ডিএসই’র অংশীদার বাছাই নিয়ে জটিলতা by এমএম মাসুদ
ঢাকা
স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কৌশলগত অংশীদার বাছাই নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে
বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, ডিএসই’র কৌশলগত শেয়ারের
মালিকানা চীন না ভারত পাচ্ছে, এমন আলোচনার মাঝেই গত ১০ই ফেব্রুয়ারি চীনের
সাংহাই ও শেনঝেন স্টক এক্সচেঞ্জ কনসোর্টিয়ামের প্রস্তাব অনুমোদন দেয় ডিএসই।
কিন্তু দেশের স্বার্থ বিঘ্নিত হতে পারে এমন আশঙ্কায়, চীনা কনসোর্টিয়ামের
প্রস্তাবের বেশ কিছু ধারা নিয়ে ব্যাখ্যা চায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ
অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। পরে চীনা কনসোর্টিয়াম বেশ কিছু শর্ত
শিথিলে রাজি হয়েছে বলে বিএসইসি’র কাছে জবাব দেয় ডিএসই। অন্যদিকে ডিএসই
কৌশলগত বিনিয়োগকারীর সঙ্গে চুক্তির মেয়াদও আগামী ৮ই জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে
কমিশন। ফলে ডিএসই অংশীদার বাছাই নিয়ে জটিলতা কাটছে না বলে মনে করছেন
বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, চুক্তিতে দু’পক্ষকেই কিছুটা ছাড় দিতে হবে।
সূত্র জানায়, গত ৪ঠা মার্চ কমিশনের চিঠির জবাবে ডিএসই জানায়, বিএসইসি’র তোলা আপত্তির জায়গাগুলো সংশোধনে সম্মত হয়েছে চীনা কনসোর্টিয়াম। বিনামূল্যের এ সুবিধা নেয়ার সময় আর্থিকমূল্য নির্ধারণ করা হবে।
প্রতিটি শেয়ারের ধার্যমূল্য ২২ টাকা, এটি আর কমানোর কোনো প্রয়োজন পড়বে না বলে জানিয়েছে ডিএসই। এদিকে আর্থিকভাবে বড় বড় চুক্তিসহ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত সাধারণ সভায় পেশ করার আগেই, লিখিত অনুমোদনের শর্ত দিয়েছিল চীনা কনসোর্টিয়াম, যা নিয়েও আপত্তি তোলে বিএসইসি। ডিএসই বলছে, এ শর্ত শিথিল করতেও সম্মত চীনা কনসোর্টিয়াম। সেই সঙ্গে রাজি হয়েছে, দেশীয় আইনে চুক্তি করতে। তবে বিবাদ হলে তৃতীয় দেশের সালিশি আদালতের শর্ত বহাল থাকবে। জানা গেছে, প্রস্তাবের খুঁটিনাটি বিভিন্ন বিষয়ে ডিএসই’র কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করে বিএসইসি। তবে এখনো ডিএসই’র ব্যাখ্যায় পুরোপুরি সন্তুষ্ট নয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএসইসি’র উদ্বেগ যথার্থ। তবে আন্তর্জাতিক চুক্তির ক্ষেত্রে কিছু ছাড়ের বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে।
বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান বলেন, ডিএসই’র কৌশলগত বিনিয়োগকারী নিয়ে এক ধরনের অস্পষ্টতা বাজারে তৈরি হয়েছে। সঠিক কথা হলো- কৌশলগত বিনিয়োগকারী ইস্যুতে ডিএসইর দেয়া চীনা কনসোর্টিয়ামের প্রস্তাবের ওপরেই কাজ করছে বিএসইসি’র কমিটি। এখানে অন্য কোনো প্রস্তাব বিএসইসি’র কাছে নেই। তবে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া সময় সাপেক্ষ। এটা রাতারাতি হয়ে যাবে এমনটি ভাবা ঠিক নয়। কৌশলগত বিনিয়োগকারী নেয়ার বিষয়টাই দীর্ঘমেয়াদি। আইনের মধ্য থেকে ডিএসই’র প্রস্তাব খতিয়ে দেখছে কমিটি। তাই এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ারও কিছু নেই বলে মনে করেন তিনি। বিএসইসি’র এই মুখপাত্র বলেন, পুঁজিবাজার নিয়ে আমাদের সবার অবস্থান থেকে ইতিবাচক হতে হবে। বিনিয়োগকারীদের বুঝাতে হবে; নিজেদের এগিয়ে আসতে হবে।
ডিএসই’র কৌশলগত বিনিয়োগকারীর সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রথম দফায় এক বছর সময় দিয়ে কৌশলগত বিনিয়োগকারীর সঙ্গে চুক্তি করার জন্য ডিএসইকে চিঠি ইস্যু করে বিএসইসি। ওই সময়ে কৌশলগত বিনিয়োগকারী ঠিক করতে না পারায় আরো ৬ মাস সময় বৃদ্ধি করে কমিশন। বাড়তি ৬ মাসেও কৌশলগত বিনিয়োগকারী ঠিক করতে পারেনি ডিএসই। পরে ফের ৬ মাসের সময় দিয়ে চিঠি ইস্যু করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। যার মেয়াদও শেষ হয় ৮ই মার্চ। এ সময়ের মধ্যে ডিএসই কৌশলগত বিনিয়োগকারী খুঁজে পেলেও চুক্তি করতে পারেনি। ফলে আবারও সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করে ডিএসই।
তবে ইতিমধ্যে চীনের সাংহাই ও সেনজান স্টক একচেঞ্জ নিয়ে গঠিত কনসোর্টিয়ামকে চূড়ান্ত করেছে ডিএসই পরিচালনা পর্ষদ। চূড়ান্ত করার প্রস্তাব বিএসইতে জমা দেয়ার পর সংস্থাটি একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠন করেছে। কমিটি বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। চূড়ান্ত হতে আরো সময় লাগতে পারে এই আশঙ্কা থেকে সময় বাড়ানো হয়েছে। আগামী ৮ই জুনের মধ্যে চুক্তি করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি।
এদিকে ডিএসই’র কৌশলগত বিনিয়োগকারী ইস্যুতে গঠিত পর্যালোচনা কমিটির সময়ও বাড়ানো হয়েছে ১৫ই মার্চ পর্যন্ত। এ সময়ে তারা কৌশলগত বিনিয়োগকারীর ডিএসই’র প্রস্তাব পর্যালোচনা করে কমিশনে রিপোর্ট জমা দেবেন।
এর আগে কৌশলগত বিনিয়োগকারী ইস্যুতে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের নেয়া সিদ্ধান্তের প্রস্তাব গত ২২শে ফেব্রুয়ারি বিএসইসিতে জমা দেয়া হয়। ওই দিন বিএসইসি এই প্রস্তাব যাচাই-বাছাই করার জন্য ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। গঠিত কমিটি কিছু বিষয়ে পরিষ্কার হওয়ার জন্য গত ২৮শে ফেব্রুয়ারি ডিএসইর দেয়া প্রস্তাবের ওপর বেশ কিছু বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি ইস্যু করেছিল বিএসইসি। এই চিঠির ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য ৪ঠা মার্চ বিএসইসিকে জবাব পাঠায় ডিএসই কর্তৃপক্ষ।
বিএসইসি’র চিঠিতে বলা হয়েছে, সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ এবং সেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জকে নিয়ে গঠিত কনসোর্টিয়াম ডিএসইর শেয়ার ২২ টাকা দরে কিনতে চেয়েছে। একই সঙ্গে কিছু টেকনিক্যাল সাপোর্টের কথা বলেছে। ডিএসইর ভাষ্য অনুযায়ী, এই টাকার পরিমাণ হবে ৩০০ কোটি টাকা। এর নিরপেক্ষ মূল্যায়ন নেই। এ ছাড়া চীনের বিনিয়োগের প্রস্তাবে কিছু শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে।
শর্তগুলো হলো- প্রথমত এই চুক্তিটি হতে হবে যুক্তরাজ্যের আইন অনুযায়ী। দ্বিতীয়ত, এ বিষয়ে কোনো বিভেদ দেখা দিলে তার সমাধানের জন্য লন্ডনের আরবিট্রেশন অনুযায়ী হতে হবে। তৃতীয়ত, ডিএসইর আর্টিকেল পরিবর্তন করে কিছু বিষয় যুক্ত করতে হবে। যুক্ত করা বিষয় পরিবর্তন করতে হলে ডিএসই’র বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) পাস করার পূর্বে তাদের অনুমোদন নিতে হবে।
ডিএসই’র পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, পুঁজিবাজারের বিকাশের স্বার্থে কৌশলগত বিনিয়োগকারী নির্ধারণে ন্যায়সঙ্গত সিদ্ধান্ত নেবে বিএসইসি।
সূত্র জানায়, গত ৪ঠা মার্চ কমিশনের চিঠির জবাবে ডিএসই জানায়, বিএসইসি’র তোলা আপত্তির জায়গাগুলো সংশোধনে সম্মত হয়েছে চীনা কনসোর্টিয়াম। বিনামূল্যের এ সুবিধা নেয়ার সময় আর্থিকমূল্য নির্ধারণ করা হবে।
প্রতিটি শেয়ারের ধার্যমূল্য ২২ টাকা, এটি আর কমানোর কোনো প্রয়োজন পড়বে না বলে জানিয়েছে ডিএসই। এদিকে আর্থিকভাবে বড় বড় চুক্তিসহ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত সাধারণ সভায় পেশ করার আগেই, লিখিত অনুমোদনের শর্ত দিয়েছিল চীনা কনসোর্টিয়াম, যা নিয়েও আপত্তি তোলে বিএসইসি। ডিএসই বলছে, এ শর্ত শিথিল করতেও সম্মত চীনা কনসোর্টিয়াম। সেই সঙ্গে রাজি হয়েছে, দেশীয় আইনে চুক্তি করতে। তবে বিবাদ হলে তৃতীয় দেশের সালিশি আদালতের শর্ত বহাল থাকবে। জানা গেছে, প্রস্তাবের খুঁটিনাটি বিভিন্ন বিষয়ে ডিএসই’র কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করে বিএসইসি। তবে এখনো ডিএসই’র ব্যাখ্যায় পুরোপুরি সন্তুষ্ট নয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএসইসি’র উদ্বেগ যথার্থ। তবে আন্তর্জাতিক চুক্তির ক্ষেত্রে কিছু ছাড়ের বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে।
বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান বলেন, ডিএসই’র কৌশলগত বিনিয়োগকারী নিয়ে এক ধরনের অস্পষ্টতা বাজারে তৈরি হয়েছে। সঠিক কথা হলো- কৌশলগত বিনিয়োগকারী ইস্যুতে ডিএসইর দেয়া চীনা কনসোর্টিয়ামের প্রস্তাবের ওপরেই কাজ করছে বিএসইসি’র কমিটি। এখানে অন্য কোনো প্রস্তাব বিএসইসি’র কাছে নেই। তবে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া সময় সাপেক্ষ। এটা রাতারাতি হয়ে যাবে এমনটি ভাবা ঠিক নয়। কৌশলগত বিনিয়োগকারী নেয়ার বিষয়টাই দীর্ঘমেয়াদি। আইনের মধ্য থেকে ডিএসই’র প্রস্তাব খতিয়ে দেখছে কমিটি। তাই এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ারও কিছু নেই বলে মনে করেন তিনি। বিএসইসি’র এই মুখপাত্র বলেন, পুঁজিবাজার নিয়ে আমাদের সবার অবস্থান থেকে ইতিবাচক হতে হবে। বিনিয়োগকারীদের বুঝাতে হবে; নিজেদের এগিয়ে আসতে হবে।
ডিএসই’র কৌশলগত বিনিয়োগকারীর সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রথম দফায় এক বছর সময় দিয়ে কৌশলগত বিনিয়োগকারীর সঙ্গে চুক্তি করার জন্য ডিএসইকে চিঠি ইস্যু করে বিএসইসি। ওই সময়ে কৌশলগত বিনিয়োগকারী ঠিক করতে না পারায় আরো ৬ মাস সময় বৃদ্ধি করে কমিশন। বাড়তি ৬ মাসেও কৌশলগত বিনিয়োগকারী ঠিক করতে পারেনি ডিএসই। পরে ফের ৬ মাসের সময় দিয়ে চিঠি ইস্যু করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। যার মেয়াদও শেষ হয় ৮ই মার্চ। এ সময়ের মধ্যে ডিএসই কৌশলগত বিনিয়োগকারী খুঁজে পেলেও চুক্তি করতে পারেনি। ফলে আবারও সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করে ডিএসই।
তবে ইতিমধ্যে চীনের সাংহাই ও সেনজান স্টক একচেঞ্জ নিয়ে গঠিত কনসোর্টিয়ামকে চূড়ান্ত করেছে ডিএসই পরিচালনা পর্ষদ। চূড়ান্ত করার প্রস্তাব বিএসইতে জমা দেয়ার পর সংস্থাটি একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠন করেছে। কমিটি বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। চূড়ান্ত হতে আরো সময় লাগতে পারে এই আশঙ্কা থেকে সময় বাড়ানো হয়েছে। আগামী ৮ই জুনের মধ্যে চুক্তি করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি।
এদিকে ডিএসই’র কৌশলগত বিনিয়োগকারী ইস্যুতে গঠিত পর্যালোচনা কমিটির সময়ও বাড়ানো হয়েছে ১৫ই মার্চ পর্যন্ত। এ সময়ে তারা কৌশলগত বিনিয়োগকারীর ডিএসই’র প্রস্তাব পর্যালোচনা করে কমিশনে রিপোর্ট জমা দেবেন।
এর আগে কৌশলগত বিনিয়োগকারী ইস্যুতে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের নেয়া সিদ্ধান্তের প্রস্তাব গত ২২শে ফেব্রুয়ারি বিএসইসিতে জমা দেয়া হয়। ওই দিন বিএসইসি এই প্রস্তাব যাচাই-বাছাই করার জন্য ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। গঠিত কমিটি কিছু বিষয়ে পরিষ্কার হওয়ার জন্য গত ২৮শে ফেব্রুয়ারি ডিএসইর দেয়া প্রস্তাবের ওপর বেশ কিছু বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি ইস্যু করেছিল বিএসইসি। এই চিঠির ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য ৪ঠা মার্চ বিএসইসিকে জবাব পাঠায় ডিএসই কর্তৃপক্ষ।
বিএসইসি’র চিঠিতে বলা হয়েছে, সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ এবং সেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জকে নিয়ে গঠিত কনসোর্টিয়াম ডিএসইর শেয়ার ২২ টাকা দরে কিনতে চেয়েছে। একই সঙ্গে কিছু টেকনিক্যাল সাপোর্টের কথা বলেছে। ডিএসইর ভাষ্য অনুযায়ী, এই টাকার পরিমাণ হবে ৩০০ কোটি টাকা। এর নিরপেক্ষ মূল্যায়ন নেই। এ ছাড়া চীনের বিনিয়োগের প্রস্তাবে কিছু শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে।
শর্তগুলো হলো- প্রথমত এই চুক্তিটি হতে হবে যুক্তরাজ্যের আইন অনুযায়ী। দ্বিতীয়ত, এ বিষয়ে কোনো বিভেদ দেখা দিলে তার সমাধানের জন্য লন্ডনের আরবিট্রেশন অনুযায়ী হতে হবে। তৃতীয়ত, ডিএসইর আর্টিকেল পরিবর্তন করে কিছু বিষয় যুক্ত করতে হবে। যুক্ত করা বিষয় পরিবর্তন করতে হলে ডিএসই’র বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) পাস করার পূর্বে তাদের অনুমোদন নিতে হবে।
ডিএসই’র পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, পুঁজিবাজারের বিকাশের স্বার্থে কৌশলগত বিনিয়োগকারী নির্ধারণে ন্যায়সঙ্গত সিদ্ধান্ত নেবে বিএসইসি।
No comments