সু চির বিরুদ্ধেও তদন্তের দাবি মার্কিন শান্তিদূতের
মিয়ানমারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি তদন্তের জন্য জাতিসংঘের একটি আলাদা কমিশন গঠন করা উচিত। দেশটির নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে তদন্ত করবে ওই কমিশন। ভাবমূর্তির দোহাই দিয়ে তাঁকে বাদ দেওয়া উচিত হবে না। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক মানবাধিকার-বিষয়ক দূত কিথ হার্পার। কিথ সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক পরিষদে (ইউএনএইচসিআর) মার্কিন দূত ছিলেন। তিনি বলেন, মিয়ানমারে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠী চরম নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার। দেশটির নেত্রী অং সান সু চি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবং রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছেন। কিথ হার্পার আশঙ্কা প্রকাশ করেন, পশ্চিমা মানবাধিকারকর্মীরা সু চিকে বীর হিসেবে বিবেচনা করেন। ফলে তাঁরা মিয়ানমার এবং সু চির ওপর হয়তো দায় চাপাতে চাইবেন না। তাঁকে বাঁচিয়ে দেওয়া হবে। হার্পার আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসন হয়তো রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিষয়টি খুব একটা গুরুত্ব দেবে না। তিনি বলেন, সু চির নোবেল শান্তি পুরস্কার তাঁর জন্য ঢাল হয়ে ব্যবহৃত হচ্ছে।
এটা খুব বাজে। এই কারণে তাঁর দায়কে পাশ কাটানোর চেষ্টা হচ্ছে। হার্পার বলেন, ইউএনএইচসিআর যেমন উত্তর কোরিয়া মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি তদন্ত করতে আলাদা কমিশন গঠন করেছিল, ঠিক তেমনটাই করা উচিত মিয়ানমারের ক্ষেত্রে। গত ৯ অক্টোবর রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সীমান্তের তিনটি চেকপোস্টে অস্ত্রধারীদের হামলায় দেশটির নয় পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার পর রোহিঙ্গাদের দমনে সেনাবাহিনীর এই অভিযান শুরু হয়। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তথ্যমতে, রোহিঙ্গা-অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যে বহু ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। হত্যা ও ধর্ষণে যুক্ত হয় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। প্রাণভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে যায় হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম। জাতিসংঘের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, তাঁদের আশঙ্কা, সাম্প্রতিক সহিংসতায় এক হাজারের বেশি লোককে হত্যা করা হয়েছে।
No comments