তৎপর ‘ক্ষুদে ট্রাফিকরা’ আইন সবার জন্য সমান
বাসচাপায়
দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের গাড়ির প্রয়োজনীয়
কাগজপত্র দেখাতে পারেননি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও। আইন সবার
জন্য সমান-এমনটি তুলে ধরতে গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে শিক্ষার্থীরা
সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী, এমপি, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা,
বিচারক, সচিব, আমলা, পুলিশের ডিআইজি, গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও
প্রতিষ্ঠানের গাড়ি ও চালকের লাইসেন্স পরীক্ষা করেন। কাগজপত্র না থাকায়
অনেকের গাড়ি আটকে দেয়া হয়। তাদের কেউ কেউ দুঃখ প্রকাশ করে ছাড়া পান। কারও
কারও বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে।
গতকাল দুপুরের দিকে একজন বিচারপতির গাড়িচালকের লাইসেন্স না থাকায় শিক্ষার্থীরা গাড়িটি আটকে দেয়। তখন ওই বিচারক শিক্ষার্থীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। দুপুর ১২টার দিকে লাইসেন্স মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি গাড়ির চালকের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা গাড়ি আটকে চালকের লাইসেন্স দেখতে চায়। দেখা যায়, লাইসেন্সটি মেয়াদোত্তীর্ণ। এরপর সেখানে কর্তব্যরত সার্জেন্ট জাফর ইমাম লাইসেন্স নবায়ন না করায় একটি মামলা করেন। কাওরানবাজার-ফার্মগেট সড়কে নৌ পুলিশের ডিআইজি’র গাড়ি আটকে দেয় আন্দোলনকারীরা। গাড়িতে ‘পুলিশ’- লেখা দেখে শিক্ষার্থীরা কাগজপত্র দেখতে চাইলে গাড়িচালক কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এমনকি গাড়ির চালক তার ড্রাইভিং লাইসেন্সও দেখাতে পারেননি।
এ ঘটনায় উপস্থিত সকলেই বিস্মিত হন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি গাড়িতে (ঢাকা মেট্রো-ঘ-১১-৬৭৬০) রং দিয়ে ‘আমার লাইসেন্স নাই’ সহ বিভিন্ন মন্তব্য লিখে দিয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। রাজধানীর ধানমন্ডির ২ নম্বর রোডে সিটি কলেজের পশ্চিম পাশে গাড়িটির কাগজপত্র না পেয়ে ওই গাড়িটিতে লেখা হয় নানান মন্তব্য। লাইসেন্স না থাকায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের গাড়িতেও ‘ভুয়া’ লিখে দেয় শিক্ষার্থীরা। কাগজপত্র ঠিক না থাকায় অপর এক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবকে বাংলামটরে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। পরে রিকশা নিয়ে তিনি সচিবালয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন।
বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথের গাড়িও আটক করে শিক্ষার্থীরা। গাড়ির চালক ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখাতে না পারায় এমপি পঙ্কজ দেবনাথকে অবরুদ্ধ করে রাখেন বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা। শনিরআখড়া এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগের স্থানীয় এক নেতা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়ালে তাকে মারধর করে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে এমপি’র গাড়ির বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা দেয়ার পর গাড়ি ছেড়ে দেয়া হয়।
গতকাল দুপুরের দিকে একজন বিচারপতির গাড়িচালকের লাইসেন্স না থাকায় শিক্ষার্থীরা গাড়িটি আটকে দেয়। তখন ওই বিচারক শিক্ষার্থীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। দুপুর ১২টার দিকে লাইসেন্স মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি গাড়ির চালকের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা গাড়ি আটকে চালকের লাইসেন্স দেখতে চায়। দেখা যায়, লাইসেন্সটি মেয়াদোত্তীর্ণ। এরপর সেখানে কর্তব্যরত সার্জেন্ট জাফর ইমাম লাইসেন্স নবায়ন না করায় একটি মামলা করেন। কাওরানবাজার-ফার্মগেট সড়কে নৌ পুলিশের ডিআইজি’র গাড়ি আটকে দেয় আন্দোলনকারীরা। গাড়িতে ‘পুলিশ’- লেখা দেখে শিক্ষার্থীরা কাগজপত্র দেখতে চাইলে গাড়িচালক কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এমনকি গাড়ির চালক তার ড্রাইভিং লাইসেন্সও দেখাতে পারেননি।
এ ঘটনায় উপস্থিত সকলেই বিস্মিত হন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি গাড়িতে (ঢাকা মেট্রো-ঘ-১১-৬৭৬০) রং দিয়ে ‘আমার লাইসেন্স নাই’ সহ বিভিন্ন মন্তব্য লিখে দিয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। রাজধানীর ধানমন্ডির ২ নম্বর রোডে সিটি কলেজের পশ্চিম পাশে গাড়িটির কাগজপত্র না পেয়ে ওই গাড়িটিতে লেখা হয় নানান মন্তব্য। লাইসেন্স না থাকায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের গাড়িতেও ‘ভুয়া’ লিখে দেয় শিক্ষার্থীরা। কাগজপত্র ঠিক না থাকায় অপর এক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবকে বাংলামটরে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। পরে রিকশা নিয়ে তিনি সচিবালয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন।
বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথের গাড়িও আটক করে শিক্ষার্থীরা। গাড়ির চালক ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখাতে না পারায় এমপি পঙ্কজ দেবনাথকে অবরুদ্ধ করে রাখেন বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা। শনিরআখড়া এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগের স্থানীয় এক নেতা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়ালে তাকে মারধর করে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে এমপি’র গাড়ির বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা দেয়ার পর গাড়ি ছেড়ে দেয়া হয়।
No comments