রোহিঙ্গাদের ফেরত আনাকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে: পর্যবেক্ষকরা বলছেন ভাঁওতাবাজি
মিয়ানমারের
সমাজকল্যাণ, ত্রাণ এবং পুনর্বাসন বিষয়ক মন্ত্রী উইন মিয়াট আয়ে
কক্সবাজারের উখিয়ায় কুতুপালং শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে গিয়ে দাবি করেছেন,
বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেশে ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়টি তার সরকার
অগ্রাধিকার দিচ্ছে। মিয়ানমারের ৫০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে তিনি
রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন।
শরণার্থীদের অবস্থা খতিয়ে দেখার জন্য কক্সবাজার সফরে গিয়ে মিয়ানমারের এ মন্ত্রী দাবি করেন তার সরকার যত দ্রুত সম্ভব শরণার্থীদের দেশে ফিরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করবে। তিনি রোহিঙ্গা মুসলমানদের নাগরিক অধিকার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দাবি করেন, তার সরকার রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে।
এদিকে, মিয়ানমারের সমাজকল্যাণ, ত্রাণ এবং পুনর্বাসন বিষয়ক মন্ত্রীর সফরের ফলে দেশটির সরকার যত দ্রুত সম্ভব শরণার্থীদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে বলে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা আশা করছেন। মিয়ানমারের এই মন্ত্রী যদিও দাবি করেছেন, তার সরকার শরণার্থী প্রত্যাবাসনের জন্য পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছে কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, গত বছরের নভেম্বর দু'দেশের মধ্যে শরণার্থী প্রত্যাবাসন বিষয়ে যে চুক্তি হয়েছিল মিয়ানমারের কর্মকর্তারা এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন করা থেকে বিরত রয়েছে। মিয়ানমার ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে ওই চুক্তি সই হয়েছিল।
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীরা অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মানবেতর জীবন যাপন করছে। বিস্ময়কর হচ্ছে, মিয়ানমারের মন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে এসে দাবি করেছেন রোহিঙ্গা মুসলমানদের ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়টি তার সরকার সবচেয়ে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। অথচ দেখা যাচ্ছে সম্প্রতি মিয়ানমার সরকার মুসলমানদেরকে ফিরিয়ে না নিয়ে বাংলাদেশে বসবাসকারী বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে রাখাইনে স্থানান্তরের অনুমতি দিয়েছে এবং এ লক্ষ্যে তারা কাজও শুরু করে দিয়েছে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বাংলাদেশি বৌদ্ধদের মিয়ানমারে স্থানান্তরের পদক্ষেপ থেকে বোঝা যায় এটা মুসলিম অধ্যুষিত রাখাইন প্রদেশের জনসংখ্যার কাঠামোয় পরিবর্তন আনার জন্য গভীর চক্রান্ত এবং এর ফলে রোহিঙ্গা মুসলমানদের মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার আর কোনো সুযোগ থাকবে না। মিয়ানমার সরকার একদিকে রাখাইনে বাংলাদেশি বৌদ্ধদের স্থানান্তর করছে অন্যদিকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেশে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করে মূলত বিশ্ববাসীকে ধোঁকা দিচ্ছে। কারণ আন্তর্জাতিক সমাজ মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর জুলুম নির্যাতন বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার সরকারের ওপর যখন ব্যাপক আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি হয়েছে তখন মিয়ানমারের সমাজ কল্যাণ মন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর এবং শরণার্থী শিবিরে মন্ত্রীর পরিদর্শন এসবই লোক দেখানো কাজ যাতে আন্তর্জাতিক চাপ ও সমালোচনার মাত্রা কমিয়ে আনা যায় এবং এ অঞ্চলে কোণঠাসা অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসা যায়।
নিউইয়র্ক ভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মহাসচিব বিল ফেরলিক বলেছেন, শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেয়ার আগে এখনো অনেক কাজ বাকি। আন্তর্জাতিক সমাজকে অবশ্যই এ নিশ্চয়তা দিতে হবে যে, আন্তর্জাতিক তত্বাবধান ছাড়া শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেয়া হবে না। কারণ দেশে ফেরার পর শরণার্থীদের নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকারের বিষয়টি অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে এবং জুলুম নির্যাতনেরও অবসান ঘটাতে হবে। কিন্তু এখনো এবিষয়ে কোনো ব্যবস্থাই নেয়া হয়নি।
শরণার্থীদের অবস্থা খতিয়ে দেখার জন্য কক্সবাজার সফরে গিয়ে মিয়ানমারের এ মন্ত্রী দাবি করেন তার সরকার যত দ্রুত সম্ভব শরণার্থীদের দেশে ফিরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করবে। তিনি রোহিঙ্গা মুসলমানদের নাগরিক অধিকার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দাবি করেন, তার সরকার রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে।
এদিকে, মিয়ানমারের সমাজকল্যাণ, ত্রাণ এবং পুনর্বাসন বিষয়ক মন্ত্রীর সফরের ফলে দেশটির সরকার যত দ্রুত সম্ভব শরণার্থীদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে বলে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা আশা করছেন। মিয়ানমারের এই মন্ত্রী যদিও দাবি করেছেন, তার সরকার শরণার্থী প্রত্যাবাসনের জন্য পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছে কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, গত বছরের নভেম্বর দু'দেশের মধ্যে শরণার্থী প্রত্যাবাসন বিষয়ে যে চুক্তি হয়েছিল মিয়ানমারের কর্মকর্তারা এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন করা থেকে বিরত রয়েছে। মিয়ানমার ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে ওই চুক্তি সই হয়েছিল।
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীরা অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মানবেতর জীবন যাপন করছে। বিস্ময়কর হচ্ছে, মিয়ানমারের মন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে এসে দাবি করেছেন রোহিঙ্গা মুসলমানদের ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়টি তার সরকার সবচেয়ে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। অথচ দেখা যাচ্ছে সম্প্রতি মিয়ানমার সরকার মুসলমানদেরকে ফিরিয়ে না নিয়ে বাংলাদেশে বসবাসকারী বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে রাখাইনে স্থানান্তরের অনুমতি দিয়েছে এবং এ লক্ষ্যে তারা কাজও শুরু করে দিয়েছে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বাংলাদেশি বৌদ্ধদের মিয়ানমারে স্থানান্তরের পদক্ষেপ থেকে বোঝা যায় এটা মুসলিম অধ্যুষিত রাখাইন প্রদেশের জনসংখ্যার কাঠামোয় পরিবর্তন আনার জন্য গভীর চক্রান্ত এবং এর ফলে রোহিঙ্গা মুসলমানদের মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার আর কোনো সুযোগ থাকবে না। মিয়ানমার সরকার একদিকে রাখাইনে বাংলাদেশি বৌদ্ধদের স্থানান্তর করছে অন্যদিকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেশে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করে মূলত বিশ্ববাসীকে ধোঁকা দিচ্ছে। কারণ আন্তর্জাতিক সমাজ মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর জুলুম নির্যাতন বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার সরকারের ওপর যখন ব্যাপক আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি হয়েছে তখন মিয়ানমারের সমাজ কল্যাণ মন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর এবং শরণার্থী শিবিরে মন্ত্রীর পরিদর্শন এসবই লোক দেখানো কাজ যাতে আন্তর্জাতিক চাপ ও সমালোচনার মাত্রা কমিয়ে আনা যায় এবং এ অঞ্চলে কোণঠাসা অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসা যায়।
নিউইয়র্ক ভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মহাসচিব বিল ফেরলিক বলেছেন, শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেয়ার আগে এখনো অনেক কাজ বাকি। আন্তর্জাতিক সমাজকে অবশ্যই এ নিশ্চয়তা দিতে হবে যে, আন্তর্জাতিক তত্বাবধান ছাড়া শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেয়া হবে না। কারণ দেশে ফেরার পর শরণার্থীদের নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকারের বিষয়টি অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে এবং জুলুম নির্যাতনেরও অবসান ঘটাতে হবে। কিন্তু এখনো এবিষয়ে কোনো ব্যবস্থাই নেয়া হয়নি।
No comments