হাত ও কব্জি নিয়ে শঙ্কায় মিন্নত আলী by ওয়েছ খছরু
প্রথম
ছেদটি দেয়া হয় মাথা বরাবর। হাত দিয়ে ছেদ আটকাতে গিয়ে কব্জি আলগা হয়ে ঝুলে
যায়। এর পরপর আরো কয়েকটি ছেদ। ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছেদ দেয়ার কারণে ডান হাত
সহ শরীরের বিভিন্ন স্থান ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যায় সিলেটের ছাত্রলীগ কর্মী
মিন্নত আলীর শরীর। পরে গুলিও ছোড়া হয় তাকে লক্ষ্য করে। সিলেটের উপশহরের
তেররতনে নিজ দলের ছাত্রলীগ কর্মীরা এভাবে নির্যাতন চালিয়েছে ছাত্রলীগ কর্মী
মিন্নত আলীর ওপর। গুরুতর অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ডাক্তাররা তাকে পাঠিয়ে দেন ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে।
সেখানে তার হাতে অস্ত্রোপচার করে ডাক্তাররা ফেরত পাঠিয়েছেন সিলেট ওসমানী
মেডিকেলে। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। হয়তো মিন্নতের
বাম হাতের কব্জি পর্যন্ত কেটে দিতে হবে। সেটি আরো কয়েকদিন পর বোঝা যাবে।
সিলেটের উপশহরের এবিসি পয়েন্ট সংলগ্ন তেররতন এলাকায় গত মঙ্গলবার রাতে ঘটে
আলোচিত এ ঘটনা। ঘটনার পর থেকে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। এখনো পুলিশ
গ্রেপ্তার করেনি হামলাকারীদের। নিজেদের জানান দিতে হামলাকারীরা প্রতিদিন
মহড়া দিচ্ছে এলাকায়। ওই রাতের বর্ণনা শুনে অনেকেই আঁতকে উঠেন। উপশহরের
আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম আহমদের ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ রয়েছে। ওই গ্রুপটি
সেলিম গ্রুপ নামে এলাকায় পরিচিত। ওই গ্রুপের কর্মী মিন্নত আলী। বসবাস করেন
তেররতন এলাকায়। মঙ্গলবার রাতে ছাত্রলীগের সাব্বির ও মামুনের নেতৃত্বে
অর্ধশতাধিক ছাত্রলীগ কর্মী সশস্ত্র অবস্থায় তেররতন এলাকায় প্রবেশ করে।
তাদের প্রবেশের ধরন দেখে আতঙ্ক দেখা দেয় এলাকায়। ওই সময় তারা স্থানীয় এক
যুবক মুহাম্মদকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে আসে। স্থানীয় মুরব্বিরা মুহম্মদকে
ছাড়িয়ে আনার চেষ্টা করছেন। এমন সময় ছাত্রলীগ কর্মী নিজ বাসা থেকে বেরিয়ে ওই
এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল। ঘটনাচক্রে সে এসে যায় সামনে। তার ওপর চড়াও হয়
ছাত্রলীগের সাব্বির ও মামুন গ্রুপের কর্মীরা। তারা দা দিয়ে মিন্নতের মাথায়
আঘাত করে। এ সময় মাথাকে রক্ষা করতে মিন্নত বাম হাত ওঠায়।
উপস্থিত লোকজন জানিয়েছেন, মিন্নতের বাম হাতের কব্জি পুরোটা কেটে যায়। শুধুমাত্র একটু চামড়া লাগানো ছিল। কব্জি তার হাত থেকে ঝুলছিলো। এরপর তাকে আরো কয়েকটি ছেদ দেয়া হয়। তার ডানহাত সহ শরীরের বিভিন্ন অংশ জখমপ্রাপ্ত হয়। পরে কয়েকটি গুলি ছোড়া হলে হাত ও পায়ে লাগে। মিন্নতের বড় বোন তাসলিমা বেগম মানবজমিনকে জানিয়েছেন, ঘটনার সময় তিনি চিৎকার শুনে ছুটে আসেন এলাকায়। এসে দেখেন তার ভাই মিন্নত গড়াগড়ি খাচ্ছে। আর সাব্বির ও মামুন তার লোকজন নিয়ে অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে আছে। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে মিন্নতকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তাসলিমা জানান, সেখানে ডাক্তাররা প্রথমে মিন্নতকে সমঝে নেননি। তাকে রাতেই পাঠিয়ে দেন ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে। সেখানে ডাক্তাররা বুধবার তার হাতে অস্ত্রোপচার করেন। তারা হাত সেলাই করে ব্যান্ডেজ করে দিয়েছে। এরপর তাকে পাঠিয়ে দেয়া হয় সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার ভোররাতে মিন্নতকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩য় তলার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ২ নম্বর বেডে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি থাকা মিন্নত আলী জানিয়েছেন, তিনি ঘটনার কিছুই জানতেন না। অথচ তার ওপর হঠাৎ করে হামলার ঘটনা ঘটে। তিনি প্রায় ২৪ ঘণ্টার মতো অজ্ঞান ছিলেন। এরপর অস্ত্রোপচারের পর তার জ্ঞান ফিরে। এখনো ডাক্তাররা তার কব্জি টিকবে কিনা তার নিশ্চয়তা দেননি। তিনি বলেন, হামলাকারীদের হাতে ধারালো অস্ত্র ছাড়া বন্দুক ছিল। সেই বন্দুক দিয়ে তারা গুলিও ছুড়েছে। সিলেটের শাহপরান থানা পুলিশ জানিয়েছে, মিন্নতের ওপর হামলার ঘটনায় এখনো কেউ মামলা নিয়ে আসেনি। এজাহার পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মিন্নতের বোন তাসলিমা জানিয়েছেন, তার ভাইকে নিয়ে তারা ঢাকা ও সিলেটে দৌড়াদৌড়িতে ব্যস্ত ছিলেন। এখন তিনি মামলার এজাহার নিয়ে থানায় যাবেন। সাব্বির ও মামুনসহ তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করবেন। সিলেটের উপশহর এখন পরিণত হয়েছে অন্যতম ক্রাইম জোনে। ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুটি গ্রুপ একাধিক উপ-গ্রুপের আড্ডাস্থল উপশহর। ফলে সন্ধ্যা হলেই উপশহরের বাসিন্দারা থাকেন আতঙ্কে। কয়েক মাস আগে উপশহরের রোজভিউ হোটেলের সামনে আরেক ছাত্রলীগ নেতা শাহীনের হাত কর্তন করা হয়েছিল। ওই ছাত্রলীগ নেতাও এখন হাত হারিয়ে নির্বাক। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন উপশহরে অস্ত্রবাজি চলছে। পুলিশও তাদের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে। প্রায় সময় গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটলেও অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। অথচ ওই উপশহর হচ্ছে সিলেটের অভিজাত এলাকা। এখানে প্রবাসীদের বাসা বাড়ি বেশি।
উপস্থিত লোকজন জানিয়েছেন, মিন্নতের বাম হাতের কব্জি পুরোটা কেটে যায়। শুধুমাত্র একটু চামড়া লাগানো ছিল। কব্জি তার হাত থেকে ঝুলছিলো। এরপর তাকে আরো কয়েকটি ছেদ দেয়া হয়। তার ডানহাত সহ শরীরের বিভিন্ন অংশ জখমপ্রাপ্ত হয়। পরে কয়েকটি গুলি ছোড়া হলে হাত ও পায়ে লাগে। মিন্নতের বড় বোন তাসলিমা বেগম মানবজমিনকে জানিয়েছেন, ঘটনার সময় তিনি চিৎকার শুনে ছুটে আসেন এলাকায়। এসে দেখেন তার ভাই মিন্নত গড়াগড়ি খাচ্ছে। আর সাব্বির ও মামুন তার লোকজন নিয়ে অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে আছে। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে মিন্নতকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তাসলিমা জানান, সেখানে ডাক্তাররা প্রথমে মিন্নতকে সমঝে নেননি। তাকে রাতেই পাঠিয়ে দেন ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে। সেখানে ডাক্তাররা বুধবার তার হাতে অস্ত্রোপচার করেন। তারা হাত সেলাই করে ব্যান্ডেজ করে দিয়েছে। এরপর তাকে পাঠিয়ে দেয়া হয় সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার ভোররাতে মিন্নতকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩য় তলার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ২ নম্বর বেডে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি থাকা মিন্নত আলী জানিয়েছেন, তিনি ঘটনার কিছুই জানতেন না। অথচ তার ওপর হঠাৎ করে হামলার ঘটনা ঘটে। তিনি প্রায় ২৪ ঘণ্টার মতো অজ্ঞান ছিলেন। এরপর অস্ত্রোপচারের পর তার জ্ঞান ফিরে। এখনো ডাক্তাররা তার কব্জি টিকবে কিনা তার নিশ্চয়তা দেননি। তিনি বলেন, হামলাকারীদের হাতে ধারালো অস্ত্র ছাড়া বন্দুক ছিল। সেই বন্দুক দিয়ে তারা গুলিও ছুড়েছে। সিলেটের শাহপরান থানা পুলিশ জানিয়েছে, মিন্নতের ওপর হামলার ঘটনায় এখনো কেউ মামলা নিয়ে আসেনি। এজাহার পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মিন্নতের বোন তাসলিমা জানিয়েছেন, তার ভাইকে নিয়ে তারা ঢাকা ও সিলেটে দৌড়াদৌড়িতে ব্যস্ত ছিলেন। এখন তিনি মামলার এজাহার নিয়ে থানায় যাবেন। সাব্বির ও মামুনসহ তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করবেন। সিলেটের উপশহর এখন পরিণত হয়েছে অন্যতম ক্রাইম জোনে। ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুটি গ্রুপ একাধিক উপ-গ্রুপের আড্ডাস্থল উপশহর। ফলে সন্ধ্যা হলেই উপশহরের বাসিন্দারা থাকেন আতঙ্কে। কয়েক মাস আগে উপশহরের রোজভিউ হোটেলের সামনে আরেক ছাত্রলীগ নেতা শাহীনের হাত কর্তন করা হয়েছিল। ওই ছাত্রলীগ নেতাও এখন হাত হারিয়ে নির্বাক। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন উপশহরে অস্ত্রবাজি চলছে। পুলিশও তাদের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে। প্রায় সময় গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটলেও অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। অথচ ওই উপশহর হচ্ছে সিলেটের অভিজাত এলাকা। এখানে প্রবাসীদের বাসা বাড়ি বেশি।
No comments