‘আমার ছোট ছেলে একটা নির্বোধ’
গত সপ্তাহে কোনোভাবেই খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের ছোট ছেলে সেবাস্তিয়ান দুতার্তের। এতে প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হয়ে প্রেসিডেন্ট দুতার্তে জনসমক্ষে দেওয়া ভাষণেই ছেলেকে ‘নির্বোধ’, ‘প্রেমিক পুরুষ’ আখ্যা দিয়ে ভর্ৎসনা করেছেন। আর তাতে ফিলিপাইনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা রীতিমত বিস্মিত। কয়েক দিন নিখোঁজ থাকার পর ফেসবুকে প্রেসিডেন্টপুত্র সেবাস্তিয়ান দুতার্তে লেখেন, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি একজনের বাসায় রয়েছেন। ‘নিখোঁজ’ ছেলেকে লজ্জা দিতে প্রেসিডেন্ট দুতার্তে যে উপায় বেছে নিয়েছেন তা দৃশ্যত পছন্দ হয়নি ফিলিপাইনের অনেক মানুষের। বেফাঁস কথাবার্তার জন্য তিনি এরই মধ্যে সুপরিচিত। কিন্তু ছেলের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে দেশের প্রেসিডেন্টের প্রকাশ্যে এ ধরনের কথাবার্তা কতটা সংগত, তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনায় মেতে উঠেছে অনেকেই। ফিলিপাইনের নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, ২৯ বছর বয়সী সেবাস্তিয়ান দুতার্তে গত সপ্তাহে ‘যোগাযোগের বাইরে’ ছিলেন। এর জের ধরে গত বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট দুতার্তে এক ভাষণে বলেন, ‘আমার ছোট ছেলে একটা নির্বোধ। সে এখন আর নিজের বাড়িতে ফেরে না।’ বড় দুই ভাইবোন সারা ও পাওলোর সঙ্গে তাঁর তুলনা করে দুতার্তে বলেন,
অন্য সন্তানদের নিয়ে আমার কখনো অসুবিধা হয়নি। ওরা ঠিক আছে।’ উল্লেখ্য, সেবাস্তিয়ানের বড় ভাই ও বোন দুজনই পারিবারিক ‘শক্ত ঘাঁটি’ দাভাও শহরে রাজনীতি করেন। দুতার্তে দাভাও শহরেরই সাবেক মেয়র। তৃতীয় সন্তান সেবাস্তিয়ান দুতার্তের সঙ্গে বাবা রদ্রিগো দুতার্তের খারাপ সম্পর্কের খবর ফিলিপাইনিদের কাছে একদম নতুন নয়। কিন্তু তাঁরা অনলাইনে প্রশ্ন তুলছেন এই বলে যে, ব্যক্তিগত বিষয়ের ফয়সালা করতে প্রেসিডেন্ট কেন জনগণের উদ্দেশে দেওয়া বক্তৃতাকে বেছে নিলেন। প্রেসিডেন্ট দুতার্তে গতকাল মঙ্গলবারই পুলিশ নিয়ে এক বক্তব্য দিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। তিনি বলেন, দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ কর্মীদের বাসিলান দ্বীপের জঙ্গিবাদী সহিংসতাপ্রবণ এলাকায় দায়িত্ব পালন করতে পাঠানো হবে। সেখানে না গেলে তাঁদের পদত্যাগ করতে হবে। প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের প্রাঙ্গণে সার বেঁধে দাঁড় করানো ৪০০ পুলিশকে শুনিয়ে এ হুঁশিয়ারি দেন দুতার্তে। প্রেসিডেন্ট তাঁদের ‘বোকা’ ও ‘নির্বোধ’সহ অশিষ্টভাষায় গালি দেন। ওই ৪০০ পুলিশের সবাই অনিয়মসহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত।
No comments