চীনের শীর্ষ বৌদ্ধ ভিক্ষুর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ
নানদের
যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে চীনের উচ্চ পদস্থ এক বৌদ্ধ ভিক্ষু অ্যাবোট
সুয়েচেঙয়ের বিরুদ্ধে। বলা হয়েছে, তাদেরকে মানসিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করে সেক্সে
আসক্ত করেছেন তিনি। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই ভিক্ষু। বেইজিংয়ে
লংকুয়ান প্যাগোডায় দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ওই প্যাগোডার অন্য দু’জন ভিক্ষু
তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে যৌনতার ওই অভিযোগ তুলেছেন। যৌন
হয়রানির বিরুদ্ধে ‘মি টু’ আন্দোলন ক্রমশ জোরদার হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন
স্থানে। তার মধ্যে চীন অন্যতম। তারই অংশ হিসেবে ওই ভিক্ষুর বিরুদ্ধে এমন
অভিযোগ তোলা হয়েছে। ভিক্ষু অ্যাবোট সুয়েচেঙ হলেন চীনের বুদ্ধিস্ট
এসোসিয়েশনের প্রধান। এ পদে তিনিই এ যাবত সবচেয়ে কম বয়সী। একই সঙ্গে তিনি
সরকারের একজন রাজনৈতিক উপদেষ্টা। চীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উইবো’তে তার
রয়েছে ১০ লক্ষাধিক অনুসারী। প্যাগোডার পক্ষ থেকে উইবো’তে দেয়া একটি
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা উত্থাপিত অভিযোগ তদন্ত করবে। এ জন্য একটি তদন্ত
দল গঠন করা হবে। তবে বলা হয়েছে, ভিক্ষু অ্যাবোট সুয়েচেঙয়ের সুনাম নষ্ট করার
উদ্দেশে বানোয়াট অভিযোগ তোলা হয়েছে।
তবে তার বিরুদ্ধে সরকারের কাছে ওই প্যাগোডার যে দু’জন ভিক্ষু রিপোর্ট লিখেছেন তারা হলেন সিয়ানজিয়া এবং সিয়ানকি। তাদের অভিযোগ নানদের কাছে রগরগে যৌনতা সংশ্লিষ্ট ম্যাসেজ পাঠিয়েছেন ভিক্ষু অ্যাবোট সুয়েচেঙ। এ ছাড়া তাদেরকে যৌন সম্পর্কে উদ্বুদ্ধ করেছেন। আরো বলা হয়েছে, কমপক্ষে ছয়জন নান’কে তিনি যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে প্রলুব্ধ করেছেন না হয় হুমকি দিয়েছেন। তাদের মধ্যে চারজন তার অনুরোধে সাড়া দিয়েছেন। এ ছাড়া নান’দেরকে তিনি যৌনতায় আসক্ত করতেন ম্যাসেজ পাঠিয়ে। তাতে বলতেন, যৌন সম্পর্ক হলো বৌদ্ধ রীতি গবেষণার অংশ। এসব বার্তা দিয়ে নান’দের মনকে নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। ভিক্ষু অ্যাবোট সুয়েচেঙয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়া হয়েছে ৯৫ পৃষ্ঠার। তা আবার ফাঁস হয়ে গেছে অনলাইনে। নির্যাতিত নানদের একজন জুনে ভিক্ষু অ্যাবোট সুয়েচেঙয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন পুলিশে। তাতে তিনি দাবি করেছেন তাকে যৌন হয়রান করা হয়েছে। অভিযোগকারী ভিক্ষুরা বলেছেন, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে বেইজিংয়ে অবস্থান করা একজন নান তাদেরকে ভিক্ষু অ্যাবোট সুয়েচেঙয়ের পাঠানো যৌনতা সংশ্লিষ্ট বার্তা দেখান। এরপর তারা এ বিষয়ে অনুসন্ধান করতে থাকেন। এরপর তারা যে রিপোর্ট দিয়েছেন তাতে বলা হয়েছে, লংকুয়ান প্যাগোডাকে নিজের নিয়ন্ত্রিত স্থান বানিয়ে ফেলেছেন ভিক্ষু অ্যাবোট সুয়েচেঙ। তিনি নিয়মকানুন নিজের মতো করে তৈরি করে নিয়েছেন। এসব অভিযোগের পর ভিক্ষু অ্যাবোট সুয়েচেঙকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
তবে তার বিরুদ্ধে সরকারের কাছে ওই প্যাগোডার যে দু’জন ভিক্ষু রিপোর্ট লিখেছেন তারা হলেন সিয়ানজিয়া এবং সিয়ানকি। তাদের অভিযোগ নানদের কাছে রগরগে যৌনতা সংশ্লিষ্ট ম্যাসেজ পাঠিয়েছেন ভিক্ষু অ্যাবোট সুয়েচেঙ। এ ছাড়া তাদেরকে যৌন সম্পর্কে উদ্বুদ্ধ করেছেন। আরো বলা হয়েছে, কমপক্ষে ছয়জন নান’কে তিনি যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে প্রলুব্ধ করেছেন না হয় হুমকি দিয়েছেন। তাদের মধ্যে চারজন তার অনুরোধে সাড়া দিয়েছেন। এ ছাড়া নান’দেরকে তিনি যৌনতায় আসক্ত করতেন ম্যাসেজ পাঠিয়ে। তাতে বলতেন, যৌন সম্পর্ক হলো বৌদ্ধ রীতি গবেষণার অংশ। এসব বার্তা দিয়ে নান’দের মনকে নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। ভিক্ষু অ্যাবোট সুয়েচেঙয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়া হয়েছে ৯৫ পৃষ্ঠার। তা আবার ফাঁস হয়ে গেছে অনলাইনে। নির্যাতিত নানদের একজন জুনে ভিক্ষু অ্যাবোট সুয়েচেঙয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন পুলিশে। তাতে তিনি দাবি করেছেন তাকে যৌন হয়রান করা হয়েছে। অভিযোগকারী ভিক্ষুরা বলেছেন, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে বেইজিংয়ে অবস্থান করা একজন নান তাদেরকে ভিক্ষু অ্যাবোট সুয়েচেঙয়ের পাঠানো যৌনতা সংশ্লিষ্ট বার্তা দেখান। এরপর তারা এ বিষয়ে অনুসন্ধান করতে থাকেন। এরপর তারা যে রিপোর্ট দিয়েছেন তাতে বলা হয়েছে, লংকুয়ান প্যাগোডাকে নিজের নিয়ন্ত্রিত স্থান বানিয়ে ফেলেছেন ভিক্ষু অ্যাবোট সুয়েচেঙ। তিনি নিয়মকানুন নিজের মতো করে তৈরি করে নিয়েছেন। এসব অভিযোগের পর ভিক্ষু অ্যাবোট সুয়েচেঙকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
No comments