মিরপুরে ছাত্রদের ওপর হামলা
নিরাপদ
সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল
বিকালে মিরপুর-১৩ নম্বর বিআরটিএ’র কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের
সঙ্গে এই হামলায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা অংশ নেয় বলে আন্দোলনকারীরা
অভিযোগ করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শী জানান, কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ লাঠিচার্জ করে
পুলিশ। এ সময় পুলিশের সঙ্গে লাঠি ও রড হাতে ছাত্রলীগ, যুবলীগের স্থানীয়
কর্মীরা অংশ নেয়। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা পাল্টা হামলা চালালে উভয় পক্ষের
মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। বিকাল ৪টার দিকে মিরপুর-১০ এর গোলচত্বর থেকে
১৩ ও ১৪ নম্বরের মধ্যে বিআরটিএ থেকে কাফরুল থানা হয়ে পাবলিক অর্ডার
ম্যানেজমেন্টের গেইট পর্যন্ত সড়কে এই ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে একপর্যায়ে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে অন্তত ১০ থেকে ১৫ জন আহত হয়েছেন। মিরপুর কলেজের ছাত্র আন্দোলনকারী সাহিল আহমেদ জানান, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছিলাম। কোনো কারণ ছাড়াই পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের স্থানীয় নেতাকর্মী হামলা করেছে। আমরা কোনো থানা বা বিআরটিএ ঘেরাও করতে যাইনি। পুলিশ এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ করেছে। প্রত্যক্ষদর্শী শান্তা মারিয়াম ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী আদনান ভূঁইয়া জানান, বিআরটিএ’র সামনে পুলিশের একটি গাড়ি থামিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে গেলে ছাত্রদের ওপর ক্ষিপ্ত হন এক পুলিশ সদস্য। এ সময় এক ছাত্রকে মারধর করলে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারী ছাত্রদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও পরে সংঘর্ষ ঘটে। তখন মিরপুর-১০ এর গোলচত্বরে যানবাহন চলাচলের জন্য আলাদা আলাদা সারি তৈরি করেছিলো ছাত্ররা। রিকশা ও বাসের জন্য আলাদ লেন। গাড়ির কাগজ ও ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করছিলো তারা। সেইসঙ্গে নিরাপদ সড়কের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছিলো তারা। এ সময় এক ছাত্রকে মারধর করা হয়েছে এই খবর ছড়িয়ে পড়লে তারা স্লোগান দিতে দিতে বিআরটিএ’র দিকে এগিয়ে যায়। বিআরটিএ’র সামনে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকে।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে ওই সময়ে পুলিশ তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় জয় বাংলা স্লোগান দিতে দিতে পুলিশের সঙ্গে লাঠি-রড হাতে অর্ধশত যুবক শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। শিক্ষার্থীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই ছাত্র আহত হয়। শিক্ষার্থীদের একাংশ ওভার ব্রিজে আশ্রয় নিলে সেখানেও লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এ সময় আতঙ্কে দোকানপাট বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ হামলাকারী ছাত্রলীগ যুবলীগের কর্মীরা আশপাশের স্থাপনায় ভাঙচুর করে। এ সময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ফাঁকা গুলিও ছোড়ে।
আসাদুজ্জামান রিপন নামে এক ব্যবসায়ী জানান, হামলায় স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরাও জড়িত। ৫টার দিকে সংঘর্ষ থেমে গেলেও শিক্ষার্থীরা তখনও বিআরটিএ’র সামনে অবস্থান নিয়েছিলো। ঘটনাস্থলে এ সময় ইটের টুকরো ও আগুন জ্বালানোর আলামত দেখা গেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিরপুর জোনের সহকারী অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রহুল আমিন বলেন, শিক্ষার্থীরা কোনো কারণ ছাড়াই কাফরুল থানায় হামলার চেষ্টা করেছিলো। তারা পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান ফটকের ভেতরে ঢুকে যায়। তারা নাশকতার চেষ্টা করছিলো। তারা পুলিশের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে। বাধ্য হয়েই পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়েছে। কোনো রাবার বুলেট বা ফাঁকা গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেনি বলে জানান তিনি।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে একপর্যায়ে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে অন্তত ১০ থেকে ১৫ জন আহত হয়েছেন। মিরপুর কলেজের ছাত্র আন্দোলনকারী সাহিল আহমেদ জানান, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছিলাম। কোনো কারণ ছাড়াই পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের স্থানীয় নেতাকর্মী হামলা করেছে। আমরা কোনো থানা বা বিআরটিএ ঘেরাও করতে যাইনি। পুলিশ এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ করেছে। প্রত্যক্ষদর্শী শান্তা মারিয়াম ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী আদনান ভূঁইয়া জানান, বিআরটিএ’র সামনে পুলিশের একটি গাড়ি থামিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে গেলে ছাত্রদের ওপর ক্ষিপ্ত হন এক পুলিশ সদস্য। এ সময় এক ছাত্রকে মারধর করলে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারী ছাত্রদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও পরে সংঘর্ষ ঘটে। তখন মিরপুর-১০ এর গোলচত্বরে যানবাহন চলাচলের জন্য আলাদা আলাদা সারি তৈরি করেছিলো ছাত্ররা। রিকশা ও বাসের জন্য আলাদ লেন। গাড়ির কাগজ ও ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করছিলো তারা। সেইসঙ্গে নিরাপদ সড়কের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছিলো তারা। এ সময় এক ছাত্রকে মারধর করা হয়েছে এই খবর ছড়িয়ে পড়লে তারা স্লোগান দিতে দিতে বিআরটিএ’র দিকে এগিয়ে যায়। বিআরটিএ’র সামনে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকে।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে ওই সময়ে পুলিশ তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় জয় বাংলা স্লোগান দিতে দিতে পুলিশের সঙ্গে লাঠি-রড হাতে অর্ধশত যুবক শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। শিক্ষার্থীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই ছাত্র আহত হয়। শিক্ষার্থীদের একাংশ ওভার ব্রিজে আশ্রয় নিলে সেখানেও লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এ সময় আতঙ্কে দোকানপাট বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ হামলাকারী ছাত্রলীগ যুবলীগের কর্মীরা আশপাশের স্থাপনায় ভাঙচুর করে। এ সময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ফাঁকা গুলিও ছোড়ে।
আসাদুজ্জামান রিপন নামে এক ব্যবসায়ী জানান, হামলায় স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরাও জড়িত। ৫টার দিকে সংঘর্ষ থেমে গেলেও শিক্ষার্থীরা তখনও বিআরটিএ’র সামনে অবস্থান নিয়েছিলো। ঘটনাস্থলে এ সময় ইটের টুকরো ও আগুন জ্বালানোর আলামত দেখা গেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিরপুর জোনের সহকারী অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রহুল আমিন বলেন, শিক্ষার্থীরা কোনো কারণ ছাড়াই কাফরুল থানায় হামলার চেষ্টা করেছিলো। তারা পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান ফটকের ভেতরে ঢুকে যায়। তারা নাশকতার চেষ্টা করছিলো। তারা পুলিশের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে। বাধ্য হয়েই পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়েছে। কোনো রাবার বুলেট বা ফাঁকা গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেনি বলে জানান তিনি।
No comments