রোহিঙ্গাদের পাশে কেউ নেই
বাংলাদেশে
ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ রোহিঙ্গা শরণার্থী পরিবারের পাশে
দাঁড়ানোর যেন কেউ নেই৷ ঝড়ের আগে তাঁদের আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হয়নি৷ ঝড়ের
পরেও তাঁদের জন্য নেই কোনো ত্রাণ সহায়তা৷ জেলা প্রশাসনের নেই কোনো উদ্যোগ৷
ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাতে বাংলাদেশে অন্তত আট জন নিহত হয়েছে৷ আট জনের মধ্যে কক্সবাজারের পাঁচ জন, রাঙামাটির দুই জন এবং ভোলার একজন৷ তবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা কক্সবাজার৷ এই জেলার অনেক এলাকা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে৷
এই কক্সবাজারে দু’টি নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পসহ আরো কয়েকটি অনিবন্ধিত ক্যাম্প রয়েছে৷ বাংলাদেশ সরকারের সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী, এখন এখানে মোট রোহিঙ্গা শরণার্থী সাড়ে তিন লাখ৷ তবে নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী ৩০ হাজার৷ শরণার্থীদের ঘরগুলো হাল্কা বাঁশ-কাঠ, টিন এবং পলিথিনের তৈরি বলে মঙ্গলবারভোরের ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাতে অধিকাংশই টিকে থাকতে পারেনি৷
কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের চেয়ারম্যান আবু সিদ্দিক মাঝি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমাদের অবস্থা এখন খুবই খারাপ৷ আমাদের ক্যাম্পে ১৩ হাজার ৭ শ'র মতো ঘর ছিল৷ বলতে গেলে সব ঘরই কোনো-না-কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ আমরা এখন পলিথিনের ছাউনি দিয়ে কোনোভাবে আছি৷’’
তিনি জানান, ‘‘ঝড়ের আগেও আমাদের কোনো আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়নি৷ ঝড়ের পরেও আমাদের সহায়তা করতে কেউ আসেনি৷ স্থানীয় প্রশাসন বা জনপ্রতিনিধি কেউ না৷’’
একই ক্যাম্পের মোহাম্মদ ইউনূস আরমান জানান, ‘‘ঝড়ে নারী ও শিশুসহ অনেকে আহত হয়েছে৷ তাদের মধ্যে ১৫-২০ জনকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে৷ তাদের ঠিকমতো চিকিৎসাও হচ্ছে না৷ কুতুপালং এবং অনিবন্ধিত বালু ক্যাম্পের অবস্থা খুবই খারাপ৷ নোয়াপাড়া ক্যাম্পে ক্ষতি কিছুটা কম হয়েছে৷’’
মোহাম্মদ ইউনূস আরমান জানান, ‘‘ঝড়ে প্রায় দুই হাজার ঘর উড়ে গেছে৷ আর প্রত্যেকটি পরিবারই কোনো-না-কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ আর যারা শরণার্থী হিসেবে নতুন এসেছে, তাদের অবস্থা খুবই খারাপ৷ কারণ, তারা কোনোভাবে চালা তুলে বালু ক্যাম্পে ছিলেন৷ তাদের সব কিছু উড়ে গেছে৷’’
ডয়চে ভেলেকে তিনি আরো বলেন, ‘‘ঝড় শুরুর আগে তাদের কিছু পলিথিন পেপার দেয়া হয়েছিল৷ কিন্তু তাতে কাজ হয়নি৷ পলিথিন পেপার দিয়ে কি আর ঝড় মোকাবেলা করা যায়?’’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার সুযোগ নেই৷ সে সুযোগ তাদের দেয়া হয়নি৷ তাদের স্থানীয় স্কুল ঘরে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছিল৷ কিন্তু স্কুল ঘরগুলো দুর্বল৷ সেগুলো আগেই ভেঙ্গে যায়, উড়ে যায়৷’’
ইউনূস আরমান দাবি করেন, ‘‘কোথাও থেকে আমরা কোনো সহায়তা পাচ্ছি না৷ আমি আমার ফেসবুকের মাধ্যমে কিছু ছবি, ভিডিও এবং তথ্য তুলে ধরছি, সহায়তার আশায়৷’’
এদিকে কথা বলার জন্য বারবার টেলিফোন করেও কক্সবাজরের জেলা প্রশাসক আলী হোসেনের কাছ থেকে সময় আদায় করা যায়নি৷ তিনি মিটিংয়ের ব্যস্ততার কথা বলে অপারগতা প্রকাশ করেন৷ তবে স্থানীয় সাংবাদিক আব্দুল আজিজ জানান, জেলা প্রশাসক তাঁকে বলেছেন , ‘‘রোহিঙ্গাদের বিষয়টি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো দেখবে৷’’ আব্দুল আজিজ ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘কক্সবাজারের কুতুপালং, নোয়াপাড়া, লেদা উখিয়া, টেকনাফ শরণার্থী ক্যাম্পগুলোর কোনো ঘরই বলতে গেলে আর দাঁড়িয়ে নেই৷ তাঁরা এখন মানবেতর জীবন যাপন করছেন৷ কোনো এনজিও বা স্থানীয় প্রশাসন এখনো তাঁদের সহায়তায় এগিয়ে যায়নি৷ জেলা প্রশাসক আমাকে বলেছেন, রোহিঙ্গাদের বিষয় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো দেখবে৷’’
ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাতে বাংলাদেশে অন্তত আট জন নিহত হয়েছে৷ আট জনের মধ্যে কক্সবাজারের পাঁচ জন, রাঙামাটির দুই জন এবং ভোলার একজন৷ তবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা কক্সবাজার৷ এই জেলার অনেক এলাকা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে৷
এই কক্সবাজারে দু’টি নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পসহ আরো কয়েকটি অনিবন্ধিত ক্যাম্প রয়েছে৷ বাংলাদেশ সরকারের সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী, এখন এখানে মোট রোহিঙ্গা শরণার্থী সাড়ে তিন লাখ৷ তবে নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী ৩০ হাজার৷ শরণার্থীদের ঘরগুলো হাল্কা বাঁশ-কাঠ, টিন এবং পলিথিনের তৈরি বলে মঙ্গলবারভোরের ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাতে অধিকাংশই টিকে থাকতে পারেনি৷
কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের চেয়ারম্যান আবু সিদ্দিক মাঝি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমাদের অবস্থা এখন খুবই খারাপ৷ আমাদের ক্যাম্পে ১৩ হাজার ৭ শ'র মতো ঘর ছিল৷ বলতে গেলে সব ঘরই কোনো-না-কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ আমরা এখন পলিথিনের ছাউনি দিয়ে কোনোভাবে আছি৷’’
তিনি জানান, ‘‘ঝড়ের আগেও আমাদের কোনো আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়নি৷ ঝড়ের পরেও আমাদের সহায়তা করতে কেউ আসেনি৷ স্থানীয় প্রশাসন বা জনপ্রতিনিধি কেউ না৷’’
একই ক্যাম্পের মোহাম্মদ ইউনূস আরমান জানান, ‘‘ঝড়ে নারী ও শিশুসহ অনেকে আহত হয়েছে৷ তাদের মধ্যে ১৫-২০ জনকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে৷ তাদের ঠিকমতো চিকিৎসাও হচ্ছে না৷ কুতুপালং এবং অনিবন্ধিত বালু ক্যাম্পের অবস্থা খুবই খারাপ৷ নোয়াপাড়া ক্যাম্পে ক্ষতি কিছুটা কম হয়েছে৷’’
মোহাম্মদ ইউনূস আরমান জানান, ‘‘ঝড়ে প্রায় দুই হাজার ঘর উড়ে গেছে৷ আর প্রত্যেকটি পরিবারই কোনো-না-কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ আর যারা শরণার্থী হিসেবে নতুন এসেছে, তাদের অবস্থা খুবই খারাপ৷ কারণ, তারা কোনোভাবে চালা তুলে বালু ক্যাম্পে ছিলেন৷ তাদের সব কিছু উড়ে গেছে৷’’
ডয়চে ভেলেকে তিনি আরো বলেন, ‘‘ঝড় শুরুর আগে তাদের কিছু পলিথিন পেপার দেয়া হয়েছিল৷ কিন্তু তাতে কাজ হয়নি৷ পলিথিন পেপার দিয়ে কি আর ঝড় মোকাবেলা করা যায়?’’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার সুযোগ নেই৷ সে সুযোগ তাদের দেয়া হয়নি৷ তাদের স্থানীয় স্কুল ঘরে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছিল৷ কিন্তু স্কুল ঘরগুলো দুর্বল৷ সেগুলো আগেই ভেঙ্গে যায়, উড়ে যায়৷’’
ইউনূস আরমান দাবি করেন, ‘‘কোথাও থেকে আমরা কোনো সহায়তা পাচ্ছি না৷ আমি আমার ফেসবুকের মাধ্যমে কিছু ছবি, ভিডিও এবং তথ্য তুলে ধরছি, সহায়তার আশায়৷’’
এদিকে কথা বলার জন্য বারবার টেলিফোন করেও কক্সবাজরের জেলা প্রশাসক আলী হোসেনের কাছ থেকে সময় আদায় করা যায়নি৷ তিনি মিটিংয়ের ব্যস্ততার কথা বলে অপারগতা প্রকাশ করেন৷ তবে স্থানীয় সাংবাদিক আব্দুল আজিজ জানান, জেলা প্রশাসক তাঁকে বলেছেন , ‘‘রোহিঙ্গাদের বিষয়টি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো দেখবে৷’’ আব্দুল আজিজ ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘কক্সবাজারের কুতুপালং, নোয়াপাড়া, লেদা উখিয়া, টেকনাফ শরণার্থী ক্যাম্পগুলোর কোনো ঘরই বলতে গেলে আর দাঁড়িয়ে নেই৷ তাঁরা এখন মানবেতর জীবন যাপন করছেন৷ কোনো এনজিও বা স্থানীয় প্রশাসন এখনো তাঁদের সহায়তায় এগিয়ে যায়নি৷ জেলা প্রশাসক আমাকে বলেছেন, রোহিঙ্গাদের বিষয় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো দেখবে৷’’
No comments