রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশ ইউএনএইচসিআর সমঝোতা স্মারক সই: মিয়ানমারের পরিবেশ সহায়ক হওয়ার পর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন
মিয়ানমারের
পরিবেশ সহায়ক হওয়ার পরই রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসন শুরু করার বিষয়ে
একটি সমঝোতা সই করেছে বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা,
ইউএনএইচসিআর। গতকাল সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় স্থানীয় সময় সকালে এ সংক্রান্ত
সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করে দু’পক্ষ। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক
হাইকমিশনার ফিলিপো গ্রান্ডি এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক
এতে সই করেন। সমঝোতা স্মারকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে
শরণার্থীদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায় এবং মর্যাদার সঙ্গে প্রত্যাবাসনে পারস্পরিক
সহযোগিতার একটি কাঠামো প্রস্তুত করা হয়েছে।
ইউএনএইচসিআর এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে আরো বলা হয়, গত আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত ৬ লাখ ৭০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা মিয়ানমার ছেড়ে পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। আগে থেকেই বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে রয়েছে আনুমানিক ২ লাখ রোহিঙ্গা। বিগত দশকগুলোতে দফায় দফায় তারা বাংলাদেশে ঢুকেছে। এসব শরণার্থীর জন্য আতিথেয়তা এবং তাদের সুরক্ষা ও সহাযোগিতা দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও দেশের জনগণের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানায় ইউএনএইচসিআর।
ইউএনএইচসিআর, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় কোনো চুক্তি না থাকায়, ইউএনএইচসিআর উভয় দেশের সরকারের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পৃথক দুটো সমঝোতা স্মারকের ওপর ভিত্তি করে সংলাপের চেষ্টা করছে সংস্থাটি। এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে ইউএনএইচসিআর নিশ্চিত হতে চায়- ভবিষ্যৎ প্রত্যাবাসন যেন স্বেচ্ছা, নিরাপত্তা ও মর্যাদার আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে হয়।
মিয়ানমারের পরিবেশ এখনও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য নিরাপদ, মর্যাদার এবং টেকসই করার পরিবেশ নিশ্চিত করতে সহায়ক নয়। এমন পরিবেশ সৃষ্টির দায়িত্ব মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের। আর সে লক্ষ্যে অবশ্যই প্রয়োজনীয় মালপত্র সরবরাহ সহজতর করার অবকাঠামোগত কাজের প্রস্তুতি পর্যন্ত আটকে থাকলে হবে না।
বাংলাদেশে অবস্থানরত শরণার্থীরা বলেছে, মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার কথা ভাবার আগে, কয়েকটি বিষয়ে তারা সুনির্দিষ্ট অগ্রগতি দেখতে চান। এর মধ্যে রয়েছে, তাদের বৈধ পরিচয়, নাগরিকত্ব ও নিরাপত্তা প্রাপ্তি এবং রাখাইন রাজ্যে নিজেদের বাড়িঘরে মৌলিক অধিকার উপভোগ করতে পারার সুযোগ।
এই ভিটামাটি ছাড়ার পেছনে মূল কারণগুলো মোকাবিলায় সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে বারবার মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর। রাখাইন রাজ্য নিয়ে উপদেষ্টা কমিশনের সুপারিশের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এসব পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
মিয়ানমার সরকার চাইলে একটি পদক্ষেপ এখনই নিতে পারে। সেটা হলো রাখাইন রাজ্যে শরণার্থীদের আদি আবাসের স্থানগুলোতে ইউএনএইচসিআর ও সংশ্লিষ্ট অন্য সংগঠনগুলোকে পূর্ণাঙ্গ ও অবাধ প্রবেশগম্যতা দেয়া। এতে করে সেখানকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে পারবে ইউএনএইচসিআর। শরণার্থীদের কাছে তাদের বাসস্থানের পরিবেশ নিয়ে তথ্য দিতে পারবে। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে আবারো ফেরত যাওয়ার সম্ভাব্য ঘটনা এবং শরণার্থীদের পুনরায় অঙ্গীভূত হওয়ার মতো পরিস্থিতিগুলোতে নজর রাখতে পারবে। আরেকটি বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ হতে পারে, রাখাইন রাজ্যের মাঝামাঝি অঞ্চলের শহরগুলোতে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের চলাফেরায় সীমাবদ্ধতা শিথিল করা। এমন পদক্ষেপ বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া শরণার্থীদের মধ্যেও আত্মবিশ্বাস গড়ে উঠতে সহায়ক হবে। এ ধরনের সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ শরণার্থীদের কাছে এটা তুলে ধরতে পারবে যে স্থায়ী সমাধানে মিয়ানমারের সরকার সংকল্পবদ্ধ।
ওদিকে, মিয়ানমারে জাতিসংঘের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম, ইউএনডিপি ও ইউএনএইচসিআর একত্রে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে। রাখাইন রাজ্যে এসব সংস্থা এবং মিয়ানমার সরকারের মধ্যে সহযোগিতার সম্ভাবনাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে।
এই চুক্তির লক্ষ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে শরণার্থীদের স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসন প্রসঙ্গে একটি কাঠামো প্রস্তুত করা। স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসনের জন্য সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করা এবং রাখাইন রাজ্যের সকল জনসাধারণকে মানবিক ও উন্নয়নমূলক সহায়তা দেয়া।
ইউএনএইচসিআর এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে আরো বলা হয়, গত আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত ৬ লাখ ৭০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা মিয়ানমার ছেড়ে পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। আগে থেকেই বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে রয়েছে আনুমানিক ২ লাখ রোহিঙ্গা। বিগত দশকগুলোতে দফায় দফায় তারা বাংলাদেশে ঢুকেছে। এসব শরণার্থীর জন্য আতিথেয়তা এবং তাদের সুরক্ষা ও সহাযোগিতা দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও দেশের জনগণের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানায় ইউএনএইচসিআর।
ইউএনএইচসিআর, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় কোনো চুক্তি না থাকায়, ইউএনএইচসিআর উভয় দেশের সরকারের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পৃথক দুটো সমঝোতা স্মারকের ওপর ভিত্তি করে সংলাপের চেষ্টা করছে সংস্থাটি। এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে ইউএনএইচসিআর নিশ্চিত হতে চায়- ভবিষ্যৎ প্রত্যাবাসন যেন স্বেচ্ছা, নিরাপত্তা ও মর্যাদার আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে হয়।
মিয়ানমারের পরিবেশ এখনও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য নিরাপদ, মর্যাদার এবং টেকসই করার পরিবেশ নিশ্চিত করতে সহায়ক নয়। এমন পরিবেশ সৃষ্টির দায়িত্ব মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের। আর সে লক্ষ্যে অবশ্যই প্রয়োজনীয় মালপত্র সরবরাহ সহজতর করার অবকাঠামোগত কাজের প্রস্তুতি পর্যন্ত আটকে থাকলে হবে না।
বাংলাদেশে অবস্থানরত শরণার্থীরা বলেছে, মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার কথা ভাবার আগে, কয়েকটি বিষয়ে তারা সুনির্দিষ্ট অগ্রগতি দেখতে চান। এর মধ্যে রয়েছে, তাদের বৈধ পরিচয়, নাগরিকত্ব ও নিরাপত্তা প্রাপ্তি এবং রাখাইন রাজ্যে নিজেদের বাড়িঘরে মৌলিক অধিকার উপভোগ করতে পারার সুযোগ।
এই ভিটামাটি ছাড়ার পেছনে মূল কারণগুলো মোকাবিলায় সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে বারবার মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর। রাখাইন রাজ্য নিয়ে উপদেষ্টা কমিশনের সুপারিশের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এসব পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
মিয়ানমার সরকার চাইলে একটি পদক্ষেপ এখনই নিতে পারে। সেটা হলো রাখাইন রাজ্যে শরণার্থীদের আদি আবাসের স্থানগুলোতে ইউএনএইচসিআর ও সংশ্লিষ্ট অন্য সংগঠনগুলোকে পূর্ণাঙ্গ ও অবাধ প্রবেশগম্যতা দেয়া। এতে করে সেখানকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে পারবে ইউএনএইচসিআর। শরণার্থীদের কাছে তাদের বাসস্থানের পরিবেশ নিয়ে তথ্য দিতে পারবে। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে আবারো ফেরত যাওয়ার সম্ভাব্য ঘটনা এবং শরণার্থীদের পুনরায় অঙ্গীভূত হওয়ার মতো পরিস্থিতিগুলোতে নজর রাখতে পারবে। আরেকটি বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ হতে পারে, রাখাইন রাজ্যের মাঝামাঝি অঞ্চলের শহরগুলোতে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের চলাফেরায় সীমাবদ্ধতা শিথিল করা। এমন পদক্ষেপ বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া শরণার্থীদের মধ্যেও আত্মবিশ্বাস গড়ে উঠতে সহায়ক হবে। এ ধরনের সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ শরণার্থীদের কাছে এটা তুলে ধরতে পারবে যে স্থায়ী সমাধানে মিয়ানমারের সরকার সংকল্পবদ্ধ।
ওদিকে, মিয়ানমারে জাতিসংঘের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম, ইউএনডিপি ও ইউএনএইচসিআর একত্রে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে। রাখাইন রাজ্যে এসব সংস্থা এবং মিয়ানমার সরকারের মধ্যে সহযোগিতার সম্ভাবনাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে।
এই চুক্তির লক্ষ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে শরণার্থীদের স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসন প্রসঙ্গে একটি কাঠামো প্রস্তুত করা। স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসনের জন্য সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করা এবং রাখাইন রাজ্যের সকল জনসাধারণকে মানবিক ও উন্নয়নমূলক সহায়তা দেয়া।
No comments