‘খালেদাকে ভোট থেকে দূরে রাখতেই ফেনীর ঘটনা’
আওয়ামী
লীগ দলীয় সাবেক এমপি জয়নাল হাজারী মনে করেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে
ভোট থেকে দূরে রাখার জন্যই ফেনীতে তার গাড়িবহরে হামলা হয়েছে। হাজারী তার
সম্পাদিত ‘হাজারিকা প্রতিদিন’-এ লেখা কলামে এ মত দেন। বহুল আলোচিত এই সাবেক
এমপি আরো লিখেছেন, যখন যেখানে যে ঘটনাই ঘটুক তার একটা কারণ থাকে। অকারণে
কোনো কিছু স্বাভাবিকভাবে ঘটে না। শনিবার খালেদা জিয়া রোহিঙ্গাদের দেখতে
ঢাকা থেকে কক্সবাজার রওনা হয়েছিলেন। পথিমধ্যে তার গাড়িবহরে হামলা হয়েছে
এতে বেশকিছু সাংবাদিক মারাত্মক আহত হয়েছেন।
এই হামলায় মূলত সাংবাদিকদের কেন টার্গেট করা হলো- এটা পরিষ্কার নয়। তিনি ফেনী সার্কিট হাউজে বিশ্রাম নেবেন এবং সেখানে দুপুরের খাবার খাবেন- এমনটাই প্রশাসনকে জানানো হয়েছিল। খালেদার আগমনে জেলার নেতাকর্মীরা সেখানে ব্যাপকভাবে জড়ো হওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিল কিন্তু অত্যন্ত ন্যক্কারজনকভাবে সার্কিট হাউজে কাউকে আসতে দেয়া হয়নি এবং বাধা দিতে গিয়ে বিএনপির বেশকিছু নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। খালেদা জিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবস্থা সরজমিন দেখবেন- এটাই ছিল তার উদ্দেশ্য। এটি একটি মহৎ উদ্দেশ্য। জননেত্রী শেখ হাসিনাও তাদের দেখে এসেছেন। তাহলে এই শুভ কাজে কেউ বাধা দিতে পারে কিনা- এটি অবশ্যই একটি বড় প্রশ্ন? যতই ওবায়দুল কাদের বলুক, ওনারা ছবি তুলতে যাচ্ছিলেন এবং এটা অভ্যন্তরীণ কোন্দল। এইসব কথা সচেতন জনগণকে খাওয়ানো যাবে না। সুষমা স্বরাজ এসে যখন পরিষ্কার বলে গেলেন আমরা সকলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চাই, ঠিক সেই মুহূর্তে এই ধরনের উস্কানিমূলক তৎপরতা গণতন্ত্রের ওপর হামলা- এটা কারো কাছেই গ্রহণযোগ্য নয় এবং একটি নয়, একাধিক জায়গায় হামলা হয়েছে। এই ঘটনা খালেদাকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবার জন্য একটি অজুহাত হিসেবে কাজ করবে। কেউ কেউ বলছেন, ঘটনা যেখানে যাই ঘটুক খালেদাকে ভোট করতেই হবে। বিষয়টি বোধ হয় পুরোপুরি ঠিক সেরকম নয়।
খালেদার ওপর হামলাটি কেন? একদিকে খালেদাকে ভোটে আসতে বলবেন অন্যদিকে তাকে পেটাতে থাকবেন সেটি তো হতে পারে না। আসলে আসল কথা একটাই- ভোট করে যারা কোনো দিনই জিততে পারবে না- ওই সমস্ত লোকগুলো খালেদা জিয়া ভোটে আসুক তারা মোটেই চায় না। সেই কারণে অবশ্যই বলা যায় ফেনীর ঘটনাটি খালেদা জিয়াকে ভোট থেকে দূরে রাখার একটি অপতৎপরতা। বর্তমান সরকারের তৎপরতা থেকে পরিষ্কার বোঝা যায় সরকার সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভোট করতে চায়। ফলে শেখ হাসিনা মোটেই ফেনীর ঘটনাকে সুদৃষ্টিতে দেখবেন না। ফেনীর বর্তমান এমপিরা কেহই ভোটে এমপি হয়নি এবং তারা জানে ভোট হলে তারা এমপি হবে না। সেই কারণেই কেন্দ্রের ইঙ্গিত ছাড়াই খালেদার ওপর তারা হামলা করেছে। বারবার একই গোষ্ঠী বিনা ভোটে এমপি হবে- এমনটি ফেনীবাসী কেবল চেয়ে চেয়ে দেখবেন- এমনটি হতে পারে না।
ওদিকে, হাজারিকা প্রতিদিনের অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফেনীতে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা হবার পর তিনি চট্টগ্রাম পৌঁছেই সার্কিট হাউজ থেকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। তার আগে তিনি তার সফর সঙ্গী আহত দুই সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টির ওপর বিস্তারিত খবরা-খবর নেন।
এই হামলায় মূলত সাংবাদিকদের কেন টার্গেট করা হলো- এটা পরিষ্কার নয়। তিনি ফেনী সার্কিট হাউজে বিশ্রাম নেবেন এবং সেখানে দুপুরের খাবার খাবেন- এমনটাই প্রশাসনকে জানানো হয়েছিল। খালেদার আগমনে জেলার নেতাকর্মীরা সেখানে ব্যাপকভাবে জড়ো হওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিল কিন্তু অত্যন্ত ন্যক্কারজনকভাবে সার্কিট হাউজে কাউকে আসতে দেয়া হয়নি এবং বাধা দিতে গিয়ে বিএনপির বেশকিছু নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। খালেদা জিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবস্থা সরজমিন দেখবেন- এটাই ছিল তার উদ্দেশ্য। এটি একটি মহৎ উদ্দেশ্য। জননেত্রী শেখ হাসিনাও তাদের দেখে এসেছেন। তাহলে এই শুভ কাজে কেউ বাধা দিতে পারে কিনা- এটি অবশ্যই একটি বড় প্রশ্ন? যতই ওবায়দুল কাদের বলুক, ওনারা ছবি তুলতে যাচ্ছিলেন এবং এটা অভ্যন্তরীণ কোন্দল। এইসব কথা সচেতন জনগণকে খাওয়ানো যাবে না। সুষমা স্বরাজ এসে যখন পরিষ্কার বলে গেলেন আমরা সকলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চাই, ঠিক সেই মুহূর্তে এই ধরনের উস্কানিমূলক তৎপরতা গণতন্ত্রের ওপর হামলা- এটা কারো কাছেই গ্রহণযোগ্য নয় এবং একটি নয়, একাধিক জায়গায় হামলা হয়েছে। এই ঘটনা খালেদাকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবার জন্য একটি অজুহাত হিসেবে কাজ করবে। কেউ কেউ বলছেন, ঘটনা যেখানে যাই ঘটুক খালেদাকে ভোট করতেই হবে। বিষয়টি বোধ হয় পুরোপুরি ঠিক সেরকম নয়।
খালেদার ওপর হামলাটি কেন? একদিকে খালেদাকে ভোটে আসতে বলবেন অন্যদিকে তাকে পেটাতে থাকবেন সেটি তো হতে পারে না। আসলে আসল কথা একটাই- ভোট করে যারা কোনো দিনই জিততে পারবে না- ওই সমস্ত লোকগুলো খালেদা জিয়া ভোটে আসুক তারা মোটেই চায় না। সেই কারণে অবশ্যই বলা যায় ফেনীর ঘটনাটি খালেদা জিয়াকে ভোট থেকে দূরে রাখার একটি অপতৎপরতা। বর্তমান সরকারের তৎপরতা থেকে পরিষ্কার বোঝা যায় সরকার সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভোট করতে চায়। ফলে শেখ হাসিনা মোটেই ফেনীর ঘটনাকে সুদৃষ্টিতে দেখবেন না। ফেনীর বর্তমান এমপিরা কেহই ভোটে এমপি হয়নি এবং তারা জানে ভোট হলে তারা এমপি হবে না। সেই কারণেই কেন্দ্রের ইঙ্গিত ছাড়াই খালেদার ওপর তারা হামলা করেছে। বারবার একই গোষ্ঠী বিনা ভোটে এমপি হবে- এমনটি ফেনীবাসী কেবল চেয়ে চেয়ে দেখবেন- এমনটি হতে পারে না।
ওদিকে, হাজারিকা প্রতিদিনের অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফেনীতে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা হবার পর তিনি চট্টগ্রাম পৌঁছেই সার্কিট হাউজ থেকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। তার আগে তিনি তার সফর সঙ্গী আহত দুই সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টির ওপর বিস্তারিত খবরা-খবর নেন।
No comments