টাকা না দেওয়ায় লাশ দাফনে মসজিদ কমিটির বাধা!
মানিকগঞ্জের
সাটুরিয়া উপজেলায় ৫০ হাজার টাকা না দেওয়ায় লাবণী আক্তার (২৬) নামে এক
তরুণী গৃহবধূর লাশ দাফনে বাধা দিয়েছে মসজিদ কমিটি। শুক্রবার (১৩ এপ্রিল)
রাতে উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের বরুন্ডী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। পরে শনিবার
সকাল ১০টার দিকে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ওই নারীর লাশ দাফন করা হয়।
সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাহিদ ফারজানা সিদ্দিকী এ খবর
নিশ্চিত করেন।
লাবনী আক্তার সাটুরিয়ার ধানকোড়া ইউনিয়নের বরুন্ডী গ্রামের মোসলেম মিয়া ও হনুফা বেগমের মেয়ে।
মোসলেম মিয়া ও হনুফা বেগম জানান, তাদের দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। এর মধ্যে মেয়ে লাবণী আক্তারকে ধানকোড়া ইউনিয়নের বরুন্ডী গ্রামের জালাল হোসেনের কাছে বিয়ে দেন। বিয়ের পর থেকে মেয়ে ও মেয়ে জামাই সাভারের আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকা শুরু করেন। শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে লাবণী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে হনুফা বেগম মেয়ের বাসায় ছুটে যান। পরে সেখান থেকে মেয়েকে নিয়ে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। হাসপাতালের থেকে জানানো হয়, লাবণী স্ট্রোক করে পথেই মারা গেছেন। পরে মেয়ের লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ি চলে আসেন হনুফা বেগম। এসময় লাবণীর স্বামী জালাল হোসেনও সঙ্গে ছিলেন।
মোসলেম মিয়া ও হনুফা বেগম আরও বলেন, গোসল ও জানাজা শেষে কবরস্থানে লাবণীর লাশ দাফনের চেষ্টা করা হলে আপত্তি জানান মসজিদ কমিটির সদস্যরা। তারা দাবি করেন, লাশ দাফন করতে হলে কবরস্থানের উন্নয়ন কাজের জন্য ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে। টাকা না দিতে পারলে লাশ দাফন করতে দেওয়া হবে না।
মোসলেম মিয়া বলেন, ‘আমি দিনমজুর। ৫০ হাজার টাকা দূরের কথা, দুই হাজার টাকা দেওয়ারই সামর্থ্য নেই আমার। তাই মসজিদ কমিটির দাবিকৃত টাকাও দিতে পারিনি। আর এজন্য তারা আমার মেয়ের লাশও দাফন করতে দেয়নি। শুক্রবার সারারাত মেয়ের লাশ নিয়ে বসে ছিলাম।’ পরে শনিবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে লাশ দাফন করতে দেওয়া হয় বলেও জানান তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরুন্ডি গ্রামের মবেদ আলীর ছেলে হাছেন আলী, হোসেন মিয়ার ছেলে নুরু মিয়া এবং বজলুর রশিদের ছেলে মান্নান হুজুরসহ আরও কয়েকজন লাশ দাফনে বাধা দেন। এর মধ্যে হাছেন আলী মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি এবং নুরু মিয়া ও মান্নান হুজুর ওই কমিটির সদস্য।
এ ব্যাপারে নুরু মিয়া বলেন, ‘কবরস্থানের উন্নয়নের জন্য ৫০ হাজার টাকা চাওয়া হয়েছিল। এটা যে কোনও লাশের দাফনের ক্ষেত্রে তার স্বজনদের কাছে চাওয়া হয়।’
তবে মোসলেম মিয়া ও হনুফা বেগমের কাছে টাকা-পয়সা চাওয়া ও লাশ দাফনে বাধা দেওয়ার কথা অস্বীকার করেন মান্নান হুজুর।
আর এ ব্যাপারে বক্তব্য নেওয়ার জন্য মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি হাসান মাহমুদ ওরফে হাসেন আলীর বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলে তিনি তা ধরেননি।
সাটুরিয়া থানার ওসি মো. আমিনুর রহমান বলেন, ‘খোঁজ-খবর নিয়ে জেনেছি, লাশ দাফনের জন্য ৫০ হাজার টাকা চাওয়া হয়েছিল।’
ইউএনও নাহিদ ফারজানা সিদ্দিকী বলেন, ‘টাকা ছাড়া দাফন করা যাবে না –এমন খবর শুনে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলি এবং তাকে লাশ দাফনের নির্দেশ দিই। পরে বিনা টাকায় লাবণীর দাফন সম্পন্ন হয়।’
লাবনী আক্তার সাটুরিয়ার ধানকোড়া ইউনিয়নের বরুন্ডী গ্রামের মোসলেম মিয়া ও হনুফা বেগমের মেয়ে।
মোসলেম মিয়া ও হনুফা বেগম জানান, তাদের দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। এর মধ্যে মেয়ে লাবণী আক্তারকে ধানকোড়া ইউনিয়নের বরুন্ডী গ্রামের জালাল হোসেনের কাছে বিয়ে দেন। বিয়ের পর থেকে মেয়ে ও মেয়ে জামাই সাভারের আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকা শুরু করেন। শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে লাবণী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে হনুফা বেগম মেয়ের বাসায় ছুটে যান। পরে সেখান থেকে মেয়েকে নিয়ে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। হাসপাতালের থেকে জানানো হয়, লাবণী স্ট্রোক করে পথেই মারা গেছেন। পরে মেয়ের লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ি চলে আসেন হনুফা বেগম। এসময় লাবণীর স্বামী জালাল হোসেনও সঙ্গে ছিলেন।
মোসলেম মিয়া ও হনুফা বেগম আরও বলেন, গোসল ও জানাজা শেষে কবরস্থানে লাবণীর লাশ দাফনের চেষ্টা করা হলে আপত্তি জানান মসজিদ কমিটির সদস্যরা। তারা দাবি করেন, লাশ দাফন করতে হলে কবরস্থানের উন্নয়ন কাজের জন্য ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে। টাকা না দিতে পারলে লাশ দাফন করতে দেওয়া হবে না।
মোসলেম মিয়া বলেন, ‘আমি দিনমজুর। ৫০ হাজার টাকা দূরের কথা, দুই হাজার টাকা দেওয়ারই সামর্থ্য নেই আমার। তাই মসজিদ কমিটির দাবিকৃত টাকাও দিতে পারিনি। আর এজন্য তারা আমার মেয়ের লাশও দাফন করতে দেয়নি। শুক্রবার সারারাত মেয়ের লাশ নিয়ে বসে ছিলাম।’ পরে শনিবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে লাশ দাফন করতে দেওয়া হয় বলেও জানান তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরুন্ডি গ্রামের মবেদ আলীর ছেলে হাছেন আলী, হোসেন মিয়ার ছেলে নুরু মিয়া এবং বজলুর রশিদের ছেলে মান্নান হুজুরসহ আরও কয়েকজন লাশ দাফনে বাধা দেন। এর মধ্যে হাছেন আলী মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি এবং নুরু মিয়া ও মান্নান হুজুর ওই কমিটির সদস্য।
এ ব্যাপারে নুরু মিয়া বলেন, ‘কবরস্থানের উন্নয়নের জন্য ৫০ হাজার টাকা চাওয়া হয়েছিল। এটা যে কোনও লাশের দাফনের ক্ষেত্রে তার স্বজনদের কাছে চাওয়া হয়।’
তবে মোসলেম মিয়া ও হনুফা বেগমের কাছে টাকা-পয়সা চাওয়া ও লাশ দাফনে বাধা দেওয়ার কথা অস্বীকার করেন মান্নান হুজুর।
আর এ ব্যাপারে বক্তব্য নেওয়ার জন্য মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি হাসান মাহমুদ ওরফে হাসেন আলীর বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলে তিনি তা ধরেননি।
সাটুরিয়া থানার ওসি মো. আমিনুর রহমান বলেন, ‘খোঁজ-খবর নিয়ে জেনেছি, লাশ দাফনের জন্য ৫০ হাজার টাকা চাওয়া হয়েছিল।’
ইউএনও নাহিদ ফারজানা সিদ্দিকী বলেন, ‘টাকা ছাড়া দাফন করা যাবে না –এমন খবর শুনে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলি এবং তাকে লাশ দাফনের নির্দেশ দিই। পরে বিনা টাকায় লাবণীর দাফন সম্পন্ন হয়।’
No comments