ভায়রার হাতে ভায়রার মৃত্যু
ফরিদপুরে ভায়রা বাচ্চু খানের (২২) রডের আঘাতে নিহত হয়েছেন আরেক ভায়রা আজাদ শেখ (২৫)। গতকাল শনিবার সকাল নয়টার দিকে ফরিদপুর শহরের হাবেলী গোপালপুর মহল্লার ডগবস্তি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দুপুরে পুলিশ বাচ্চু খানকে আটক করে। তবে তাঁকে (বাচ্চু খান) কোতোয়ালি থানায় ঢোকানোর সময় বস্তিবাসী বাচ্চুকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বস্তিবাসীর ধস্তাধস্তি হয়। নিহত আজাদ শেখ ডগবস্তি এলাকার হারুন শেখের ছেলে। তিনি এক ছেলের বাবা। আজাদ শেখ ও বাচ্চু খান উভয়েই শহরের রেলস্টেশন সড়কে অবস্থিত লাকি ডেকোরেটরে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। ঘটনার দুজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বাচ্চু খান প্রায়ই তাঁর স্ত্রী আঁখি বেগমকে মারপিট করতেন।
গতকাল সকালে বাচ্চু তাঁর স্ত্রীকে মারপিট করা শুরু করলে ভায়রা আজাদ বাধা দেন। এ ঘটনায় বাচ্চু ক্ষিপ্ত হয়ে লোহার রড দিয়ে আজাদের ঘাড়, হাত, পিঠ ও পায়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করেন। এলাকাবাসী আহত আজাদকে প্রথমে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অসীম মণ্ডল বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। তিনি বলেন, এ ঘটনার পর বাচ্চু খান পালিয়ে যান। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাচ্চু খানকে শহরতলির শিবরামপুর এলাকা থেকে আটক করা হয়। ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজিমউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাচ্চুকে থানায় ঢোকানোর সময় ফটকের সামনে ডগবস্তির দেড় শতাধিক লোক সমবেত হয়ে বাচ্চুকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বস্তিবাসীর ধস্তাধস্তি হয়। এতে রাস্তায় পড়ে পুলিশসহ চারজন আহত হয়।
No comments