মনিটরিং এ কর্মরত জয়নাল আবেদীন সুজন বলেন, প্রতি চারটি রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুর তিনজনই শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত। একটি প্রজন্ম হারিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এর মানে হলো, তিন লাখ ২৭ হাজার রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু শিশু শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিভিন্ন এনজিও ও জাতিসংঘ পরিচালিত অস্থায়ী স্কুলগুলোতে প্রায় ১,৩৭,০০০ রোহিঙ্গা শিশু ভর্তি হলেও তারা আশঙ্কা করছে, তাদের শিক্ষাকে স্বীকৃতি দেয়া হবে না।
বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জি ব্লকের নুরুল আমিন (৩৫) বলেন, এখানকার শিক্ষা কেন্দ্রগুলো সত্যিকারের স্কুল নয়। এগুলোতে দুই ঘণ্টার জন্য মাত্র পড়াশোনা করানো হয়।
তিনি বলেন, আমি চাই আমার সন্তানেরা স্কুলে গিয়ে যথাযথ শিক্ষা লাভ করুক। তারা যদি আমাদের স্বাভাবিক জীবনের প্রতিশ্রুতি দেয়, আমাদের হত্যা না করার প্রতিশ্রুতি দেয়, তবে আমি আমার পরিবারকে মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেব। তবে এখন আমি শঙ্কিত। তবে মিয়ানমারের রাখাইনের শিক্ষাব্যবস্থাও করুণ দশায় রয়েছে। রাখাইনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মুসলিম ছাত্রদের ভর্তি হওয়া অসম্ভব ব্যাপার। তাছাড়া তাদের চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ রয়েছে। আর কেউ যদি ভর্তি হতেও পারে, তবে তাকে অনেক অর্থ দিতে হয়।
৩২ বছর বয়স্কা হামিদা বলেন, আমরা সন্তানদের শিক্ষার ব্যয়ভার বহন করতে পারি না।তারপরও তিনি বলেন, আমি চাই না, আমার সন্তানদের জীবন ধ্বংস হয়ে যাক। তারা বড় হচ্ছে, তাদের শিক্ষার প্রয়োজন। তবে মিয়ানমারে তাদের কখনো স্কুলে ভর্তি নেয়া হবে না। তাহলে কি বাংলাদেশে আপনি ভালো আছেন, আমি জানতে চাইলাম।
হামিদা তার অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে তাকিলে বললেন, আপনার কী তাই মনে হয়?
তিনি বলেন, এখানে আমরা বিদেশী। মিয়ানমার আমাদের আবাসস্থল। তবে সামরিক বাহিনী আমাদের জীবন ধ্বংস করে দিয়েছে। আমার আর বাড়ি বলে কিছু নেই। তবে তারা যদি আমার জমি আর মূল্যবান সামগ্রী ফিরিয়ে দেয়, শান্তিতে বাস করার সুযোগ দেয়, তবে আমি অবশ্যই ফিরে যাব।
জাতিসংঘ প্রত্যাবর্তন চুক্তিতে সাবেক বাড়িঘর ফিরিয়ে দেয়ার নিশ্চয়তা দেয়া হয়নি। ফাঁস হওয়া নথিতে দেখা যায়, তাদেরকে তাদের বাড়িঘরে কিংবা নিকটতম নিরাপদ স্থানে ফিরিয়ে নেয়া হবে। অনেকে আশঙ্কা করছে, তাদেরকে হয়তো স্থায়ী কোনো ক্যাম্পে রাখা হবে।
শিক্ষার অনুপস্থিতি কেবল একটি বাধা। তারা চায় মর্যাদার সাথে মিয়ানমারে ফিরতে। তাদের বেশির ভাগই বাড়িঘর হারিয়েছে। ফলে তাদের বাড়িঘর ফিরিয়ে না দিলে তারাও ফিরতে পারবে না। এছাড়া রয়েছে ন্যায়বিচার ও ধর্ম পালনের অধিকার।
সাবেক শিক্ষক মোঃ ঈসমাইল বলেন, তারা আমাদের মা-বোনদের ধর্ষণ করেছে। আমাদেরকে ধর্ম পালন করতে দেয়নি। আমরা ধার্মিক মানুষ, আমরা আমাদের ধর্ম অনুসরণ করতে চাই। আমাদের প্রয়োজন জাতীয়তা। তারা যদি এ দুটি অধিকার দেয়, তবে আমি এখনই সোজা ফিরে যাব।ক্যাম্প গুলোতে আমি যত রোহিঙ্গার সাথে কথা বলেছি,তারা চায়,তাদের অধিকার ও সুরক্ষা প্রদান করা হলে,মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে স্কীকার করা হলে তারা ফিরে যেতে রাজি।
No comments