অষ্টম বছরে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ
আরব
বসন্তের ছোঁয়ায় আট বছর আগে সিরিয়ায় জ্বলে উঠেছিল প্রাণঘাতী গৃহযুদ্ধের
আগুন। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত এই যুদ্ধ চলছেই। এই আট বছরে এতে প্রাণ
হারিয়েছেন ৪ লাখ ৬৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। যুদ্ধ-পূর্ববর্তী জনসংখ্যার
অর্ধেকই এখন স্থানচ্যুত। তবুও অদূর ভবিষ্যতে এর সমাপ্তির কোনো লক্ষণই দেখা
যাচ্ছে না। তিউনিশিয়া ও মিশরের পর ২০১১ সালের ১৫ই মার্চ আরব বসন্তের ছোঁয়া
লাগে সিরিয়ায়। ক্ষমতাসীন সরকারের পতনের দাবি করেন প্রতিবাদকারীরা। ধীরে
ধীরে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ রূপ নেয় এক দীর্ঘ মেয়াদি গৃহযুদ্ধে। যুদ্ধে
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বাহিনীর হাতে প্রাণ হারিয়েছেন হাজার
হাজার বিক্ষোভকারী। গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন আরো অনেকে। এর
মধ্যে এই যুদ্ধ থামাতে বেশ কয়েকবার শান্তিচুক্তির আলোচনা করা হয়েছে। কোনটাই
সফল হয়নি। একের পর এক বছর পেরিয়ে অষ্টম বছরে পা দিয়েছে গৃহযুদ্ধ।
অভ্যুথানের নেপথ্যে: ২০১১ সালে বিভিন্ন আরব দেশে সফল কয়েকটি অভ্যুথানের ঘটনা একসঙ্গে আরব বসন্ত নামে পরিচিত। এসব অভ্যুথানে পতন হয়েছিল তিউনিশিয়া ও মিশরের প্রেসিডেন্টের। সিরিয়ায় তখন স্বাধীনতার অভাব ও অর্থনৈতিক মন্দা বেশ প্রকট আকার ধারণ করেছিল। তিউনিশিয়া ও মিশরে প্রতিবাদকারীদের সফলতা সিরিয়ার গণতন্ত্রপন্থি কর্মীদের আশা জুগিয়েছিল। ওই বছরের মার্চ মাসে সিরিয়ায় শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ শুরু হয়। এর সূত্রপাত ঘটে, ১৫ বালককে আরব বসন্তের পক্ষে ‘গ্রাফিতি’ আকার দায়ে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করার পর। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে এক ১৩ বয়সী বালকও ছিল। সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ডেরায় তাকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। সিরিয়া সরকার হাজার হাজার প্রতিবাদকারীকে হত্যা করে। বন্দি করা হয় অনেককে। জুলাই মাসে গঠিত হয় বিদ্রোহী দল ফ্রি সিরিয়ান আর্মি। সামরিক বাহিনীর মধ্যে যারা অভ্যুথানের সমর্থনে ছিলেন তারাই এই বিদ্রোহী দলের নেতৃত্ব দেন। শুরু হয় গৃহযুদ্ধ।
আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ের অংশগ্রহণ: সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপ তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ২০১৫ সালে এই যুদ্ধে আসাদ সরকারের পক্ষ হয়ে অংশ নেয় রাশিয়া। এছাড়া ইরান, লেবাননের হিজবুল্লাহও আসাদকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে আসাদ-বিরোধী বিদ্রোহীদের সমর্থন করছে তুরস্ক, কাতার ও সৌদি আরব। ২০১৬ সাল থেকে সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন নিয়ে আইএস ও কুর্দি মিলিশিয়ার বিরুদ্ধে হামলা চালাচ্ছে তুরস্ক। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র আসাদ-বিরোধী দলকে অস্ত্র সরবরাহ করেছে। এছাড়া, হিজবুল্লাহকে টার্গেট করে সিরিয়ায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল।
যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া: যুক্তরাষ্ট্র বেশ কয়েকবার তাদের আসাদ সরকার বিরোধী অবস্থানের কথা নিশ্চিত করেছে। অন্যদিকে রাশিয়া আসাদ সরকারের প্রতি নিজেদের সমর্থনের বিষয়টিও বেশ কয়েকবার সপষ্টভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে রাশিয়া। বারাক ওবামার প্রশাসন সিরিয়া সরকারকে সতর্ক করে বলেছিল, যুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার হবে চূড়ান্ত সীমা অতিক্রম করা। অবশ্য সিরিয়ায় আসাদ বাহিনীর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র প্রথম সরাসরি হামলা চালায় গত বছরের এপ্রিলে। খান শেইখুনে এক রাসায়নিক হামলা চালানোর জবাবে যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার এক সামরিক ঘাঁটিতে ৫৯টি টোমাহক ক্রুজ মিসাইল দিয়ে হামলা চালায়। ২০১৩ সালে সিআইএ আসাদ-বিরোধী বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য একটি প্রোগ্রাম খুলে। তবে পরবর্তীতে তা বন্ধ করে দেয়া হয়। অন্যদিকে, সিরিয়ায় আইএস, আসাদ-বিরোধী বিদ্রোহী দলের ওপর হামলা চালানোসহ সরকারি বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সরাসরি ভূমিকা রেখেছে রাশিয়া।
বিদ্রোহী গোষ্ঠী: সংঘাত শুরু হওয়ার পর সিরিয়ায় বেশ কয়েকটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর আবির্ভাব ঘটেছে। এর মধ্যে প্রথমেই আছে দ্য ফ্রি সিরিয়ান আর্মি। যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক ও কয়েকটি উপসাগরীয় দেশ সমর্থিত সামরিক বাহিনীর সাবেক সশস্ত্র ও বেসামরিক নাগরিক নিয়ে গঠিত একটি দল। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে সরকারি বাহিনী বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক জয়লাভ করে। আলেপ্পো পুনর্দখল করে। তারপর থেকে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের খুব অল্প সংখ্যক জায়গাতেই প্রভাব রয়েছে ফ্রি সিরিয়ান আর্মির। এই বছরের শুরু থেকে দলটি তুরস্কের সঙ্গে মিলে আফরিন দখল অভিযানে কুর্দি মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। এছাড়া আইএসসহ অন্যান্য বিভিন্ন দলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- জাবহাত ফতেহ আল-শাম, ইরানসমর্থিত হিজবুল্লাহ ও দ্য সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস।
বর্তমান পরিস্থিতি: বর্তমানে সিরিয়ায় লড়াই চলছে প্রধানত দু’টি জায়গায়- ইস্টার্ন ঘৌটা ও আফরিন। এই বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে রুশ যুদ্ধ বিমানসমর্থিত সিরিয়ার সরকারি বাহিনী ইস্টার্ন ঘৌটায় নতুন করে তীব্র আকারে বোমা হামলা চালানো শুরু করে। এতে নিহত হয় হাজারেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক। এই অঞ্চলটিই বিদ্রহীদের সর্বশেষ প্রধান ঘাঁটি। অন্যদিকে আফরিনে কুর্দিশ পিপল’স প্রটেকশন ইউনিটস’র বিরুদ্ধে লড়াই করছে তুরস্ক ও দ্য ফ্রি সিরিয়ান আর্মি।
সিরীয় শরণার্থী: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর লম্বা সময় অতিক্রান্ত হয়েছে। সিরিয়ার যুদ্ধ সীমান্ত অতিক্রম করে বাইরেও প্রভাব ফেলছে। সিরিয়ার বহু নাগরিক নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে নিজেদের ঘরবাড়ি ত্যাগ করেছে। তারা সিরিয়ার অভ্যন্তরে বা বাইরে কোনো নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর তথ্য অনুযায়ী, সিরিয়ায় ৫৫ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ২০১৭ সালে প্রায় ৬৬ হাজার শরণার্থী সিরিয়ায় ফিরে গেছে। সিরিয়ার বেশির ভাগ অঞ্চল ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং এর অধিবাসীরা স্থানান্তরিত হয়েছে। তাই একটি বিষয় মোটামুটি নিশ্চিত, তা হলো যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে সিরিয়া পুনঃনির্মাণ সময়সাপেক্ষ ও জটিল বিষয়।
অভ্যুথানের নেপথ্যে: ২০১১ সালে বিভিন্ন আরব দেশে সফল কয়েকটি অভ্যুথানের ঘটনা একসঙ্গে আরব বসন্ত নামে পরিচিত। এসব অভ্যুথানে পতন হয়েছিল তিউনিশিয়া ও মিশরের প্রেসিডেন্টের। সিরিয়ায় তখন স্বাধীনতার অভাব ও অর্থনৈতিক মন্দা বেশ প্রকট আকার ধারণ করেছিল। তিউনিশিয়া ও মিশরে প্রতিবাদকারীদের সফলতা সিরিয়ার গণতন্ত্রপন্থি কর্মীদের আশা জুগিয়েছিল। ওই বছরের মার্চ মাসে সিরিয়ায় শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ শুরু হয়। এর সূত্রপাত ঘটে, ১৫ বালককে আরব বসন্তের পক্ষে ‘গ্রাফিতি’ আকার দায়ে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করার পর। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে এক ১৩ বয়সী বালকও ছিল। সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ডেরায় তাকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। সিরিয়া সরকার হাজার হাজার প্রতিবাদকারীকে হত্যা করে। বন্দি করা হয় অনেককে। জুলাই মাসে গঠিত হয় বিদ্রোহী দল ফ্রি সিরিয়ান আর্মি। সামরিক বাহিনীর মধ্যে যারা অভ্যুথানের সমর্থনে ছিলেন তারাই এই বিদ্রোহী দলের নেতৃত্ব দেন। শুরু হয় গৃহযুদ্ধ।
আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ের অংশগ্রহণ: সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপ তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ২০১৫ সালে এই যুদ্ধে আসাদ সরকারের পক্ষ হয়ে অংশ নেয় রাশিয়া। এছাড়া ইরান, লেবাননের হিজবুল্লাহও আসাদকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে আসাদ-বিরোধী বিদ্রোহীদের সমর্থন করছে তুরস্ক, কাতার ও সৌদি আরব। ২০১৬ সাল থেকে সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন নিয়ে আইএস ও কুর্দি মিলিশিয়ার বিরুদ্ধে হামলা চালাচ্ছে তুরস্ক। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র আসাদ-বিরোধী দলকে অস্ত্র সরবরাহ করেছে। এছাড়া, হিজবুল্লাহকে টার্গেট করে সিরিয়ায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল।
যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া: যুক্তরাষ্ট্র বেশ কয়েকবার তাদের আসাদ সরকার বিরোধী অবস্থানের কথা নিশ্চিত করেছে। অন্যদিকে রাশিয়া আসাদ সরকারের প্রতি নিজেদের সমর্থনের বিষয়টিও বেশ কয়েকবার সপষ্টভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে রাশিয়া। বারাক ওবামার প্রশাসন সিরিয়া সরকারকে সতর্ক করে বলেছিল, যুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার হবে চূড়ান্ত সীমা অতিক্রম করা। অবশ্য সিরিয়ায় আসাদ বাহিনীর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র প্রথম সরাসরি হামলা চালায় গত বছরের এপ্রিলে। খান শেইখুনে এক রাসায়নিক হামলা চালানোর জবাবে যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার এক সামরিক ঘাঁটিতে ৫৯টি টোমাহক ক্রুজ মিসাইল দিয়ে হামলা চালায়। ২০১৩ সালে সিআইএ আসাদ-বিরোধী বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য একটি প্রোগ্রাম খুলে। তবে পরবর্তীতে তা বন্ধ করে দেয়া হয়। অন্যদিকে, সিরিয়ায় আইএস, আসাদ-বিরোধী বিদ্রোহী দলের ওপর হামলা চালানোসহ সরকারি বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সরাসরি ভূমিকা রেখেছে রাশিয়া।
বিদ্রোহী গোষ্ঠী: সংঘাত শুরু হওয়ার পর সিরিয়ায় বেশ কয়েকটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর আবির্ভাব ঘটেছে। এর মধ্যে প্রথমেই আছে দ্য ফ্রি সিরিয়ান আর্মি। যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক ও কয়েকটি উপসাগরীয় দেশ সমর্থিত সামরিক বাহিনীর সাবেক সশস্ত্র ও বেসামরিক নাগরিক নিয়ে গঠিত একটি দল। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে সরকারি বাহিনী বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক জয়লাভ করে। আলেপ্পো পুনর্দখল করে। তারপর থেকে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের খুব অল্প সংখ্যক জায়গাতেই প্রভাব রয়েছে ফ্রি সিরিয়ান আর্মির। এই বছরের শুরু থেকে দলটি তুরস্কের সঙ্গে মিলে আফরিন দখল অভিযানে কুর্দি মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। এছাড়া আইএসসহ অন্যান্য বিভিন্ন দলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- জাবহাত ফতেহ আল-শাম, ইরানসমর্থিত হিজবুল্লাহ ও দ্য সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস।
বর্তমান পরিস্থিতি: বর্তমানে সিরিয়ায় লড়াই চলছে প্রধানত দু’টি জায়গায়- ইস্টার্ন ঘৌটা ও আফরিন। এই বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে রুশ যুদ্ধ বিমানসমর্থিত সিরিয়ার সরকারি বাহিনী ইস্টার্ন ঘৌটায় নতুন করে তীব্র আকারে বোমা হামলা চালানো শুরু করে। এতে নিহত হয় হাজারেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক। এই অঞ্চলটিই বিদ্রহীদের সর্বশেষ প্রধান ঘাঁটি। অন্যদিকে আফরিনে কুর্দিশ পিপল’স প্রটেকশন ইউনিটস’র বিরুদ্ধে লড়াই করছে তুরস্ক ও দ্য ফ্রি সিরিয়ান আর্মি।
সিরীয় শরণার্থী: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর লম্বা সময় অতিক্রান্ত হয়েছে। সিরিয়ার যুদ্ধ সীমান্ত অতিক্রম করে বাইরেও প্রভাব ফেলছে। সিরিয়ার বহু নাগরিক নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে নিজেদের ঘরবাড়ি ত্যাগ করেছে। তারা সিরিয়ার অভ্যন্তরে বা বাইরে কোনো নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর তথ্য অনুযায়ী, সিরিয়ায় ৫৫ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ২০১৭ সালে প্রায় ৬৬ হাজার শরণার্থী সিরিয়ায় ফিরে গেছে। সিরিয়ার বেশির ভাগ অঞ্চল ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং এর অধিবাসীরা স্থানান্তরিত হয়েছে। তাই একটি বিষয় মোটামুটি নিশ্চিত, তা হলো যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে সিরিয়া পুনঃনির্মাণ সময়সাপেক্ষ ও জটিল বিষয়।
No comments