অধিকতর, নিরপেক্ষ তদন্ত ও দায়ীদের বিচার দাবি
পূর্ব সুন্দরবনের করমজল কুমির প্রজননকেন্দ্রে ৬২টি কুমিরছানার মৃত্যু-রহস্য উদ্ঘাটনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি ও বিচারের দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন হয়েছে। পাশাপাশি সুন্দরবন সুরক্ষার জন্য আলাদা সুন্দরবন আইন প্রণয়নেরও দাবি জানানো হয়েছে। গতকাল শনিবার খুলনা নগরের পিকচার প্যালেস মোড়ে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জনউদ্যোগ এই মানববন্ধন ও সমাবেশের আয়োজন করে। সংগঠনের খুলনার আহ্বায়ক কুদরত-ই-খুদার সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব মহেন্দ্রনাথ সেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সুন্দরবনের করমজল কুমির প্রজননকেন্দ্র থেকে কুমিরছানা উধাও ও মৃত্যুর ঘটনা কেন্দ্র করে তদন্ত কমিটি চিতাবিড়ালকে দায়ী করেছে। তবে এটি চিতাবিড়াল দ্বারা সংঘটিত হয়েছে কি না, তা নিয়ে জনমনে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।
এ ছাড়া ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে চিতাবিড়ালটি হত্যা করার সিদ্ধান্তটি আইনবহির্ভূত কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সুন্দরবন সুরক্ষার জন্য আলাদা আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, সুন্দরবন অন্যান্য বন থেকে আলাদা প্রকৃতির এবং বিশ্বের অন্যতম জীববৈচিত্র্যের বনভূমি। তাই প্রচলিত বন আইনে নয়, সুন্দরবন সংরক্ষণে পৃথকভাবে ‘সুন্দরবন আইন’ করাটা এখন সময়ের দাবি। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন খুলনা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা আ ফ ম মহসীন, মাসাসের নির্বাহী পরিচালক শামীমা সুলতানা, মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা খুলনার সমন্বয়ক মোমিনুল ইসলাম, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির একাংশের মহাসচিব এস এম সোহরাব হোসেন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির দেলোয়ার হোসেন, মফিদুল ইসলাম, গ্লোবাল খুলনার শাহ মামুনুর রহমান, খুলনা হ্যান্ডেলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. নাসির খান প্রমুখ।
No comments