‘এনআরসি ইস্যু বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ধ্বংস করে দেবে’
সতর্কতা
উচ্চারণ করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি
বললেন, এনআরসি বা ভারতের নাগরিকত্ব ইস্যুতে সৃষ্ট উত্তেজনা বাংলাদেশের
সঙ্গে ভারতের সম্পর্ককে ধ্বংস করে দেবে। তিনি ভারত সরকারের প্রতি প্রশ্ন
তুলেছেন, ভারতে বড় সংখ্যায় তো নেপালি নাগরিকরাও আছেন। তাহলে কেন শুধু
বাংলাদেশের অবৈধ নাগরিকদের ফোকাস করছে সরকার। ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের
বহুল বিতর্কিত আসামের এনআরসি বাস্তবায়ন নিয়ে নিজের সমালোচনা ক্ষুরধার করে
এমন মন্তব্য করেছেন মমতা। ৩০শে জুলাই আসামের এনআরসির চূড়ান্ত খসড়া তালিকা
প্রকাশ করা হয়েছে।
তাতে ৪০ লক্ষাধিক মানুষকে তালিকার বাইরে রাখা হয়েছে। অর্থাৎ তারা ভারতের নাগরিক নন। এসব মানুষকে বলা হচ্ছে বাংলাদেশের অবৈধ অভিবাসী। এর বেশির ভাগই হলেন বাংলাভাষী মুসলিম। এ ইস্যুতে ভারতের রাজনীতি, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে উত্তেজনা বিরাজ করছে। অনলাইন দ্য স্টেটসম্যানের রিপোর্টে মমতার ওই সতর্কতার কথা উঠে এসেছে। মমতা বলেছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে চান না। তবে সব বিরোধী দল মিলে যদি একত্রিত হয় তাহলে বিজেপিকে পরাজিত করা যাবে এবং সেটাই এখন প্রধান অগ্রগণ্য। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের একটি চমৎকার সম্পর্ক বিদ্যমান এ বিষয়টি সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরে মমতা ওই সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এনআরসি তালিকায় যে ৪০ লাখ মানুষের নাম নেই, তাদের মধ্যে মাত্র শতকরা এক ভাগ হতে পারেন অবৈধ অনুপ্রবেশকারী। কিন্তু বিজেপি দেখাতে চেষ্টা করছে তারা সবাই অনুপ্রবেশকারী।
এতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ধ্বংস হবে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ কোনো সন্ত্রাসী দেশ নয়। স্বাধীনতার পর গুজরাট, রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ ও পাঞ্জাবে এসেছেন বহু পাকিস্তানি। বাংলাদেশ থেকেও ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও আরও অনেক রাজ্যে এসেছেন মানুষ। তারা অনুপ্রবেশকারী বা সন্ত্রাসী নন। বাংলাদেশ ও আমরা (পশ্চিমবঙ্গ) একই মাতৃভাষায় কথা বলি এটাই কি অপরাধ? বিজেপি মনে করে, যারাই বাংলা ভাষায় কথা বলেন তারাই বাংলাদেশি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, অবৈধ অভিবাসী ইস্যুটি একটি এক সময়ের জন্য একটি বিচ্ছিন্ন ইস্যু নয়। সীমান্তটা শুধু রাজ্য সরকারের সঙ্গে নয়, সীমান্ত তো কেন্দ্রীয় সরকারেরও (অর্থাৎ সীমান্তের দায় কেন্দ্রীয় সরকারেরও)। তিনি এ কথার মধ্যদিয়ে স্পষ্ট করে দেন যে, সীমান্ত নিরাপত্তা রাখার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের ওপরও বর্তায়। বিজেপি এনআরসি ইস্যু নিয়ে ভোটব্যাংক রাজনীতির খেলা খেলছে বলে অভিযোগ করেন মমতা। তিনি বলেন, যারা বিজেপির ভোটার হবেন তাদের ওই (এনআরসি) তালিকায় রাখা হবে। যারা ভোটার হবেন না তাদের নাম ওই তালিকা থেকে বাদ রাখা হবে। তিনি সরকার তথা বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন রাখেন, বাংলাদেশি নাম দিয়ে কি আপনারা প্রত্যেককে বের করে দেবেন?
সব বিরোধী দলকে আসামে প্রতিনিধিদল পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, এনআরসির সব কাজ করছে বিজেপি। তারা কেন্দ্রে ও আসামের শাসন ক্ষমতায়। এ কাজে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে। তারা জনগণকে বিভক্ত ও বিচ্ছিন্ন করতে চায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আবারও সতর্কবার্তা দিয়েছেন। বলেছেন, এতে দেশ রক্তপাত ও গৃহযুদ্ধের দিকে ধাবিত হবে।
নয়া দিল্লি সফরের তৃতীয় দিনে বুধবার মমতা সাক্ষাৎ করেছেন বিরোধীদলীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে। এর মধ্যে রয়েছেন ইউপিএ চেয়ারপারসন সোনিয়া গান্ধী ও কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর ছেলে রাহুল গান্ধী। এ সময়ে তিনি বিজেপিকে আটকাতে ঐক্যবদ্ধ একটি বিরোধী দল গঠনের ওপর জোর দিয়েছেন। শুধু কংগ্রেসই নয়। এ দিন মমতা সাক্ষাৎ করেন টিডিপি, এসপি, জেডি-এস, ওয়াইএসআর (কংগ্রেস), ডিএমকে, আরজেডি ও এনসিপি দলের নেতাদের সঙ্গে। এ ছাড়া বিজেপির ভিন্নমতাবলম্বী নেতা এলকে আদভানির সঙ্গেও তার সাক্ষাৎ হয়। মমতা সাক্ষাৎ করেন শিবসেনার এমপি সঞ্জয় রাউতের সঙ্গেও। এসব নেতার বেশির ভাগের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয় পার্লামেন্ট হাউজে।
আগামী ১৯শে জানুয়ারি কলকাতায় র্যালি করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই র্যালিতে অংশ নিতে শিবসেনা প্রধান উদ্ভব থাকরে সহ বিরোধীদলীয় নেতাদের প্রতি আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি। ওই র্যালিকে ২০১৯ সালের নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলোর একটি ঐক্যবদ্ধ ও সবচেয়ে জোরালো, মেগা শোডাউন বলে দেখা হচ্ছে।
বুধবার ১০ জনপথের বাসভবনে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর মমতা সাংবাদিকদের বলেন, বিরোধী দলগুলো ঐক্যবদ্ধ। ২০১৯ সালে বিজেপি শেষ হয়ে যাবে। আমরা সম্মিলিতভাবে নেতৃত্বের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো। তিনি জানান, এসব বৈঠকে এনআরসি ইস্যুতে কথা হয়েছে। তাছাড়া বিজেপিকে মোকাবিলা করতে কিভাবে বিরোধীরা এক হয়ে কাজ করতে পারে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তার কাছে এ সময় প্রশ্ন করা হয়, প্রস্তাবিত বিজেপি বিরোধী ফ্রন্টের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী করা হবে কাকে? এমন প্রশ্নের জবাবে মমতা বলেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে পরে। প্রথম অগ্রাধিকার হবে বিজেপিকে পরাজিত করা।
এনআরসি ইস্যুতে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করে বলেছেন, আসামে এনআরসি থেকে যেসব মানুষের নাম বাদ দেয়া হয়েছে তারা বিহার, উত্তর প্রদেশ, তামিলনাড়ু, গুজরাট ও পশ্চিমবঙ্গের। আমরা চাই তাদের শান্তিতে বসবাস করতে দেয়া হোক। তাদের অনেকে আসামে ১০০ বছর ধরে ৫ প্রজন্ম পর্যন্ত বসবাস করছেন। কিভাবে তাদের ক্ষেত্রে আপনারা এটা করতে পারেন?
মমতা বিজেপিকে আরো ঘায়েল করেন। তিনি বলেন, ক্ষমতায় ফিরে না এল বিজেপি জানে ২০১৯ সালে তাদের কী ঘটবে। এজন্যই তারা এ ইস্যুতে এমন পরিবেশ সৃষ্টি করতে চেষ্টা করছে।
তাতে ৪০ লক্ষাধিক মানুষকে তালিকার বাইরে রাখা হয়েছে। অর্থাৎ তারা ভারতের নাগরিক নন। এসব মানুষকে বলা হচ্ছে বাংলাদেশের অবৈধ অভিবাসী। এর বেশির ভাগই হলেন বাংলাভাষী মুসলিম। এ ইস্যুতে ভারতের রাজনীতি, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে উত্তেজনা বিরাজ করছে। অনলাইন দ্য স্টেটসম্যানের রিপোর্টে মমতার ওই সতর্কতার কথা উঠে এসেছে। মমতা বলেছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে চান না। তবে সব বিরোধী দল মিলে যদি একত্রিত হয় তাহলে বিজেপিকে পরাজিত করা যাবে এবং সেটাই এখন প্রধান অগ্রগণ্য। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের একটি চমৎকার সম্পর্ক বিদ্যমান এ বিষয়টি সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরে মমতা ওই সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এনআরসি তালিকায় যে ৪০ লাখ মানুষের নাম নেই, তাদের মধ্যে মাত্র শতকরা এক ভাগ হতে পারেন অবৈধ অনুপ্রবেশকারী। কিন্তু বিজেপি দেখাতে চেষ্টা করছে তারা সবাই অনুপ্রবেশকারী।
এতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ধ্বংস হবে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ কোনো সন্ত্রাসী দেশ নয়। স্বাধীনতার পর গুজরাট, রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ ও পাঞ্জাবে এসেছেন বহু পাকিস্তানি। বাংলাদেশ থেকেও ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও আরও অনেক রাজ্যে এসেছেন মানুষ। তারা অনুপ্রবেশকারী বা সন্ত্রাসী নন। বাংলাদেশ ও আমরা (পশ্চিমবঙ্গ) একই মাতৃভাষায় কথা বলি এটাই কি অপরাধ? বিজেপি মনে করে, যারাই বাংলা ভাষায় কথা বলেন তারাই বাংলাদেশি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, অবৈধ অভিবাসী ইস্যুটি একটি এক সময়ের জন্য একটি বিচ্ছিন্ন ইস্যু নয়। সীমান্তটা শুধু রাজ্য সরকারের সঙ্গে নয়, সীমান্ত তো কেন্দ্রীয় সরকারেরও (অর্থাৎ সীমান্তের দায় কেন্দ্রীয় সরকারেরও)। তিনি এ কথার মধ্যদিয়ে স্পষ্ট করে দেন যে, সীমান্ত নিরাপত্তা রাখার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের ওপরও বর্তায়। বিজেপি এনআরসি ইস্যু নিয়ে ভোটব্যাংক রাজনীতির খেলা খেলছে বলে অভিযোগ করেন মমতা। তিনি বলেন, যারা বিজেপির ভোটার হবেন তাদের ওই (এনআরসি) তালিকায় রাখা হবে। যারা ভোটার হবেন না তাদের নাম ওই তালিকা থেকে বাদ রাখা হবে। তিনি সরকার তথা বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন রাখেন, বাংলাদেশি নাম দিয়ে কি আপনারা প্রত্যেককে বের করে দেবেন?
সব বিরোধী দলকে আসামে প্রতিনিধিদল পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, এনআরসির সব কাজ করছে বিজেপি। তারা কেন্দ্রে ও আসামের শাসন ক্ষমতায়। এ কাজে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে। তারা জনগণকে বিভক্ত ও বিচ্ছিন্ন করতে চায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আবারও সতর্কবার্তা দিয়েছেন। বলেছেন, এতে দেশ রক্তপাত ও গৃহযুদ্ধের দিকে ধাবিত হবে।
নয়া দিল্লি সফরের তৃতীয় দিনে বুধবার মমতা সাক্ষাৎ করেছেন বিরোধীদলীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে। এর মধ্যে রয়েছেন ইউপিএ চেয়ারপারসন সোনিয়া গান্ধী ও কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর ছেলে রাহুল গান্ধী। এ সময়ে তিনি বিজেপিকে আটকাতে ঐক্যবদ্ধ একটি বিরোধী দল গঠনের ওপর জোর দিয়েছেন। শুধু কংগ্রেসই নয়। এ দিন মমতা সাক্ষাৎ করেন টিডিপি, এসপি, জেডি-এস, ওয়াইএসআর (কংগ্রেস), ডিএমকে, আরজেডি ও এনসিপি দলের নেতাদের সঙ্গে। এ ছাড়া বিজেপির ভিন্নমতাবলম্বী নেতা এলকে আদভানির সঙ্গেও তার সাক্ষাৎ হয়। মমতা সাক্ষাৎ করেন শিবসেনার এমপি সঞ্জয় রাউতের সঙ্গেও। এসব নেতার বেশির ভাগের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয় পার্লামেন্ট হাউজে।
আগামী ১৯শে জানুয়ারি কলকাতায় র্যালি করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই র্যালিতে অংশ নিতে শিবসেনা প্রধান উদ্ভব থাকরে সহ বিরোধীদলীয় নেতাদের প্রতি আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি। ওই র্যালিকে ২০১৯ সালের নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলোর একটি ঐক্যবদ্ধ ও সবচেয়ে জোরালো, মেগা শোডাউন বলে দেখা হচ্ছে।
বুধবার ১০ জনপথের বাসভবনে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর মমতা সাংবাদিকদের বলেন, বিরোধী দলগুলো ঐক্যবদ্ধ। ২০১৯ সালে বিজেপি শেষ হয়ে যাবে। আমরা সম্মিলিতভাবে নেতৃত্বের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো। তিনি জানান, এসব বৈঠকে এনআরসি ইস্যুতে কথা হয়েছে। তাছাড়া বিজেপিকে মোকাবিলা করতে কিভাবে বিরোধীরা এক হয়ে কাজ করতে পারে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তার কাছে এ সময় প্রশ্ন করা হয়, প্রস্তাবিত বিজেপি বিরোধী ফ্রন্টের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী করা হবে কাকে? এমন প্রশ্নের জবাবে মমতা বলেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে পরে। প্রথম অগ্রাধিকার হবে বিজেপিকে পরাজিত করা।
এনআরসি ইস্যুতে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করে বলেছেন, আসামে এনআরসি থেকে যেসব মানুষের নাম বাদ দেয়া হয়েছে তারা বিহার, উত্তর প্রদেশ, তামিলনাড়ু, গুজরাট ও পশ্চিমবঙ্গের। আমরা চাই তাদের শান্তিতে বসবাস করতে দেয়া হোক। তাদের অনেকে আসামে ১০০ বছর ধরে ৫ প্রজন্ম পর্যন্ত বসবাস করছেন। কিভাবে তাদের ক্ষেত্রে আপনারা এটা করতে পারেন?
মমতা বিজেপিকে আরো ঘায়েল করেন। তিনি বলেন, ক্ষমতায় ফিরে না এল বিজেপি জানে ২০১৯ সালে তাদের কী ঘটবে। এজন্যই তারা এ ইস্যুতে এমন পরিবেশ সৃষ্টি করতে চেষ্টা করছে।
No comments