পালিয়ে বেলজিয়ামে কাতালান নেতা পুইগডেমন্ট by নাজমুস সাদাত পারভেজ
দেশদ্রোহের
মামলায় গ্রেপ্তার আশঙ্কায় পালিয়ে বেলজিয়ামে আশ্রয় নিয়েছেন কাতালোনিয়ার
স্বাধীনতা ঘোষণা দেয়া নেতা কার্লেস পুইগডেমন্ট। সোমবারে তিনি সেন্ট জুলিয়া
ডি রামিস গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে আত্মগোপন করে বেলজিয়ামে পালিয়ে যান। এ খবর
প্রকাশ করেছে নিউইয়র্ক টাইমস। স্পেনের গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, তার সঙ্গে
আঞ্চলিক মন্ত্রীসভার আরো পাঁচ মন্ত্রী দেশ ত্যাগ করেছেন। প্রথমে তারা
গাড়িতে করে ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলের শহর মার্সেলিতে যান। সেখান থেকে
বিমানযোগে বেলজিয়ামের ব্রাসেলস যাত্রা করেন।
পুইগডেমন্ট বেলজিয়ামে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করবেন বলে জানানো হয়েছে। সোমবার কাতালোনিয়া ত্যাগ করার পূর্ব পর্যন্ত- কি করবেন পুইগডেমন্ট তা নিয়ে একটি ঘোর অনিশ্চয়তার মাঝে ছিলো স্পেনের মানুষ। আত্মগোপনের একটি রক্ষণাত্মক পদক্ষেপ নিয়ে সকল জল্পনার অবসান ঘটালেন তিনি। বেলজিয়াম প্রথমদিকে পুইগডেমন্টের উপস্থিতির কথা জানে না- বলে বিবৃতি দিলেও পরে বেলজিয়ামের একজন আইনজ্ঞ জানান, পুইগডেমন্ট বেলজিয়ামেই আশ্রয় নিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুইগডেমন্ট আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তিনি অনুরোধ করেছেন, তার বেলজিয়ামে অবস্থানকালে যাতে আমি তার আইনগত ব্যাপার দেখাশুনা করি। পল বেকার্ট নামের ৩০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ওই আইনজীবী আরো বলেন, রাজনৈতিক আশ্রয়ের মামলা মোকাদ্দমা নিয়ে তার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা। তিনি ও পুইগডেমন্ট ভবিষ্যতের করণীয় আলোচনা করছেন। একমাত্র বেলজিয়ামের সরকারই কাতালোনিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণার সময় দেশটিকে সমর্থন করেছিলো। স্পেন-কাতালান সংঘাতের সময় দেশটি ইঙ্গিতও দিয়েছিলো যে, প্রয়োজনে তারা পুইগডেমন্টকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে পারে। তবে পদচ্যুত এই নেতাকে আশ্রয় দেয়ার ফলে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে ফাটলের আশঙ্কা রয়েছে। বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী চার্লস মাইকেল অবশ্য পুইগডেমন্টকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়ার সম্ভাবনা নাকচ করেছেন। কিন্তু দেশটির অভিবাসন মন্ত্রী থিও ফ্রাঙ্কেন ভিটিএম নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনা করলে এটা স্পষ্ট বুঝা যায় যে, কাতালানের সঙ্গে অবিচার করা হচ্ছে। সেখানকার পদচ্যুত প্রেসিডেন্ট কার্লেস পুইগডেমন্ট ও অন্য নেতাদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলক মামলা দেয়া হয়েছে। সেখানে তাদের ন্যায়বিচার পাবার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। এই অবস্থায় মানবিকতার সঙ্গে আমাদের উচিত পরিস্থিতি বিবেচনা করা। যদিও এমনটি করতে গেলে স্পেনের সঙ্গে আমাদের সস্পর্কের অবনতি হবার আশঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাজয়ের কনজারভেটিভ পপুলার পার্টি বলেছে, পুইগডেমন্টকে গ্রেপ্তার করা তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিলো না। তারা শুধু নিশ্চিত করতে চেয়েছে, পদচ্যুত নেতারা যাতে সরকারি কাজকর্মে অংশ না নিতে পারেন। পুইগডেমন্টের পালিয়ে যাওয়াকে ন্যাক্কারজনক বলে উল্লেখ করেছেন কাতালানের স্বাধীনতা বিরোধীরা। এই অবস্থায় কাতালানের স্বাধীনতাকামীরা একটি হতাশাজনক অবস্থায় পতিত হলেন। তারা কি এখন রণে ভঙ্গ দেবেন নাকি আইনি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গ্রেপ্তারের ঝুঁকি নিয়ে স্বাধীনতার পক্ষে লড়ে যাবেন- এ কঠিন সিদ্ধান্তটা তাদেরকেই নিতে হবে। তবে, পুইগডেমন্ট বেলজিয়ামে বসে অভিবাসী সরকার পরিচালনা করার কথা ভাবছেন- এমন একটি সম্ভাবনার কথাও শোনা যাচ্ছে। বাস্তবে এ ধরনের কোন নজির না থাকায় এ সম্ভাবনাকে নাকচ করে দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
পুইগডেমন্ট বেলজিয়ামে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করবেন বলে জানানো হয়েছে। সোমবার কাতালোনিয়া ত্যাগ করার পূর্ব পর্যন্ত- কি করবেন পুইগডেমন্ট তা নিয়ে একটি ঘোর অনিশ্চয়তার মাঝে ছিলো স্পেনের মানুষ। আত্মগোপনের একটি রক্ষণাত্মক পদক্ষেপ নিয়ে সকল জল্পনার অবসান ঘটালেন তিনি। বেলজিয়াম প্রথমদিকে পুইগডেমন্টের উপস্থিতির কথা জানে না- বলে বিবৃতি দিলেও পরে বেলজিয়ামের একজন আইনজ্ঞ জানান, পুইগডেমন্ট বেলজিয়ামেই আশ্রয় নিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুইগডেমন্ট আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তিনি অনুরোধ করেছেন, তার বেলজিয়ামে অবস্থানকালে যাতে আমি তার আইনগত ব্যাপার দেখাশুনা করি। পল বেকার্ট নামের ৩০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ওই আইনজীবী আরো বলেন, রাজনৈতিক আশ্রয়ের মামলা মোকাদ্দমা নিয়ে তার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা। তিনি ও পুইগডেমন্ট ভবিষ্যতের করণীয় আলোচনা করছেন। একমাত্র বেলজিয়ামের সরকারই কাতালোনিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণার সময় দেশটিকে সমর্থন করেছিলো। স্পেন-কাতালান সংঘাতের সময় দেশটি ইঙ্গিতও দিয়েছিলো যে, প্রয়োজনে তারা পুইগডেমন্টকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে পারে। তবে পদচ্যুত এই নেতাকে আশ্রয় দেয়ার ফলে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে ফাটলের আশঙ্কা রয়েছে। বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী চার্লস মাইকেল অবশ্য পুইগডেমন্টকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়ার সম্ভাবনা নাকচ করেছেন। কিন্তু দেশটির অভিবাসন মন্ত্রী থিও ফ্রাঙ্কেন ভিটিএম নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনা করলে এটা স্পষ্ট বুঝা যায় যে, কাতালানের সঙ্গে অবিচার করা হচ্ছে। সেখানকার পদচ্যুত প্রেসিডেন্ট কার্লেস পুইগডেমন্ট ও অন্য নেতাদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলক মামলা দেয়া হয়েছে। সেখানে তাদের ন্যায়বিচার পাবার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। এই অবস্থায় মানবিকতার সঙ্গে আমাদের উচিত পরিস্থিতি বিবেচনা করা। যদিও এমনটি করতে গেলে স্পেনের সঙ্গে আমাদের সস্পর্কের অবনতি হবার আশঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাজয়ের কনজারভেটিভ পপুলার পার্টি বলেছে, পুইগডেমন্টকে গ্রেপ্তার করা তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিলো না। তারা শুধু নিশ্চিত করতে চেয়েছে, পদচ্যুত নেতারা যাতে সরকারি কাজকর্মে অংশ না নিতে পারেন। পুইগডেমন্টের পালিয়ে যাওয়াকে ন্যাক্কারজনক বলে উল্লেখ করেছেন কাতালানের স্বাধীনতা বিরোধীরা। এই অবস্থায় কাতালানের স্বাধীনতাকামীরা একটি হতাশাজনক অবস্থায় পতিত হলেন। তারা কি এখন রণে ভঙ্গ দেবেন নাকি আইনি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গ্রেপ্তারের ঝুঁকি নিয়ে স্বাধীনতার পক্ষে লড়ে যাবেন- এ কঠিন সিদ্ধান্তটা তাদেরকেই নিতে হবে। তবে, পুইগডেমন্ট বেলজিয়ামে বসে অভিবাসী সরকার পরিচালনা করার কথা ভাবছেন- এমন একটি সম্ভাবনার কথাও শোনা যাচ্ছে। বাস্তবে এ ধরনের কোন নজির না থাকায় এ সম্ভাবনাকে নাকচ করে দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
No comments