হত্যা রহস্যের কিনারা: সাদা রঙের স্মার্টফোনটিই কাল হয়েছিল মাহিদের by চৌধুরী মুমতাজ আহমদ
স্যামসাং
ডুওস মডেলের সাদা রঙের স্মার্ট ফোন। এ ফোনটিই কাল হয়েছিলো শাহ্জালাল
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) অর্থনীতি বিভাগের ২০০৮-০৯
সেশনের শিক্ষার্থী মাহিদ আল সালামের। মোবাইল আর টাকার জন্য ছিনতাইকারীরা
ছুরির আঘাতে তার প্রাণ কেড়ে নেয়। তবে সে মোবাইল ফোনটি নিজেদের কবজায় রাখতে
পারেনি ছিনতাইকারীরা। পুলিশ ঠিকই সেটি উদ্ধার করেছে। আর এর মধ্য দিয়ে বলতে
গেলে পুরোই উন্মোচিত হয়েছে মাহিদ হত্যা রহস্য। তদন্তও অনেকটা শেষই হয়ে
গেছে। এ মামলার সকল আসামিই এখন পুলিশের খাঁচায়। অপেক্ষা শুধু চার্জশিট জমা
দেওয়ার। সবশেষে আটক হওয়া মোবাইল ব্যবসায়ী শুক্রবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক
জবানবন্দি প্রদান করেছেন।
মাহিদ হত্যা মামলায় আসামী ছিলো ৪ জন। ৩ জনকে আগেই পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিলো। পলাতক থাকা অপর আসামি শাকিল গত সোমবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে। আদালত ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলে ওইদিনই পুলিশ তাকে রিমান্ডে নেয়। অপরদিকে আগে থেকে গ্রেপ্তার হওয়া মির্জা আতিককে এয়ারপোর্ট থানার অন্য একটি ছিনতাই মামলার আসামি হিসেবে বুধবার রিমান্ডে নেয় পুলিশ। ওইদিনই দুই পেশাদার ছিনতাইকারী আতিক এবং শাকিলকে মুখোমুখি করা হয়। চতুর শাকিল প্রথমে পুরো ঘটনা অস্বীকার করে। কিন্তু পুলিশের জেরার মুখে বেশিক্ষণ টিকতে পারে না। এক পর্যায়ে ঘটনার বর্ননা দিতে থাকে। রহস্যের গেরো খুলতে শুরু করে এক এক করে। সেই জানায় কার কাছে রয়েছে ছিনতাইকৃত মোবাইলটি। জনৈক জসিমের কাছে মোবাইল ফোনটি রয়েছে জানালেও শাকিল কৌশলে জসিমের ঠিকানা জানি না বলে এড়িয়ে যায়। তবে পুলিশ বসে থাকার পাত্র নয়। তারা ঠিকই সন্ধান পায় জসিমের। মো. জসিম উদ্দিন একজন মোবাইল ব্যবসায় ী। সিলেট নগরীর বন্দরবাজারস্থ করিমউল্লাহ মার্কেটের ৩য় তলায় জসিম টেলিকম নামে তার মোবাইলের দোকানও রয়েছে। সে নগরীর শেখঘাট খুলিয়াটুলা নিলিমা-২২ নম্বর বাসার ইব্রাহীম আলীর ছেলে। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) সহকারী উপ-কমিশনার (দক্ষিণ, অপরাধ) জ্যোতির্ময় সরকারের নেতৃত্বে জসিমের খোঁজে বের হয় পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে খুলিয়াপাড়া থেকে জসিমকে মোবাইলসহ আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে জসিম উদ্দিন জানায়, ২৫শে মার্চ দিবাগত রাতে মির্জা আতিকের মাধ্যমে শাকিল তার কাছে মোবাইলটি বিক্রি করে। ২৫শে মার্চ গভীর রাতে সুরমা নদীর উপরে কিন ব্রিজের দক্ষিণ পাশের অন্ধকার এক কোনে খুন হয়েছিলেন মাহিদ আল সালাম। পুলিশের সামনে তখন কোনো ক্লুই ছিলো না। তবে মাহিদকে যে রিকশার যাত্রী ছিলেন মাহিদ সে রিকশার পেছন দিকের একটি ছবিই পুলিশের সামনে রহস্য সন্ধানের দ্বার খুলে দিয়েছিল। সে ছবির সূত্র ধরে ওই রাতেই পুলিশ নগরীর আখালিয়া থেকে রিকশাচালক জয়নাল আবেদীন ভাণ্ডারীর সন্ধান পায়। তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ছিনতাইকারীদের সম্পর্কে একটি ধারণা পায়। সে ধারণা থেকেই ২৬শে মার্চ ভোররাতে পুলিশ ঘেরাও দেয় পুরো সুরমার দক্ষিণ পারের ভার্থখলা এলাকা। দুপুরের দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে ওই এলাকায় আসে ভার্থখলা এলাকার সোয়াব মীর্জার ছেলে মীর্জা আতিক। মীর্জা আতিক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার তায়েফ মুহাম্মদ রিপন। ঘাতক হিসেবে পুলিশ এদেরই সন্দেহ করছিলো। পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে মোটরসাইকেল ফেলে দৌড় দেয় আতিক ও রিপন। ঢুকে যায় ভার্থখলা কবরস্থানে। পুলিশ কবরস্থান ঘেরাও করে তাদের আটক করে। ২৮শে মার্চ রাত ১টার দিকে গ্রেপ্তার করা হয় আরো এক ছিনতাইকারী- দক্ষিণ সুরমার বারোখলার বাসিন্দা রাসেলকে। বেশ কিছুদিন লুকোচুরির পর ৯ই এপ্রিল আদালতে আত্মসমর্পণ করে ভার্থখলার বাসিন্দা শাকিল আহমদ। এ শাকিলই মাহিদের শরীরের ছুরির আঘাত করেছিল। মাহিদ হত্যা রহস্য উন্মোচনে শুরু থেকেই নেতৃত্ব দেন এসএমপি’র এডিসি দক্ষিণ (অপরাধ) জ্যোতির্ময় সরকার। মানবজমিন-এর কথা হয় তার সঙ্গে। মাত্র ১৬/১৭ দিনের মধ্যে রহস্যের কিনার করতে পারায় তাকে বেশ সন্তুষ্টই মনে হলো। জানালেন, ক্লু-লেস এ মামলার সকল আসামিকেই ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি জানান, ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত দু’টি মোটরসাইকেল, ছুরি এবং ছিনতাইকৃত মোবাইলও উদ্ধার করা হয়েছে। মোটরসাইকেল দু’টির মালিক শাকিল ও রিপন। পুলিশের এ কর্মকর্তা বললেন, এখন দ্রুততম সময়ে চার্জশিট জমা দেয়া হবে।
মাহিদ হত্যা মামলায় আসামী ছিলো ৪ জন। ৩ জনকে আগেই পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিলো। পলাতক থাকা অপর আসামি শাকিল গত সোমবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে। আদালত ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলে ওইদিনই পুলিশ তাকে রিমান্ডে নেয়। অপরদিকে আগে থেকে গ্রেপ্তার হওয়া মির্জা আতিককে এয়ারপোর্ট থানার অন্য একটি ছিনতাই মামলার আসামি হিসেবে বুধবার রিমান্ডে নেয় পুলিশ। ওইদিনই দুই পেশাদার ছিনতাইকারী আতিক এবং শাকিলকে মুখোমুখি করা হয়। চতুর শাকিল প্রথমে পুরো ঘটনা অস্বীকার করে। কিন্তু পুলিশের জেরার মুখে বেশিক্ষণ টিকতে পারে না। এক পর্যায়ে ঘটনার বর্ননা দিতে থাকে। রহস্যের গেরো খুলতে শুরু করে এক এক করে। সেই জানায় কার কাছে রয়েছে ছিনতাইকৃত মোবাইলটি। জনৈক জসিমের কাছে মোবাইল ফোনটি রয়েছে জানালেও শাকিল কৌশলে জসিমের ঠিকানা জানি না বলে এড়িয়ে যায়। তবে পুলিশ বসে থাকার পাত্র নয়। তারা ঠিকই সন্ধান পায় জসিমের। মো. জসিম উদ্দিন একজন মোবাইল ব্যবসায় ী। সিলেট নগরীর বন্দরবাজারস্থ করিমউল্লাহ মার্কেটের ৩য় তলায় জসিম টেলিকম নামে তার মোবাইলের দোকানও রয়েছে। সে নগরীর শেখঘাট খুলিয়াটুলা নিলিমা-২২ নম্বর বাসার ইব্রাহীম আলীর ছেলে। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) সহকারী উপ-কমিশনার (দক্ষিণ, অপরাধ) জ্যোতির্ময় সরকারের নেতৃত্বে জসিমের খোঁজে বের হয় পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে খুলিয়াপাড়া থেকে জসিমকে মোবাইলসহ আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে জসিম উদ্দিন জানায়, ২৫শে মার্চ দিবাগত রাতে মির্জা আতিকের মাধ্যমে শাকিল তার কাছে মোবাইলটি বিক্রি করে। ২৫শে মার্চ গভীর রাতে সুরমা নদীর উপরে কিন ব্রিজের দক্ষিণ পাশের অন্ধকার এক কোনে খুন হয়েছিলেন মাহিদ আল সালাম। পুলিশের সামনে তখন কোনো ক্লুই ছিলো না। তবে মাহিদকে যে রিকশার যাত্রী ছিলেন মাহিদ সে রিকশার পেছন দিকের একটি ছবিই পুলিশের সামনে রহস্য সন্ধানের দ্বার খুলে দিয়েছিল। সে ছবির সূত্র ধরে ওই রাতেই পুলিশ নগরীর আখালিয়া থেকে রিকশাচালক জয়নাল আবেদীন ভাণ্ডারীর সন্ধান পায়। তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ছিনতাইকারীদের সম্পর্কে একটি ধারণা পায়। সে ধারণা থেকেই ২৬শে মার্চ ভোররাতে পুলিশ ঘেরাও দেয় পুরো সুরমার দক্ষিণ পারের ভার্থখলা এলাকা। দুপুরের দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে ওই এলাকায় আসে ভার্থখলা এলাকার সোয়াব মীর্জার ছেলে মীর্জা আতিক। মীর্জা আতিক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার তায়েফ মুহাম্মদ রিপন। ঘাতক হিসেবে পুলিশ এদেরই সন্দেহ করছিলো। পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে মোটরসাইকেল ফেলে দৌড় দেয় আতিক ও রিপন। ঢুকে যায় ভার্থখলা কবরস্থানে। পুলিশ কবরস্থান ঘেরাও করে তাদের আটক করে। ২৮শে মার্চ রাত ১টার দিকে গ্রেপ্তার করা হয় আরো এক ছিনতাইকারী- দক্ষিণ সুরমার বারোখলার বাসিন্দা রাসেলকে। বেশ কিছুদিন লুকোচুরির পর ৯ই এপ্রিল আদালতে আত্মসমর্পণ করে ভার্থখলার বাসিন্দা শাকিল আহমদ। এ শাকিলই মাহিদের শরীরের ছুরির আঘাত করেছিল। মাহিদ হত্যা রহস্য উন্মোচনে শুরু থেকেই নেতৃত্ব দেন এসএমপি’র এডিসি দক্ষিণ (অপরাধ) জ্যোতির্ময় সরকার। মানবজমিন-এর কথা হয় তার সঙ্গে। মাত্র ১৬/১৭ দিনের মধ্যে রহস্যের কিনার করতে পারায় তাকে বেশ সন্তুষ্টই মনে হলো। জানালেন, ক্লু-লেস এ মামলার সকল আসামিকেই ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি জানান, ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত দু’টি মোটরসাইকেল, ছুরি এবং ছিনতাইকৃত মোবাইলও উদ্ধার করা হয়েছে। মোটরসাইকেল দু’টির মালিক শাকিল ও রিপন। পুলিশের এ কর্মকর্তা বললেন, এখন দ্রুততম সময়ে চার্জশিট জমা দেয়া হবে।
No comments