কোনও অশুভ শক্তি যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে: প্রধানমন্ত্রী
উৎসব
উদযাপনে যত বাধাই আসুক, বাঙালি কখনও কোনও বাধা মানে না বলে মন্তব্য করেছেন
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমরা বাঙালি,
বাংলাদেশ আমাদের দেশ এবং বাংলা আমার ভাষা। বঙ্গবন্ধুর এই বক্তব্য আমাদের
সর্বদা স্মরণ রাখতে হবে। ফলে কোনও অশুভ শক্তি যেন আর ক্ষমতায় আসতে না পারে,
এ জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।’ শনিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে গণভবনে আওয়ামী
লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বাংলা নববর্ষ ১৪২৫-এর শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি
এসব কথা বলেন।
দেশে-বিদেশের সব বাঙালিকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশে নববর্ষ উদযাপন একটি সর্বজনীন উৎসব। এই উৎসবটা ধর্ম-বর্ণ, নির্বিশেষে সবাই একাত্ম হয়ে একত্রে উদযাপন করে। এমনকি প্রবাসে বসবাসকারী বাঙালিরাও উদযাপন করে। আমাদের সরকারি, বেসরকারি পর্যায়ে, সাধারণ জনগণ সবাই উৎসবটা উদযাপন করেন। এমনকি আমাদের একদম গ্রাম পর্যায় পর্যন্তও এ উৎসব উদযাপন হয়। কারণ, এখানে সবাই খুব মন খুলে একাত্ম হয়ে উদযাপন করতে পারে। সেই সুযোগটা সৃষ্টি হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘পৃথিবীতে অনেক দেশ আছে। সব দেশেই নববর্ষের অনুষ্ঠান হয়। কিন্তু ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্র এই উপমহাদেশে শুধু বাংলাদেশ। কাজেই এখানে নববর্ষের উৎসব এক ভিন্নমাত্রা লাভ করে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলি, বাংলায় হাসি, বাংলায় কাঁদি, বাংলায় জীবনচর্চা করি।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সবাই মন খুলে একাত্ম হয়ে যেন এ উৎসব পালন করতে পারে, সেজন্য বৈশাখী ভাতার ব্যবস্থা করেছে সরকার। সরকারি ও বেসরকারি সেক্টরে এখন এ ভাতা চালু হয়েছে।’
দেশে অতীতে বর্ষবরণ উৎসবে নানারকম প্রতিবন্ধকতা থাকার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তান আমলে বাংলাদেশি সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ষড়যন্ত্র ছিল। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছিল, তাদের অনেককেও বাঙালির বর্ষবরণে বাধা দিতে দেখা গেছে।’ তিনি বলেন, ‘১৯৯২ সালে আমরা ১৪০০ বঙ্গাব্দকে বরণ করতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলাম। কিন্তু সেখানে তৎকালীন খালেদা জিয়া সরকার বাধা দেয়। আমরা কবি সুফিয়া কামালকে নিয়ে সেসব বাধা উপেক্ষা করে রমনা পার্কে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নতুন শতককে বরণ করি।’
এর আগে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা ফুলের তোড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান। সাম্যবাদী দলের নেতা দিলীপ বড়ুয়া তার দল এবং ১৪ দলীয় জোটের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ, মহিলা আওয়ামী লীগ, ঢাকা সিটি করপোরেশন দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন, যুব লীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগ, ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকেও প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমানের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারাও প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।
অনুষ্ঠানে বাঙালি ঐতিহ্যপূর্ণ খাবার মিঠাই, মোয়া, মুড়ি-মুড়কি, মুড়লি, কদমা, জিলেপি দিয়ে অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়। সূত্র: বাসস
দেশে-বিদেশের সব বাঙালিকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশে নববর্ষ উদযাপন একটি সর্বজনীন উৎসব। এই উৎসবটা ধর্ম-বর্ণ, নির্বিশেষে সবাই একাত্ম হয়ে একত্রে উদযাপন করে। এমনকি প্রবাসে বসবাসকারী বাঙালিরাও উদযাপন করে। আমাদের সরকারি, বেসরকারি পর্যায়ে, সাধারণ জনগণ সবাই উৎসবটা উদযাপন করেন। এমনকি আমাদের একদম গ্রাম পর্যায় পর্যন্তও এ উৎসব উদযাপন হয়। কারণ, এখানে সবাই খুব মন খুলে একাত্ম হয়ে উদযাপন করতে পারে। সেই সুযোগটা সৃষ্টি হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘পৃথিবীতে অনেক দেশ আছে। সব দেশেই নববর্ষের অনুষ্ঠান হয়। কিন্তু ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্র এই উপমহাদেশে শুধু বাংলাদেশ। কাজেই এখানে নববর্ষের উৎসব এক ভিন্নমাত্রা লাভ করে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলি, বাংলায় হাসি, বাংলায় কাঁদি, বাংলায় জীবনচর্চা করি।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সবাই মন খুলে একাত্ম হয়ে যেন এ উৎসব পালন করতে পারে, সেজন্য বৈশাখী ভাতার ব্যবস্থা করেছে সরকার। সরকারি ও বেসরকারি সেক্টরে এখন এ ভাতা চালু হয়েছে।’
দেশে অতীতে বর্ষবরণ উৎসবে নানারকম প্রতিবন্ধকতা থাকার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তান আমলে বাংলাদেশি সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ষড়যন্ত্র ছিল। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছিল, তাদের অনেককেও বাঙালির বর্ষবরণে বাধা দিতে দেখা গেছে।’ তিনি বলেন, ‘১৯৯২ সালে আমরা ১৪০০ বঙ্গাব্দকে বরণ করতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলাম। কিন্তু সেখানে তৎকালীন খালেদা জিয়া সরকার বাধা দেয়। আমরা কবি সুফিয়া কামালকে নিয়ে সেসব বাধা উপেক্ষা করে রমনা পার্কে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নতুন শতককে বরণ করি।’
এর আগে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা ফুলের তোড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান। সাম্যবাদী দলের নেতা দিলীপ বড়ুয়া তার দল এবং ১৪ দলীয় জোটের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ, মহিলা আওয়ামী লীগ, ঢাকা সিটি করপোরেশন দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন, যুব লীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগ, ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকেও প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমানের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারাও প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।
অনুষ্ঠানে বাঙালি ঐতিহ্যপূর্ণ খাবার মিঠাই, মোয়া, মুড়ি-মুড়কি, মুড়লি, কদমা, জিলেপি দিয়ে অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়। সূত্র: বাসস
No comments