লন্ডন থেকে সিলেটগামী বিমানে জঙ্গি আতঙ্ক, ওসমানীতে ডগ স্কোয়াডের তল্লাশি
লন্ডন
থেকে সিলেটগামী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে হঠাৎ জঙ্গি আতঙ্ক দেখা দেয়। এতে
করে আকাশে প্রায় ৯ ঘণ্টা আতঙ্কে ছিলেন বিমানের সবাই। অবশেষে গতকাল সকাল
সাড়ে ১০টার দিকে ওসমানী বিমানবন্দরে ওই ফ্লাইটটি অবতরণ করলে ব্যাপক তল্লাশি
চালানো হয়। তবে সুখের খবর হচ্ছে ওই ফ্লাইটে কোনো নাশকতার চিহ্ন পাওয়া
যায়নি। সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্র জানিয়েছেন, বুধবার
সন্ধ্যায় সিলেটের উদ্দেশে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর ত্যাগ করে বাংলাদেশ
বিমানের বিজি- ০২২ ফ্লাইটটি। ফ্লাইটটি হিথ্রো ছাড়ার প্রায় এক ঘণ্টা পর
হিথ্রো বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে ওই ফ্লাইটে জঙ্গি ও বোমা থাকতে
পারে বলে বার্তা দেয়া হয়। ওই বার্তায় বিমানের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বিমানের পাইলট ও ক্রুরা বিষয়টিকে উড়িয়ে দেননি। তারা তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করেন
দেশের সঙ্গে। জরুরি সংবাদটি পাওয়ার পর ফার্স্ট অফিসার আরিফের সঙ্গে আলোচনা
করে কেবিন ক্রু চিফ পার্সার ডলিকে বিষয়টি অবগত করেন ফ্লাইট ক্যাপ্টেন
ইসমাইল। দুই পাইলটের নির্দেশনায় ডলি তার ক্রুদের নির্দেশ দেন ফ্লাইটের সকল
যাত্রীকে নীরবে নিবিড় পর্যবেক্ষণ করতে। এর মধ্যে পাইলট ক্যাপ্টেন ইসমাইল
এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের মাধ্যমে বিমানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি
অবগত করেন। বাংলাদেশ বিমান সূত্র জানায়, তারা প্রথমে ফ্লাইটটি ঢাকায়
অবতরণের চিন্তা করেছিলেন। পরে সিদ্ধান্ত পাল্টে প্রায় ৯ ঘণ্টা আকাশে উড়ার
পর সকাল সাড়ে ১০টায় বিমানটি সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেই অবতরণ
করে। তার আগে পুলিশ ও র্যাবের টিম ছিল বিমানবন্দরে। অবতরণের পরপরই তারা
বিমানের ডগ স্কোয়াড দিয়ে ব্যাপক তল্লাশি চালান। পাশাপাশি যাত্রীদেরও
তল্লাশি চালানো হয়। তবে সন্দেহভাজন কোনো কিছুই পাওয়া যায়নি বিমানে। ওসমানী
বিমানবন্দরের এক সিনিয়র সিকিউরিটি কর্মকর্তা জানান, হিথ্রো থেকে খবরের
প্রেক্ষিতে সতর্কতা গ্রহণ করা হয়েছিল। তিনি জানান, বেলা দেড়টার দিকে ওই
ফ্লাইট ঢাকায় চলে গেছে। সিলেটে বাংলাদেশ বিমানের স্টেশন ম্যানেজার জিল্লুর
রহমান সাংবাদিকদের জানান, উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আমরা আইনশৃঙ্খলা
বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু কোনো কিছুই পাওয়া যায়নি।
No comments